কারেন্ট নুনের কম্পোজিশান আমার জানা। নুন আর ফিটকিরি গুঁড়ো। বাড়িতে বানিয়েও খেতে পারেন। অবশ্য ঐ বিটকেল কলো রং টা পাবেন না ।
চানাচুরে তো কারেন্ট দিতে দেখি নি কখনো। কারেন্ট এমনিই চেটে চেটে খাবার জিনিষ। অবিশ্যি দিলে হয়ত মন্দ হবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ, অভিজিৎ রায়ের এই লেখাটা আবার আলোচনায় আনার জন্য।
গুরচ এর লেখা গুলো আমার পড়া ছিল না। এজন্য এলেবেলের ধন্যবাদ প্রাপ্য।
মামলা করা উচিত এই কারণে যে আর্থিক লাভ হোক বা না হোক, ভদ্রলোকের প্রাপ্য স্বীকৃতি টুকু তো তাঁর পাওয়া উচিত।
বিমানের ওজন কতো কেজি? কিনতে গেলে, ধরুন কেজি দরেই যদি বেচে (৫/১২), কিরকম খরচাপাতি পড়বে?
https://www.anandabazar.com/world/12-airplanes-is-going-under-bid-if-not-bought-then-will-be-sold-as-junk-dgtl-photogallery/cid/1292542?slide=12
এবারে কেকে যদি এমন রেসিপি দেয় যাতে আধঘন্টা ধরে নাড়তে হবে, তাতে তো জগন্নাথের খুবই গোঁসা হওয়ার কথা।
অ্যান্ডর, এই যে আছি। কিন্তু রেসিপি আর কোথায় পাবো? একে তো ভাঁড়ারে মোটিভেশন বাড়ন্ত আর তার ওপরে আমার রেসিপি কি আর জগন্নাথের মুখে রুচবে? :-/
আচ্ছা, কেকে গেলেন কোথায়? ভালো ভালো রেসিপি পাওয়া যাচ্ছে না। রথযাত্রার দিন পার হয়ে গেল। এখন তো প্রত্যেকদিন মাসির বাড়িতে ভালো ভালো রান্না হবে। কেকে, গেলে কোথায়? :-)
পুরনো আমলের এরকম ঘটনা শুনেছি, বইয়ের অথর হিসেবে নিজের নাম দিয়ে দিয়েছেন স্পনসর, মূল অথর নিজেই সম্মতি দিয়েছেন নিরুপায় হয়ে। কারণ তাঁর ওই বই ছাপাবার মতন অর্থ ছিল না, যোগাযোগও ছিল না তেমন কোনো উঁচুমহলে। ফলতঃ ধনী অর্থদাতা বন্ধুর নামে বই বের হল। কী অবস্থা!
স্যান্ডি, জিনিসটা ঠিক আর্থিক লাভের কি শুধু? এটা তো একটা সম্মানের ব্যাপার, স্বীকৃতির ব্যাপার। ব্যাপরটা প্রমাণিত হলে প্রমথনাথের ক্ষেত্রে এটা একটা মরণোত্তর স্বীকৃতি।
তবে আমাদের সামন্ততান্ত্রিক সমাজে অনেকসময়েই অধীনস্থ কর্মচারীদের কাজকর্মকে বেমালুম নিজের নামে নিয়ে নেন মালিক। একেবারে ন্যায্য অধিকারবোধে। "আরে ওরা তো আমার কাছে কাজ করছিল! " ঃ-)
গীবত সম্ভবতঃ আরবী বা ফার্সী শব্দ। বাংলাদেশি বন্ধুদের দেখেছি হামেশাই ব্যবহার করেন। "এই, গীবত করছ কেন?"
