হুতোভাই ভয়ানক ঘটনা। চারনম্বরে দেবাশিস লেখককে লালমোহন গাঙ্গুলী বলেচে। যুক্তিবাদী ইতিহাসচর্চার সপক্ষে অধমের দুপয়সা।
কী আপদ। আপনারা কারা? কেউ একটা বইয়ের নিন্দা করছেন বেশ করেছেন, তা এমন কী গুরুতর বিষয় যে সেটাকে তারায় তারায় রটিয়ে দেওয়ার জন্যে পুরো পল্টন বানাতে হবে? গুরুতে চারনং লিংক দেওয়ার পাশাপাশি চারনংএও গুরুর লিংক দিয়ে আসুন না, গুরুর সাইটে চারটি হিট বাড়ুক।
প্রকাশকের তরফে চার পাতার (পৃষ্ঠা ১১-১৪) ‘বয়ান’-টিতে বেশ কয়েকটি বানান ভুল। ‘সঙ্গঠন’, ‘মদদ’, ‘সমৃদ্ধতা’, ‘প্রত্যক্ষ্য’, ‘কেন্দ্রিভূত’, ‘আক্রমন’। সঠিক বাংলা লেখাটা সাম্রাজ্যবাদ-নির্দেশিত কোনও ভদ্রলোকি চক্রান্ত কিনা, এবং তাকে অসম্মান করাটা কোনও ছোটলোকি বিদ্রোহের অঙ্গ কিনা, সে কথা অবশ্য এখানে খোলসা করে ব্যাখ্যা করা নেই। তবে, মূল পাঠ্যে বাংলা ভাষার দশা যে তত খারাপ নয়, এটা মানতেই হবে। মূল পাঠ্যের লেখক সম্ভবত ‘প্রকাশকের বয়ান’ অংশটির প্রুফ দেখার সুযোগ পাননি। তা সে যাইহোক, ক্ষুদ্র এই প্রকাশকীয় বক্তব্যের আসল গুরুত্ব কিন্তু তার ভাষায় বা বানানে ততটা নয়, যতটা অন্তর্বস্তুতে। বইটির ভেতরের যে মোদ্দা কথাগুলো এতবড় বইটিতেও লেখক পরিষ্কার করে বলে উঠতে পারেননি, সেই কথাগুলো এখানে গোড়াতেই বলে রেখেছেন প্রকাশকের তরফের প্রতিনিধিদ্বয়। লেখক যদি চারশো পাতা জুড়ে ধস্তাধস্তি করে থাকেন বিদ্যাসাগরীয় ‘হিস্ট্রি’-র খুঁটিনাটি নিয়ে, প্রকাশক তবে মাত্র চার পাতাতেই বলে দিয়েছেন তার ‘হিস্টোরিওগ্রাফি’ (এবং সেইহেতু, ওই চার পাতার হিস্টোরিওগ্রাফি-টি আবার আমি যদি এখানে চার লাইনে বর্ণনা করি, কেউই তাতে সম্ভবত খুব বেশি অপরাধ নেবেন না)! এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, এটা ছাড়া গোটা বইটি শুধুই বিদ্যাসাগর বিষয়ে লেখকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের চিহ্ন হয়েই থাকত, তার পেছনের ইতিহাসতাত্ত্বিক ‘ইন্টেনশন’ বা অভিপ্রায়টি হয়ত বা ধরা পড়ত না, এবং সেইহেতু ধরা পড়ত না নিজের মধ্যে অন্তর্লীন এই তাত্ত্বিক অভিপ্রায়টি সম্পর্কে লেখকের নিজেরই আত্মপ্রতারণামূলক, স্ববিরোধী, ধোঁয়াটে চৈতন্যের স্বরূপটিও।
এই যেমন আপনি মরার পরে আরও বেশি করে লোকে আপনার ঝগড়া গুলো কোট করে কথা বলবে, পরিশ্রম টা , গোটা টেক্স্ট টা পড়বে না।
না, নুন আর শুকনো লংকা ছাড়া আর কিছু থাকে বলে তো মনে হয় না!
কারেন্ট গুঁড়ো থাকে ?
সম্প্রতি আগরতলা থেকে এক কেজি মরণের চানাচুর এসেছে। তিন বছর আগে শুনেছিলাম মরণচন্দ্র দাস মৃত্যুশয্যায়, ওদিকে দুই বিবদমান ছেলের কারো কাছেই চানাচুরের গোপন রেসিপি নেই - তা নিয়ে আগরতলার চানাচুরকনশিয়র মহল সন্ত্রস্ত। এরপর কী হলো আর জানা হয়নি। চানাচুর তো ঠিকই লাগছে।
বগুড়ার দই হালায় আবার জিগায়/ মোস্তাকিমের চপ আবার জিগায়/ সাতক্ষীরার সন্দেশ কত মজা তাই/ পেট ভইরে খেয়ে নাও বুঝি চাও ভাই
ইত্যাদি
দারুন তো । বগুড়ার দৈওলা লিরিক্স টা কি ?
