@ঃ-D, আছে। মনে হয় প্রথম দিকের রচনা। উদ্ধৃতি পড়েছিলাম, মনে নেই। তাতে একটা লাইন ছিলো , মেয়েরা যতই পিয়ানো বাজাক , বিটোফেন হতে পারবে না। অনেকটা কমলাকান্তের "মেয়েদের বুদ্ধি আধখানা নারিকেল" এর স্পিরিটের কাছাকাছি যায়।
রোবিন্দোনাথের মিসোজিনির দুই চারটে উদাহরণ পাওয়া যাবে নিকি?
রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দ শক্তি সুনীল বিনয়ের মত মিসোজিনিস্টদের সিংহাসনে বসালে চন্দ্রবিন্দু তো বাচ্চা। এদেশে সভ্যতা সবে আসছে। আগে তো সিনেমায় সিগারেট খেয়ে হিরোগিরি করত, এখন তাও ওয়ার্নিং দেয়।
ফোবিয়া খুব জেনুইন জিনিষ, যার থাকে সেই বোঝে! অন্যের ফোবিয়া নিয়ে হাসাহাসি করাটা খুব চালু ব্যাপার দেখেছি। অন্য কাউকে দুর্বল দেখাতে পারলে, বোকা, হাসির খোরাক এইসব হিসেবে দেখাতে পারলে নিজের মধ্যে একটা পাওয়ারের ইলিউশন হয় হয়তো। যেসব ভয়্গুলো তারা নিজেরা ফেস করতেও প্রচণ্ড ভয় পায়, সেগুলো ঢাকা পড়ে গেছে এমনি একটা ফিলিং হয়। মানুষ তো দেখি সারাক্ষণই নিজেকে পাওয়ারফুল প্রমাণ করার জন্য লড়ে চলেছে। কোনো না কোনো ভাবে। অন্যের কাছে, নিজের কাছে। নানান লেয়ারে।
https://www.fearof.net/fear-of-cockroaches-phobia-katsaridaphobia/
এটা নিয়ে রসিকতার কী আছে?
@Abhyu ১৭: ৫১
"সুন্দরী(শ্রীদেবী), ডেয়ার ডেভিল( ফুলন দেবী) কিন্তু আরশোলাকে ভয় পায়"---এমন মেয়ে কি বাস্তবে একজিস্ট করে না?: -)
চন্দ্রবিন্দুর পুরো discography আর ওদের পরিচিত মুখগুলোর লেখালেখি, সিনেমা, কার্টুন এবং মিডিয়া appearance বিশ্লেষন করলে মিসোজিনিস্ট মনে হয়? আমার তো বেশ প্রগতিশীল, লিবারাল মানসিকতার মনে হয়েছে...
হ্যাঁ, সুইটহার্ট নচিকেতা বেমালুম স্টেজে গাইতো, লোকজন নচিকেতার গান বলেই জানতো।
২০ বছর কেন হবে? তার বহু আগে ওদের কলেজে পড়ার সময়ে কলেজ ফেস্ট এ গাওয়া হত এই গান, সুইটহার্ট। (সম্ভবত কলেজের কোনো কম্পিটিশনে বানানো হয়েছিল এটা। ক্যালিডোনিয়া নামক ক্যাম্পাসব্যাপী প্রতিযোগিতা হত স্কটিশে। তাতেই, যদ্দুর মনে পড়ে গান গাওয়ার কোনো কম্পিটিশনে যেখানে সবাই হয় রবীদ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি বা স্বর্ণযুগের আধুনিক গান করত, সেখানে এটা নিজেরা বানিয়ে গেয়ে বিশাল হিট হয়।) স্কটিশের ক্যাম্পাসে এটা তারপরে দীর্ঘসময়ব্যাপী জনপ্রিয় গান। তার বেশ কিছু পরে নচিকেতা নিজের স্টেজ প্রোগ্রাম-এ এটা গাইতে শুরু করলে বাধ্য হয়ে ক্যাসেটবন্দী করে ফেলতে হয় স্বত্ত্ব রক্ষা করতে।
এখন সেটা নিয়ে কাটাছেঁড়া হতেই পারে, সে তো ভানুসিংহের পদাবলী নিয়েও কত আলোচনাই হয়।
কচি ছেলেদের চোখ হলো টেরা . . .
