উফ্ অটোকারেক্ট।
নরা:
এটা কি নর নরৌ মরা: স্টাইলে মুখস্হ করব?
মিমাঃ, সমস্কিত টাচ থাকবে।
যে যে দিন মিঠুদি গম্ভীর হয়, সে সে দিন সর্বত্র নীরবতা বিরাজ করে:-)
পাবলিক স্পেসে খিস্তিশব্দ ব্যবহার করতে গেলে, একা করা যাবে না। তখন সাথে আরো 'জন' লাগবে।
আর এই বিশেষ শব্দের ক্ষেত্রে, মার্গিতব্যঃ, তার আদি অর্থটিও তো ব্যক্তিগত ভাব প্রকাশক, কামনা, চাওয়া ইত্যাদি। তো সেই প্রাইভেট ভাব পাবলিকভাবে প্রকাশ তো করা যায় না, অন্তত পুরোপুরি যায় না।ফলে স্বাভাবিক, নাম ধরে ডাকা অথবা নাম উহ্য রেখে।
আর নবারুণের খিস্তি ব্যবহার প্রব্লেম্যাটিক তো বটেই, স্লিপারি। ফ্যাতাড়ুচেতনা না থাকলে খিস্তিচেতনার মানে নেই। প্রথমটি ভুলে গিয়ে দ্বিতীয়টির দিকে ঝুঁকে পড়লে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, বা নিতান্ত ফর্ম্যালিজম হবে !!
আর ফ্যাতাড়ুচেতনা কারই বা !
আগের মন্তব্যটি নেহাৎ লেগপুলিং। সরি চেয়ে নিচ্ছি৷
বাবাইয়ের জায়গায় মিমা করলে সিএস কি অল্প খুশি হতেন?
কেন? বাবু+বিবি=বাবাই। নট সেক্সিস্ট (ইটস ইউনিসেক্স)নট এইজিস্ট, নট রেসিস্ট। ত্রিভঙ্গমুরারী হয়ে ত্রিভূজের সব কোণকে স্পর্শ করছে :) নিরীহ নাহয় নাই হল।
বাই দ্য ওয়ে, বাবাই তত নিরীহ শব্দ নেই কালক্রমে।
খুবই ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা।
কিন্তু খিস্তিখেউড় বা অপশব্দ, তার আইডিয়াটা তো জনসমক্ষে বলা যায় বা উচিত কিনা, সেখানেই আবদ্ধ নয়? প্রাইভেট স্পেসে আপনি যৌনক্রিয়াকে কী নামে ডাকলেন, তা দিয়ে কীই বা এসে যায়, বা যৌনসাথীকে কী সম্বোধন করলেন! প্রাইভেট স্পেস তো সম্পূর্ণ ভিন্ন জগৎ। সেখানে নানা রকম ফ্যান্টাসি থাকতে পারে, না ও পারে। আমরা তো পাবলিক স্পেস নিয়েই কথা বলছি।
প্রাইভেট স্পেসও যে ক্ষমতাবিরহিত, তা নয়। কিন্তু সেটা জটিলতর হবে মনে হয়।
এহ, কত গম্ভীর তর্ক বিতর্ক হলো, মিঠুদির খালি হাসাহাসি।
সৈকত, দুজনে কানে কানে একে অন্যকে মি* মা* এসব বলছে? কল্পনা করে ভয় পেয়ে গেলাম:-)
হুতো:-)))) সকালে উঠে ভাট দেখে কুটোপাটি হলাম। দিদি বিয়ের পর দ্বিরাগমনে এসেছে।আমাদের বাড়িতে নিরামিষ তরকারি/ পাঁচ তরকারি একটা খুব প্রিয় পদ।মাছ মাংসের সঙ্গে সেটাও হয়েছে।সবাই খেতে বসেছে, তরকারিটা নতুন জামাইয়ের খুব ভালো লেগেছে।বাটি চেটেপুটে শেষ। জেঠু জিজ্ঞেস করেছে, কী?এই তরকারিটা কেমন হয়েছে? জামাতার উত্তর,লা*ড়াটা? খুব ভালো হয়েছ বাবা।
সবকিছুকে আপনারা ক্যানোনিক্যাল করে তোলেন।
মনোগ্রাফটির নাম চলিত ভাষায় "খিস্তি নিয়ে ভুটভাট" দিলেই হয়।
'খিস্তির ঐতিহাসিক ব্যুৎপত্তিগত উৎপ্রেক্ষা, যে কোনো পরিচয়বর্গীয় / লৈঙ্গিক সংবেদনশীলতা ও সামাজিক গণমনস্তত্বের সামুহিক অবচেতনে স্থিতিজাড্যের গতিময় দার্ঢ্য, একটি নেতি আপেক্ষিক আপাতঃ দ্বান্দ্বিক কূট'
ঐ/সিএস/রঞ্জন বাবাইরা শুরু করুন।
'জনসমক্ষে' শব্দটি এনে আরো জটিল করে তুলছেন !