ইউটিউবে ক্লিকালে শোন যাচ্ছে। ব্যাপক।
হ্যাঁ, শ্রাবণী! আমিও এখন বগুড়ার দইয়ের নানা ভার্সন খুঁজে শুনছি!
ইটা মনে হয় ওয়েবসাইটে সরাসরি শেয়ারেবল না। তবু চেষতা কৰি
সরি :(
samima sraboni 'র চ্যানেলে কুত্তা বলো কেন? টাইসন বলো - ভিডিওর লিংক দিতে চাইছিলাম। লসাগুদা এট আল বিবেচনা করলে দুটো পোস্ট মুছে দিতে পারেন।
টেকনলজি, বিড়ম্বনার একশেষ।
শ্রাবণী? হা হা হ্যাঁ। ওর 'পানির নীচে ডলফিনটা তো জংগলের মত' আর বগুড়ার দই হালায় আবার জিগায় আমি কতবার গুণ্গুণ করেছি। `
এর ভিডিওগুলি যাকে বলে উরাধুরা।
একটা উদাহরণ দেয়া যাক। বিধবাবিবাহ দিতে গিয়ে বিদ্যাসাগর সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এ তথ্য স্বীকার করে দেবোত্তম লিখেছেন, তিনি নিজেই এ পথ প্রস্তুত করেছিলেন। খুবই খারাপ ব্যাখ্যা। মনে-মননে ব্যাপারটাকে নারী ও সমাজমুক্তির উপায় হিসাবে গণ্য না করলে বিদ্যাসাগর এ কাজ কখনোই করতেন না। তাহলে এ ঘটনার একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে। ঔপনিবেশিক বাস্তবতায় উৎপন্ন প্রগতির ধারণায় বিদ্যাসাগর এবং অন্যরা খাঁটি ইমানদার ছিলেন, এবং ইমানের পক্ষেই আমল করেছিলেন। এর বাইরে অসততা, ষড়যন্ত্র, চালাকি, ইংরেজপ্রেম, উচ্চবর্ণপ্রেম ইত্যাদি শব্দ বা পদ্ধতির ব্যবহার বিশ্লেষণকে মাঠে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ঠিক এদিক থেকেই চাকরি জোটানো বা জুটিয়ে দেয়া, ধুমায়া স্কুল তৈরি করা ও বাজেট পাশের আগেই খরচ করা, কিংবা নিজের বেশুমার বই ছাত্রপাঠ্য হিসাবে অনুমোদন নিয়ে নেয়া ইত্যাদি কোনো পর্বেই দেবোত্তম চক্রবর্তীর অনুমান ও মূল্যায়নকে সন্তোষজনক বলা যাবে না।
এলে, ঠিক। হ্যাঁ টেকো দা যেটা লিখে দিয়েছেন, তার ফর্ম টা ঠিক রিভিউ এর না। এটা সোশাল নেটওয়ার্কে আকাদেমিক ইতিহাস পড়ায় অনভ্যস্ত লোকের জন্য রিডার ধরণের লেখা যাতে মানুষের আলোচিত বিষয় গুলোকে একটা পারস্পেকটিভে ফেলতে সুবিধে হয়। উদ্দেশ্য সৎ। মুশকিল হল লোকজন এটাকে পয়েন্ট স্কোরিং এর জন্য ব্যবহার করবে, আংশিক উদ্ধৃতি দেবে। তো সে কি আর টাকের দোষ, কপালের দুর্ভাগ্য মাত্র। এই যেমন আপনি মরার পরে আরও বেশি করে লোকে আপনার ঝগড়া গুলো কোট করে কথা বলবে, পরিশ্রম টা , গোটা টেক্স্ট টা পড়বে না। অতএব পরের বই লেখা ছাড়া আপনার কাজ বেশি থাকার কথা না।
:-)
আমি পূর্ব প্রতিশ্রুতিমাফিক আপনার পরামর্শ খুশি মনে মেনে নিলাম। রঞ্জনবাবুর লেখাটিতে আমি আর প্রত্যুত্তর করব না।
আমাকে 'পোস্ট-কলোনিয়াল' বললে সামান্য আপত্তি জানাব। আমি আগেও বলেছি আমি ইতিহাসকে দেখি চারটি আঙ্গিক থেকে - ১. মার্ক্সীয়, ২. পোস্ট-কলোনিয়াল, ৩. সাব-অল্টার্ন ও ৪. জেন্ডার স্টাডিজ। খেয়াল করলে বিদ্যাসাগরে এই চারটি ধারাকেই দেখতে পাবেন। আপনি যেহেতু প্রচণ্ড পড়ুয়া মানুষ কাজেই বইটার শেষে আমি যে গ্রন্থপঞ্জী দিয়েছি, তাতে এই চার ধরণের লেখাকেই যে আমি দেদার ব্যবহার করেছি তার নমুনা দেখতে পাবেন। কিন্তু কোনওটাই উচ্চকিত নয় বা পাঠককে জোর করে গিলতে বাধ্য করা নয়। এবং যেহেতু হেজিওগ্রাফি হেজে গেছে তাই চণ্ডীচরণ, বিহারীলাল ও সুবল চন্দ্র মিত্রকে প্রথম থেকেই বর্জন করা হয়েছে। সুবলবাবুকে ঠিক ততটাই ব্যবহার করেছি যতটা বইটিতে বিষয়টির অথেন্টিসিটি আছে।
