আমার অধিকার আছে
আমার অধিকার আছে, একটু দূর থেকে, তোমার পায়ে চুমু খাবার
যে-কোনো না-কে যখন বানিয়ে দাও হ্যাঁ আর হ্যাঁ-কে বানাও না
আমার অধিকার আছে তাতে দুহাত তুলে সায় দেবার
তালি দিতে বললে তালি দেবার
গালি দিতে বললে গালি দেবার
অবাধ অধিকার আছে আমার
বোধবুদ্ধি ঝরিয়ে দেবার
সব প্রশ্ন সরিয়ে নেবার
তুমুল অধিকার আছে আমার
গায়ের জোরে আমার হাবা বোনকে ধর্ষণ করে গেলে
আমার অধিকার আছে তাকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করবার
গুলির জোরে আমার বেকার ভাইয়ের হৃৎপিণ্ড তুমি ছিঁড়ে নিলে
আমার অধিকার আছে তোমারই কাছে দুহাত পেতে ভিক্ষে নেবার
ক্ষতিপূরণের আর প্রতিপূরণের, আর
রহিমের ঘর জ্বালিয়ে দিলে তোমার রহমৎ
আমার অধিকার আছে রহিমকে আসামি বানিয়ে রহমৎকে আদর করবার
তোমার ডাকে সাড়া না দিলে ভিটেমাটি উচ্ছন্নে দেবে বলে
বৌবাচ্চা লোপাট করে দেবে বলে
আমার অধিকার আছে তোমার ভিড়ে লোক বাড়াবার
তোমার জন্য তুলে না ধরলে কেটে নিতে পারো আমার যে-হাত
আমার অধিকার আছে তোমার জন্য শুধু তোমারই জন্য সে-দুহাত তুলে ধরবার
আমার অধিকার আছে
অধিকার আছে
অধিকার আছে তোমার রাতুল দুপায়ে
আমার গলে-যাওয়া শিরদাঁড়া ছুঁড়ে ফেলবার
তোমার পায়ের কাছে মাথা এনে বলি, খুব ঝুঁকে :
এমন হিংস্রতা আহা কী লাবণ্য ছড়িয়েছে মুখে!
তোমাকে প্রণাম করি, ইষ্টদেবতার নাম তুমি
আমার সর্বস্ব নিয়ে দুহাতে অঞ্জলি দিই তুলে
তুমিই যদি না থাকো তো আমিও হারাই শূন্যতাতে
তোমাকে তোষণ করে আমার সমস্ত দিন কাটে।
এমন মুখশ্রীভরা প্রতিহিংসা ছড়ানো আগুনও
পানপাতা দিয়ে ঢেকে স্বরে আনো উদারা বা তারা —
যেভাবে বাঁকাতে চাও বাঁকাও বা আদরে বাজাও
মেনে-নেওয়া দিয়ে তৈরি আমার সমস্ত শিরদাঁড়া!