রঞ্জনদা, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তাহলে বোধায় দালাল সিনেমার গানটা দেখেছিল। সেজন্যই বলেছিল অসংসদীয় শব্দ বলা যায় না।
টই তুলে দেওয়া হয়েছে। নবারুণের ব্যপারটা ওখানে হলেই ভালো হয়।
হ্যাঁ এরকম কত্ত আছে। রঙ্গনের সাথে আমার প্রথমে কথা হত আপনি আপনি করে। কী যেন একটা কঠিন সম্বোধনও করতাম। তারপর একদিন আমরা স্ট্রেট তুই তোকারিতে চলে যাই। তারও অনেকদিন পরে আমাদের মুখোমুখী দেখা সাক্ষাৎ হয়। ইন্দ্রাণীর সাথেও এরকমই তুমি ছিল প্রথমে, পরে তুই তোকারির শুরু হয়।
হয়ত অনেকের মনে আছে কয়েক দশক আগে ঢাকার সংসদে বিশাল ঝগড়া হয় জনৈক সাংসদের বিপক্ষকে "বেশি চুদুর-বুদুর কইরেন না' বলায়। মামলা সুপ্রীম কোর্ট অব্দি গড়ায়। কোর্ট রায় দেয় ঃ যদিও 'চুদুর-বুদুর' যুগ্ম শব্দটি অভিধানে নেই, কিন্তু একে অসংসদীয় শব্দ বলা যায় না। সেদিন থেকে আমি বাংলাদেশের সুপ্রীম কোরটের ভক্ত।
বিপ্লব রহমান কী বলেন?
এবার একটু ঐকারের কথা মেনে নবারুণের গালিতে জেন্ডার বায়াস নিয়ে আলোচনা হোক না! যোগ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসুন। আমি শুনে ঋদ্ধ হব।
ক্যাপ্টেন হ্যাডকের গালিগুলো বেশিরভাগই জেন্ডার ভায়োলেট না করা। আবার হিন্দিতেও দুই একটা আছে যেমন গন্ধি নালি কে কিড়ে
কী যে হইতে আসে? যত আজাইরা তর্ক, বাতাসের গলায় দড়ি দিয়া কাইজ্যা!
আপনেরা বুড়া মাইনষের কথাডা শোনেন।
১ সম্বোধনের কোন সর্বমান্য নিয়ম হতে পারেনা। যা হয় তা ব্যবহারে সিদ্ধ হয়।
২ যে দুজন ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে তারা নিজেদের কীভাবে সম্বোধন করবে সেটা তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া/স্বীকৃতির ব্যাপার; অনেকটা দম্পতির মত।
৩ আপনি আমাকে প্রিয়তম/প্রিয়তমা বললে আমি রাগ করব। কিন্তু বিশেষ কেউ আবে রঞ্জন, ইঁহা ক্যা মারওয়ানে আয়া হ্যায়? বললে আহ্লাদে গলে উত্তর দেব-- বিল্কুল দোস্ত, পর তেরে সাথ নহীঁ। সব নির্ভর করছে কে কাকে কী বলছে? হানু আমাকে টেকো বুড়ো বললে খুব খুশি হই। এবং গুরুতে যে কেউ বললে কিস্যু মনে করব না। কিন্তু পাড়ার কোন ছোঁড়া বললে বলব-বাড়িতে এই শিক্ষে পেয়েছ? দমু অভ্যু এদের উদাহরণ দেখুন। পুরনোরা দমু বললে দময়ন্তী কিছু মনে করেননা। কিন্তু "দয়মন্তী" বললে বেজায় চটে যান। সেটা তাঁর অধিকার। এইটে বুঝতে হবে।
কী খাড়াইল? যাকে ইচ্ছে বাবু বা বিবি বলুন। কিন্তু উদ্দিষ্ট ব্যক্তি যদি সম্বোধনটি অপচ্ছন্দ করেন তাহলে সঙ্গে সংগে সেটা মেনে নেওয়া উচিত।
আমাকে এক মহিলা প্রথমে রণজু এবং পরে রুণু বলে ডাকায় কিছু মনে করিনি।কিন্তু একদিন মুখ ফসকে নুনু বলায় বেজায় রেগে গিয়েছিলাম।
এইটা চোদনামি হল।
এই চোদনামি শব্দে জেন্ডার ভায়োলেশন কোথায়?