হ্যাঁ এই স্বাধীনচেতা সাহসী মনোভঙ্গিকে বোঝানো হয়েছে যেখানে সেখানেই আছে
সাজেগোজে শ্রীদেবী, চলনে সব ফুলন দেবী আর আরশোলাটা দেখলে পরে ফ্ল্যাট -
যত্তসব!
@lcm ১১: ৪৪
আজকালকার মেয়েগুলো সব স্মার্ট
তারা পরে তলা কাটা মিনি স্কার্ট...
এখানে স্মার্ট বলতে স্বাধীনচেতা সাহসী মনোভঙ্গিকে বোঝানো হয়েছে যেটা "মেয়েগুলো"র পোষাকে প্রতিফলিত হচ্ছে আর এটা কুড়ি বছর আগে প্রকাশিত একটা গান যা সেই সময়ের বিশ্বায়ন পরবর্তী জাঁক জমকের মাঝে মিসফিট একজন সাধারণ, প্রেমিকা জোটাতে না পারা নিস্ফল হতাশ যুবকের অবজার্ভেশন নিয়ে লেখা যাকে এই ২০২১ এর বাস্তবতা দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে।
কচি ছেলেদের চোখ হল ট্যারা
বান্ধবীদের ড্রেস দেখে
সেই ফ্রাস্টেশনে বাথরুমের দেয়ালে
হিজিবিজি আঁকে আর লেখে..
এখানে কচি ছেলে =হেট্রোসেক্সুয়াল কিশোর; তারা বান্ধবীদের ড্রেস দেখে ড্রেসের আড়ালের ঐশ্বর্য্য আন্দাজ করে তা নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করে এটা তো বায়োলজিকাল ফ্যাক্ট... সেখান থেকে বাথরুমের দেয়ালে "অশ্লীল" গ্রাফিত্তি সৃষ্টি হয় এ তো আমরা সবাই জানি...
নিগ্রো শব্দ জীবনানন্দ তার কবিতায় ব্যবহার করেছেন তখন অবশ্য woke কালচার ক্যানসেল কালচার ছিল না
আচ্ছা গুরুর ইবুক গুলো কোন সফটওয়্যার দিয়ে তৈরী করা হয় একটু বলতে পারবেন ? বা সহজে ই বুক তৈরির ভালো সফ্টওয়ার কি আছে ?
মোবা এটিকের শুরুর দিকে খুচরো ঝামেলা একদম হয়নি তা নয়, তবে ঐ মার্জটা ভেবে চিন্তে প্ল্যান করে করেছে বলে অতটা প্রভাব পড়েনি। ইস্সবেঙ্গালের কর্তাগুলো না পেরেছে ঠিকঠাক স্পন্সর যোগাড় করতে না পেরেছে ঠিকঠাক চুক্তি করতে। তবে ঐ বাঙ্গুর এখন হাত গুটিয়ে নেবার ধান্দা করছে তাও হতে পারে নাহলে আলোচনা করে না মেটাতে পআরার মত জটিল কেস নয়
সেভাবে দেখলে তো প্লেয়ারদেরও সমস্যা নেই অন্য দলে খেলবে।
আসল সমস্যা সমর্থকদেরই। সেটা না বোঝার কারণটা বোঝা গেল না। তবে ঐ রমিতবাবু যেমন বলেছেন সেরকমই, শুধু তার সাথে নিজেকে বাত্সেলোনার বাসিন্দা ধরে নিতে হবে
এই ঝামটা মোবা-র হয় নি কারণ ওরা এটিকের সাথে টাই আপ করেছে যাদের আগে থেকেই একটা প্রফেশনাল উপস্থিতি ছেলো ।
মোবা-র সাথে এটিকের মার্জটাও খুব স্মুথ হয়েছে।
হ্যাঁ
জঘন্য লিরিকস তো!
