কোথায় পড়েছিলাম আদি অস্ট্রিক ভাষায় "চু চু " "তু তু " ইত্যাদি-র অর্থ কুকুর।
আমাদের এক জৈন প্রতিবেশিনী আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গেছিল একটা আরশোলা মেরে দেওয়ার জন্যে। এই সামান্য শাকের আঁটি একজন বাঙালীর জীবহত্যার দায়ের বোঝার ওপর এমন আর কী, এই যুক্তিতে।
তবে চু চু শব্দে কুকুরদের উত্তেজিত করা বাঙালিদের প্রতি খুব বাস্তব অভিযোগ। আমাদের ছোটবেলায় রাস্তার বখা ছেলেরা "রাম্বা হো হো হো/ কুত্তা ছো ছো ছো" বলে গান গাইতো।
একদিনের দিগম্বর।
পেন্টুল খুলে যেত না?
আমি এক জৈনকে চিনতাম - সে ব্যাটা হপ্তায় একদিন বেল্ট পরত না, চামড়ার জিনিস কিনা? বাকি দিনগুলোতে অসুবিধে ছিল না যদিও...
রাস্তার ট্যালটেলে ঘুগনি কত্তে চাইলে কাবলি ছোলা কে নুন হলুদ জলে তিনটে সিটি দিয়ে আলাদা করে রেখে দিতে হবে।
ঠিক ঘুগনি হল না। কাবলি ছোলা জল টেনে নিলো, ফলে বস্তুটা রাস্তার ঝোলওয়ালা মাংসের ঘুগনি না হয়ে উত্তর ভারতীয় কিমা -ছোলে টাইপস হয়ে গ্যালো। মনে হয় মটর দিলে ভালো হত।
/হল
বি , সেদিন ঘুঘনি কেমন হে?
জৈনরা স্রেফ ভেজনয় রীতিমত ভেগানটাইপ। যাক তাহলে শ্রীনেড়িরাই আমাদের বাঁচিয়েছে। যাক বিকেলে বেরিয়ে আরো খানিক টাইগার বিস্কুট কিনে আনতে হবে।
কুকুরদের তাড়ায় কাপড় চোপড় ছেড়ে পালাতে হতো বলেই কি শ্যাষে মহাবীর দিগম্বর হয়ে গ্যালেন ? এতো টেনিদার ঘুটঘুটানন্দের কেস।
দিগম্বররা বাংলায় এসে বলত - হে, বাঙালি, পিলিজ আপনেরা আমাদের পেছনে নেড়ি লেলিয়ে দিন, একতু হ্যাঠা করুন পিলিজ, দু-চারটে চড় থাপ্পড়ও মারুন পিলিজ, আপনাদের পায়ে পড়চি। নইলে ঠিকঠাক জৈন হতে পারব না, প্যাকটিক্যালে ফেল করে গেলে ডিগরি দেবে না। আপনাদের এই পবিত্রভূমি ছাড়া কোথায় আমরা সিদ্ধি খাবো, সরি, লাভ করবো।
যদ্দুর বুঝেছি সকলকে না, শুধু দিগম্বরদেরই এই সিচুয়েশন ফেস করতে হতো। আর সেটা ওনারা করতে চাইতেন অনেকটা পরীক্ষা দেবার মতো। সহ্য শক্তি, মান অপমানকে অতিক্রম করে যাবার শক্তি, ইত্যাদির মাধ্যমে ইগোকে জয় করে ঠিকঠিক জৈন হয়ে উঠতেন। তাই এই রাঢ় ভূমি তাঁদের সিদ্ধি লাভেরই স্থান। নিষ্ঠুরতার না।
যাক বাঁচা গেছে। কুকুররাই তাহলে বাঙালিদের ভেজমার্কা জৈন হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে ? নাহলে বাঙালির ইতিহাস পুরো পাতিহাঁস হয়ে যেত এদ্দিনে।
এই আনন্দে আমার কুকুর টাকে আজকে বেশি করে আদর করবো।
আচারাঙ্গসুত্র নামে প্রাচীন জৈন গ্রন্থেও পশ্চিমবঙ্গবাসীদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার উল্লেখ আছে। তখন রাঢ়দেশ বজ্রভুমি ও সুহ্মভুমি এই দুইভাগে বিভক্ত ছিল। জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর পথহীন এই দুই প্রদেশে ভ্রমণ করার সময় এখানকার লোকেরা তাঁহাকে প্রহার করে ও এবং তাঁহাদের 'চু চু' শব্দে উত্তেজিত হইয়া কুকুরগুলিও তাঁহাকে কামড়ায়। জৈন সন্ন্যাসীগণ অতিশয় খারাপ খাদ্য খাইয়া কোনোরুপে বজ্রভুমিতে বাস করেন। কুকুর ঠেকাইবার জন্য সর্ব্বদাই তাঁহারা একটি দীর্ঘ দন্ড সঙ্গে রাখিতেন। জৈন গ্রন্থকার দুঃখ করিয়া বলিয়াছেন যে রাঢ়দেশে ভ্রমণ অতিশয় কষ্টকর।
ধন্যবাদ abhyu.
রমিতবাবু আপনার ইউটিউবের লিংকটা দুর্দান্ত লাগল! অনেক থ্যাঙ্কু।
কিছু টা শুনলাম সে দি। বেশ ভালো লাগছিল। বহু দিন আগে পড়া গল্প।
আমি খুবই ভালো আছি
বেশী কিসমিস থাকরে বাঙলা কনট্রোল F মেরে কিসমিস গুলো বেছে বেছে খাই তো।:))
সুপ্রভাত গুরু
এলসিএম, কিসমিসের পায়েসটা খেতে কেমন ছিল?
তিমিকে ক্ক। ব্যোমকেশের বিজ্ঞাপন পড়ার মতন, কমেন্টেই বিশ্বরূপ দর্শন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমেন্ট পড়লে নরকদর্শন হয় বলে বেশিরভাগ কমেন্ট পড়া ছেড়ে দিয়েছি।
:-)
আমি যে কমেন্ট সমুদ্র থেকে কত কিছু খুঁজে পেয়েছি। ইউটিউব আর ফেসবুকের এইটা সিরিয়াস ভালো জিনিস। অবশ্য ট্রোল আর খিস্তির কাঁটা বেছে খেতে হবে।
তিমি, থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ। আমি কিছুতেই ওই কমেন্ট সমুদ্রে অনেক ক্ষণ ধরেও খুঁজেও এইটা পাইনি। :-(
আবার আরেকটা অনুরোধ, এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজা গানটা কেউ উদ্ধার করে দেবেন? ইউটিউব বা এরকম কোনও লিঙ্ক দিয়ে!!
সে-দি অনেক দিন পরে আপনাকে দেখলাম। ভালো আছেন নিশ্চয়ই?
"সমালোচক | 43.251.171.101 | ১৮ জুলাই ২০২১ ১৪:০১"
থ্যাংকিউ। তার মানে নাটকটা বেশ ভাল হয়েছে। আপনার reaction থেকে বোঝা গেল।
4839