আপনারা দুর্যোগপূর্ণ উত্তাপের কথা ভুলে যাবেননা। উত্তাপকে আনন্দবাজার রোমান্সের ফর্মুলায় ফেলে দিলেও সেটা যে আসলেই একটা আবহাওয়া জনিত দুর্যোগ সেটা এই লেখক আমাদের মনে করালেন।
জানবেন হার্ড ওয়ার্কের সাথে হার্ভার্ড পারে না।
মনে হচ্ছে দ ঠিক কথা বলেছেন। হতে পারে এই ব্যাপারটা। কিছুদিন আগে সেই প্রিয়াঙ্কা সরকার কে নিয়ে আলতু ফালতু কিসব লেখা হল কোন ব্লগে, তারপর দেখা গেল সেটা এ আই লিখেছে।
কোনদিন দেখা যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব টুইট গুলোও এ আই এর করা ! আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল।
কেকে-র কথাটা আমিও ভাবছিলাম, কিভাবে তারা 'পরিশ্রম করে' সফলতা অর্জন করল :-)
ভাগ্যবশতঃ সাফল্য পেল লিখলে ঠিক হত
বনসাই কি গাছের পক্ষে কষ্টকর, যন্ত্রণাদায়ক - কেউ জানে?
শুধু কি অন্তর্নিহিত মাধুর্য্য? শুধু কি কোয়ান্টাম? এই গল্পের যে অতি গভীর ফিলোসফি তা দেখবেন না?
"হার্ড ওয়ার্ক হলো প্রথম পদক্ষেপ যেকোন সমস্যার সমাধান করা এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করার জন্য।"
সে আপনি যেভাবেই হার্ড ওয়ার্ক করুন না কেন। অঙ্ক পরীক্ষায় পাশ করা মানসে যদি আপনি রাত জেগে পশ্চিমবঙ্গে ধান-পাটের ফলন পড়েন তাহলেও চলবে। ভেবে দেখুন, চড়ুই দুটি যদি নদীকে জলমুক্ত করার জন্য পরিশ্রম না করতো তাহলে কি আর বাতাস উল্টোদিকে বইতো?
বিশ্বজের আম বিষয়ক লেখা থেকে একটুখানি-
"
আমের প্রতি ভালোবাসার সাথে , রাজকীয় পৃষঠপোষকতা উদ্যান এবং আমের গাছের গ্রাফটিংয়ের দিকে প্রসারিত হয়েছিল বিখ্যাত আমের জাত তোতাপুরীর মতো জনপ্রিয় স্থানীয় জাত গুলি সহ বিভিন্ন আমের জাতগুলো গ্রাফটিং করা হয়েছে, যা পর্সিয়া ও অন্যান্য রাজ্যে রপ্তানি করা প্রথম আমের জাত । পর্তুগিজরা প্রথম ইউরোপীয় ছিল যারা আমের গ্রাফ্টিং কৌশল ব্যবহার করেছিল। এর ফলে কিছু অন্যান্য জাতের আমের প্রজাতি তৈরি হয়েছিল যা দের নাম পর্তুগিজদের নামে অনুসারে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটি হলো খ্যাতিমান আলফানসো আমের। এটি পর্তুগিজ জেনেরাল ও সামরিক দক্ষ আলফান্সো দে আলবর্কয়ারকের নামে।
আজ আম বিশ্বজুড়ে চাষ করা হয়এবং এটি ভারতীয় গ্রীষ্মের দুর্যোগপূর্ণ উত্তাপে অনেক ক্লান্ত প্রাণকে উপকার দেয়। আমের সমৃদ্ধ স্বাদ পছন্দ করেনা এমন ব্যক্তি সন্ধান পাওয়া শক্ত। কবি ও লিখেছেন সম্রাটরা এর লোভ করেছে এবং প্রায়শই বলা হয় যে , একজন অল্প বয়স্ক লোকও যখন এটি খায় তখন তাকে রাজার মত মনে হয়।
এটি কেবলমাত্র উপযুক্ত যে আমাদের ভারতীয়দের আমের সাথে গভীর সংযোগ থাকা উচিত… সর্বাপুরি এটি আমাদেরই।
"
---কিন্তু তোতাপুরী??? তোতাপুরী তো সন্ন্যাসী জানতাম। কেজানে হয়তো তাঁর নামে আমও আছে।
মানে বিশ্বজ নামে এখন লিখছেন এক এআই, পরে বটজ নামে লিখবেন আরেক এআই। বটজা ও হতে পারেন। :-)