শুধু তাই নয়, চন্দ্রবিন্দুর লিরিক্সে মিসোজিনিক এলিমেন্ট তো অবশ্যই আছে -
...আজকালকার মেয়েগুলো সব স্মার্ট
তারা পরে তলা কাটা মিনি স্কার্ট...
বা,
...কচি ছেলেদের চোখ হল ট্যারা
বান্ধবীদের ড্রেস দেখে
সেই ফ্রাস্টেশনে বাথরুমের দেয়ালে
হিজিবিজি আঁকে আর লেখে...
---
(মেয়েদের স্মার্টনেস এবং ছেলেদের ফ্রাস্ট্রেশন - দুইয়ের পিছনে রয়েছে মেয়েদের পোষাক)
----
আর ঐ লাইন তো -
... দাদা নড়েন চড়েন যাবেন ফরেন শীঘ্র
প্রেমে পড়বেন শ্বেত ললনার বিয়ে করবেন নিগ্রো...
আর সেদিন দ লিখেছিল, কিশোরসাহিত্যে মেয়েদের ভুমিকা নিয়ে - এক্দম ঠিক কথাই লিখেছিল।
তবে এগুলো সিস্টেমের মধ্যে এক্দম গভীরভাবে জড়িয়ে আছে, যাকে বলে সিস্টেমিক।
ধরুন আপনি বার্সেলোনা র সমর্থক। এবার বার্সার এমন ল্যাজে গোবরে অবস্থা হলো টিম নামানই দায়। মেসি গ্রীসমান, মেমফিস সবাইকে বেচে দিতে হলো। নতুন প্লেয়ার কিনতেও পারলো না। স্টেডিয়াম বেচে দেওয়ার মতো অবস্থা দেনার দায়ে। তা হলে সমর্থক হিসেবে কি খারাপ লাগবে না, হতাশ হয়ে পড়বেন না ? নাকি তখন বলবেন রিয়েল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখের খেলা দেখো। খেলা তো হচ্ছে।
প্লেয়ারদের সমস্যা বুঝলুম। পয়সা পাবে না খেলা না হলে। কিন্তু সমর্থকদের কী সমস্যা? খেলা হলে দেখবে না হলে দেখবেনা। ইউরোপ লাতিন আমেরিকা ইত্যাদিদের খেলা দেখবে। সেটা তো ঠিক সমস্যা নয়। তাইলে "সমর্থকদের সমস্যা" অনুপ্রাসের দ্বারা কবি কী বুঝাইলেন?
