আমি একটা ছোট্টো ইতিহাস পেলাম একটা সাইটে। আনন্দমেলা বিষয়ে। বেশ চিত্তাকর্ষক। এখানে খানিকটা টুকে দিই?
///////ছোটদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ম্যাগাজিন আনন্দমেলা। শুধু ছোটরাই নয়, সব বয়সিরাই আনন্দমেলা পড়তে ভালবাসেন। বহু বাঙালির সারা জীবনের সঙ্গীও আনন্দমেলা। বিজ্ঞান থেকে খেলাধুলো, গল্প থেকে কমিক্স, অ্যাডভেঞ্চার থেকে অ্যাস্ট্রোনমি শিশুদের মনের সব কৌতূহলই মেটায় আনন্দমেলা।
যদিও এই মাসিক পত্রিকার জন্ম ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে। তবু এর উৎস খুঁজতে হলে যেতে হবে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে। সেখানে ১৯৪০ সাল থেকেই ছোটদের বিভাগটির নাম ‘আনন্দমেলা’। শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে ছোটদের পাতা হিসেবে আলাদা বিভাগ থাকত।
সেই ‘আনন্দমেলা’র জনপ্রিয়তাই ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকা প্রকাশের মূল অনুপ্রেরণা। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিত্ রায় সেই আমলের নামকরা গ্রাফিক ডিজাইনারও ছিলেন। তিনি এই পত্রিকার মাস্টহেডের ডিজাইনটা করেছিলেন।
১৩৪৭/১৯৪০ সালে প্রথম আনন্দমেলার প্রকাশ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আশীর্বাদ কবিতাটি পুনঃপ্রকাশিত হয় পৃথক ভাবে যখন আনন্দমেলা শারদীয় হিসেবে প্রকাশ পায়, অর্থাৎ ১৩৭৮ বঙ্গাব্দ বা ১৯৭১ সালের শারদীয় সংখ্যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সাল থেকে কখনো মাসিক, কখনো পাক্ষিক বা কখনো সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রকাশ হয়ে চলেছে। যদিও ১৯৮৪ মে-জুন মাসে কোনো সংখ্যা প্রকাশ হয়নি।
আনন্দমেলার বিষয়সূচির উপর চোখ বোলালে দেখা যায়, সেখানে উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, কমিক্স, খেলাধুলো, বিজ্ঞান, শব্দসন্ধান, ধাঁধা, ভ্রমণ, কী নেই! এই পত্রিকার জন্য কলম ধরেছেন সত্যজিত্ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের মতো খ্যাতনামা সাহিত্যিকরা। সত্যজিত্ রায়ের কিংবদন্তিসম চরিত্র ‘প্রফেসার শঙ্কু’, প্রেমেন্দ্র মিত্রর ‘ঘনাদা’র মতো চরিত্রদের নিয়ে গল্প, উপন্যাস এই পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরই পাঠক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়াও রয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবু’, সমরেশ বসুর ‘গোগোল’, বিমল করের ‘কিকিরা’, সমরেশ মজুমদারের ‘অর্জুন’, মতি নন্দীর ‘কলাবতী’র মতো চরিত্ররা। আনন্দমেলার জন্য শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন সদাশিবের গল্পগুলো। আর এই পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত ‘রোভার্সের রয়’ কমিক্সটিও রীতিমতো চমকে দিয়েছিল পাঠকদের।
সত্যিকারের আর্কাইভ - এসবের জন্য ওমনাথ কে দরকার
বোঝো! লিস্ট আমি বানাইনি - ওসবে অনেক ঝামেলা, অনেক পরিশ্রমের কাজ। আমি লিস্ট পেয়েছি। ওটি "আমার লিস্ট" নয়, ভুল বলেছি, ওটা কোথাও থেকে ঝেঁপে দেওয়া লিস্ট - খুব সম্ভবত অবসর-ডট-নেট বা এরকম কোনো সাইট থেকে।
কী কান্ড!!!! কত্ত লিস্ট আসছে। একেবারে মর্জিনা কেস। "রে রে রে রে চল্লিশ চোর! কোনটা আলিবাবার বাড়ি এইবার খুঁজে বার কর"। ঃ-)
আহ। কম্বোডিম্ব চাকারুকা কাহিনী ---আহা এটা যদি পেতাম! ঃ-)
রুচিরাদি ওয়াজ অ্যাবসলিউটটি (নট কিছুটা) কারেক্ট।
উফ - এই জন্যে ল্যাদোশদার লিস্টি সিংহকে ভিতর থেকে খবরাখবর দেওয়া উচিত। নিজে করতে গেলে ভুল তো হবেই। এই দ্যাখেন https://drive.google.com/file/d/0BwV3vyoRTYgZaGVfUzVmNWwwZHc/view?resourcekey=0-uUo5W44M_t9OjRR4RWWUFg
১৯৭১ এ আনন্দমেলার প্রথম পুজো সংখ্যায় বেরিয়েছিল ভয়ংকর সুন্দর।
হ্যাঁ, ঠিক। ওটিই প্রথম কাকাবাবু।
কিন্তু পড়ি নি আগে। কিশোর সাহিত্য আমায় কোনওদিনও টানে নি।
সম্বিৎ,
হা হা - খুব সাংঘাতিক বিভ্রান্তিকর কিছু নয় - ঐ কয়েক বছর এদিক ওদিক - মহাকালের হিসেবে নাথিং :-)
ন্যাড়াদা,
