এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৪491706
  • পোস্টার কিন্তু টই খুলে সাঁটানোই ভালো। সেখানে থাকেও একসঙ্গে, খুঁজে পাওয়াও সহজ। প্রাসঙ্গিক আলোচনাও সহজে হতে পারে সেখানে। তাই নয় কি?
  • dc | 27.57.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:২০491705
  • বোধিদা এখানে ওখানে কটা সিপিএমের পোস্টার সাঁটাচ্ছে তো এতো রেগে যাওয়ার কি হচ্ছে? খিস্তি করারই বা কি আছে? অনলাইন একটা ব্লগ, সেখানে একটু পাবলিসিটি করার জন্য খিস্তি খেতে ও দিতে হচ্ছে, ভাবা যায়? হোয়াই সো সিরিয়াস? :-)
  • ধুত্তেরিকা | 2001:4ba0:fff9:160:dead:beef:ca1f:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৮491704
  • এ ত মহা উতপাত শুরু হল। এই লোকটা ভাটিয়ালিকে পুরো হাইজ্যাক করে বুনো বাইসনের মত হেগে চলেছে।
     
    তবে আমার সন্দেহ হচ্ছে এই খিস্তিবাজ জন্তুটা যেটা শুওরের বাচ্চা কমিকুত্তা তুই মুই করে খিস্তাচ্ছে সেটার ওপর কি কর্তৃপক্ষের অভয়হস্ত আছে কোন বিশেষ কারণে? বিজেপীর খিস্তি প্রচারণা সবই মুছে দিত গুরুপুলিশ। এইসব প্রচারণাও থাকছে আর অপাঠ্য খিস্তি তুইমুই সেসবও থাকছে।  কেউ কিচ্ছু বলছে না। সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস দাসেদের কোন প্রশ্রয় আছে এই পুরো কাদাজলের স্রোতটায়। এই লোকটার প্রচারনার টইতেও অকথ্য নোংরামি করছে একটা মা°°°°র বাচ্চা। সেখানেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। নাহ এর পিছে কোন গল্প আছে শিয়োর।
     
     
  • bodhisattvagc dasgupta | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০২491702
  • kc | 188.70.28.45 | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:০২491608 
     
    প্রচারে নামলে বাধা ট্রোল ইত্যাদি আসে ও আসবে। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পোস্টার ছেঁড়া‌ফ্ল্যাগ ছেঁড়া চলছে। আমাদের ওয়ার্ডে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে একটু ঝগড়া আছে বলে একটু প্রকোপ কম। তুমি বিশুদ্ধতা টা দেখো আমি অবিশুদ্ধতাটা দেখি। :---)))))) 
  • bodhisattvagc dasgupta | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪৭491699
  • একক, হ্যাঁ স্বচ্ছন্দে। আমি ভেবেছিলাম অলরেডি আছো, এতো নতুন কিসু না, জগৎপারাবারের তীরে ট্রোলুরা বহুদিন‌ ধরেই মেলা করছে। আগে যারা গাল দিত এখনো অনেকে নাম বদলে দেয় তারা এখন অনেক সিনিয়র সিটিজেন হয়েছে, আর গুণী খোকনেরা তো আছেন‌ই:--)))))
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩৮491698
  • এই পেনশনপ্রাপ্ত ভদ্রলোকের কথা শুনে খারাপ লাগল। হয়তো ওঁর মনোবিদের সাহায্য দরকার ছিল। সময়মতন মদ ছেড়ে দিতে পারলে আরও অনেকদিন বাঁচতে পারতেন হয়তো।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩০491697
  • পনেরো বিশ বছর আগেও মধ্যবিত্ত বাঙালির মধ্যে মদ্যপান এতটা ছিল না। মাংস টাংস হত রবিবারে রবিবারে। হয়তো উৎসব টুৎসব থাকলে অন্য কোনোদিন। কিন্তু বিরিয়ানি সেসময় এত শুনিনি, কালেভদ্রে বিশেষ অনুষ্ঠানে শোনা যেত। লোকের নিয়মিত আহার ছিল ভাত/রুটি, কোনো সব্জিসেদ্ধ বা ভাজা,শাক, ডাল, তরকারি, চচ্চড়ি , মাছের কোনো একটা পদ(যারা মাছ খান), শেষপাতে চাটনি বা মরসুমী কোনো ফল। অনেকেই অল্প তেলে কম মশলায় হেলদি রান্না রাঁধতেন। এই সিম্পল রন্ধনশৈলী মনে হয় বদলে গেছে। এখন হয়তো অনেকেই দোকান থেকে খাবার আনিয়ে খান।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:4c0d:87a5:27a8:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:২৩491696