চন্দ্রবিন্দুর শুরুর দিকের গানে বেশ ভয়াবহ ইনকারেক্ট কথাবার্তা আছে।
তবে এমনকি ২০০৪/৫ এ ও আমি দেখেছি নিগ্রো শব্দটি নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা লোকে জানে না। কিন্তু চন্দ্রবিন্দুর লোকেদের কাছে ওটা অপ্রত্যাশিত, সবই খুব পড়াশুনো করা বাকি বিশ্বের সঙ্গে কানেক্টেড লোকজন।
এই প্রশ্নটা কেউ করলে সত্যি জানা যেত।
ওহো বাঙ্গুর বাবু হলেন শ্রী সিমেন্টের মালিক
ইসবেঙ্গালের সমস্যা হল শ্রী সিমেন্টের সাথে চুক্তি।
গত আইএসেলের আগে তাড়াহুড়ো করে একটি চুক্তি হয় যার ভিত্তিতে লিগে জায়গা হয় (যা খেলেছে তাতে জায়গা না পেলেও চলত)। এবার সেই চুক্তির ভিত্তিতে শ্রী সিমেন্ট চাইছে পাকা দীর্ঘকালীন চুক্তি। সেই চুক্তির কিছু ক্লজ বর্তমান ক্লাব কর্তাদের পছন্দ নয়। ফলে ওনারা চাইছেন আলোচনা। এদিকে বাঙ্গুর বাবু বলেছেন আগে সই পরে আলোচনা। এই নিয়ে ক্যাচাল।
আমার মতঃ কর্তাগুলো অতি বদ, নিজেদের জায়্গা রাখতে বদামো করছে। তবে কিছু কিছু পয়েন্টের সারবত্তা আছে। যেমন ক্লাব টেন্টের অধিকার। ওদিকে বাঙ্গুর বাবু হয় পয়্সা গোটাতে চাইছেন নয়তো সত্যি পুরোনো চুক্তিতে এমন কিছু র্যাটিফিকেশন আছে যেটা ওনার ফরে যায়। মাঝের থেকে চাপ হয়ে গেছে প্লেয়ার আর সমর্থকদের।
আচ্ছা চন্দ্রবিন্দুর তব মুকুট পড়িল পদতলে গানটায় 'নিগ্রো' শব্দটা আছে। এটা নিয়ে কেউ কখনো ওদের কিছু জিগ্যেস করেছে বা ওরা কিছু বলেছে এমন কোন নির্দিষ্ট তথ্য কেউ জানেন?
বিঃদ্রঃ - এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজছি। 'আমি মনে করি থাকলে কোন অসুবিধে নেই' মর্মে আধপাতা হ্যাজ নয়।
আইচ্ছা ইস্টবেঙ্গলের ঝামেলাটা কেউ সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন?
শক্তিপদ রাজগুরু এর বহু লেখা সিনেমা হয়েছে । কিন্তু উনার অনেক লেখা ভালো লাগেনা । কিন্তু কিছু সিনেমা তো দারুন ।
দু বছর আগে স্বপন সাহার একটা ছবি দেখেছিলাম । ক্রেডিট টাইটেল e দেখলাম ওটা শক্তিপদ রাজগুরু এর গল্প । সানি লিওনির একটা আইটেম গান ছিল । ওটা আদৌ কি শক্তিপদ রাজগুরু এর গল্প কিনা সন্দেহ আছে ।
অলিম্পিক হকির শিডিউল
https://olympics.com/tokyo-2020/olympic-games/en/results/hockey/olympic-schedule-and-results.htm
অবশ্য এসব সবই ফর্মালিটিও হতে পারে।
হুঁ, ওঁরই ছদ্মনাম। কিন্তু যে সঙ্কলনে সাগিনা মাহাতো গল্পটা পেলাম সেখানে লেখক হিসেবে প্রকৃত নামটাই আছে দেখলাম, গৌরকিশোর ঘোষ। গল্পটার বিষয়বস্তু বেশ জটিল, বিশেষ করে বামপন্থী নেতৃত্বের নানা ভেতরের জটিলতা ও ষড়যন্ত্র ইত্যাদি। মনে হয় সেই কারণেই সিনেমা করার সময় ছদ্মনামে দেখানো হল লেখককে। আর বারে বারে বড় বড় করে ডিসক্লেইমার, সব চরিত্র কাল্পনিক। সব ঘটনা কাল্পনিক। বাস্তব ঘটনা বা চরিত্র ইত্যাদির সঙ্গে মিল দেখা গেলে নিতান্ত কাকতালীয়।--এইরকম মর্মে।
সাগিন মাহাত তপন সিংহের সিনেমা -খুব-ই ভালো লেগেছিলো। রূপদর্শী তো গৌরকিশোর ঘোষেরই ছদ্মনাম - ব্রজদার গুল্প তো রূপদর্শী নামেই লেখা