বটজ । :-)
বট বলতে মনে হল, এনাদের বয়স ৩১ বছর। এককালে আমার আর ভাইয়ের বনসাই বানাবার দুর্বুদ্ধি হয়েছিল।
আরে এতক্ষণে দেখলাম লেখকের নাম বিশ্বজ!!!! ঃ-)
বায়ু ঠান্ডা বাতাসে পরিপূর্ণ, অন্তরীক্ষ নীল আকাশে পরিপূর্ণ, জল ঈষদুষ্ণ জলে পরিপূর্ণ, বাগান সবুজ বাগানে পরিপূর্ণ, ইঁট লাল ইঁটে পরিপূর্ণ, বালি সাদা বালিতে পরিপূর্ণ।
--আরে এসব তো ইয়ে মানে ইয়ে রীতিমতন কোয়ান্টাম ---- ঃ-)
আমার মনে হয় ওই বিশ্ব হইতে জাত আসলে আরেক পিস বট যে গুগলের ট্র্যানশ্লেটার দিয়ে সাহিত্য রচনা করছে। এটা একটা AI প্রোজেক্ট। বট সাহিত্যিক বানানো যায় কিনা সেই টেস্টিং চলছে।
এরকম সব বাক্য আমাদের প্রকৃতি বিজ্ঞানের বইতে লেখা থাকত। অথচ তখন গুগল ট্রান্সলেট ছিলোনা।
&/ নিক দেখতে দেখতে হঠাৎ খেয়াল হলো এটা তো বিখ্যাত ইমেজিং টেকনোলজি বানায় যারা সেই ব্র্যান্ড অ্যান্ডর । :)
শুধু বাক্য গঠনেই নয়, গল্পটির অন্তর্নিহিত মাধুর্য্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। তারে আমি পারি নি এড়াতে। অহো! হুতোর ছবির পরে আর কোথায় পাব এমন ব্যঞ্জনা? নদী কি শুধুই নদী? চড়ুই কি শুধুই চড়ুই? ডিমের ভিতর যে এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে তাকে লেখক রক্ষা করেছেন কঠোর পরিশ্রমে। যে সব মূঢ়, ম্লান মূক মুখে বসে থাকে তাদের উনি প্রেরণা জুগিয়েছেন।
"বায়ু ঠান্ডা বাতাসে পরিপূর্ণ ছিলো"টাই বেস্ট। কী সুন্দরই না বাক্যগঠন!
সেটাই তো কথা।
পছন্দের মানুষ মুসলমান হতে পারে, নিজ জাতের / কাস্টেরও হতে পারে, অন্য দেশের হতে পারে
আইডিয়ালি, মানুষ তো নিজের পছন্দের কোন মানুষ -কে বিয়ে করবে। সেই পছন্দের মানুষ কোন জাত, কাস্ট বা দেশের হবে তা তো আগে থেকে জানা সম্ভব নয়
আমার অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলের এক বন্ধুনি সেই ক্লাস সিক্সে কি সেভেনে থাকতেই বলেছিল সে নিজের জাতের ও কাস্টের বাইরে বিয়ে করবে। বিশেষ পছন্দের পাত্ররা ছিলেন শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান বা ব্রিটিশ। কিন্তু একটা কথা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিল যে সে কদাপি মুসলমানকে বিয়ে করবে না।
পরবর্তীকালে সে বাঙালি পাত্রকেই বিয়ে করে, কাস্টের বাইরে। সে নিজে ব্রাহ্মণ, পাত্রটি কায়স্থ। সেই নিয়ে তুমুল কান্ড। বাবা কন্যাকে ত্যাজ্যা করলেন, বিয়েতে এলেন না। ও নিজেও বাড়ি গিয়ে স্বামীসহ বাবাকে পেন্নাম করতে পারল না, বিয়ে যেখানে হল সেই ভাড়াবাড়ি থেকেই কন্যাবিদায়। বহুকাল ঝামেলা চলার পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ভালো হল। ওর বাবা মেনে নিলেন। মেয়েকে দেখতে এলেন। ও ফের ওদের নিজের বাড়িতে প্রবেশাধিকারও পেল।
এইতেই এই। ও যদি সত্যিই খুবই সাংঘাতিক বিয়ে করত, তাহলে কী হত?
তীরন্দাজিতে পদক আসতেও পারে
আশা নিয়ে ঘর করি ..