  • একটা রিসেন্ট ঘটনা বলি। গত সপ্তাহের ঘটনা।
    ভদ্রলোক মদ খাওয়া ধরেছিলেন কর্মসূত্রে কম খরচে মদ কিনবার সুবিধে থাকাকালীন। ক্রমে তা নেশায় এসে দাঁড়ালো। এমন নেশা যে কম খরচে কিনবার কোটায় আর কুলোয় না, সংসার খরচে টান পড়ল, তারপর বৌয়ের গয়না বাঁধা দেওয়া শুরু হল মদের খরচ জোগাতে। বৌ কিছু বলেন না। 
    এরপর কিডনির সমস্যা প্রকট হলো, তারপর উনি রিটায়ার করলেন, পেনশন ভালই পেতেন কিন্তু তখন মদ পুরো দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছিল। কিডনির চিকিৎসা চলছিল, পাশাপাশি মদও।
    শেষে কয়েকদিন ডায়ালিসিস চলল হাসপাতালে ভর্তি করে।
    বৌ তখন টুকটাক সুন্দর সুন্দর শাড়ি কিনছেন এবং লাল রং বাদ দিয়ে দিয়ে কিনছেন। বলছেন — ঐ রংটা তো বেশিদিন পরতে পারব না, বরং হলুদ নিই, গোলাপি নিই।
    তারপর গত চার তারিখে ভদ্রলোক মারা গেলেন। প্রচুর দেনা বাজারে। মৃত্যুর পরেও বৌ ভদ্রলোকের কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তুলেছেন, পেনশনের টাকা জমা পড়েছিল। ঐ টাকা না তুললে শেষকৃত্য হতো না, হাসপাতাল থেকে বডিও ছাড়ানো যেত না।
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:4c0d:87a5:27a8:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০৮491695
  • ঘরের বাইরে বের হতে হবে।
    একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি, মদ খাবার রেটটাও বেশ হাই। ঘরে ঘরে মদ খাচ্ছে। বাঙালীর জাতীয় খাবার বিরিয়ানি। পশ্চিমবঙ্গের খবর যা পাই তাতে নিয়মিত অনেক বাড়িতেই বিরিয়ানি (ডালডা দিয়ে বা ওরকম স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে বানানো) খাবার রমরমা। সপ্তাহে গড়ে এক দুদিন তো খায় ই। আর অ্যালকোহল। রিসেন্ট কিছু ঘটনায় জানলাম ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের পুরুষরা কিডনি ও লিভারের সমস্যায় খুব ভুগছে। 
    এগুলো কতটা সামাজিক কারনে বা কতটা অভ্যাসের জন্য, তা আলাদা করা যাচ্ছে না।
    সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটা মৃত্যু ঘটল কিডনি ফেলিওরে। এড়ানো যেত হয়ত।
    খারাপ লাগে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০৪491694
  • নার্সিসিজম জিনিসটাকে কেন অসুখ বলে আইডেনটিফাই করেন মনোবিদরা, সেটা সেভাবে বুঝতাম না এতদিন। এখন দেখছি কী ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছতে পারে আত্মরতি। এতটাই ভয়ানক যে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতেই পারছে না গন্ডগোলটা কোথায়, হুড়হুড় করে খাদের দিকে চলেছে। কারুর কারুর চমক ভাঙে খাদের কিনারায়, তখন আর করার কিছু থাকে না।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৯491693
