বাংলাদেশের লিবেরাল ছেলেমেয়েরা তো ইন্টারনেট এ বাংলা লিখে প্রাণ পর্যন্ত দিল তাদের দেশের সাম্প্রদায়িক দের হাতে। অথচ ধর্মনিরপেক্ষতা র যে পর্যায়ের তত্ত্ব নিয়ে তারা প্রাণ হাতে করে দেশ বাঁচাতে নামলো, সেটা একটু পুরোনো গোছের। তাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের একেবারে হালের দগদগে ইতিহাসের সামনে কথাটা বোকা বোকা শোনালেও সেটাই ঘটনা। উল্টো দিকে পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমানের থিয়োরি চর্চা সমাজবিজ্ঞান চর্চা হ ওয়া সত্ত্বেও সেখানকার লোক নিজেদের ভাষায় লেখা যখন শুরু করলো, আমি জানিনা সেটা ইমিগ্রেশন প্যাটার্ন কার জন্য কিনা, একেবারেই শারদীয়া আনন্দবাজার বা দেশ ইত্যাদির পাড়ার পুজো কমিটির সুভেনির ভার্সন, যেখানে নতুন কোনও আর্টিস্টিক সেন্সিবিলিটি, লিটল ম্যাগ ঘরানার ততদিনে ঘিসাপিটা বিকল্প চর্চা কিছুই নেই। শুধু ই প্রযুক্তি টা নিয়া উত্তেজনা। আমার পরবাস ও বাংলালাইভ সলিড বোগাস ধুর লাগত মোস্টলি এবং পরে গুরুচন্ডালি তে সৈকতের লেখা ভালো লাগত। স্মার্ট গদ্যের জন্য না, সেটাতে আমার কোনো দিন ই পোষায় নি, হিউমর টা অবশ্য ভালো লাগত আর থিয়োরি চর্চার একটা কাজ শুরু করেছিল সৈকত , আমি জানিনা তাপস বা সৈকতের অন্য বন্ধুরা সেটা ভেবে চিন্তে করেছিল কিনা , এটাতে কন্টেন্ট এর কারণে ভালোই লাগত, বইমেলা গোছের একটা ফিলিং। ইত্যাদি। তারপরে তো অনেক জল গড়ালো ইত্যাদি। এখন ৪ নং প্লাটফর্ম টা মাঝে মাঝে দেখি আর ফোর্থ পিলার কি যেন সেটা মাঝে মাঝে দেখি ওগুলো ভালো লাগে। সচলায়তন ইজ আ মিস, আমি পুরো ফলো করিনি, দমু লিং দিল দেখলাম ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশের একেবারে তরুণ রা এক ই সঙ্গে রাজনৈতিক যেভাবে এনগেজ করছিলেন মুক্তি যুদ্ধের স্পিরিট নিয়ে অন্যদিকে সাহিত্য রচনায় সিভিল ওয়ার থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন , সেটা আমার স্টানিং লেগেছিল। এর গোটাটাই থিয়োরাইজ করা কঠিন কিছু না কিন্তু গুরুচন্ডালি র বাইরে ফ্রাঙ্কলি আমি তেমন বেশি কিছু অনলাইনে পড়িনি। তাই র ডেটা কম। গুরু চন্ডালির অনলাইন চ্যাটেতেই আমি সবচেয়ে বেশি অপমানিত হয়েছি, গালাগাল খেয়েছি, সেটা রাজনৈতিক জীবনের একটা পার্ট , এমন ইম্পর্টান্ট কিসু না, কিন্তু তার এডিটেড কন্টেন্ট এর একটা অংশকে কে , প্রফেশনালাইজ হবার আগে ও পরে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ডেস্পাইট আ রিজনেবল পার্ট বি ইং ক্র্যাপ। এবং সেটা তো আনন্দবাজারের থেকে ভালো জিনিষ এর রেশিও অনেক ভালো,ইন কেস ইট স্টিল ইজ আ স্ট্যানডার্ড।
গুরু তে অনেক লেখাই আমার বেশ ভালো লেগেছে ওভার অল, গত পনেরো বছরে, সেটার কতটা ওয়ার্ক আন প্রোগ্রেসের সাক্ষী থাকার উত্তেজনা কতটা ফিনিশিং কালচারাল প্রোডাক্ট পড়ার সুযোগের বিষয় জানিনা।
নানা কারণে নিজের দেশ থেকে দূরে থাগলে লোকে ইন্টারনেট লিখতো অকারণে প্রচুর আত্মজীবনী লিখতো , ফেসবুকের মতো , হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে আত্মপ্রকাশের একটা অংশ হিসাবেই লিখতো , কিন্তু এখন আপদ লোকে পাড়ার ম্যাগাজিন ও ইন্টারনেটে করে এইটা আমার স্লাইট বোরলাগে।
ডিস্ট্রিবিউশনের মোনোপলি বাতিল , বিকল্প চর্চার পরিসর তৈরির একটা উত্তেজনা হয়তো প্রথম দিকে ইনটারনেটের বাংলায় লোকের ছিল কিন্তু এখন সেল্ফ পাবলিকেশনের ঘোমটা সরা ছাড়া আর বড় কিছু দেখিনা। মানে ইন্টারনেট এর বাংলার আগে ও পরের মধ্যে সেটাই মেইন। খারাপ ভালো কিছু না মেইন এটা।
আর আমি যেহেতু দেশেই থাকি বাংলা ব ই পাওয়া নিয়ে চাপ কম , ত্রিপুরা আসাম ঝাড়খন্ড বাংলাদেশের বাংলা ব ই ও চাইলে পাওয়া সম্ভব। তাই ইন্টারনেট এর বাংলা আমার কাছে রাজনীতি করার আরেকটি জায়গা ছাড়া আর তেমন কিসু নাই। ইন্টারনেট কে আমি শিল্পীর আত্মপ্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে দেখার কোনো কারণ দেখছিনা। অন্য কমার্সের মত ই। মুদ্রিত সংস্কৃতি র একটা ইন এভিটেবল অথচ না হলেও চলতো গোছের ক্যাটিগোরি, ফেসবুক সহ বা বাদে। কনটেন্টের দিক দিয়ে ডিজিটাল নেচারটাকে কাজে লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দেবার মত সেরকম কিছু হয়েছে কিনা জানিনা , হয়তো প্রচুর নতুন লেখক এসেছেন সেটা ভালো মেডিয়া বুমের পার্ট হিসেবেই এসেছে। অন্য বড় সাইট সব ই পে ওয়াল দিয়ে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট বাংলা কতদিন ভালো মন্দ মিলিয়ে অভয়ারণ্য থাকবে জানিনা। বাংলা ব ইয়ের বিক্রি আর ছোট বিজনেস এর সংখ্যা , কর্মীর , ক্রিয়েটিভ বা টেক কনট্রিউবিউটর দের রোজগার বাড়ছে কিনা এসব ডেটা থাকলে ভালো হত গত বিশবছরের।