ফেমেল চড়ুই !
এইটার কথা বলা হচ্ছে
শিরোনামটি এমন একটি গল্পো যা অনুপ্রেরণামূলক এবং হার না মানার গল্পো: দুটি চড়ুই পাখির আত্মরক্ষার লড়াই।
গল্পটি হলো:
কোনো এক সময়ে এক মেল এবং ফেমেল চড়ুই পাখি তাদের সুন্দর একটি বাসা নিয়ে খুব আনন্দে জীবন অতিবাহিত করছিল। বাসাটি ছিলো একটি নদীর ধারে একটি গাছের উপর নির্মাণ করা। তাদের সেই বাসাটি নির্মিত হয়েছিল নুড়ি, ঘাস এবং পাতা দিয়ে।
তাদের বাসার পাশের দৃশ্য যেনো প্রকৃতির একটা সুন্দর উপহার ছিলো। দৃশ্যের মধ্যে ছিলো বড় পর্বত , উচু গাছপালা , বিশুদ্ধ বায়ু , একটি নদী এবং শান্ত পরিবেশ।
আকাশে মেঘগুলি সুন্দর ভাবে ভেসে বেড়াত আর বায়ু ঠান্ডা বাতাসে পরিপূর্ণ ছিল। এমন একটি সুন্দর দিনে ফিমেল চড়ুই পাখিটি বাসার মধ্যে ডিম দিল। সেই দিনগুলি কে দুই চড়ুই খুব যত্ন সহকারে দেখা শুনা করত।
প্রকৃতির সব উপহার প্রাপ্ত দুই চড়ুই এর পরিবার খুব খুশিতে দিন বাহিত করে।
তাদের জন্য এবং ডিমের রক্ষার জন্য তাদের বাসাটি এক নিরাপদ স্থানে নির্মিত । চড়ুই পাখি দুটির খুব আনন্দে দিন কাটছিল। এক খারাপ সময় এসে তাদের সেই সুখী জিবন বিপন্ন করে তুলে ছিল। প্রবল বায়ু প্রবাহ তাদের ডিমগুলোকে বাসা থেকে নদীতে বাহিত করল। চড়ুই গুলি হতাশ এবং অসহায় হয়ে পড়লো। ডিম দুটি জলের তলে ডুবে গেলো এবং সেই নদীর জলের ধরে সেই ডিম ঘোরপাক খাচ্ছিল। দুই চড়ুই তাদের ডিমগুলোকে দেখতে পাচ্ছিল না।
তারা চিৎকার করল এবং সাহায্যের জন্য হাক দিল কিন্তু কেউই সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
চড়ুই দুটি জানত যে হার্ড ওয়ার্ক হলো প্রথম পদক্ষেপ যেকোন সমস্যার সমাধান করা এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করার জন্য।
কিছুক্ষণ পর বাতাস বইতে বন্ধ করল। যতক্ষণ ডিমগুলো নদীর জলে ঘোরপাক খাচ্ছিল চড়ুই পাখি দুটি সেগুলি দেখতে পাচ্ছিল না। তারা একটি পরিকল্পনা মাথায় আনলো । শিশুসুলভ চড়ুই দুটি ভাবলো যে তারা নদীর জলকে বের করে সমস্ত নদীকে খালি করবে।
তারা ভাবতে যে নদী সম্পূর্ণভাবে শুকলে ডিম কে খুঁজে বের করতে সাফল্য হত।
অবুঝ পাখি এই বিষয়ে সর্তক ছিল না যে তারা এটা করতে পারবে না । দুই চড়ুই কঠোর পরিশ্রম করতে লাগলো । তারা নদী থেকে জলকে ঠোঁট দিয়ে নদীর ধারেই ফেলতে লাগল।
এইভাবে কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর তারা তাদের ডিমের হদিশ পেলো না । এমনকি নদীর জল শুকালো না । এতে তারা দুঃখ পেলো।
কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাস অটল ছিল। তারা ডিমকে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রবল প্রচেষ্টা চালিয়ে গেল এবং বিশ্বাসের সঙ্গে পরিশ্রম করে ডিমকে রক্ষার জন্য।
চড়ুই দুটি কিছুতেই পেরে উঠতে পারছিলো না নদীকে জলমুক্ত করতে। তবু তারা পরিশ্রম করা ছাড়ল না যতক্ষণ তাদের ডিম সুরক্ষিত হয়। যাইহোক তাদের পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস বিফলে যায়নি।