হ্যাঁ, বাংলাদেশে বইটা বিপুল সাড়া ফেলেছে। তুলনামূলকভাবে কলকাতায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বইটি ঢাকাতে প্রকাশিত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একটি চমৎকার রিভিউ করেছেন। তাঁর সঙ্গে একটি ওয়েবিনারে আলোচনা করারও সৌভাগ্য হয়েছে। সেখানে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ নিয়েও কথাবার্তা চলছে। আমার ব্যস্ততার জন্য যা সম্ভব হচ্ছে না আপাতত।
নারীবাদীদের বরং প্রশংসা করা উচিত কারণ বিশেষত বিধবাবিবাহকে যেভাবে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হয়েছে এবং নারীদের ক্ষমতা হরণের বিষয়টিকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি সেটা আজ অবধি বিদ্যাসাগর বিষয়ক কোনও বইতে (বাংলা ও ইংরেজি) হয়নি।
অশোক সেন, স্বপন বসু, শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, পরমেশ আচার্য প্রমুখ দিকপাল পণ্ডিত এই নিয়ে অসামান্য কাজ করেছেন। আমি তাঁদেরকেও দেদার ব্যবহার করেছি। সঙ্গে জুড়েছি সাম্প্রতিকতম দৃষ্টিভঙ্গিও। তাতে যদি সমালোচনা হয় হোক, তাতে আমার পরবর্তী কাজ একটুও থমকে যাবে না। আমি আবারও সতীদাহ নিবারণ যে ব্রিটিশের ঘৃণিত অ্যাজেন্ডার অন্যতম - সেই বিশ্লেষণে প্রয়াসী হব। লতা মণি, বিনয়ভূষণ রায়, কুমকুম সঙ্গারী যাঁর সহায় তাকে ঠ্যাকায় কোন আহাম্মক! গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভ্যাক নাহয় উহ্যই রইলেন।
আপনার করানো বুক রিভিউয়ের প্রতি অধীর অপেক্ষা রইল। সুপরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গুরুত্ত্ব দেবেন না। যদি ও উনি অ্যাকচুয়ালি খুব ই ভালো লোক, যুক্তিবাদী সমিতির ভদ্রলোক যদি হন । মানে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না , কিন্তু লেখা নর্মালি ফ্যান্টাস্টিক। এই লেখাটা হয় নি, কারণ রেগে গিয়ে আপনার এখানকার কমেন্ট কোট করেছেন, তাতে লেখাটার গুরুত্ত্ব কমে গেছে।
কিন্তু দারশনিক বা যৌক্তিক বা মরাল অবস্থান আর ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ এক জিনিস না, অতএব এসব থাকবে। আর বাকি টই এর মন্তব্য ও ইগনোর করুন, প্রশংসা, নিন্দা, পরিহাস সব ই, সমালোচনাটি সম্পর্কে কমেন্ট সব ই আপাতত উপেক্ষা করুন। মানুষ আপনাকে , আপনার পরিশ্রম কে জেনেরালি সম্মান করেন , এটুকু জেনে লেগে পড়ুন দাদা।
এবার শুনুন, আপনার পজিশন টা র মূল সমস্যা এরকম , যে সাধারণ ভাবে নিম্নবর্গীয় বুদ্ধিজীবি দের দলে টানার রাজনৈতিক প্রয়োজনে, এবং নিপীড়িত দের মধ্যে বিভেদ আনার লক্ষ্যে , মুসলমান দের বিদেশী বলার সুবিধের কারণে, আর এস এস আমাদের ইতিহাসের পোস্ট কলোনিয়াল ক্রিটিক কে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করছে , নতুন না, বহুদিন থেকেই এটা চলছে। অতএব আপনার পজিশন নানা সমালোচনায় পড়বে, যার অনেকটাই যুক্তিগ্রাহ্য, আবার অনেকটাই না।