  • হ্যাঁ, ভারতে অনেক লোক তো বটেই তবে শুধু ভারতে না, দুনিয়ার অন্যান্য দেশেও বহু মানুষ অবসাদগ্রস্ত। স্ক্রীন-বাউন্ড হয়ে গেলে অবসাদ এড়ানো কঠিন। মানুষ আয়নাঘেরা একো চেম্বারের মধ্যে বন্দী হয়ে যাচ্ছে, চারিদিকে শুধু নিজের প্রতিবিম্ব, নিজের গলার স্বরের প্রতিধ্বনি। খুব ভয়ানক ব্যাপার। বাইরে থেকে পাথর ছুঁড়ে দেওয়াল ভাঙলে তবে সে বাইরেটা দেখতে পাবে, অন্য মানুষদের দেখতে ও শুনতে পাবে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:4c0d:87a5:27a8:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৪491692
  • https://m.timesofindia.com/india/43-indians-suffering-from-depression-study/articleshow/77220895.cms
     
    পরিসংখ্যান বলছে শতকরা ৪৩ ভাগ জনতা অবসাদগ্রস্থ। এটা বিপদ সংকেতের মত লাগল।
    এত বিশাল পপুলেশনের ৪৩% তো একটা বড়ো সড়ো সংখ্যা। কেন এমন হচ্ছে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫১491691
  • অ্যানোনিমিটি জিনিসটাই তো ইউনিক। তকমাবিহীন হয়ে আলাপচারিতা। তা যতই না কেন কারুর কারুর পারস্পরিক পরিচয় থাকুক। ছবিহীন, স্বনামহীন, পরিচয়হীন হয়ে শুধু জাস্ট আড্ডায় লেখাটুকুর সূত্রে ইন্টার-অ্যাকশন, তাই থেকেই আলাপ গড়ে ওঠা, ভার্চুয়াল পরিচয় গড়ে ওঠা-এটাই তো ইউনিক। ফেবুতে বা অন্যত্র তো এটা হয় না। অসংখ্য ব্যাগেজ ঘাড়ে নিয়ে সেসব জায়গায় মিথস্ক্রিয়া।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:cce:31ed:c36e:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫০491690
  • ইউনিক কেন? নাম/নিক তো অনেকেই বদলায়। কেউ ঘন ঘন, কেউ কালে ভদ্রে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:cce:31ed:c36e:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪৮491689
  • ট্রোলদের খেতে দিতে নেই। এটাই আসল মন্ত্র।
    শুধু ট্রোলে রক্ষা নেই আরও ব্যাপার স্যাপার আছে। কয়েকটা ভিডিও দেখলাম ইউটিউবে মানুষ এত একা করে ফেলেছে নিজেদের, এত ফ্রাস্ট্রেশন তৈরি হয়েছে সেই কারনে। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে নাকি বিপুল সংখ্যক মানুষ অবসাদগ্রস্থ।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪৬491688
  • সব চেয়ে ইউনিক পুরোনো নামসহ রেগে চলে গিয়ে নতুন নামে ফিরে আসা! :)
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪০491687
  • ভীষণ। মার মার কাট কাট তো হতই। কুরুক্ষেত্র হয়ে যেত। কিন্তু আড্ডা স্পিরিট তারপরেও থেকে যেত। কত লোকেই তো চলে গেলেন, কেউ কেউ ফিরেও এলেন। নতুন কিছু লোক যোগ দিলেন। আবার নতুন কিছু লোকও চলে গেলেন। সেসব তো আছেই। কিন্তু তারপরেও ট্রোলিং করে পাতার পর পাতা নিয়ে নেওয়া--এইরকম জিনিস আগে দেখিনি।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:cce:31ed:c36e:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪০491686
  • বয়স হচ্ছে। সামনের বছর অবসর গ্রহণ করব। তখন শাড়ি সামলে নেবখন।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৩৪491685
  • কিন্তু এবার ধুতি বনাম শাড়িটা তেমন জমলো না। গুরু ও চণ্ডালদের পায়ে জরা ব্যাধের তীর লেগেছে।   
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:cce:31ed:c36e:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:২৯491684
  • মার মার কাট কাটও হতো। 
    ইংলিশ মিডিয়াম বনাম বাংলা মিডিয়াম, বাঙাল বনাম ঘটি, ইস্টব্যাংগল বনাম মোহনবাগান, ছেলে বনাম মেয়ে ...