&/ , আপনার দৌলতে একটা নতুন শব্দ ভোকাব্যুলারিতে যোগ হল। 'গীবত' শব্দ আগে শুনিনি।
মামলা টামলা বোধ হয় সম্ভব নয়। কারণ অভিজিৎ রায় মৃত, অন্য কোঅথর প্রবাসী। মামলা করে জিতলেও ওনার কোন আর্থিক লাভ হবে না। যাঁর আর্থিক লাভ হতে পারত সেই প্রমথনাথও তো অনেক আগেই মারা গেছেন।
অভিজিৎ রায়ের দাবী যদি সত্যি হলে বলতে হয় যে অন্যের কন্ট্রিবিউশনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কালচার বোধ হয় তখনো ঠিক গড়ে ওঠেনি। আপনি রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক জগদীশ চন্দ্র বোসের একটাও পাবলিকেশনে কোন কোঅথরের নাম পাবেন না। অথচ এটা বিশ্বাস করা কষ্ট যে সব এক্সপেরিমেন্ট উনি নিজে একা হাতে করেছিলেন।
কিন্তু ন্যায্যভাবে যদি এটা করতে হয়, তাহলে তো এই লেখক সংস্থারই দায়িত্ব মামলা করা। সেক্ষেত্রে অপরপক্ষের বক্তব্যও শোনা যাবে। সত্যই ভুল হয়েছিল, নাকি অন্যায় হয়েছিল নাকি ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল নাকি একেবারে দিনে ডাকাতি হয়েছিল। সেসব না হলে দিনের শেষে জিনিসটা তো গীবত ( বিরোধীপক্ষের অনুপস্থিতিতে আড়ালে তাদের নিন্দাবান্দা করা) অথবা শোনা-কথা হয়েই থাকছে। প্রমাণ বা ন্যায়বিচার কিছুই তো হচ্ছে না।
প্রথমত অভিজিৎ রায়ের এই লেখা বিশ্বভারতী কত্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে বলে মনে হয় না। অভিজিৎবাবুরা সে চেষ্টাও মনে হয় করেন নি। আর আপনার কি মনে হয় যে অভিজিৎ রায়ের লেখাটির সারবত্তা থাকলেও বিশ্বভারতী কত্তৃপক্ষ প্রমথবাবুকে কোঅথরের স্বীকৃতি দেবে? আমার মনে হয় দেবে না কারণ রবীন্দ্রনাথ একটা বিক্রয়যোগ্য নাম বিশ্বভারতীর কাছে। প্রমথবাবুকে অথরশিপ দিতে গেলে প্রকান্তরে রবীন্দ্রনাথের শঠতাকে মেনে নিতে হয়, আর তাহলে বিশ্বভারতী নিজেই ফাঁপরে পড়বে।
আমি নিজেও স্টুডেন্ট লাইফে একবার এইরকম বঞ্চনার স্বীকার হয়েছি, তাই প্রমথনাথ সেনগুপ্তর হতাশাটা একেবারে অন্তর দিয়ে অনুভব করলাম।
ওঁরা মানে এক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, মানে বইগুলোর গ্রন্থস্বত্ত্ব যাঁদের।
কিন্তু স্যান্ডি, এঁরা যদি প্রমাণ করেই থাকেন, তাহলে তো বইটির যুগ্মলেখক হবে। সেই ব্যাপারে বিশ্বভারতীর স্ট্যান্ড কী? ওঁরা কি বইটির লেখকের নাম পরিবর্তন করবেন লিখিতভাবে স্বীকৃতি জানিয়ে যে এই এই হয়েছিল, সেইসব ভুল সংশোধন করে দুই লেখকের নামই দেওয়া হল ?
হুতোর সঙ্গে একমত। বিরক্তিকর।
এলেবেলে তাল ঠোকা বন্ধ করবেন্না। এত বড় খোরাক কোতায় মিলবে?
হুতো, ঠিক। পরবর্তীতে ওই দুটি শব্দবন্ধের পুনারাবৃত্তি না করার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
স্যান্ডি ও রঞ্জনবাবু, ধন্যবাদ। তবে ওটি নিছকই মজা করে বলা। লেখাটা বা বলা ভালো লেখাদুটো যুক্তির দিক থেকে এতটাই দুর্বল যে ওই টোনটা এসে গিয়েছিল। আমি দুজনের কাছেই ভুল স্বীকার করে নিলাম।
এলেবেলে, আপনাকেও ধন্যবাদ লিঙ্কগুলো দেওয়ার জন্য়।
-"স্যান্ডি, কে বলেছে বিশ্বপরিচয় নিয়ে গুরুতে লেখা প্রকাশিত হয়নি"?
--কেউ বলেনি। স্যান্ডি খালি বলেছেন "গুরুতে এই বিষয়ে কোন লেখা চোখে পড়েনি।
-"স্যান্ডি, কে বলেছে বিশ্বপরিচয় নিয়ে গুরুতে লেখা প্রকাশিত হয়নি"?
