আচ্ছা, 'বিশ্বপরিচয়' বইটার ব্যাপারে একজন একবার প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে বইটার ব্যাপারে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক রাহাজানি হয়েছিল। যে বিজ্ঞানশিক্ষক ভদ্রলোক মূলতঃ সব তথ্যাদি সংগ্রহ করেছিলেন ও বইয়ের খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন, তাঁর নাম ও কাজের কোনো উল্লেখ কোথাও করা হয় নি প্রকাশিত বইয়ে। অথচ বইটা নাকি আদতে তিনিই লিখছিলেন।
সেই প্রবন্ধটার কোনো সন্ধান পাওয়া যাবে?
এইসব ডেটা ম্যানিপুলেট করার ব্যাপারগুলো খুবই ঝামেলার। ওই সোনারুপোর সুপারকন্ডাক্টিভিটির ব্যাপারটার তারপরে কী মীমাংসা হল তাই বা কেজানে!
তবুও ভালো যে পি আই ব্যাপারটার গুরুত্ব অনুধাবন করে পেপারটা রিট্রাক্ট করেছেন।
মবিলা তো ঠিকই ছিল। মবিল নামের যে লুব্রিক্য়ান্ট আছে তার একটা ফেমিনিন জেন্ডার না হয় হল :-)
স্যান্ডি, লিংকটা খুলে ভয়ে পালিয়ে এলাম। এরা কী করেছেন?
না না তেমন গুরুতর কিছু করেননি ওনারা :-), একটু ছোট্ট করে ডেটা ম্যানিপুলেট করেছেন মাত্র, এবং ধরা পড়েছেন। বলাইবাহুল্য় হঠাৎ করে ল্যাব ছেড়ে যাওয়া কোওয়ার্কারের (নামটি উহ্য) ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে পি আই হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন।
* সবাইকে মাস্ক বিতরণ ও তা পরা এনফোর্স
বেড়ানো অবাধ করলে লোকে তো যাবেনই। অন্য কতজন যাচ্ছেন জেনে বা ভেবে আর ক'জন যাচ্ছেন! বেশিরভাহ যে যাঁর নিজেরটাই ভাবছেন মনে হয়।
এই এদ্দিনে তো হিমাচল না উত্তরাখণ্ডে হোটেল ক্যাপাসিটি ৫০% করার সিদ্ধান্ত নিল।
সব খুললে কেবল স্কুল কলেজ কী দোষ করে জানিনা।
এদিকে কাল ফিল্ডে গিয়ে এক পরিবার পেলাম, পেলাম না বলে গেলামই বলা ভাল, কারণ এঁরা বাড়তি ওষুধ দেওয়া মশারি চেয়েছিলেন, বাড়িতে লোকজন আসবেন। তো গিয়ে দেখি কেস হল রথযাত্রার পূজার। এঁরা পূজারী। সেই ইসকনের গল্প আগে বলেছিলাম। রথ উপলক্ষে নাকি প্রভূত ভক্ত সমাগম হবে, কয়েকদিন ধরে, বিবিধ দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে।
