""অঙ্ক টা প্রাণ পেয়ে " গেছে এই কথা টা লেখার জন্যে মিনিমাম একটা ব্যাপার থাকতে হবে।"
একদম একমত। পটাশগড়ের জঙ্গলে অন্য লেভেলের গল্প হয়েছিল। অনেক পরে যখন ফিলোজফি অফ ম্যাথামেটিক্স নিয়ে পড়েছিলাম, তখন ম্যাথামেটিকাল রিয়েলিজম পড়ে এই গল্পটার কথাই মনে পড়েছিল।
আর অরণ্যদা আর দ দির সাথেও একমত। ছোটবেলায় হাতের কাছে যা পেয়েছি তাই পড়েছি (রেলের টাইমটেবিল আর পাঁজি বাদে :p)
'দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্যামাদাস দে, অরুণ আইন -- সুধীন্দ্রনাথ রাহা -- রেবন্ত গোস্বামী, ময়ূখ চৌধুরী, লীলা মজুমদার, নলিনী দাস, সুখলতা রাও, পূণ্যলতা চক্রবর্তী '
- এদের সাথে মতি নন্দী, শীর্ষেন্দু, সুনীল, শ্যামল, সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদার, সত্যজিত রায় - এদের লেখা পড়লে ক্ষতি কী?
ব্যাপার হল, কী দিয়ে বিচার করব নলিনী দাসের লেখা শীর্ষেন্দুর আজগুবি গল্পের চেয়ে বড় বা ভাল ? ওনার অনেক লেখাই তো এনিড ব্লাইটনের লেখার ছায়ায়, ছোটবেলা থেকে পরিবারের সূত্রে মনে হয় দেশে ও বিদেশে ঘোরাঘুরি ছিল, সেসবও ওনার লেখায় এসেছে। এও তো দেখেছি যে অধুনাকালের এক পাঠক, নলিনী দাসের কোন লেখাই পড়তে পারেনি অথচ শীর্ষেন্দুর বইগুলো পড়ে প্রায় ফর্দাফাই করে ফেলেছে। আর একটা কথাও মনে হয় ভেবে দেখা উচিত যে ১৯৬০ র সালের নিরিখে সন্দেশ পত্রিকা যথেষ্ট এলিটই ছিল মনে হয় এবং শহুরে-মধ্যবিত্তদের জন্যই।
বলার কথা এটাই যে নাম করতে গেলে ঐ কটা নামেই থেমে থাকার মানে হয় না, লেখা দিয়ে বিচার করলে পরের লেখকদের নামও আসা উচিত।
(দেবর্ষী সারগীর লেখাটা পড়া হয়নি, কিন্তু তর্ক অন্য দিকে চলে যাবে বোধ করি।)
হায়ার অরডারের এন্টারটেইনমেন্ট অবশ্যই ডিস্টার্বিং ও বটে। তার জন্যে উত্তরআধুনিক ইত্যাদি অব্ধি বেয়ে আসার দরকার নেই। এলান পো কি এন্টারটেইনিং না? এডোয়ারড গোরের গাশ্লিক্রাম্ব টাইনিজ তো কুচো বাচ্চাদের জন্যেই। বা এইযে লং ওয়াক পেলো সেরা টিনেজ বইএর পুরস্কার। গ্রিম ব্রাদার থেকে শুরু করে অধুনা গেইম্যানের লেখাপত্তর অব্ধি ডিস্টার্বিং এন্টারটেইনমেন্ট এর ই ধারা।
এটা আমাদের দেশ, নব্য এস্পিরান্ট বাপ-মাদের চয়েস যে তাঁরা ঠাকুরমার ঝুলি থেকে পরবর্তী স্টেপ গুলো নেন নি( ওরা যেমন গ্রিম ভাই থেকে এগিয়েচে) , উলুগুলুবুলু "সেফ" লিটারেচারে মুখ গুঁজে দিয়েচেন বাচ্চাদের।
অনেক বড় সাব্জেক্ট। দু কথায় বলতে গেলে বিশ্লেষণের চে অপিনিয়ন ভারী হয়ে পড়ে, তাই চুপ থাকাই বেছে নি.
দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্যামাদাস দে, অরুণ আইন -- সুধীন্দ্রনাথ রাহা -- রেবন্ত গোস্বামী, ময়ূখ চৌধুরী, লীলা মজুমদার, নলিনী দাস, সুখলতা রাও, পূণ্যলতা চক্রবর্তী
এই সিরিজের পাশে আমেলার লেখকদের রাখলেই লেখার ধরণের বিষয়ের, ক্রাইসিসের পার্থক্য চোখে পড়ার কথা। শক্তিশালী কলমের কথা হচ্ছে না, একটা গল্প একটা উপন্যাসকে পাঠউপভোগ্যতায় অনন্য করে তোলার কথা হচ্ছে না, রচনার বিষয়কেন্দ্রীক রাজনীতির কথা হচ্ছে; সাহিত্যিক হিসেবে শক্তিশালী ক্রাফটম্যানশিপের পাশে সমধিক গুরুত্বপূর্ণ হল কী বিষয়ে লিখছি, মানুষের, সমাজের, জীবনের কোন ক্রাইসিসকে লেখার বিষয় করছি - নাকি শুধুই পাঠকের বিনোদনের জন্য লিখছি। একটা প্রতিষ্ঠানের সব লেখাকে বাতিল করে দেওয়ার কথা হচ্ছে না, অনুপাতের কথা হচ্ছে, লেখা প্রকাশের নির্বাচিত বিষয় বাছার কারণের কথা হচ্ছে, একটা পোর্ট্রে করা লাইফস্টাইল, একটা সংকটমুক্ত নিশ্চিন্ত বিনোদনের ফ্লুয়েন্ট সাপ্লাইচেন ম্যানেজমেন্টের কথা হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশ ও জাতিগঠনে মানবিকতা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ প্রজন্ম গঠনের উপযোগী লেখা লিখে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার পাশে বিজ্ঞাপনসর্বস্ব শহুরে আধুনিকতার ভোক্তা হওয়ার উপযোগী মানস গঠনের লক্ষ্যের কথা হচ্ছে।
এ আলোচনার বিপ্রতীপে অপ্রাসঙ্গিক একটা লেখা পড়ুন
আজকের আলোচনার টেক-হোম মেসেজ - ডেঁপোমির কোন বয়েস নেই।
আমরা পাড়ার বন্ধুদের সাথে বই বদলা-বদলি করতাম , বা এমনিও পড়ার জন্য ধার নিতাম। বেশ কয়েক বাড়ি টহল দিয়ে গোটা ৫ -৬ বই হাতে বাড়ি ফিরলাম, এমন প্রায়ই হত
দ্যাখেন, এন্টারটেনমেন্ট মানে রসসৃষ্টি হওয়া। গোলগাল গল্প বা ছকে বাঁধা গল্পের কথা বলতে চাইনি। নাম করতে গেলে বলা যায়, হ্যামলেটের তূল্যমূল্য এন্টারটেনিং লেখা কমই হয়েছে। তো আভা- গার্দীয় লেখালেখিকে আমি রসসৃষ্টি দিয়েই বিচার করি।
এখন আমেলার লেখাকে নিশ্চয় আভাগার্দীয় বলছি না কিন্তু ঐ সত্তর- আশির সময়ে কিছু লেখাকে নিশ্চয় বাংলা শিশু সাহিত্যের শোকেসে রাখার মতো। এবং সেটা হয়েছে সব মিলিয়ে রসসৃষ্টির মধ্যে দিয়েই, সব লেখায় নিশ্চয় নয়, কোনটায় হয়েছে, কোনটায় হয়নি ইত্যাদি।
বোধি দার, কথা তেমন বুঝতে পারলাম না। প্রত্যেকের ছোটবেলা আলাদা রকম হতে পারে তাতে অসুবিধা কোথায়?