এটা কাকতালীয় কিসু না, যে আপনার কাজের রিজনেবল বাঙালির ইতিহাসের পপুলার ধারাটির ভার মুক্ত সমালোচনা , আসবে বাংলাদেশ থেকে, ওঁদের ন্যাশনাল হিস্টরি গড়ে তোলার দায় থেকেই ওঁদের একাধারে অষ্টাদশে পেছোতে ও বিংশ শতাব্দী তে এগোতে হয়েছে।
এবার এই সমালোচনা তো শিবাজী বাবু দের গোটা প্রকল্পটা সম্পর্কেই করা যায়। কিন্তু সেটা আকাদেমিয়ার বাইরে কম হয়েছে, কারণ আর কিছু না, বিজেপির সর্বময় কর্তৃত্তএর বিপদ এখন অনেক বেশি।
এবার আরেকটা দিক হল, আপনার পজিশন টা সমালোচনা করবেন নারীবাদীরা। মানে আকাট অতিজাগ্রত উওক সোশাল মেডিয়া র সমালোচনার কথা বলছি না, সিরিয়াস লেখা দু চারটে হয়তো আসবে . তার মধ্যে সেন্সিবলে সমালোচনাও কপাল ভালো থাকলে থাকবে। সেতো সকলের ই প্রাপ্য, মানে নারীবাদী দের কাছে গাল তো খেতেই হবে, এটা ঐতিহাসিক দায়। কিন্তু আপনার বইয়ের একটা ডিফেন্স এই ক্ষেত্রে আছে, সেটা হল, আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর ন্যারেটিভে, জাস্ট ইতিহাস লেখার ধরণগুলির বিবর্তনের সংগে সমসাময়িক হবার কারণে, সাধারণতঃ মোমেন্টারি স্পেসিফিসিটি দেখা হয়, 'ভয়েস' , ' 'এজেন্সী' ইত্যাদি কে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়, জেনেরাল রৈখিক অবস্থানের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার সমালোচনা করতে গিয়ে দেখা যাবে তাঁরা ঐতিহাসিক কনটেক্স্ট দেখার কথা বলছেন, শুধু মহিলাদের আসপিরেশন এর কথা বলছেন না, যদিও সেটা বিদ্যাসাগরের পক্ষের যুক্তি হিসেবে খুব দুর্বল কিসু না।
যাই হোক, এই গোটাটাই বলতে চাইলাম, একটাই কারণে, যে এগুলো অবস্থানের পার্থক্য, এর মধ্যে ব্যক্তিগত সেরকম কিসু নাই, আর এখানে বলতে চাইলাম একই কারণে, যে কোনো বিতর্কতেই ফোড়নের চর্চা করতে ইচ্ছে করে না বলে।
আমি চেষ্টা করব আকাদেমিক হিস্টোরিয়ান, যাঁরা পেশা হিসেবে , উনবিংশ শতক বাঙালি ইত্যাদি ke বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাউকে দিয়ে আপনার বই এর রিভিউ করাতে। হয়তো ব্যর্থ হব, আমার অন্যান্য প্রোজেক্ট এর মতই, কিন্তু চেষ্টা করব। আমার বিষয়টা হল, আমার উনবিংশ শতকে সাধারণ ভাবে জাতি নির্মাণ প্রকল্পের ফ্রেমওয়ার্ক টাই আমার পছন্দ না, শুধু এখানকার বলে না, বিদেশী স্কলারলি হিস্টরিকাল রাইটিং সম্পর্কেও আমার সেইটাই মনে হয়। তাই আমি সময় হিসেবে উনবিংশ শতকের দইতীয় ভাগ সম্পর্কে বোরড। সেই, জন্য ই আমাদের প্রজন্মের অনেকে রাজনৈতিক কারণেই, বিংশ শতকের শুরুতে , আধুনিকতা ইত্যাদি তে বেশি মন দিয়েছ্লাম, অন্য দিকে মেডিয়েভাল ব ট্রানসফর্মেশনে মন দিয়েছিলাম, আর প্রি কলোনিয়াল আর্বান হিস্টরি একটু আধটু পড়েছিলাম। এটা যে ভীষণ ভালো কিছু করেছিলাম বলছি না, শুধু কারণটা বলছি। ইত্যাদি।