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:৪৯491683
  • হুঁ, তাই মনে হচ্ছে। ভার্চুয়াল কফিহাউসটা আর রইবে না তাহলে। ভার্চুয়াল বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুন্দর এই জায়্গাটা, যা বহু ঝড়ঝাপ্টার পরেও টিঁকে ছিল এতদিন, সেটা হারিয়ে যাওয়া বিরাট ক্ষতি। একে রক্ষার চেষ্টা করা হোক।
    এই ফেবুযুগে লেখার প্ল্যাটফর্ম অনেক অনেক অনেক। ফেবুতেই অসংখ্য গ্রুপ আছে, তার বাইরে আছে অসংখ্য ব্লগপাতা। সেসব জায়গায় চব্বিশ ঘন্টা বহু লোকে লিখেই চলেছেন লিখেই চলেছেন। শুধু তাই না, ওসব ছাড়াও বহু জায়্গা আছে লেখার। কিন্তু নির্ভেজাল আলাপচারিতা, আড্ডা, খুনসুটি, খিল্লি, মজা ইত্যাদির জায়গা দেখিনি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এটাই গুর্চর ইউনিক একটা ব্যাপার, যার জন্য বেশ কিছুসংখ্যক ব্যক্তি এখানে আসেন।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:cce:31ed:c36e:***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৮491682
  • এখন থেকে এখানেই হবে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৪491681
  • গুর্চতে ঢুকে আজ দেখি সমস্ত ভাটিয়া৯ জুড়ে শ্রীক্ষেত্তর! এসব তো আলাদা টই খুলে করা হত আগে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১২491680
  • হ্যাঁ, সত্যিই। ঃ-)
  • একক | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১১491679
  • বাপ্স,  এতো খুবই পলিটিকালি ইনক্লাইন্ড কপি পোস্ট করে ফেলেচি না পড়েই :/
  • একক | ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:০৩491678
  • ট্রল ট্রল খেলা হলে আম্মো আচি।  ঃ)
     
    -----------------
     
    ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের পশ্চিম বাংলা, আসাম ও অন্যান্য রাজ্যে পাওয়া যায়। আকারে ছোট ও বড় দুই রকমের হয়। এজন্য বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রী ছাগলের ওজনের তারতম্য দেখা যায়। এদের ঘাড় এবং পেছনের অংশ উচ্চতায় প্রায় সমান থাকে। বুক প্রশস্ত। পাগুলো ছোট ছোট। ছাগ এবং ছাগীর শিং আছে। শিং ছোট বা মাঝারি আকারের হতে পারে। লম্বায় ৫-১০ সেন্টিমিটার হয়। শিং ওপরের দিক থেকে পেছনে বাঁকানো থাকে। কানের আকার ছোট ও মাঝারি কিছুটা ওপরের দিকে থাকে। দেহের গড়ন আঁটসাঁট। গায়ের রঙ সাধারণত কালো। তবে ধূসর সাদা বা বাদামি রঙেরও হতে পারে। গায়ের লোম ছোট ও মসৃণ। বছরে দুইবার এবং এক সাথে একাধিক বাচ্চা উৎপাদন করে। তবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা তুলনামূলক কম। স্ত্রী ছাগল ৯-১০ মাস বয়স হলেই প্রজননের যোগ্য হয় এবং ১৪-১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা প্রসব করে। বলা যায়,  গোশতের জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল সর্বোৎকৃষ্ট। তবে দুধের জন্য যমুনাপারি, বারবারি ভালো। আর পশমের জন্য গাড্ডি ও অ্যাংগোরা ভালো।
    ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধাদি-
    ০ পারিবারিক আয় বাড়ে;
    ০ আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, পরিবারের গোশত ও দুধের চাহিদা মেটে;
    ০ পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণ হয়;
    ০ চামড়া রফতানির মাধ্যমে অধিকতর আয় বাড়ে;
    ০ ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং এলার্জি উপসর্গ উপশমকারী;
    ০ ব্ল্যাক বেঙ্গলের গোশত সুস্বাদু ও চামড়া আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত;