--কেউ বলেনি। স্যান্ডি খালি বলেছেন "গুরুতে এই বিষয়ে কোন লেখা চোখে পড়েনি।
এলেবেলে, আমার কাছে এগুলি যেমন বিরক্তিকর তেমনি কথায় কথায় প্যান্টুল হলদে ভেড়ুয়া এইসবও একই রকম বিরক্তিকর।
উপেক্ষা করতেই চাই কিন্তু দুদিন পরপর এই রেকারিং ডেসিমাল আর পারা যায় না।
হুতো ও রঞ্জনবাবু, বি কুল অ্যান্ড ইগনোর। এদের কাজই হল ঝাঁক বেধে আক্রমণ করা। সব প্যাক হান্টারের দল। একা লড়তে গেলেই প্যান্টুল হলুদ হয়ে যাওয়ার বহু নমুনা আমার লেখাটাতেই ছড়িয়ে আছে। তাঁদেরই একজন চার নম্বরে লেখাটি লিখেছেন।
স্যান্ডি, কে বলেছে বিশ্বপরিচয় নিয়ে গুরুতে লেখা প্রকাশিত হয়নি? যদিও সেটা মুক্তমনার লেখাটার কাঁচা কপি-পেস্ট। ইনিও শিবাশীষ বসু নামে আমার পেছনে লাগার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু অ্যাডামের পুরো বইটা পড়ে উঠতে পারেন্নিকো! ইনি ওই প্যাক হান্টারদের মধ্যমণি!
দু জায়গাতেই আমার মন্তব্য থাকায় তাঁর দুটি লেখাই এখানে দিলাম। ইন ফ্যাক্ট আমিই তাঁকে গুরুতে লিখতে অনুরোধ করেছিলাম।
স্যান্ডি,
এই সুযোগে আমারও পড়া হয়ে গেল। মুক্তমনার অভিজিতের বক্তব্যের সঙ্গে একমত না হয়ে পারা গেল না।
অ্যাণ্ডর, মুক্তমনায় প্রকাশিত 'রবি ঠাকুর, রাহাজানি এবং রবীন্দ্র পূজারীবৃন্দ' শীর্ষক লেখাটে পাবেন এখানে:
https://blog.mukto-mona.com/2011/08/22/18247/
গুরুতে এই বিষয়ে কোন লেখা চোখে পড়েনি।
এ বইটা পড়ে শেষ করলাম।
একটাই কথা বলার ছিল - বইটির টাইটেল বিভ্রান্তিকর, হওয়া উচিত ছিল - ইংরাজ আমলের কর, শুল্ক এবং শিক্ষা ব্যবস্থা।
এখনই দেখলাম।
বোধি ও এলেবেলের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমি চেষ্টা করেছি এলেবেলের অত্যন্ত পরিশ্রমী রিসার্চের ভিত্তিতে অন্য প্রেক্ষিত তৈরি করার। কিন্তু যেখানে আমি এলেবেলের সঙ্গে একমত সেটা জোর গলায় তুলে ধরেছি।
যেমন সিপাহী বিদ্রোহ নিয়ে বিদ্যাসাগর, নিম্নবর্গীয় দের শিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগর ও নারীশিক্ষা এবং বিদ্যাসাগর। আর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যাপারে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তা নিঃসন্দেহে এলেবেলের বইয়ের ও সোর্সের ভিত্তিতে।
হ্যাঁ, অবশ্যই এটা বুক রিভিউ নয়, পাঠ-প্রতিক্রিয়া।
বোধি যদি কোন ভাল অ্যাকাডেমিককে দিয়ে বইটির রিভিউ করান তবে সেটা এলেবেলের পরিশ্রমের যোগ্য কাজ হবে।
এ সাইটের কথা ও সাইটে আছে :
"প্রকাশের আগে বইটির খানিকটা অংশ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল একটি পরিচিত ব্লগ-সাইটে। সেখানে পাঠকদের কিছু মন্তব্য/প্রশ্নের উত্তরে লেখক সগর্বে যা ঘোষণা করেছিলেন, তার কিছু নমুনা এই রকম [হুবহু উদ্ধার, আবারও]:"
ওটা ওখানেই হোক না। সমালোচনার আলোচনা তার সমালোচনা তার নিন্দা তার কুচ্ছো তার সমালোচনা তাকে নিয়ে আলোচনা - এ আর কত?