সেই কৃশ আর শালু নেপালির গল্প মনে আছে? দুজনেই এবছর ইস্কুলে ভর্তি হয়েছে আর অনলাইন ক্লাস করছে।
সকালে দুজন আমার স্ত্রীর কাছে পড়তে এসেছে। এদিকে মা কি যেন একটা পুজো করেছে আর তার প্রসাদ হয়েছে ফল আর মিষ্টি। দুজনকেই ডেকেছে প্রসাদ দেবে বলে, আমরাও গেছি। কিন্তু শালু কিছুতেই খাবে না, ভাইকেও খেতে দেবে না। মাও বেশী জোরাজুরি করে নি, তো দুজন আবার সামনের ঘরে এসে বসেছে স্ত্রীর কাছে।
এদিকে কৃশ উসখুস করছে। খানিক পরে দিদিকে ফিসফিস করে বলেছে, কেয়া দিদি, পরসাদ খানে কিঁউ নেহি দিয়া?
শালুঃ হামলোগ খৃস্টান হ্যায় না? হামে পারসাদ নাহি খানা হ্যায়।
কৃশঃ কিন্তু ওখানে লাড্ডু আছে তো! তাছাড়া বড়ি দিদিও তো খাচ্ছে, দেখলি না? (বাকিটা আমি বাংলায় লিখছি)।
শালুঃ চুপচাপ বসে থাক, নাতো মা কে বলে দেবো।
এই অবধি কথা হয়ে দুজনেই বসে আছে, কারুর পড়ায় মন নেই। স্ত্রী সামনে বসে বসে শুনেছে। খানিক পর কৃশকে বলেছে, যাও অন্দর সে পানি পিকে আও। কৃশও এক ছুটে ভেতরে গিয়েই মার সামনে গিয়ে হাজির হয়েছে, কপাকপ দুটো লাড্ডু মুখে পুরে জল টল খেয়ে আবার এসে বসেছে। তখন স্ত্রী শালুকে বলেছে যাও, তুমিও গিয়ে জল খেয়ে এসো, আর দেখো টেবিলে ফলটলও আছে, ওগুলো খেতে পারো। ওগুলো পুজোয় ব্যবহার হয়নি। (সত্যিই টেবিলে এমনি আপেল টাপেল দুয়েকটা ছিল)।
শালু ভেতরে গেছে, সেখানে মাও ছিল। তো প্রথমে একটুকরো আপেল খেয়েছে, তারপর মা জিগ্যেস করেছে, লাড্ডু খাবে? কিচ্ছু হবে না। আরও দুয়েক মিনিট বুঝিয়েছে, তখন শালুও প্রথমে একটা, তারপর আরেকটা লাড্ডু খেয়ে নিয়েছে। তারপর দুজনেই আবার সামনের ঘরে পড়তে বসেছে, আর বাকি সময়টা নাকি দুজনেই দুজনকে বুঝিয়েছে, মাকে একদম বলবি না।
আমরাও কাউকে কিছু বলিনি।