আবার বাতাস বইতে শুরু করলো। প্রবল বায়ু প্রবাহে নদীর জল দ্রুত বেগে বাহিত হচ্ছিল।
পাখিগুলোর ডিম নদীর ধারে ঘুরতে ঘুরতে নদীর উপরে ভেসে উঠল এবং জলের সাথে ঘোরপাক খাচ্ছিল।
চড়ুই দুটি তাদের ডিমগুলোকে দেখতে পেল, যেগুলি জলের উপর ভাসছিল । তারা তৎক্ষণাৎ সেই নদীর জলের দিকে ধাবিত হয়েছিল।
তারা দুজনেই একটি করে ডিম তুলে নিয়ে খুশিতে বাসার দিকে ফিরতে লাগলো।
বাসায় ফিরে ডিমগুলোকে রাখলো। তখন বাতাস বইতে বন্ধ করেছিল। পরিশেষে চড়ুই পাখি দুটির আত্মরক্ষার লড়াই তাদের ডিমগুলোকে রক্ষা করেছিল এবং পরিশ্রম দ্বারা নিজেদের সফলতা অর্জন করেছিল।
বাসায় খুশিতে দিন কাটছিল তাদের । তারা কখনোই এটা ভাবতে পারেনি কিভাবে তারা এই সাফল্য অর্জন করলো। আসলে এটা ছিল তাদের ভাবনার বাইরে । তারা কঠোর পরিশ্রম করেছিল বলে সাফল্য নিজে এসে ধরা দিয়েছিল।
চৌদ্দ দিন পর তাদের বাসায় ডিমগুলো ফুটে দুটো ফুটফুটে চড়ুই ছানা বেরিয়ে এলো।
এরপর দুই চড়ুই এবং তাদের সন্তান সুখে দিন যাপন করত লাগলো। বিশ্বাস এর সাথে লড়াই করে শেষপর্যন্ত সাফল্য পেল।
বাসায় ফিরে ডিমগুলোকে রাখলো। তখন বাতাস বইতে বন্ধ করেছিল। পরিশেষে চড়ুই পাখি দুটির আত্মরক্ষার লড়াই তাদের ডিমগুলোকে রক্ষা করেছিল এবং পরিশ্রম দ্বারা নিজেদের সফলতা অর্জন করেছিল।
আমার বিভিন্ন সময়ের রুমমেটরা (সকলেই পুরুষ) জানিয়েছিল যে তাদের বাড়ি থেকে মুসলমান বিয়ে করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রাখা হয়েছে, বিশেষ করে এদেশে আসার আগে। অন্য কোনরকম আপত্তির কথা শুনিনি, তবে সেসব এটাই সুদূর পরাহত যে ভেবে উঠতেই পারেনি এরকম ও হতে পারে । তারা আবার অবাক হয়েছে আমার বাড়ির থেকে এরকম কোন চেতাবনি দেওয়া নেই জেনে, কেউ কেউ বিশ্বাস করেনি। পরিসংখ্যান খুবই একপেশে, কিন্তু এর কারণ এটাও হতে পারে, যে সিঞ্চিত কুলপ্রদীপগণ খুবই অখাদ্য। ছাত্রজীবনে যাদের দেখেছি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিনিট দশেকের মধ্যে ঘুম পেয়ে যেত আলাপ হলে। কি বোরিং কি বোরিং!
ওটা ফেমেল চড়ুই। ঃ)
যদুবাবু বা দমুদির উদাহরণ চলবে না, মহান ভারতীয় শিক্ষায় শিক্ষিত - মানে অন্ততঃ টিন এজ পর্যন্ত জাহ্নবী যমুনার বিগলিত করুণায় সিঞ্চিত হয়েছেন এমন কুলপ্রদীপের কথা হচ্ছে।
কৌশিকবাবু, দমুদি বলেই দিয়েছেন। ইংরেজিটাও গুগুলের করা, ফরাসীটা তো বটেই।
সেকেন পার্ট
কিন্তু আদি বাসিন্দারা পরবর্তীকালে, দেশের নাম চেঞ্জ করে নি তো!আদতে দেশের ( দেশ দুটির নাইজেরিয়া ও নাইজার) নামকরণ হয়েছে,নাইজার নদীর অববাহিকার অবস্থান অনুযায়ী। Ger en ger হলো নদী নামের উৎস ।
Unknown (possibly from Berber for River Gher or local Tuareg word n-igereouen meaning "big rivers"