মশারি তো যা চেয়েছিলেন তার চেয়ে বেশি দিয়ে এলাম, ক্রিমও। ম্যালেরিয়ার রীতিমতন আউটব্রেক চলছে। কিন্তু কোভিডবিধির কী হবে? কতজন আসবেন, কোন অনুমতি নেওয়া কিনা কে জানে, মাস্ক তো দেখি কেউই প্রায় পরেননা। সে গ্রামে খুব কম লোককেই পরতে দেখি কিন্তু এত লোকের ভিড় হলে, নানা জায়গা থেক্র এলে তো পরা দরকারই। খোঁজাখুজি করতে পূজারী গৃহকর্তা ছাড়া আর কারুর মাস্কই বেরলনা। যতটা পারলাম বুঝিয়ে এলাম, নানা কোভিডবিধিও। বললেন মানবেন, কে জানে কী করবেন। এও শুনলাম, এসব তো বলাই প্রায় হয়না সেভাবে, আলাদা করে। স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের জানাতে তাঁরা বললেন, স্বাস্থ্য দপ্তর তো আওয়ার করতে পারে, এনফোর্স না। সেটা ব্লক প্রশাসনকেই করতে হবে। বিডিও কে জানি বলি। সেটা বলার ব্যবস্থা করতে ভারপ্রাপ্ত মেডিকাল অফিসার বললেন তিনি দেখছেন
এদিকে আমি ধন্দে। জানিয়ে ঠিক করলাম কিনা। মামে প্রশাসনের এনফোর্স্কমেন্ট ওই বিয়েবাড়ির ডি এম দ্বারা পেটানো এপিসোডের ভাইরাল ভিডিওর মত হলেই হয়েছে। তারপর আমি জানিয়েছে জানলে পরে গ্রামে গেলে আমার পিঠেই পড়বে কিনা জানিনা, কিন্তু ম্যালেরিয়া কমানো নিয়ে যা করতে বলব, সে যে খুব কম শুনবেন, সে জানি। এমনিতেই কিছু জায়গায় পুলিশ এসকর্ট নিয়ে তবে যেতে, কাজ করতে হচ্ছে, যেটা না করতে হলেই ভাল হত, এরপর তো ফিল্ডে গেলেই লাগবে। আরো চাপ, টিমের সবার চাপ হয়ে যেতে পারে ঃ(
এই প্রথম একজনের নাম দেখলাম শিবালিক। এর আগে হিমালয়, মহেন্দ্র, মলয়, মৈনাক ইত্যাদি পাহাড়ের নামে নাম শুনেছি। শিবালিক এই প্রথম শুনলাম।
আমি কেন জানি ভেবেছিলাম এইসব খেলাটেলা সবাই টিভিতে বা নেটে দেখছেন, কেউই মাঠে যান নি। দর্শকদের ছবি কম্পিউটারে সিমুলেট করে দেখানো হচ্ছে।
ওদিকে দেখলাম একটা গ্রহাণু ধেয়ে আসার খবরও দিয়েছে। চীন নাকি অনেক রকেট পাঠিয়েছে ওটার মুখ ঘুরিয়ে দিতে।
উহ মহিলা মহিলা। (মবিলা নয়)
আচ্ছা এই আনন্দবাজার খুললেই কোত্থেকে এক মবিলা এসে বেদম জোরে হাঁচি দেন কেন? এ কিসের বিজ্ঞাপন? কোল্ডারিন?
আরে দেখুন আনন্দবাজার সৌরঝড়ের কথাও-
https://www.anandabazar.com/science/solar-storm-heading-towards-earth-on-the-speed-of-16-lakh-km-per-hour-will-effect-gps-electricity-and-satellite-system-dgtl/cid/1292222
লিখেছে
দ্রি আর দীপাঞ্জন-আপনারা যেখানেই থাকুন, একটুখানি লিখে টিখে যান কোনো টইতে। দুনিয়া জুড়ে এ তো একেবারে থেরনের কিউব কেস চলছে!!!!