যাই হোক কাটাও।
অন্যদিকে সবাই মিলে "রাজনীতি" "বুঝে" গেলে সেটাও সমাজের পক্ষে বিরাট চাপ হয়ে যাবে।:)))
দ, এর ব ই প ড়ার ব্যাপারে এই সর্বভূক ব্যাপার টা আমার মধ্যে বেশ কিছুটা আছে।
*সামনে
কি বলব সেই সময় পঞ্জিকাও দিব্বি পড়তাম আনন্দ করে। কত কি থাকত সেসব কেঁদো কেঁদো পঞ্জিকায়। আমি ব্ল্যাঙ্কি সোসেন আর বোধয় স্বাতীও, সর্বভূক টাইপের। হাতের সা/অনে ছাপা অক্ষর দেখলেই পড়ে ফেলা। সে ঠোঙাই হোক কি চিত্তরঞ্জন মাইতি কি প্রফুল্ল রায় কিম্বা চাণক্য সেন অথবা সর্বাণী মুখুজ্জে।
আমার বয়সের উপযোগী একমাত্র পত্রিকা হল "কিশোর মন"
আরে আমি তো ছোটবেলা থেকে সন্দেশ, শুকতারা, আনন্দমেলা,চাদমামা, কিশোরভারতী প ড়তাম। শুকতারা সন্দেশ নিয়মিত বাড়িতে আসতো। আনন্দমেলা মাঝে মাঝে।
মাঝে প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত "পক্ষিরাজ "
পড়েছি। বা অল্প কিছুদিন "কিশোর মন"
পড়েছি। "খেলার আসর" ও আসতো মাঝে মাঝে। বাবা ব ই প ড়তে খুব ভালবাসেন। আমাকেও উৎসাহিত করতেন নিজেই এই
বয়সের উপযোগী নানান বই কিনে দিতেন। এইভাবেই আগ্রহ টা তৈরী হ য়েছে।
কিন্তু এর মধ্যে এত সব ব্যাপার আছে আমি সত্যি জানতাম না :(((((
একই কথা নীল ঘূর্ণি, দুরন্ত ঈগল, হলুদে সবুজে -ইঃর ক্ষেত্রে, কিশোর ভারতীর বদলে অন্য কোথাও বেরোলেও ভাল লাগত। অল্প বয়সে বিভিন্ন পত্রিকা, বই পড়া - সর্বভুক হওয়াটা খারাপ না
শুধু এইটুকু যে স্ট্রাইকার, স্টপার, কোনি, ভয়ংকর সুন্দর, পটাশগড়ের জঙ্গলে, পাগলা সাহেবের কবর, মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, গুগুনোগুম্বারের দেশে - ইত্যাদি প্রভৃতি আমেলা-র বদলে অন্য কোথাও বেরোলেও পড়তে ভাল লাগত
কোনো ভালো সাহিত্যেরই এন্টারটেইনিং হওয়ার কথা নয়। ডিস্টারবিং হওয়ার কথা। এন্টারটেইনমেন্টটা সাহিত্যের সাথে জুড়ে দেওয়ার দায়িত্ব ব্যবসা কেন্দ্রিক পত্রিকার। বটতলা,পাল্প, সিনেমা-পত্রিকার দেখাদেখি যেভাবে বহুল প্রচারিত হয়ে ওঠার জন্য এন্টারটেইনমেন্টকে সাহিত্যের শর্ত হিসেবে দেখা শুরু হল তার সুচারু শেষ প্রয়োগ শিশুকিশোর সাহিত্যে এই এন্টারটেইনমেন্টের চোরা স্রোত বইয়ে দেওয়া। বড়দের লেখায় যেভাবে এই এন্টারটেইনমেন্টের আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্যে লোকজনকে আদর্শ ও প্রত্যয় নির্ভর লেখা, ক্রাফটভিত্তিক লেখা, ভাষা-বিষয়-প্লট-গোলগল্পের চেনা ছককে আক্রমণ করে লেখা লিখে যেতে বাজারি চাহিদাভিত্তিক লেখার বিপ্রতীপে দাঁড়াতে হয়েছে, লিটল ম্যাগাজিনকে একটা আন্দোলনের ভূমিকা নিতে হয়েছে, ছোটদের লেখায় এই নিশ্চিন্ত ভোগী বিনোদন এর বিপরীতে নন-ডিসটার্বিং নন-এন্টারটেইনিং ভিত-গড়ে-দেওয়ার-মতো-লেখা লিখে যাওয়ার লোক সেভাবে