"জেন্ডার ভায়োলেট না করা খিস্তি " হল পাঁঠার চিকেন ভর্তা।
যা বুঝলাম বাঙালি সম্বোধনের দুইখান হিডেন প্রিন্সিপাল কম্পোনেন্ট আছে (1) লিঙ্গ, (2) বয়স।
র২্হ, বুঝেছি। তবে পানুর ভাষা অন্য এক জগত। ওই ভাষাটার জন্যই পড়তে আরও মজা লাগতো।
ডিসি, না, ওইটাও, পানুবৃত্তের ভাষাজ্ঞান সমৃদ্ধ হওয়ার পর শুনে খুবই অস্বস্তি হতো, কিন্তু ভাষার বিচিত্র চলন আর সব জ্ঞান সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে গেলে বিপদের সম্ভাবনা, তাই নিরুপায়!
" ক্যান চতুরাননকে সব্বার লিঙ্গপরিচয় সম্পর্কে সম্যক জানকারি থাকতে হবে?"
না থাকতে হবে না। কিন্তু কেউ সেটায় আপত্তি করে অন্য কিছু চাইলে সেটাকে সম্মান করতে হবে। যেমন আমি যদি বলি আমাকে শুধুই বলুন প্লীজ বাবু বিবি বাদ দিয়ে তাহলে সেটা কেউ মানবে সেটা প্রত্যাশা। ডিসি যখন প্রথম লিখতে শুরু করেন শুধু d নামে লিখতে শুধু করেন। তখন আমিও ওটা লিখতাম বলে ওঁকে অনুরোধ করি সঙ্গে আর কোনও একটা অক্ষর জুড়ে নিতে এ বি সি যা খুশী। উনি তৎক্ষণাৎ মেনে নিয়ে ডিসি নামে লিখতে শুরু করেন।
এই সংকলনটায় মূলত প্রণতি (নবারুণের স্ত্রী নন) ছিল। আমার ভুলও হতে পারে। নবারুণের জেন্ডার ভায়োলেটিভ খিস্তি কেন জরুরি বা কেন মিসফায়ার তথা জেন্ডার প্রেক্ষিত থেকে প্রতিক্রিয়ার রাজনীতির হাত শক্ত করে তুলতে পারে বা পারে না, সে নিয়ে এই সংকলনে খুব পর্যাপ্ত আলোচনা ছিল না বলেই মনে পড়ে।
আচ্ছা জানিয়ে রাখি যে আমার খিস্তিতেও আপত্তি নেই, পানুতেও আপত্তি নেই :-) তবে ছোটবেলায় আমরা বন্ধুরা মিলে গোল হয়ে বসে পানু পড়তাম, সেসব কথা মনে পড়লে এখনও মন ভালো হয়ে যায়।
আর ফ্যাদা প্রসঙ্গে, র২্হ এর বোধায় কোথাও কনফিউশান হচ্ছে। ওটা ওঠে না, ফেলে। মুখে ফ্যানা ওঠে :-)
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=15651
নবারুণ নিয়ে আলোচনা করার সকলের প্রতি সিনির্বন্ধ অনুরোধ আপনার কাছে অফেন্সিভ মনে হলে আমি আন্তরিক ভাবে 'সরি চাইছি'।
মামু পিলিজ এলেবেলেবাবুর এট্টা চটি ছাপিয়ে দাও। গুরুর পাতায় প্রতিদিন ওনার এত ফ্রাস্টু নেওয়া যাচ্ছে না।
আজ খিস্তি ও ইতর-ভদ্র নিয়ে আলোচনার সুদিন। আজ কিনা নবারুণের জন্মদিন। নবারুণের খিস্তিতে স্পষ্ট জেন্ডার অবমাননা থাকত। এই নিয়ে আপনাদের কী মনে হয় জানতে আগ্রহী। আপনাদের অনেকেই সুপাঠক, নবারুণ ভট্টাচার্য কারও কারও ব্যক্তিগত পরিচিতও ছিলেন। একটু এই ব্যাপারে কথা হলে, বিশেষত প্রসঙ্গ যখন উঠেই পড়েছে, বিভিন্ন মত জানা যেত।
'নবারুণারী'তে কিছুটা হয়েছিল কি?