নিজের ওপরেই রিভেঞ্জ। আত্মনির্ভরতার হদ্দমুদ্দ
ইদিকে মানালী, মুসৌরি, দীঘা, লেহ ইত্যাদিতে এমন অজস্র লোক জমা হচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউ ওই এল বলে। ওদিকে আদ্ধেক জায়গায় ভ্যাক্সিনের কোন পাত্তাই নেই।
এটার আবার একটা নামও দিয়েছে। রিভেঞ্জ ট্যুরিজম। এতদিন বেরোতে না পেরে লোকে নাকি রিভেঞ্জ নিতেই বেড়িয়ে পড়ছে।
উইম্বলডন সেমি ফাইনাল, ফাইনাল ফুল হাউস ছিলো। এদের অনেকেই ফুটবলও দেখবে। বাইরে ঘাসের ওপর বিপুল জনসমারোহ, বিগ স্ক্রিনে খেলা দেখছে সব, পিকনিক হচ্ছে। এর আগে ইউরোর অন্য খেলার সময়ই দেখাচ্ছিলো বিভিন্ন দেশে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানো হচ্ছে, দুগ্গাপুজোর মত ভিড়।
এদিকে কেস বাড়ার জন্য যত দোষ শুধু ইন্ডিয়ান আর চাইনিজদের।
তবে পকেটে সর্বদা মাস্ক রাখি। বলা যায় না, কখন কী দরকার হয়। সঙ্গে থাকলে খানিকটা নিশ্চিন্ত, ফট করে বের করে চট করে পরে নিলাম। ঃ-)
টিভিতে এখন দেখাচ্ছে - ইউরো কাপের ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৬০,০০০ দর্শক ঢুকছে (ক্যাপাসিটি ৯০,০০০) - গতকাল ইউকেতে ৩২ হাজার নতুন পজিটিভ কেস রেকর্ড হয়েছে।
কাল ব্রেজিলে রিও তে মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকা ফাইনালে ১০% দর্শককে (৭৮০০) জনকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। গতকাল ব্রেজিলে ৪৮ হাজার নতুন কেস রেজিস্টার্ড হয়েছে, মারা গেছেন ১১৭২ জন। কোপা আমেরিকার সব খেলাই প্রায় দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামে হয়েছে।
গত মাসে, লসএঞ্জলেস ডজার্স এর বেসবল গেমে ৫০,০০০ দর্শক আসেন (ক্যাপাসিটি ৫৬০০০)।
গত এপ্রিলে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এমসিসি গ্রাউন্ডে ৭৮,০০০ দর্শক আসেন অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলের একটি ম্যাচ দেখতে (ক্যাপাসিটি ১০০,০০০)
এ মাসের ২৩ তারিখ থেকে জাপানে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স, এখনও অবধি বলছে কোনো স্টেডিয়ামে ১০০০০ এর বেশি দর্শক ঢুকতে দেবে না, ইন্ডোর ছোট স্টেডিয়ামে ক্যাপাসিটির ৫০% এর বেশি দর্শক নেওয়া হবে না।
এদিক ওদিক খুলছে স্টেডিয়াম, লোকজন আসছে, দেখা যাক কি হয়।
অদূর ভবিষ্যতে যে কী ঘটনচক্র ঘটতে চলেছে সে মনে হয় উপরওয়ালাই জানেন।
স্টেট গুলো ভুলভাল করছে। মাস্ক ম্যান্ডেট টা বেসিকালি পলিটিক্স দিয়ে নির্ধারিত হলে যা হয়। কোন লজিক নেই দুম করে সব তুলে দেওয়ার।
হ্যাঁ, ফোজ্জী। হতেই পারে আরো গোটা পাঁচ
স্যান্ডি, লিংকটা খুলে ভয়ে পালিয়ে এলাম। এরা কী করেছেন?
উদারা, মুদারা, তারা ---এইগুলোই কি বিভিন্ন স্কেল?
হপ্তা দু'তিন আগেই সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমেরিকার কেস বাড়বে মনে হচ্ছিল। এই মাস্ক না পরলেও চলবে, এমন অদ্ভুত নিয়মের পিছনে কারণটা ঠিক কী? পরলে ক্ষতিটা কী? মানে লাভ বই বিশেষ ক্ষতি তো নেই!
এদিকে এই সব খেলা, ইউরো, কোপা, এগুলোর মাঠের দশা দেখেও তো ভয় লাগছে! নাকি সবার RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে মাঠে ঢুকতে দিচ্ছে?
এখানেও দর্শকদের মাস্ক মাস্ট নয়!
এই ফর্মে জোকার কম করেও আরও গোটা পাঁচেক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার ক্ষমতা রাখে।
জোকার জিতেছে আবার।
বিদা, ইহুদি রসিকতা পাক্ষিক।
দেখুন একসময়ে কলকাতা মাঠে রেফারির দিকে নম্র ভাবে হাত জোড় করে এগিয়ে যাওয়া আর একই সাথে রেফারির বাপান্ত করা খুব কমন প্র্যাকটিশ ছিলো।