আলাদা হয়ে না থাকলেও অন্তত হাউজনির্ভর হয়ে থাকতে পেরেছিলেন। কিশোর ভারতী, সন্দেশ আর শুকতারা সেভাবে মৌচাক, শিশুসাথী, রংমশাল, রোশনাই এর পরের যুগে লেখার বিষয়ভিত্তিক রাজনীতির লড়াইয়ে এই বিনোদন এর প্রশ্নেই আমেলার থেকে আলাদা হতে থাকে। আর কে না জানে দিনের শেষে বিনোদনই জিতে যায়। সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করে খানেদের সিনেমা। প্যারালাল সিনেমা আর্ট ফিল্ম, আভাগার্দ এসমস্তই মেইনস্ট্রীম থাকে না। কিংবা যথেষ্ট পরিমাণ বিনোদনের মিশেল নিয়ে এদেরকে একসময় অন্যরকম সিনেমা হিসেবেই মেইনস্ট্রীমে এসে মিশতে হয়।
আধুনিকোত্তর সংজ্ঞাক্ষেত্রে যে ধূসর জটিলতা বা জটিল ধূসরতা এন্টারটেইনিং ডিস্টারবেন্স বা ডিসটার্বিং এন্টারটেইনমেন্টকে প্লেয়িং ফিল্ডে এনে দিয়েছে, আজ থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশবছর আগে ততখানি জটিল ধূসর ছিল কি শিশুকিশোর সাহিত্য, যে বুঝেই উঠতে পারা যাচ্ছে না আমেলা কীভাবে একটা কনজিউমার জেনারেশন তৈরি করার এজেন্ডাভিত্তিক বিপণনকৌশলের সাট্ল সাবমিসিভ ইমপ্লিমেন্টেশন করে চলেছিল কয়েক দশক ধরে!
আরেক জন কেউ "পটাশগড়ের জঙ্গলে" লিখে দেখাক। "অঙ্ক টা প্রাণ পেয়ে " গেছে এই কথা টা লেখার জন্যে মিনিমাম একটা ব্যাপার থাকতে হবে।
তবে এখনকার গল্প গুলো নেহাত ই চর্বিতচর্বণ
আরে কাউকে সমালোচনা করতে হলে একটা অল্টার্নেটিভকে দেখাতেই তো হবে। শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ আর তার ইলাস্ট্রেশন, হ্যায় কোই? টিনটিনের গল্পেও অনেক রেসিস্ট কথাবার্তা আছে, সেগুলো ছাপিয়েও ক্যাপ্টেন হ্যাডক আর প্রফেসর ক্যালকুলাসই মনে রয়ে গেছেন। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে আমেলাই যোগাযোগ করে দিয়েছিল। বল্লে হবে?
আমি আর আ মোলো আমেলা কিছু লিখছি না :-)
শীর্ষেন্দুর প্রথমদিকের গপ্পোগুলো ঠিক আজগুবি বলা যায়না, বরং সারিয়াল বলা যেতে পারে। পটাশগড়ের জঙ্গলে বা পাগলা সাহেবের কবরের মতো অসাধারন গল্প বাংলায় কমই পড়েছি।
"অথবা শীর্ষেন্দুর আজগুবি গপ্পো বা ডায়লগ"
একা রামে রক্ষা নেই, শীর্ষেন্দু দোসর। আজ হয়ে গেলো।
আমি ছোটবেলায় আনন্দমেলা আর শুকতারা দুটোই পড়তাম, ভারি ভাল্লাগতো। আর শারদীয়া আনন্দমেলা, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, এগুলোর তো কোন কথাই হবে না, সারা বছর এগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। শারদীয়া সংখ্যা, ফুচকা, আর পুজো প্যান্ডেলে হিন্দি গান - এগুলো ছাড়া পুজো কমপ্লিট হতো না, অনেকটা জেরি ম্যাগুয়ারের মতো। এমনকি এখনও য়ুটুবে কিশোরের ম্যায় হুঁ ডন যখন শুনি তখন আবছা পুজোর দুপুর বা বিকেল বেলার কথা মনে পড়ে। আশি পল্লীর মাঠে বড়ো করে প্যান্ডাল বাঁধতো আর সারাদিন ডন আর ডিস্কো ড্যান্সার চালাতো, দূর থেকে ভেসে আসতো।
