হরিবল. জাস্ট হরিবল।
ট্যুইটারে আফগান মহিলারা বলছেন ১৫ - ২৫ বছর বয়সী মেয়েদের নাকি তালিবানরা চেয়েছে। আর স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খালি করে সবাই ঘরে ফিরে যাচ্ছে বা যেতে বাধ্য হচ্ছে। ডেসপারেটলি অ্যাসাইলাম খুঁজছে কেউ কেউ।
মেয়েদের ব্যপারে তালিবানের পলিসি খুব সিম্পুলঃ মেয়ে?!? সেটা আবার কি বস্তু?
হ্যাঁ, তালিবান পলিসি কি হবে বলা মুশকিল। কিছু মিডিয়া চ্যানেল লিখছে এটা হল তালিবান 2.0। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বা হাসান রৌহানি-র রেজিমের মতন যদি হয় - আফগানিস্তান যদি ইরানের মতন হয়, সেটা হয়ত নব্বুইএর দশকের তালিবানদের থেকে বেটার।
ইনি মেয়েদের ব্যবস্থা কি বিশেষ কিছু আলাদা বলেছেন? আবাপ পড়ে অন্তত মনে তো হয় না। সাধারণ ভাবে আরবের দেশ গুলিতে যেমন করে রাখা হয় ওঁদের, সামান্য ঊনিশ বিশ হয়ে, তেমনই রাখা হবে। হয়ত।
তালিবানরা যে ফেরত আসছে এটা জানা ছিল। এখন যিনি এদের হেড, আবদুল ঘনি বরাদর, যিনি মুল্লা বরাদর নামেও পরিচিত (জন্ম ১৯৬৮, দুরানি পাস্তুন সম্প্রদায়ের) - ইনি ছিলেন নব্বুই-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালিবান ফাউন্ডার মেম্বার মহম্মদ ওমর এর ডানহাত, একজন চিফ কমান্ডার এবং কো-ফাউন্ডার।
২০১০ সালে পাকিস্তানে ইনি গ্রেপ্তার হন এবং আট বছর বাদে ২০১৮ সালে ইউএস এর অনুরোধে এনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইউএস একজন তালিবান নেতাকে খুঁজছিল যার সঙ্গে নেগোশিয়েট করা যায়, ইনি কোঅপারেট করেন - ইনিই প্রথম তালিবান লিডার যিন ইউএস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। ২০২০-র মার্চ মাসে ফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সঙ্গে মিনিট ৩৫ কথা হয় এনার। দোহা-তে একটি মিটিং অ্যাটেন্ড করেন, ইউএস এবং তালিবানের মধ্যে এই মিটিং এর হোস্ট করে কাতার সরকার। এখানে উপস্থিত ছিলেন ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও - বিষয় ছিল - কীভাবে আফগানিস্তানে কনফ্লিক্ট কমিয়ে স্টেবিলিটি আনা যায় যাতে করে ইউএস সৈন্য সরাতে পারে। পরে ২০২০ নভেম্বর মাসেও পম্পেওর সঙ্গে এর মিটিং হয়।
সুতরাং, প্রিপারেশন চলছিল।
তালিবানদের অনেকবার কভার করেছেন এমন সাংবাদিক জানাচ্ছেন,
Journalist Sami Yousaifzai has covered the Taliban for many years and has met with Baradar.
"Baradar is a very calm person, I met him three or four times, he's very diplomatic, he only speaks to the point. ...
I think he has ambitions to become leader and he's the one who struck a deal with the Americans very successfully..."
দেখেশুনে মনে হচ্ছে বরাদর-ই হবেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
সে কি আর বাইরে থেকে বলা যায়, অরণ্যদা? যে যার মতো ভেবে নেয়।
সাধারণ আফগানরা বেশীর ভাগ কি তালিবান পন্থী? না কি তালিবানদের হাতে অস্ত্র আছে বলে তাদের মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে?
সিচুয়েশন যা দাড়াচ্ছে এখন , আফগানিস্তানে বেশ কিছু ভারতীয় মনে হয় খরচের খাতায়. যারা হাই কমিশনের কাছাকাছি আছে হয়তো কোনোভাবে এই তালিবানি জানোয়ারগুলোর থেকে বেঁচে যাবে। কোনো একটা ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল খুলে তাদেরকে বের করে আনবে যাহোক করে. কিন্তু যেসব ম্যানুয়াল লেবার রা গেছে কনস্ট্রাকশন বা অন্য প্রোজেক্ট এর কাজে, তারা কজন বেঁচে ফিরবে কে জানে.
