খালি বামিয়ান মনে পড়ছে।
অবস্থা গুরুচরণ।
বন্দর তথা ওয়াখান করিডোরের কথা তো কালই লিখলাম মনে হয়।
প্লাস বন্দর ও সহজে ব্যবহার করতে পারবে। আফগানিস্তান কে প্রচুর প্রচুর টাকা ধার দেবে দেশ গঠনের জন্য। তারপর মহাজনী কায়দায় আরো ইনফ্রা কেড়ে নেবে।
কালচারাল আর ইকোনমিক স্ট্রাটেজির মধ্যে বিরোধ না থাকতে পারে, সে তো ঠিক কথা। তবে চীন আফগানিস্তানে নিজেদের ইনফ্লুয়েন্স প্রোজেক্ট করতে পারবে, এটা চীনের জন্য বিরাট লাভ হলো।
মনে হয় early 1990 হবে।
https://www.theguardian.com/world/2001/sep/29/september11.afghanistan
20 বছর আগে লেখা এই প্রবন্ধটা পড়তে অনুরোধ রইল।
একটু স্মৃতিতে ঝালিয়ে নিলে ভালো, ঠিক কি আর কিভাবে হয়েছিল 2001 সালে।
লেখাটা ছোট নয়, ধৈর্য্য ধরে পড়তে হবে।
আলটপকা মন্তব্য গত 2 দিন শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে এটা খুঁজে বের করলাম।
সেদিনও 10 লাখ আফগানি পাকিস্তান সীমান্তে ভিড় করেছিল, আমেরিকান মিলিটারির ভয়ে।
কালচারাল স্ট্রাটেজির সঙ্গে ইকনমিক এলাই এর কোন বিরোধ নেই তো। ইরাণের পথ এখন ইস্লামি ওয়ার্ল্ড এ পপুলার, নতুন কিছু না।
সেমিকন্ডাক্টর এর ব্যাপার টা অবশ্যই লক্ষনীয়। নজর করার টাটা রিসেন্টলি সেমিকন্ডাক্টর এ ঢুকলো।
আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হচ্ছে--ডিসির ফোরকাস্ট বাস্তব পরিস্থিতির বেশি কাছাকাছি ।
পাইয়ের তোলা প্রশ্নটি অত্যন্ত ভ্যালিড। আমেরিকান হিস্ট্রিতে হিরোশিমা কীভাবে পড়ানো হয়?
শেষে গুরু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্বাধীনতা-দেশভাগ প্রশ্নে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ লেখা বের করার জন্যে। ইন্দোডাক্তার লা-জবাব!
আচ্ছা আমাদের পরধনমন্ত্রী কিচু বাণী দেছে? একবার কি এক গুড তালিবান ব্যাড তালিবান কপচেছিল না। গুড না ব্যাড কিছু বলে উঠতে পারল
ওহো, মাইকেল মুরের পোস্টটা।
Via Micheal Moore
Kabul, Saigon.
The fall, once again.
America loses another war.
Our longest war.
“We’re #1!!”
We spent over $2 trillion.
We sacrificed over 2,000 American lives to invade a country where Bin Laden was never, nowhere, to be found. Bush said he had no interest in capturing him. Obama’s team found him in a house just down the road from Pakistan’s “West Point”. Who woulda guessed!
WE are the invaders. The Taliban are not invaders — they’re Afghans — it’s their country! They’re religious nuts. We know what that looks like — we have our own!
What a tragic mess. Defund the Pentagon, the NSA, Homeland Security. They sent our young troops to their deaths. Shame! 16 of the 20 hijackers on 9/11 were from Saudi Arabia! Not Afghanistan, not Iraq, not Iran. How come Bandar Bush didn’t attack the Saudis? Oh. Right. Fill ‘er up!
Once again, we have been defeated by an army with no bomber planes, no destroyers, no missiles, no helicopters, no napalm — just a bunch of guys in pickup trucks. We haven’t won an actual war in the defense of this country since WWII.
76 years ago today.
Today is VJ-Day — Victory Over Japan Day. The day the U. S. lost the Afghanistan War. God bless our troops. May our troops forgive us.
Much condolences and love to all families who lost loved ones in this disgustingly sad war.
স্কুলগুলোয় এখন এই হিরোশিমা নাগাসাকিতে বোম ফেলে লাখ লাখ সিভিলিয়ানকে মারা কীভাবে পড়ানো হয়? আমেরিকায় বীরগাথা হিসেবে? আমেরিকার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসচর্চায় আমেরিকার নানাবিধ দাদাগিরি কীভাবে আসে?
বা, নেটিভ আমেরিকানদের সঙ্গে প্রথম ইন্টারাকশনের ইতিহাস?
ইউকে, স্পেন, পর্তুগালে তে কলোনাইজেশনের ইতিহাস কীভাবে পড়ানো হয়?
মাইকেল মুরের এই পোস্টটা দেখলাম। কিন্তু একটা প্রশ্ন। মুররা, বা আমেরিকার প্রগতিশীলেরা হিরোশিমা নাগাসাকিকে কীভাবে দেখেন?
ভিক্টরি ওভার জাপান ডে নিয়ে এত উলুতপ্লুত দেখে প্রশ্ন জাগল।
এবার চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ডাইরেক্ট ইনফ্লুয়েন্সের মধ্যে নিয়ে আসবে। সারা পৃথিবীর সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি কন্ট্রোল করতে সুবিধে হবে।
একক, নিউ ইসলামিক অর্ডার ইত্যাদি না হওয়ার চান্সই বেশী। এখন আফগানিস্তানে রাশিয়া আর চীন নিজেদের ইনফ্লুয়েন্স বিস্তার করবে। রাশিয়া তো পুরনো পাপী, অলরেডি একবার আফগানিস্তান ইনভেড করেছিল। তবে এখন চীন এগিয়ে কারন চীন এখন সুপারপাওয়ার, আর এশিয়াতে অপ্রতিরোধ্য। চীন মনে হয় চেষ্টা করবে আফগানিস্তানকে নিজেদের বেল্ট আর রোডের মধ্যে নিয়ে আসতে, আর এশিয়া ছাড়িয়ে য়ুরোপে পাওয়ার প্রোজেক্ট করতে। আমেরিকা বনাম চীনের এখন এন্ডগেম।
আল জাজিরা টিভিতে ক্রমাগত আফগান নাগরিকদের দেখাচ্ছে, তাদের ইন্টারভিউ নিচ্ছে। তারা বলছে — আমরা তালিবানদের সাপোর্ট করেছি এবং করি, কারন তালিবান আমাদের বিদেশি আগ্রাসন থেকে মুক্ত করেছে। আমরা অ্যামেরিকার শাসন চাই না।
বেসিক্যালি মেয়েদের কোন কোন দেশ দাবিয়ে রাখছে ( বেশি বা খুব বেশি) তা নিয়ে কারোরই মাথাব্যাথা নেই, থাকেও না। মেয়েদের অধিকার নিয়ে তাই হাউকাউ যত হয়, ততটা ফলাফলে দেখা যায় না। কোনও দেশের যুদ্ধে, সিভিলওয়ার বা অন্য যে কোনও সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেয়েরা। সেটাকে কোল্যাটারাল ড্যামেজের খাতায় ফেলে দেওয়াটাই সমাজের দস্তুর।
অ্যামেরিকা যখন আফগানিস্তানে গত কুড়ি বছর ধরে মেয়েদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছিল, তারা কি জানত না যে রণে ভঙ্গ দিলে মেয়েদের অবস্থা ব্যাক টু জিরো হয়ে যাবে? বরং আগের চেয়েও খারাপ হতে পারে এরকমটাই আশা করা যায়।
আনন্দবাজারবর্ণিত নিয়মগুলো কি অলরেডি চালু হয়ে গেছে? যদি হয়, দেশের লোকেরা প্রতিবাদ করে না কেন? দেশের কত শতাংশ লোক তালিবানপন্থী?
নাকি চুপিচুপি সকলেই তালিবান সাপোর্টার?
একগাদা লোক দেশ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছে কেন? তারা যদি সংখ্যায় বিপুল হয় তবে রুখে দাঁড়াচ্ছে না কেন? গত বিশ বছরে অ্যামেরিকা কী করছিল আফগানিস্তানে, বুড়ো আঙুল চুষছিল?
এই নিয়ম তো ইরানে বেশ কয়েক দশক ধরে চলছে।
ইদিকে ইমরান খানের খুশী আর ধরে না। কেমন ইন্ডিয়াকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে পালাতে হ'ল! ইমরানের মতে তালিবানরা নাকি “breaking the shackles of slavery” !