"আমি বাবা রাজনীতি বুঝি না আমি রাজনীতিতে আগ্রহী নই" - এটাই তো একটা বড় পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট। এর মধ্যে বক্তব্য হচ্ছে -- পলিটিক্যাল প্রসেসকে বা সিস্টেমকে আমি নিজে বিশেষ প্রভাবিত করতে পারব, এমন ভরসা আমার নেই। বাপ ঠাকুর্দাদের দেখেছি তারা জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে ভোট দিয়ে গেছে, তক্কাতক্কি করেছে, তাদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনতে পারে নি। আমিও ভোটের সময় ভোটটা দিয়ে দেব, কিন্তু তার বেশি কিছু করে আমি কোনো ইম্প্যাক্ট ফেলতে পারব বলে আমার মনে হয় না।
তো, এটার সঙ্গে আনন্দমেলা পড়া, বা, কোপা আমেরিকার প্লেয়ারদের হাতের উল্কি ডিজাইন - এসবের বিশেষ সম্পর্ক নেই।
এটা সারা পৃথিবীতে আছে।
মতি নন্দীর লেখা পড়ে কেন ছোটরা সংবেদনশীল হবে না, অথবা শীর্ষেন্দুর আজগুবি গপ্পো বা ডায়লগ পড়ে কেন লেখায় উইট খুঁজে পাবে না, এই তো এখানেই ভয়ংকর সুন্দরের কথা হচ্ছিল, সে লেখা পড়ে কেন ছোটরা অন্য প্রকৃতির ছবি জানবে না; তো এইসব লেখাগুলো তো আর ফেলনা নয়, ঐ প্রজন্মই নয়, তিরিশ বছর বা তার বেশী সময়ে পার হয়েও কিছু লেখা এখনও টিকে আছে সেও তো দেখেছি।
যেসব বাড়িতে খাওয়া দাওয়া বাড়িভাড়া সঞ্চয়ের পরে কিছু স্পেয়ার পয়সাকড়ি থাকত, একটু গুলুগুলু সাহিত্যে মন থাকত, অর্থাৎ কিনা একটু অ্যাস্পায়ারিং, তারা আমেলা শুকতারা হ্যানত্যান রাখত, আনন্দ সেই স্পেসটাকে ইউজ করেছিল। সেটা করতই, সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বলা যায়। বাম সরকার আসায় এই অ্যাস্পায়ারিং মধ্যবিত্ত ক্লাসটা শাঁসে জলে পুস্টু হয়, সঙ্গে থাকে "গোপাল বড় সুবোধ বালক" সিনড্রোম।
একে গাল দেওয়াই যায়, কিন্তু ওই লাভ বিশেষ নাই, নিজেকে প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভেবে দুচুমুক বেশি খাওয়া ছাড়া।
আমিও এরকমই কিছু একটা ভাবছিলাম। এমনকি আরো কঠিন কিছু, হয়ত বোতিন্দা আর সন্দেশ এন্ট্যাঙ্গলড হয়ে রয়েছে, এরকমও হতে পারে।
ছোটদের লেখাকে মহৎ, উদার, সংবেদনশীল ইত্যাদি হতে হবে, সে সব তো পরে, আগে তো লেখাকে এন্টারটেনিং হতে হবে। ছোটরা ঠিকই বুঝে যায়, কোনটা কীরকম লেখা। তো আমেলা সেটা অনেকটাই করতে পেরেছিল, যে সব লেখককে একসাথে করেছিল, তাদের জন্য এবং তার সাথে ছবি, রং ইত্যাদি। টাকার জোর ছিল বলেই করা গেছিল এইসব। এন্টারটেনমন্টের ধারণা বদলে গেলে আমেলারও প্রয়োজন ফুরোয়।
ব্রতীন তুই সত্যিই আমার ছোটো ভাইয়ের মত, তোর ভালো লাগায় কষ্ট দিতে চাইনা। ক্ষমা করিস ভাই। কিন্তু ...