আর কি। একদিকে এই ইসলামিক মৌলবাদী জানোয়ার গুলোর দাপাদাপি, আর একদিকে বানরসেনার লাফালাফি. এই তো জীবন কালিদা. সভ্য মানুষের জায়গা কোথায় আর।
নীচের লিং টা দেখুন
Taliban রা থাকবেনই
ঠিকই লিখেছে ডন পত্রিকায়।
Russia and USA are squarely responsible for Afghanistan’s tragedy but Pakistan is certainly not innocent.
এটা বেরিয়েছে পাকিস্তানের লিডিং প্রিন্ট মিডিয়ায় - দ্য ডন - এ। পাকিস্তানের নিউজ মিডিয়া ওপেন।
IN his latest interview to PBS NewsHour, Prime Minister Khan correctly said the US “really messed it up in Afghanistan” and he also rightly questioned America’s motive for invading Afghanistan. In a second interview to Afghan media he denied that Pakistan speaks for the Taliban. This too is technically true. But to keep one’s moral compass straight, one must acknowledge that it wasn’t just America that messed up. Other countries, particularly Pakistan, also helped create the Afghan tragedy.
মরাল কম্পাস ঠিক রাখতে বলছে। ডন এ কিছু লেখা আগে পড়েছি, ভালো প্রতিবেদন
Who messed up Afghanistan?
সবচেয়ে আগে হেরেছিল গ্রিক রা। তবে ওরাই সবচেয়ে বেশি দিন আফগানিস্তান শাসন করেছে -- 200 বছর !
গরমে কষ্ট হলে তিব্বতে গেলেই পারে। চীনে কবল থেকে তিব্বতকে রক্ষা করুক। কেউ করে না। কিংবা মিয়ানমারকে সামরিক শাসনের হাত থেকে রক্ষা করা। কেউ করছে? নর্থ কোরিয়া বা ইরানে গিয়ে পারবে পরোপকারধর্মী এ ধরণের সমাজসেবা করতে? অত সোজা না।
আজ অবধি কোনও বিদেশি শক্তি আফগানিস্তান দখল করতে পারে নি। না ব্রিটিশ, না সোভিয়েত ইউনিয়ন, না অ্যামেরিকা। সবাইকে হারতে হয়েছে।
অ্যামেরিকা কেন আফগানিস্তান আক্রমন করেছিল সেটা আজও বুঝি নি। ইরাকে ওয়েপেনস অফ মাস ডেস্ট্রাকশনের ব্যাপারটা কিংবা সাদ্দাম হত্যা, বা মনে করুন লিবিয়ার ওপর আক্রমন। কেন এগুলো করা? আফগানিস্তান কি নাইন ইলেবেন করেছিল? উত্তর মেলেনি।
হ্যাঁ, তারা নিজের দেশে শরিয়তি আইন চালায়, মেয়েদের রেসপেক্ট করে না, শিক্ষাব্যবস্ৎা নেই বললেই চলে, সব বুঝলাম। অ্যামেরিকা কেন এসব যুক্তিতে তাদের দেশে উড়ে এসে জুড়ে বসবে সেটার ভিত্তি কী? সমাজসেবা?