    ০ অধিক বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী;
    ০ ছাগল পালনে অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়, পারিবারিক যে কোনো সদস্য দেখাশোনা করতে পারেন;
    ০ শয়ন ঘরে বা রান্না ঘরে কিংবা শয়ন ঘরের পাশে সাধারণ মানের কম খরচি ঘরে রাখা যায়;
    ০ দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটে বলে অল্প সময়ে সুফল পাওয়া যায়;
    ০ সব ধর্মালম্বী লোকদের জন্য ছাগলের গোশত সমাদৃত;
    ০ ছাগল পালনে অন্যান্য পশুর মতো আলাদ বিশেষ গোচারণভূমির প্রয়োজন হয় না;
    ০ ক্ষেতের আইলের, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের অনাবাদি জায়গার ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে;
    ০ বাড়ির আঙিনার আশপাশের গাছগাছড়ার লতাপাতা ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়;
    ০ অল্প পুঁজিতে লালন পালন করা যায়;
    ০ গবাদিপশুর মতো উন্নতমানের খাদ্য আবাসন বা অন্যান্য বিশেষ যতেœর প্রয়োজন হয় না।
    প্রযুক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য : সাধারণ পদ্ধতি প্রযুক্তির বাইরে আরও কিছু বিশেষ প্রযুক্তি পদ্ধতি আছে, যা অনুসরণ করলে ছাগল পালন আরও বেশি লাভজনক হয়। নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী ছাগল পালন করলে ছাগলের দৈনিক গড় ওজন বাড়ে, গর্ভধারণের জন্য কমসংখ্যক পালের প্রয়োজন হয় ও অল্প সময়ে অধিক বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়া বয়স্ক ছাগী ও বাচ্চার মৃত্যুর হারও কমে যায়। মোটকথা আসল লাভ বেশি হয়।
    খাদ্য ও খাওয়ানো পদ্ধতি : ফলপ্রসূ উৎপাদনের জন্য সঠিক পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। কাক্সিক্ষত লাভ পাওয়ার জন্য  ছাগলকে দুই ধরনের খাদ্য সরবরাহ করা উচিত; যেমন- আঁশযুক্ত বা আঁশজাতীয় খাদ্য ও দানাদার খাদ্য।
    ক. আঁশযুক্ত খাদ্য : গ্রামাঞ্চলে সাধারণত মুক্ত চারণ পদ্ধতির মাধ্যমে ছাগল পালন করা হয়। কাজেই আঁশজাতীয় খাবার সরবরাহের প্রয়োজন হয় না। কারণ, চড়ে খাওয়ার সময় ছাগল দিনভর তার নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী আঁশজাতীয় রকমারি খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। তবে মুক্তচারণ পদ্ধতি সব সময় কাজে লাগানো যায় না। এজন্য বিশেষ সময় পরিকল্পিতভাবে খামারিদের আঁশযুক্ত খাবার অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।
    শস্য মৌসুমে যখন ক্ষেতে ফসল থাকে তখন মুক্ত চারণের ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ থেকে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। কাজেই, এ সময় ছাগলকে মাঠে বা রাস্তার ধারে বেঁধে চড়ানো উচিত। তবে বেঁধে চরালে ছাগল প্রয়োজন অনুযায়ী আঁশযুক্ত খাবার পায় না। তাই এ সময় ছাগলকে পরিকল্পিত মাত্রা অনুযায়ী আঁশযুক্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে।
    বর্ষা মৌসুমে ছাগলকে পুরোপুরি আবদ্ধ অবস্থায় পালন করতে হয়। এ সময়ে অবশ্যই আঁশযুক্ত খাবার হিসেবে বিভিন্ন গাছের পাতা ও সবুজ ঘাস দেয়া যেতে পারে। শুকনো মৌসুমে অর্থাৎ যে সময়ে ক্ষেতে  ফসল থাকে সে সময়ে ৫০ ভাগ গাছের পাতার সাথে ৫০ ভাগ সবুজ ঘাস সরবরাহ করলে ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে। ক্ষুদ্র খামারিরা বাড়ির আঙিনা, জমির আইল ও রাস্তার পাশে নেপিয়ার, আলফালফা, শিম, ইপিল ইপিল, কাঁঠালপাতা এসবের চারা রোপণ করতে পারেন। এ থেকে সারা বছর আঁশযুক্ত খাবার সংগ্রহ করা সহজ হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত