॥ বেগ পায় লেখার ॥
অক্ষর চেনার এই একটা সমস্যা। থেকে থেকেই লেখা পায়। ঠিক যেমন বেঁচে থাকলেই থেকে থেকে খিদে পায়, তেষ্টা পায়, জল বা মল বিয়োগের বেগ পায়। সুগার বাড়লে যেমন মিষ্টি দেখলেই খেতে মন চায়। তুলসী গাছ দেখলেই যেমন কিছু চারপেয়ের পিছনের এক ঠ্যাং উঠে যায়। এ-ও তেমন।
সেই যে কবে শেলেটে চকখড়ি দিকে আঁকিবুকি শুরু করেছিলি, সেই বদভ্যাস ছাড়তে পারিস না কিছুতেই। কাগজ দেওয়াল বা পাথর, যা-ই পাস তাতেই তোর লেখা চাই কিছু না কিছু। আগে লিখতি পেনসিল কলমে। এখন লিখিস কম্পিউটারের কি-বোর্ডে, ফোনের টাপুটুপু বোতামে বা টাচস্ক্রিনে।
স্বভাবের মতোই অক্ষর যায় না ম'লে। মানুষ মরে গেলেও তার লেখাগুলি থেকে যায়। ছড়িয়ে পড়ে দূরে। কিন্তু তেমন লেখা আর লিখতে পারে ক'জনে! সেই তেমন লেখা হোক বা এলেবেলে, কী লিখছিস জ্ঞান নেই, লিখেই চলেছিস। ইস্কুলের বাথরুমের দেওয়ালে যা লিখেছিলি, সে সব কয়েক বছর পরেই চুনকামে মুছে গেছে। ভাগ্যিস গেছে। নয়তো লজ্জা পেতি আজ।
কিন্তু তার পরেও তো কত কিছু লিখলি। প্রেমপত্তর, চুপিচুপি লেখা কবিতার পর্ব পেরিয়ে অনেকে থামে। সংসার, দফতর বা ব্যবসার হিসেব কষেই কাটিয়ে দেয় বাকি জীবন। কিন্তু অনেকেই ছাইচাপা আগুন। লিখতেই থাকে। লেখা পায় যে। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার হেব্বি রমরমা। চুটিয়ে লিখছিস। যা মনে আসছে, সত্যি মিথ্যে মিশিয়ে। থেকে থেকেই লেখা পায় যে তোদের। যদিও আবেগের চেয়ে বেগই বেশি তাতে। লুজ মোশনের মতো।
এই পর্যন্ত পড়ে বন্ধু লিখেছে মেট্রোজিল খাচ্ছি রোজ তিনটে করে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। ওষুধ বাতলা,যদি বেগ কমে! কারও যদি জানা থাকে... ।
#
✍️ কান্তি (২২-৬-২১, সকাল ৯-৪৫)
বিদ্যেসাগরের পরেই সুভাষ? ইহাও কি কলাবতী মুদ্রা? বাঃ বাঃ ব্রেশ ব্রেশ।
আপনাকে কি সাক্ষাৎ অবতার ভাবব?
ভাচ্চুয়াল যখন তখন দুটোই একসঙ্গে বোধ করতে পারেন। কম্পিত এবং পুলকিত।
রমিত, 'ঢুকিয়ে' দিলটা প্রত্যাহার করবেন। 'ফ্যাদা'-র মতো ওটারও আমি একটি অর্থই জানি এবং সেটি আপত্তিকর। সাইটে রুচিশীল পরিবেশ বজায় রাখুন।
পশ্চিমারা জন্মের আগে থেকে জেন্ডার ভাগ করতে শুরু করে। আমাদের বাচ্চারা লাল নীল হলদে কালো গোলাপী সবুজ বাদামি কমলা জামাকাপড় যথেচ্ছ মনের সুখে পরে বড় হয়ে যায়। আর ওরা জন্মের আগে থেকে গোলাপী আর নীল ভাগ করতে শুরু করে। বাচ্চাদের জন্য ওরম রঙ বেঁধে দেয়া মোট্টে পছন্দ হয় না আমার।
চারচোখো, আমার নামের পরে বাবু/ বিবি লাগানো আমি পছন্দ করি না। কিছু লোকজন আমাকে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে পুরো নামে ডাকেন বা কেউ কেউ মামী বলেও ডাকতো বা ডাকে।আপনাকে যেহেতু চিনি না,কাজেই আমার নাম ম এটুকুই থাক।
আপনার পোস্ট পড়ে আমার ভার্চুয়াল পাড়ায় প্রচুর বাবু এবং সোনা আছে জেনে কম্পিত না পুলকিত বোধ করব বুঝতে পারছি না:-)
হ্যাঁ অভ্যু, খুব গাওয়া হত। এত বেশি অনুপ্রাস, যেন দাশুরায়ের ঘরাণা। এই সুরেই গাওয়া হত।
যথারীতি লেট করে উপস্থিত হয়েছি। খেলা দেখছিইলম। স্পেন 5 গোল ঢুকিয়ে দিল। অবশ্য স্লোভাকিয়া 2 টো গোলের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নেওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে।
অনলাইন ফোরামে সাধারণত ইউজার নেম ধরে ডাকাটাই বিধেয়। জেন্ডার, দা, দি, বাবু যোগ করার দ্ররকার নেই। তবু বাঙালি অভ্য্যা্স বশত হয়ে যায়।
রাধা নাচে অচেনা ধারা
রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা
কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?
কীর্তন মঞ্চ ‘পরে পঞ্চম নর্তকী
কবিতাটিতে প্রতিটা লাইন এক একটা প্যালিনড্রোম! এটি শরৎচন্দ্র পন্ডিতের সৃষ্ঠি
বিষয়: রামপ্রসাদের গান
গান: ১৬১। কালী-কীর্তন
মল্লার - খয়রা
মোহিনী আশা বাসা,ঘোর তমোনাশা বামা কে ?
ঘোর ঘটা, কান্তিছটা, ব্রহ্মকটা ঠেকেছে ॥
রূপসী শিরসি শশী, হরোরসি এলোকেশী,
মুখঝালা, সুধাঢালা, কুলবালা নাচিছে ॥
দ্রুত চলে, আস্য টলে, বাহুবলে দৈত্যদলে,
ডাকে শিবা, কব কীবা, দিবানিশি করেছে ।
ক্ষীণ দীন ভাগ্যহীন, দুষ্টচিত্ত সুকঠিন,
রামপ্রসাদে কালীর বাদে, কী প্রমাদে ঠেকেছে ॥
সূত্র: বাঙালির গান। দুর্গাদাস লাহিড়ি। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। এপ্রিল ২০০১।
অভ্যু, আরেকজনকেও পেয়েছি। সুবল বসু। সুবর্ণ বসুও আছেন। :-)
ইয়েস পালিনড্রোম :)
রঞ্জনদা একটা রামপ্রসাদী শুনুন, আপনাদের মিশনে গাওয়া হত এটা? কি অদ্ভুত সব কথা আর কি অ-রামপ্রসাদী সুর!
https://soundcloud.com/rkmstudentshome/asha-basa
পালিনড্রোম ?
কেকে, হ্যাঁ, দে/ দেম - টা ভালো, আমেরিকায় তো সিগনেচারে জেন্ডার বা কী সম্বোধন প্রেফারড তা স্পেসিফাই করে দেওয়ারও খুব চল দেখি আজকাল।
আতোজ, ওটা তো পুরনো চল, রবিবাবুর কালেও ছিল বোধয়।
:|: , কাল নমস্কার করে ইতি টেনেছিলেন, আমিও আর টানতে আগ্রহী নই। পরিবার টরিবার, আবারও, এই আলোচনায় ওসব রেফারেন্স বিরক্তিকর, তবে, সে নিতান্তই আমার বিরক্তি।
দমুদি, আপনার ক্লায়েন্ট ম্যানেজার মনে হয় বাল্মিকীর 'মড়া মড়া' জপের গল্পটার সাথে পরিচিত, নয়ত ওনার সাবকনসাশ মাইন্ড ওরকম করিয়ে নিয়েছে
রমাকান্ত কামার - কেন বিখ্যাত বল দেখি?
তবে মড়াকান্ত নামটা মানে, ইয়ে :)
মাগী নিয়ে রাগারাগিঃ
"বাজবে রে মহেশের বুকে, নেমে দ্বারা খ্যাপা মাগী-ই-ই" (শ্যামাসঙ্গীত)
" মাগী শোলো বা মাগী শুইল" ( বিদ্যাসাগর, প্রভাবতী সম্ভাষণ)
" শালা থিয়েটারে মাগী নাচাস" (বিবেকানন্দ গিরিশ ঘোষকে)
ওরকম অদ্ভুত কেক কারা যে বানাত, আবার নাম দিয়েছিল বাপুজী!!!! তবে বহু লোক পছন্দ করত। মোড়ের চায়ের দোকানে অনেকে দেখতাম এক ভাঁড় চা আর একটা বাপুজী কেক এই দিয়ে টিফিন সেরে নিতেন।
আজকাল লিঙ্কডিনে এই প্রোনাউন অনেকেই ইউজ করছেন। এই নিয়ে কয়েকদিন আগে একজনের পোস্টে গোলমাল লেগেছিল। পোস্টদাতার বক্তব্য প্রোফাইলে she/her প্রোনাউন ব্যাবহার করে প্রোফাইলমালিক সুবিধা নেওয়ার চেস্টা করছেন।
বাপুজি কেকও খুব ভাল। বরাত ভাল থাকলে মাঝে মাঝে ডেঁয়ো পিঁপড়ের দেহাবশেষ মিলত কেকের মাঝে। এক্সট্রা প্রোটিন খারাপ কিছু না।
ওহ এই ছোটো ছোঢ়দা পড়ে প্রথমে মনে হল ছটতে বলেছে ছোড়দাকে।
যাকগে আজ কি হয়েছে শোনেন। আমার এক সহকর্মী পাতা ফেলে দিয়ে চলে গেছে গত হপ্তায়। এদিকে তার যে পরিবর্ত সে বেচারির ল্যাপটপ এখনো ক্লায়েন্টের কনফিগারেশান অনুযায়ী তৈরী হয় নি। এনক্রিপশান ইত্যাদি হয় নি। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হওয়াতে সিসটেমের লোকেদের ঘরে গিয়ে বডি ফেলে দেবে সেও পারছে না। তো আমি তাকে কভার করছি ক্লায়েন্ট কল ইত্যাদিতে। তা সে ভদ্দরলোকের নাম রমাকান্ত।
এবার বিকেলে আমাদের ক্লায়েন্ট ম্যানেজারের সাথে চ্যাট করছি ওর প্রোজেক্টের আপডেট দেবার পর ক্লায়েন্ট ম্যানেজার দেখি লিখেছে আই সাজেস্ট ইউ কভারা Marakant অ্যানাদার ট্যু উইক্স। আমি তো মরাকান্ত দেখে হো হো করে হেসে ফেলেছি। চ্যাটে উত্তর না পেয়ে সে বলে 'ওকে কলিং ইউ'। কল রিসিভ করেও আমি হেসেই চলেছি মিউট করে। যাই হোক হাই হ্যালো শেষ হবার পরে আবার বলে আমার মতে 'মঢ়াকান্ত_ 'কে আরো কিছুদিন তুমি কভার করো। আমি আবারো হো হো হা হা। তখন একটু থতমত খেয়ে বলে ওহ সরি ম্যারাকান্ত রাইট?
বাপুজি কেকের চেয়েও ভালো স্মৃতি আমার ঘুঁটে বিস্কুটের। কুড়ি পয়সা বা ঐ রকম দাম ছিল।
কেকে, হ্যাঁ ইউসুফদার কেক না খেয়ে কি এমনি এমনি পাশ করে গেলুম? কিন্তু কেকটার নাম সার্কাস ছিল না সিস্টি সার্কাস ছিল তা আর মনে নেই। ইউসুফদা থাকত বোধ হয় শ্যামবাটির দিকে, সাদা পাজামা পড়ত।
ধন্যবাদ, দমুদি!
এতক্ষনে একটু ফুরসৎ পাওয়া গেলো। মামলা তামাদি হয়ে গেলেও তিনটি বা দুটি কথা বলতে ইচ্ছা করছে। প্রথমে কাজের কথা: রঞ্জনবাবুকে এই প্রসঙ্গেও হাইকোর্ট দেখানোর জন্য বাঙ্গাল কুল চূড়ামণি পুরস্কার দেওয়া উচিৎ।
এলেবেলে বাবুকে ধন্যবাদ সম্বোধনটা একটু অন্য ভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন বলে। আর সমবেত সুধী জনতাকেও ধন্যবাদ বিবি বলার আইডিয়াটি সমর্থনের দৃষ্টিতে দেখেননি বলে। বিবি ব্যাপারটি আরো কমপ্লিকেটেড। বাবুতে যদিবা শুধু জেন্ডার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে বিবিতে ম্যারিটাল স্ট্যাটাসের সমস্যাটা ফাউ। তারপর যদ্দুর সম্ভব, স্বামীই সাধারণত বিবি ডেকে থাকেন সুতরাং অনুমতি পেলেও হুতেন্দ্র বাবুর পরিবারকে আমার বিবি সম্বোধন করা উচিৎ না বোধহয়।
এইখানেও বাবু সাফিক্স লাগলাম বলে কবি আশাকরি ক্রুদ্ধ হবেননা কারণ যদ্দুর বুঝেছি সক্কলকে একই সম্বোধন করা হবে কি না বা অন্যদের ভালো না লাগাটা নিয়েই তাঁর কমেন্ট। ওনাকে বলা হবে কি না তাই নিয়ে কিছু বলেন্নাই। কবি মানুষ -- নিজের থেকে অন্যদের নিয়ে তাঁর ভাবনা বেশী। স্বাভাবিক।
এবং সব শেষে, এই মুহূর্তে, আমি চতুরানন চতুর্মাত্রিক ফুটিচার কোলনদাঁড়িকোলন কিছুই না। আমাদের প্রফেট বলেছেন সকালে তকাই বিকালে আলুনারকেল এবং কখনও বিস্কুট হওয়া জায়েজ। তাই আমি এখন স্বাতী। দ বাবু লিখেছেন একমাত্র স্বাতী ওনাকে এমন সম্বোধন করলে আপত্তি নাই। ভালোবাসার কাজের জন্য মানুষ কত কিই করে আর সে তুলনায় স্বাতী হওয়া এমন কি! আফ্টার অল জগতটার অস্তিত্ব তো শুধুমাত্র দুটি ব্যাপারে -- নাম আর রূপ। আমার প্রশ্ন, শুধু যাকে সম্বোধন করা হচ্ছে তার কথাই শেষ কথা? যিনি করছেন তাঁর আবেগের কোনোই দাম নাই? তাঁর আবেগকে এইটুকু সম্মান দেওয়া কি খুবই কঠিন?
যাগ্গে, যেটি বুঝলুম ছোটবেলাটা অনেকেই বেমালুম ভুলে গেছেন। "বাবু হয়ে বোসো তো সোনা" শুনেই এখন জেন্ডার, বক্তার নিজেকে গৌরব দানের ইচ্ছা (অর্থাৎ অহংকারের প্রকাশ), ইত্যাদি দেখতে পাওয়াটাই বেশী সহজ। দুঃখের, কিন্তু কি আর করা!
তবু কেউ কেউ আছেন ম বাবুদের মতো, যাঁরা ভাচ্চুয়াল এবং রিয়েল দুই প্রকারের পাড়াতেই বিপুল সংখ্যক বাবু এবং সোনা নিয়ে আনন্দেই রয়েছেন।
আজকের মতো সকল প্রকার পার্সপেক্টিভ ধারীকেই টুরু লাব জানিয়ে এখন চললুম। নমস্কার।
সম্বোধন অতি জটিল, কাকিমা মাসিমা মামা জেঠু কাকু মেসো পিসেমশাই বৌঠান ঠানদি --হরেন্ডাস ব্যাপার মশাই।সেইজন্যে আমি চিরকাল খাপ পেতে ছিলুম কী করে এর একটা সমাধান পাই। তো, একবার জীবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ টিভিতে এক ইন্টারভ্যু দেখি। সাক্ষাৎকার যিনি নিচ্ছেন সাংবাদিক বলছেন, "নীলাঞ্জনা, আপনি " আবার আরেকজনকে "বিশাখ, আপনি" আবার আরেকজনকে, "পুনর্বসু, আপনি" --তো এটা খুব মনে ধরল। এই ফার্স্ট নেম ধরে ডেকে আপনি বলা। এক্কেবারে ঝক্কাস। :-)
হুতো,
এখানে কিন্তু আমি অনেককে দেখেছি এরকম ক্ষেত্রে 'দে' প্রোনাউন ইউজ করেন। এটা তো এখন চালু হয়ে গেছে, একবচন হলেও জেন্ডার নিরপেক্ষতা বোঝাতে 'দে' বা 'দেম', 'দেয়ার' এগুলো বলা। সেটা আমার খুব ভালো লাগে।
দমুদি,
না দুঃখ পাইনি তো। বরং 'কেকেমণি' নাম লাভ হলো বলে ভারী খুশি হয়েছি।
বাপুজি কেকের কথায় মনে পড়লো, আমরা হস্টেল বেলায় খেতাম ইউসুফদার 'সার্কাস কেক'। কী ভালোই লাগতো। স্যান্ডি খেয়েছিলে?
আচ্ছা, ঐ ছোট ছোড়দাকে কেউ 'ছোট ছোট দাদা' বললে ভুল হতো কি? তাই ভাবছি!
তিন ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও ২০:২৬ বেকসুর খালাস পেয়ে রইলেন। ইয়ে অ্যানোনিমিটি কি অ্যায়সি কি ত্যাইসি।