ঠ্যালায় পড়ে! প্রচুর মার মুখ বুঁজে হজম করেছি কিনা!! এখন বুঝে গেছি অফেন্স ইজ দ্য...
কী মুশকিল! নবারুণ নিয়ে আলোচনা হলে পলাশী নিয়ে হবে না, এরকম কোথায় বলা হল? দুইই হতে পারে। আবার আপনি যেরকম বললেন, সেই আলোকেও আলোচনা হতে পারে। আপনি এরকম মারমুখী হয়ে থাকেন কেন সদা?
যাক হুতো আপনার সম্যক জানকারির জন্য ধন্যবাদ। বাংলা ভাষাটা খুব সহজ কিছু নয়। কাজেই খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি। খুব ভালো করে জানি কোনটা গালি আর কোনটা নয়। কিন্তু আপনার [মানে আপনি নন] মূর্খতা আমার ওপর চাপিয়ে দিয়ে মর্যাল গার্জেনগিরি ফলালে প্রচণ্ড বিরক্ত লাগে।
কিছুই হতে হবে না। আমার হাতে নাই ভুবনের ভার। তাই বলে আপত্তি কি করবো না আমি? করবো না আমি আপত্তি? আপত্তি করতে এসেছিলাম, আপত্তি করা হয়ে গেছে, চলে যাচ্ছি।
সে আজকের দিনে পলাশির যুদ্ধও হয়েছিল। নবারুণ তার বাই-প্রোডাক্ট মাত্র। সেটা নিয়ে দু কথা হবে না?
আরে না, কী মুশকিল, পানুতে শব্দটা পড়েছি শুধু। মুখে ফ্যাদা ওঠা শব্দটা আমার মাতুলালয়ে বকবক করে ক্লান্ত অর্থে ব্যবহার হয়। ওই প্রয়োগটাও আমি জানি।
আমার খিস্তিতে সমস্যা নেই। ডিসিজনাবকে বহু আগে বলেছি। সমস্যা আছে সেটা নিয়ে কাঁটা বেছে খাওয়ার মানসিকতায়। যা বোঝেন না সেই নিয়ে ফালতু বাকতেল্লা মারেন ক্যান? ক্যান আমি খ-এর দুটো নিককে দুজন আলাদা মানুষ ভাবতে পারব না। ক্যান চতুরাননকে সব্বার লিঙ্গপরিচয় সম্পর্কে সম্যক জানকারি থাকতে হবে?
আজ খিস্তি ও ইতর-ভদ্র নিয়ে আলোচনার সুদিন। আজ কিনা নবারুণের জন্মদিন। নবারুণের খিস্তিতে স্পষ্ট জেন্ডার অবমাননা থাকত। এই নিয়ে আপনাদের কী মনে হয় জানতে আগ্রহী। আপনাদের অনেকেই সুপাঠক, নবারুণ ভট্টাচার্য কারও কারও ব্যক্তিগত পরিচিতও ছিলেন। একটু এই ব্যাপারে কথা হলে, বিশেষত প্রসঙ্গ যখন উঠেই পড়েছে, বিভিন্ন মত জানা যেত।
যেটা আপনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিচ্ছেন!!! ইশশশশশ।
এ লোকটার খিস্তিতে সমস্যা খিল্লিতেও সমস্যা। এ চায় মনোযোগ। অখন্ড মন্ডলাকার মনোযোগ।
বেশ। তাইলে শুধু এটুকু বললেই হবে পানুতে পড়েছেন যে মুখ দিয়ে ওই বস্তুটা ওঠে বা কেউ ওঠাতে সক্ষম।
যখন পড়েছি তখন তো পিডিএফ আবিষ্কার হয়নি। এখন চাইলে খুঁজতে হবে। এত সময় কই?