লেলী কারা?
তালিবানদের কাছে এটা একটা বড় সুযোগ নিউ ইসলামিক অর্ডারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করার। তথাকথিত নিউ অর্ডারের সলতে পাকানো বহুদিন ধরে চলচে ইছলামি রাস্ট্রগুলোয়। মেয়েদের সম্মান করা হবে - বুর্কায় মুড়ে ইস্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেয়া হবে। পঞ্চাশ শতাংশ মহিলা স্টুডেন্ট নিয়ে রমরম করে ইছলামী আদর্শ মেনে শিক্ষা চলবে। এই সব ই করতে দেওয়া হবে , শুধু নিজের ভাষা পোষাক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চয়েস থাকবেনা। ডিসিশন মেকার মহিলারা হবেন না। দিস সিষ্টেম ইস সো নাইস যে , নানা দেশের লেলীরা দুহাত তুলে সমর্থন জানাবে। মাঝে মাঝে দু একটা মহিলা সিনেমা পরিচালক বা সাংবাদিককে পাথর ছুঁড়ে খুন করা হবে তখন অন্যদিকে তাকিয়ে থাকলেই হলো।
দেখা যাক তালিবানরা বুদ্ধি খাটিয়ে লেলী দের দিল জিতে লিতে পারে কিনা। গোল্ডেন অপর্চুনিটি সন্দেহ নেই।
মেয়েরা চিরকাল বলির পাঁঠা। তালিবানের জগতে মেয়েরা জাস্ট বস্তু বিশেষ।
Female mayor in Afghanistan says she's waiting for Taliban to 'come ... and kill me'
ডন ভালো কাগজ, কিন্তু নাজিব কে সরানো ই কাল। ডনের পক্ষে , যদিও সত্যি ই সেকুলার এবং ভালো কাগজ, ৭ আর ৮ এর দশকের লেজেন্ডারি 'আমের বিস্ফোরণ' -এর আগে ও পরে , ফরেন পলিসি তে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করা সম্ভব না, যদিও ভুট্টো র পরে জেনেরাল জিয়ার উত্থান কে আভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে ওরা সমালোচন করবে।
বিজয় প্রসাদ এর সঙ্গে জেদের বসে একমত না হতে গেলে অনেক বড় গল্প ফাঁদতে হবে :-))
বাইডেন বলে দিলেন, এটা পুরোনো সমস্যা, এখন নতুন আরো সমস্যা আছে। চীন বলবে, এটা ভবিষ্যতের বিষয়। রাস্তা হবে। পাকিস্তান আভ্যন্তরীন পলিটিক্স অনুযায়ী যখন যা পারে বলবে।
ঘটনা টা হল, আফগানিস্তানে কিছুদিন এখন মেয়েদের উপরে সাংঘাতিক অত্যাচার হবে, আর কেউ কিছু বলবে না, কারণ তারা হয়তো সত্যি কিছুদিন আন্তর্জাতিক টেরোরিজম কে ফান্ড বা অর্গানাইজ করার জায়গা দেবে না।
এটা সত্যি ই চাপের যে ইনভেডিং ফোর্স কে প্রোগ্রেসিভ বলতে হচ্ছে। সেই অভিজিত রায়ের বাবা, ৭ এর দশকের বাঙালী স্বাধীনতা যোদ্ধা বুদ্ধিজীবি , তাঁকে যখন ছেলের মৃত্যুর পরে সি আই এর হস্তক্ষেপ চাইতে হয়েছিল, আমি ভাবছিলাম, সত্যি মাইরি ইতিহাস কি সাংঘাতিক জিনিস।
চায়না
আমি দিতাম
আচ্ছা, পাকিস্তান মিলিটারি যে এতদিন তালিবানদের পুষল, তার টাকা পেত কোথা থেকে?
এদিকে চাড্ডিদের খুশি সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ছে। কোরোনার বাজারে ভক্তরা যাও বা লজ্জায় একটু চুপ ছিল গত কয়েক মাস, এখন তালিবানের দৌলতে আমেদাবাদের হেট্ স্পিচ ব্যান্ড ওয়াগন আবার চালু হয়ে গেছে।