আমি নাট্যরূপ দিয়েছি ঠিকই, তবে লেখকের ইন্ট্রো এবং অভিনেতার তালিকা ইত্যাদি আমার লেখা নয়। এমনকি কোথায় কোন মিউজিক হবে সেটাও স্ক্রিপ্টে ছিল। বেসিকালি আমি সবুজ দ্বীপের রাজাও দেখিনি। সন্তু কাকাবাবু সিরিজের একটি গল্পও পড়িনি। এই নাট্যরূপ দিতে গিয়ে প্রথম পড়লাম।
আমার কাছে ১৯৭৯ এর আনন্দমেলা শারদ সংখ্যার ডিজিট্যাল কপি ছিল বোধহয়, পাচ্ছি না, তবে রুচিরা কিছুটা ঠিক বলেছে, এই হল ১৯৭৮ এর আনন্দমেলার সূচীপত্র, এতে জঙ্গলের মধ্যে গম্বুজ রয়েছে -
'ভয়ংকর সুন্দর' খুব সম্ভবতঃ প্রথম কাকাবাবু।
লসাগুর লিস্টই তাহলে যুবমানসকে বিভ্রান্ত করছে।
বা, এইটা একটা চমৎকার লিস্ট। তাহলে এই লেখকরা, মানে এই সুনীল শীর্ষেন্দু সত্যজিৎ মতিনন্দী ইত্যাদিরা ১৯৬০ এর দশকের শেষদিক থেকে রে রে করে তেড়ে উঠেছিলেন। তারপর সত্তর আশি জুড়ে চুটিয়ে দারুণ খেলেছেন :-)
তাছাড়া ভয়ংকর সুন্দর তো সবুজ দ্বীপের রাজার আগে - সবুজ দ্বীপের রাজা ৭৬-এ ধারাবাহিক বেরোতো
আমার মেমরি সম্বিতের সঙ্গে মিলছে - আমি আনন্দমেলা পড়তে সুরু করি ১৯৭৬-এ ।ভয়ঙ্কর সুন্দর তার আগে বেরিয়েছে ।৭৯ এ হলদে বাড়ির রহস্য, ডুঙ্গা , জঙ্গলের মধ্যে গম্বুজ এসব বেরোত। ভয়ঙকর সুন্দর আমি বই হিসেবে পড়েছি ,pore.
সম্বিৎ,
আমার লিস্টে বলছে ১৯৭৯
সন | শারদীয়া পত্রিকা | লেখক | গল্প/উপন্যাস |
১৯৩৯ | আনন্দবাজার | মানিক বন্দোপাধ্যায় | শহরতলী |
১৯৪১ | আনন্দবাজার | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | প্রগতিসংহার |
১৯৫১ | দেশ | সুবোধ ঘোষ | ত্রিযামা |
১৯৫২ | দেশ | তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় | রাধা |
১৯৫৩ | আনন্দবাজার | তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় | সঞ্জীবন ফার্মেসি (আরোগ্যনিকেতন) |
১৯৫৪ | দেশ | বিমল কর | পিঙ্গলার প্রেম |
১৯৬২ | দেশ | শিবরাম চক্রবর্তী | স্ত্রী – মানেই ইস্ত্রি? |
১৯৬৩ | দেশ | প্রবোধকুমার সান্যাল | কাঁচ কাটা হিরে |
১৯৬৫ | দেশ | সমরেশ বসু | বিবর |
১৯৬৬ | দেশ | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | আত্মপ্রকাশ |
১৯৬৭ | দেশ | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | ঘুনপোকা |
১৯৭০ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | গ্যাংটকে গন্ডগোল |
১৯৭২ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | স্ট্রাইকার |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | সত্যি রাজপুত্র |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | স্টপার |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | বারীন ভৌমিকের ব্যারাম |
১৯৭৩ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | কৈলাসে কেলেংকারি |
১৯৭৪ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | কোনি |
১৯৭৪ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য |
১৯৭৫ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | ফটিকচাঁদ |
১৯৭৫ | আনন্দমেলা | বুদ্ধদেব গুহ | ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলমহলে |
১৯৭৫ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | জয় বাবা ফেলুনাথ |
১৯৭৬ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | বোম্বাইয়ের বোম্বেটে |
১৯৭৬ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | শঙ্কুর শনির দশা |
১৯৭৬ | আনন্দমেলা | বিমল কর | কাপালিকরা এখনও আছে |
১৯৭৭ | আনন্দমেলা | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | গোসাঁইবাগানের ভূত |
১৯৭৭ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | গোরস্থানে সাবধান |
১৯৭৯ | আনন্দমেলা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | ভয়ংকর সুন্দর |
সে-র নাট্যরূপ শুনতে শুরু করেছিলাম। খটকা লাগল এক জায়গায়। বলা হল 'ভয়ংকর সুন্দর' প্রথম প্রকাশ 1979। আমার কিন্তু পষ্ট মনে আছে আমি 1977 বা 78 সালে বই হিসেবে পড়েছি।
সে দি কেমন আছো?