আমি মনে করি না যে মাগি - মিনসে শুধুই খিস্তি, এক যুগল নারী - পুরুষ তাদের প্রবল ব্যক্তিগত মুহূর্তে শব্দগুলো ব্যবহার করতেই পারে।
অথবা, পুরোন বাংলা লেখায় তো থাকতই, "মিনসের ঢং দেখে আর বাঁচি না গা", টাইপের ডায়লগ। সেখানে আদ্যন্ত গালাগালি হিসেবে শব্দটি ব্যবহার হচ্ছে না।
লোকাল ট্রেনের কামরাতেও, দুটি মানুষের মধ্যে সেরকম সম্পর্ক থাকলে, তারা দু'জনের কানে কানেও ঐ কথাগুলি বলতেও পারে।
হ্যাঁ, পাঁচজন লোকের সামনে বলা যায় না। তখন আর কি, ভদ্রলোকেরা যেভাবে কথা বলে, সে ভাবে বলা হবে - এখানে এসে বসুন / বোস, ইত্যাদি, সম্বোধন উহ্য রেখে। কারণ এখানে দু'জনের ঐ শব্দদুটি ব্যবহারে আপত্তি না থাকলেও, সেগুলো তাদের জন্য নিতান্তই ব্যক্তিগত শব্দ।
অন্য লোকের সামনে বলা হবেই বা কেন ?
তাহলে কি অপশব্দ, খারাপ শব্দ ইত্যাদি সমাজ প্রচলিত অর্থ থেকে সরে গিয়ে কখনও নিতান্ত ব্যক্তিগত হয়ে যেতে পারে, এরকম কিছু বলছি ?
মনোগ্রাফ প্রসঙ্গে টিপ্পনী, সংবেদনশীলতা কেবল লৈঙ্গিক হবে কেন, যে কোনো পরিচয়ভিত্তিক হতে পারে। ফলে নামটা আরেকবার খতিয়ে দেখতে পারেন।
অর্থবদল খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রচলিত কিছু সামাজিক বিধি থাকে, যা অধকাংশ লোক মেনে থাকে। আমার যেখানে খটকা, তা হল কোন ধরনের শব্দ জনসমক্ষে, ধরা যাক লোকাল ট্রেনের ভর্তি কামরায় ব্যবহার করা ঠিক। কোনও পরিচিত মহিলা, যিনি মার্গিতব্য প্রসঙ্গ জানেন, তাঁঁকে কি বলা চলে, মাগি এখানে সিট খালি হবে! নিশ্চয়ই খুব হাংরি না হলে বলা হবে না। বা গণপিটুনি সম্পর্কিত ম্যাসোকিস্ট প্লেজারপন্থী না হলে! সেখানে কী ব্যবহার্য, সেইটা আমার প্রশ্ন। আর খুবই ভীরু মন্তব্য, নবারুণের খিস্তি মিসপ্লেসড হয়েছে, বা হয়ে পড়ছে।
'খিস্তির ঐতিহাসিক ব্যুৎপত্তিগত উৎপ্রেক্ষা, লৈঙ্গিক সংবেদশীলতা ও সামাজিক গণমনস্তত্বের সামুহিক অবচেতনে স্থিতিজাড্যের গতিময় দার্ঢ্য, একটি আপেক্ষিক দ্বান্দ্বিক কূট' এই শিরোনামে ৫০০০ শব্দের একটি মনোগ্রাফ আশা করতে পারি নিশ্চয়ই?
এ মানে খুবই জটিল ব্যাপার, খিস্তিপ্রসঙ্গ, সামাজিক চিন্তাভাবনার সাথে যুক্ত যেহেতু।
যেমন ধরুন মাগি কথাটিই। আদি অর্থটি খুঁজলে তো অর্থ দাঁড়ায়, যাকে চাওয়া হচ্ছে বা যাকে কামনা করা হচ্ছে, সংস্কৃত মার্গতব্য: বা ঐ রকম কোন শব্দ থেকে। আদি অর্থটি যথেষ্ট benign, কাব্যিকও কিন্তু সেই যুক্তি দিয়ে এখন মাগি কথাটি ব্যবহার করলে উল্টে খিস্তি খেয়ে যেতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাহলে ব্যুৎপত্তি না খুঁজে এখন কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা দেখাই তো যুক্তিযুক্ত।
কিন্তু অন্যদিকে দেখুন, মাগি যাকে বলা হচ্ছে সে সামাজিক নিয়মগুলি transgress করছে, সে "শুদ্ধ" সামাজিক চেতনাকে অনুসরণ না করে, "ভাল" মেয়েদের মতো ব্যবহার না করে, তার শরীরকেই গুরুত্ব দিচ্ছে অথবা সমাজের "কথা" না শুনে তার ইচ্ছেমত জীবন কাটাচ্ছে। ফলে মাগি যাকে বলা হচ্ছে, ক্রাইসিসটা আসলে তার নয়, বরং সেটা সমাজের বা সমাজের ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর অথবা ভদ্রলোকদের এবং তারাই একটি মেয়েকে ঐ শব্দ ব্যবহার করে খারাপ বা বদমাইশ বলে দাগিয়ে দিচ্ছে। এটা তো জানা কথাই, খিস্তি শুনে কানে হাত চাপা দেওয়া হয় কারণ ভদ্রলোকদের ধ্যানধারণা ক্ষুণ্ণ হয়।
এর পরের ধাপে, ধরা যাক কোন লেখায়, হয়ত নবারুণের লেখায় বেগম জনসনকে মাগি বলা হল। হয়েছিল কিনা মনে নেই, হয়ত হয়েছিল, কিন্তু যদি হয়ে থাকে তাহলে মাগি শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে চরিত্রটির শয়্তানিকে দেখানোর জন্য যেখানে আগের অর্থগুলো, আদি বা ভদ্রলোকীয় অথবা শরীরকেন্দ্রিক ও স্বেচ্ছাচারী, কোনোটাই প্রধান নয়।
শব্দের অর্থ তো বদলে বদলে যাচ্ছে !
কোনও খিস্তিই ব্যুৎপত্তিহীন নয়। কোনও শব্দ, যার অর্থ আছে, তা ব্যুতপত্তিহীন নয়। আমাদের অভ্যাসের, চিন্তার ও প্রয়োগাভ্যাসে আমরা সরলচিত্ত হয়ে তেমন ভাবতে পারি। বাগদীর ব্যাটা কি গালাগাল? কেউ কি সত্যিই তার বাপ মাকে বাগদি ভাবছে কিনা তা আলোচ্য হতে পারে না। বাগদীর ব্যাটা একটি জাত তুলে গালাগালসূচক শব্দবন্ধ। যাঁকে বলা হচ্ছে, তিনি তেমন না ভাবলেও।
নু কারান্ত যেকোনো নাম খতরনাক। ইউনিভার্সিটিতে আমাদের এক ক্লাস উঁচুতে পড়া শান্তনু পাল সেটা টের পেত। জুনিয়রেরা শ্রদ্ধা ভরে **দা বলে ডাকতো। সবচেয়ে কেলো হয়েছিলো এক বন্ধু বাড়িতে ফোন করে "কাকু, ** আছে?" এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করায়।
সব প্রচলিত খিস্তিই ব্যুৎপত্তিরহিত। পার্ট অফ এক্সপ্রেশন। শালা বলার সময় কেউ মাথার মধ্যে "তোর বোনকে চুদি" ভেবে বলে না। বাল বলার সময় কেউ সামনের লোকটিকে ঝাঁটের একটি কোঁকড়ানো চুলের মতো দেখতে ভেবে নেয় না। কোন খিস্তি শুনে রেগে উঠব এবং কেন রেগে উঠব - সেই রাজনীতির অংশ হল এই ব্যুৎপত্তিসন্ধান ও সেই নিয়ে সন্দর্ভরচনা। বহুব্যবহার্য সব খিস্তির ক্ষেত্রেই এটা সত্যি। এবার কেউ কি বিশেষ কাউকে লক্ষ্য করে বিশেষ অর্থে গালি দেওয়ার জন্যে সিলেক্টেড ফ্রেজ অফ এক্সপ্রেশন ব্যবহার করে না? নিশ্চয়ই করে। সেটাও সাহিত্যে এলে সেই বিশেষ চরিত্রের বা তার আর্থসামাজিক অবস্থানের মানসিকতার সেই বিশেষ দিকটি ফুটিয়ে তোলার জন্যেই আসবে।
খিস্তিকে কি ব্যুৎপত্তিরহিত ভাবে দেখার কথা বলছেন?
ঐ লিখেছেন দেখলাম, যে নবারুণের লেখায় খিস্তির ব্যবহার প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে শক্ত করছে কিনা ?
উল্টোদিকে বলা যায়, খিস্তির ব্যুৎপত্তি খুঁজে, নবারুণের প্রতিবাদী চেতনাকে খর্ব করা হচ্ছে কিনা, অথবা ভদ্রলোকীয় চেতনাকে তোল্লাই দেওয়া হচ্ছে কিনা।
আর, নবারুণের লেখায় গালিগুলো নবারুণের কেন ? চরিত্রগুলো খিস্তি দিচ্ছে তো। এবার সেই সব চরিত্রদের লিঙ্গচেতনা না থাকলে তারা কীভাবে প্রতিবাদী চেতনা আয়ত্ত করবে, সে তর্ক হতে পারে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে, নবারুণ ঠিক কী করতে চাইছেন। লেখায় খিস্তিগুলোকে আলাদা করে দেখলে হবে ?
না দেখুন, খিস্তিতেও কিন্তু লিঙ্গসাম্য আছে। যেমন ধরুন, মিনসে - মাগী, দুটোই গালি বটে কিন্তু গালি কারণ, দুটোতেই শরীরের প্রাধান্য বেশী। মাগী যাকে বলা হচ্ছে, সে শরীরকে ব্যবহার করে বেশী, সেটাই বলা হচ্ছে। মিনসে শব্দের মধ্যেও সেটি, লোকটির আর কিছুই নেই, মন নেই, ভাব নেই, শুধু শরীর আছে। তারপর আর তাও থাকছে না, এই দুটি শব্দ ব্যবহারের মানে হল, উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটির কিছুই নেই, একটি অ-মানুষ।
আবার ধরুন মাগী - ভেড়ুয়া। একটি বই পড়ছিলাম এখন, একটি পুরুষ চরিত্র দাঁতে দাঁত চিপে একটি মহিলার কানে bitch বলছে, মহিলাটিও উল্টে লোকটিকে cuckold বলছে। মহিলাটিকে bitch / মাগী বলে শরীরকেন্দ্রিক অপদস্থ করলে, মহিলাটিও সেই শরীর নিয়েই লোকটিকে অপদস্থ করছে cuckold / ভেড়ুয়া বলে।
তারপর, এও মনে হল, ব্যুৎপত্তি দেখে গালি দিতে গেলে মাগী বা রেন্ডি / রাঁড় কিন্তু মেনে নিতে হবে। কারণ আদিতে শব্দদুটোর অর্থ কিন্তু নিরামিষ ছিল।
আর ডিসি ঠিক বলেছেন। পানুর জগত অন্য জগত। মাঝে মাঝে মনে হয়, বাংলা 'সাহিত্যে' পর্নোগ্রাফি এলে লেখালেখি কিঞ্চিত প্রাণবন্ত হতো, শুধু অমৃতের খোঁজে না ঘুরে, গরলই হয়ত প্রকৃত পানীয়তে পৌছন যেত।
ডিসি স্যার, গানটা কই?
একটু শুইন্যা ধইন্য হই।।
কিন্তু হায়, আজ অবধি আমাকে কেউ সনজু বা সুনু বলে ডাকলো না :-(