ব্যাপার হল তালিবান জঙ্গী রা জানতই এক না এক দিন আমেরিকা চলে যাবে, তারা শুধু অপেক্ষা করে গেছে। আমেরিকার পক্ষে দিনের পর দিন কোটি কোটি ডলার উড়িয়ে নিজের দেশ থেকে অনেক অনেক দূরে শুধু শুধু বসে থাকা সম্ভব নয়। এটা হল অনেকটা ইয়ু মাইট হ্যাভ দা ওয়াচ, বাট আই হ্যাভ দা টাইম।
অন্যদিকে আমেরিকার ব্যর্থতা এতদিন থেকেও আফগান সেনাদল কে দেশরক্ষার মতো দক্ষ ও শিক্ষিত করে তুলতে না পারা, বেশিরভাগ যুদ্ধই পুুরোভাগে থাকতো মার্কিন সেনা, পিছে অফগানরা হাবিলদার এর মত। ইন্টারনাল কমিউনিকেশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আফগান সেেনা দের শেখার ইচ্ছে ও তেমন ছিল না। তাই কেসটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল -- হোয়েন ইন জ্যাম, কল আঙ্কল স্যাম। এবার আঙ্কেল স্যাম যে একদিিন ফোন নাও তুলতে পারে, এটা কেউ ভাবেনি।
লর্ডসের বুকে ভারতবর্ষের অসাধারণ জয়।
এটাও পড়েছেন নিশ্চয় https://www.ndtv.com/world-news/taliban-has-broken-shackles-of-slavery-says-pak-pm-imran-khan-2511573#pfrom=home-ndtv_topstories
আর সেই স্লেভারী এতো কাম্য ছিল যে লোকে প্লেনে ঝুলতে ঝুলতে অন্য দেশে যাবার চেষ্টা করে মারা যায়। :(
এটা পড়েছেন নিশ্চয়
https://www.thewrap.com/afghan-filmmaker-sahraa-karimi-letter-world-should-not-turn-its-back-on-us/
একদম।
শেষ দশ দিনে দেশ দখলে এনেছে। ব্যস।
কিন্তু তালিবানদের তো প্রথমে মদত দিয়েছিল আমেরিকানরা আর পরে আইএসআই। সাধারন আফগানরা তো ওদের ভয় পায়। তাহলে আবার মাটি কামড়ে পড়ে থাকার যুদ্ধ কি করে হয়?
আফগানিস্তান যদি কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে না চায় (এক্ষেত্রে চীন), তাহলে ব্যবসা করতে সমস্যা আছে বলে মনে হয় না।
অ্যামেরিকা বা সোভিয়েত দেশ যুদ্ধে জিততে পারে নি সেটা যেমন সত্য, তেমনি একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে এই যুদ্ধ (তালিবানের মতন শয়তান হয় না মেনে নিয়েও) ছিল মাটি কামড়ে পড়ে থাকার যুদ্ধ। অনেকটা ভিয়েতনামের যুদ্ধের মতো।
শুনতে কার কেমন লাগবে জানি না। কিন্তু ঘটনাটা সেরকমই।
তাহলে চায়না এদের পয়সা দিয়েছে?
কিন্তু আম্রিকা তো কবে যেন তালিবানের সঙ্গে হেঁ হেঁ করে কিসব চুক্তি ফুক্তি করল না ?
ওয়াখান করিডোর ঠিকমত বানিজ্য সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে চীন ও আফগানিস্তানের উইন উইন সিচুয়েশন।
ভুললে চলবে না যে চীন সারা দুনিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করে কিন্তু তার জলসীমা তেমন বেশি নয় বা সমুদ্রবন্দর শুধুই পূর্বে। পশ্চিমে অনেক ঘুরে যেতে হয়। আফগানিস্তানের সড়ক ব্যবহার করে কোনভাবে ইরান বা পাকিস্তানের পোর্ট ব্যবহার করতে পারবে চীন। ফলে তার ট্রান্সপোর্টেশনের খরচ কমবে প্রচুর, এবং জলপথে ব্যবসা করলে সময়ও বাঁচে।
তালিবানদের মুখপাত্র সুহেল শাহিন বলছেন -
Taliban spokesman Suhail Shaheen said in an interview that “China is a friendly country and we welcome it for reconstruction and developing Afghanistan…if [the Chinese] have investments, of course we will ensure their safety.”
এবং, চায়নার উঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের ওপর চাইনিজ গভর্নমেন্টের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে সুহেল বলছেন - এসব চায়নার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গালাতেতালিবান আগ্রহী নয় -
Moreover, on the sensitive issue of whether the Taliban might support alleged Uyghur militants against China in neighboring Xinjiang, Shaheen noted, “We care about the oppression of Muslims, be it in Palestine, in Myanmar, or in China, and we care about the oppression of non-Muslims anywhere in the world. But what we are not going to do is interfere in China's internal affairs.”
তাজিকিস্তান বর্ডারের কাছে আফগানিস্তানেৰ একটা জায়গা -
চাইনিজ মিডিয়ায় লিখছে,
China could participate in post-war reconstruction in Afghanistan: experts
...
pushing forward projects under the China-proposed Belt and Road Initiative (BRI) when safety and stability are restored in the war-torn country.
...
https://www.globaltimes.cn/page/202108/1231544.shtml
খেয়াল রাখতে হবে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ৬ টা দেশের বর্ডার আছে --
ইরান
পাকিস্তান
চায়না
উজবেকিস্তান
তুর্কমেনিস্তান
তাজিকিস্তান