বিটনুন থাকতে গাঁজা কেন?
একক, আছেন? আচ্ছা, গাঁজা দিয়ে কি কোনো ফল মাখা যায়? ধরুন গাঁজা দিয়ে কদবেল মাখা হল? বা গাঁজা দিয়ে আনারসের টুকরো বেশ করে মাখা হল?
আমাদের বেলুড়ের জেনেরাল হসপিটালে বেশ ভালোভাবেই ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। বাবা মা দু ডোজ ওখান থেকেই নিয়েছেন।
বেলুড় BT কলেজে সপ্তাহে একদিন ভ্যাকসিন দিচ্ছে। পিয়ারলেসের সাথে টাই আপ করে। ওরা অবশ্য 780 টাকা করে নিচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্হা খুব সুন্দর। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিনেসন চলছে। আমার স্ত্রী ওখানে নিয়েছেন।
স্বামী দিব্যানন্দের নেতৃত্বে বেলুড়মঠ 60 শয্যা বিশিষ্ট একটি কোভিড হসপিটাল চালু করেছে বেশ কিছুদিন হল। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা।
হ্যাঁ তাই ত। আমাদের কোম্পানির যারা নিজ নিজ হোম টাউন বলয়ে কোন ছোট শহর বা কোন্নগরের মত মফস্বলে গেছে তারা প্রায় কেউ সরকারি ভ্যাক্সিন পায় নি। কোন্নগরে এখনো ১৯শে জুন নাকি ২৩ শে জুনে যাদের নাম জমা নিয়েছে তাদের ভ্যাক্সিন চলছে।
একটা ব্যপার খেয়াল করলামঃ আমার চেনা পরিচিতের মধ্যে সব্বাই অন্তত এক ডোজ ভ্যাক্সিন পেয়ে গেছেন। মানে আমার আত্মীয়, বন্ধু, পাড়াপড়শী, দোকানদার, যাঁরা বিভিন্ন কাজ করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। যকেই জিগ্যেস করি, বলেন ভ্যাক্সিন নিয়েছেন। অথচ ভারতে এখনো অবধি মাত্র ২৫% মতো লোক ভ্যাক্সিন পেয়েছেন। তার মানে হলো, এখনও অবধি বেশীর ভাগ ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে বড়ো শহরগুলোতে (আমার স্যাম্পেল ডাটা শুধুমাত্র বড়ো শহরগুলোয় সীমিত)।
এহ আমার মা'ও মাস্টারনি ছিলেন তো। কিন্তু হায় তাঁর ছাত্রীরা কেউ মুনিসিপালিটিতে যান নি। দাদু হেডমাস্টার ছিলেন। সেই ব্যপারে বড়মামা অল্প সুবিধে পেয়েছিল বটে।
হেঁ হেঁ অভ্যু আবার বলছিলো দমদি-র কাজ ঠিক ঠাক হয়ে গেছে।
দেখুন, মাস্টারের ছেলে হওয়ার একটা বড়ো সুবিধা আছে। অমাদের মিউনিসির ভাইস চের্ম্যান বাবার পাসকোর্সের ছাত্র ও তিনবারের চেষ্টায় গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন ( ডিপ লার্নিং )। উনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সার্টিফিকেট বার করিয়ে দিয়েছিলেন ও আমার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে অনেক সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন।
বাপরে দ দির রীতিমতো অ্যাডভেঞ্চার হচ্ছে তো! ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য এতোটা হ্যারাসমেন্ট!
বনলতা সেনও এরকম কিছু একটা জিগিয়েছিলেন না?
কোভিড বলে যে একটা জিনিষে বিশ্বসুদ্দ তছনছ হয়ে গ্যালো, কোশ্চেনগুলো দেখে তো মনেই হচ্ছে না!
ধুত্তেরি! কেমন বিদঘুটে কপি হল!