আপনি লিখে যান।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি চার নম্বর প্ল্যাটফর্মেও বইটার একটি রিভিউ বেরিয়েছে। লেখক এখানে ন্যাল্যাখ্যাপা সেজে ধারাবাহিকভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে গেছেন কারণ তাঁর যুক্তির ভাঁড়ারে কিস্যু ছিল না। এখানেই আমি তাকে স্পষ্ট বলেছিলাম যে তিনি এন.এল. বসাক, অ্যাডাম এবং ধরমপাল পড়েননি। তারপর তিনি রণে ভঙ্গ দেন। তো তাঁর অ্যাজেন্ডা পুশিং-এর জন্য তিনি অন্য একটি সাইট বেছে নিয়ে সেখানেও নিখাদ ব্যক্তি আক্রমণ করে গেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে আমি একটি মন্তব্যও করিনি কারণ ওই গুরুত্ব লেখাটি ডিজার্ভ করে না।
খ, আপনি জানেন আমি আপনাকে কতটা শ্রদ্ধা করি। একই রকমের শ্রদ্ধা করি রঞ্জনবাবুকেও। আমি তাঁর অনুমতি নিয়েই কাউন্টার আর্গুমেন্ট করছি। করছি এই কারণেই যে তা নাহলে ভুল বার্তা যেতে পারে। এটা ঠিক যে একটা বইকে সবাই অ্যাপ্রিসিয়েট করবেন না, করা উচিতও নয়। কিন্তু মূল সুরটা বিঘ্নিত হলে খারাপ লাগে। রঞ্জনবাবু যেটা করছেন সেটা ঠিক বুক রিভিউ নয়। গুরু কর্তৃপক্ষ সহৃদয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে রঞ্জনবাবুর আলোচনাটিকে 'পড়াবই' বিভাগের অন্তর্গত করলেও লেখাটি আদতে ওপেন এন্ডেড ডিসকাশন। এখন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ক্ষতিকর প্রেমাইসটিকে তুলনামূলক ভালো বললে কী করণীয়?
আমি পরবর্তী বইটি নিয়ে অতি মাত্রায় সিরিয়াস। প্রচুর খাটাখাটনি করছি লোকটি ও তাঁর সমসময়কে অন্যভাবে তুলে ধরার জন্য।
তবে আপনি এবং অন্যরা যদি বারণ করেন তাহলে আপনাদের কথা শিরোধার্য করব বলে কথা দিলাম।
এলে, আবারো আমার বিনীত বক্তব্য হল, একটা বইয়ের সমালোচনা হলেই লেখক কে উত্তর দিতেই হবে এমন কোন কথা নেই। আ বুক শুড বি আফোর্ডেড ইট্স ওন লাইফ। পরের বই য়ে কনসেন্ট্রেট করলে উপকার হয়।
বিশ্বপরিচয়ের রাহাজানি নিয়ে সেই লেখাটার খোঁজ পাওয়া গেল কি? গুর্চতেই কোথাও আছে, আবছা আবছা মনে পড়ছে। বেরিয়েছিল বহুকাল আগে।
কান ঘেঁষে বেঁচে গেছি যে ফরাসীভাষা শিখতে হয় নি। উফ্ফ্ফ, কত চন্দ্রবিন্দু! আমি তো চন্দ্রবিন্দু উচ্চারণই সেভাবে করতে পারি না, নেহাৎ অত্যন্ত দরকার না হলে। এরকম মুড়িমুড়কির মতন চন্দ্রবিন্দু লাগাতে গেলে হয়তো নামের আগেই চন্দ্রবিন্দু লেগে যেত।
অদ্ভুত ব্যাপার হল লুক মতাঁনিয়ের( ইনি নোবেল লরিয়েট) এবং আরো কয়েকজন দাবী করছেন যে তাঁরা নাকি বুঁভুনিস্তের এক্সপেরিমেন্ট রেপ্লিকেট করতে পেরেছেন আর ওই এফেক্ট পেয়েছেন!
স্যান্ডি, এই যে বুভুনিস্ত। ইমিউনোলজিস্ট। একসময়ে পথিকবাবু খুব লিখতেন এঁকে নিয়ে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Jacques_Benveniste
হুঁ, সেই বুভুনিস্তদের সেই অদ্ভুত দাবী। কীসের যেন সলুশন জল দিয়ে পাতলা করে করে করে করে অত্যন্ত পাতলা করে তারপরেও কাজ হচ্ছে বলে একটা অদ্ভুত দাবী ছিল ওদের। জলের মেমোরি না কী যেন বলছিলেন ওরা।