রবীন্দ্রনাথের একটা অসাধারণ ছোটোগল্পও আছে না "চিত্রকর" নামে? সেই যে একটা বাচ্চা ছেলে ছবি আঁকত, ওর অভিভাবক বাধা দিতেন, পড়াশুনো ছেড়ে ওসব করতে বারণ করতেন। ছেলেটির মা গোপণে ছেলেটিকে আঁকতে উৎসাহ দিতেন। তারপরে একদিন এক শিল্পীর কাছে ছেলেকে দিয়ে এলেন মা?
অভ্যু, অনেক ধন্যবাদ। চিত্রকর নামিয়ে নিলাম।
হ্যাঁ চতুর্মাত্রিক, মনে হয় দ্বারকাও ওরকমই, সমুদ্র সরে গিয়ে জায়্গা হল, হল্যান্ডের মতন একটা ব্যাপার। ধীবরদের স্বর্গরাজ্য বলা যায়। নৌকা নিয়ে বের হও, সমুদ্রে যাও, সানন্দে মাছ ধরো, বোঝাই করে ফেরো। ঃ-)
হস্তিনাপুরও সেরকমই। নইলে রাজা মশাই এক ধীবরকন্যার পেছন পেছন যান? তারপরে কত ঝঞ্ঝাট-ঝামেলা করেই না তাঁকে রাণী করলেন!
খেয়াল করে দেখুন, লঙ্কাপুরীর যা বর্ণনা পাই, সে কিন্তু এইসবের তুলনায় খুব আলাদা। দুর্গ টুর্গ ছিল সেখানে। আর বিল্ডিংগুলোও সম্ভবতঃ একেবারে পরপর, ঘন নগরশ্রী যাকে বলে (নাহলে হনুমানের লঙ্কাদহন অমন দ্রুত হত না, অশোকবনে কিন্তু আগুন ছড়ায় নি সেভাবে, ওদিকটা বোধহয় পুরোটাই বাগান ছিল)। ওই নগরী নির্ঘাৎ হরপ্পানদের কাজ। আর্যরা ওরকম শহর বানাত না। ওরা ময়দানব ইত্যাদিদের নিয়োগ দিয়ে বড়োজোর কয়েকটা ভব্ন তৈরী করিয়ে নিত মনে হয়।
এবংঅথবা বাবু মিথিলা মনে হয় সত্যিই গ্রাম ছিলো। নইলে রাজা হাল চাষ করতে যান? ওই করতে গিয়েই তো মেয়েটাকে পেলেন। সেই মেয়ের আবার বিয়ে হলো, আপনি যেমন লিখেছেন, অযোধ্যার যোদ্ধার সঙ্গে। মথুরা তো বৃন্দাবনের মতোই। উনিশ আর বিশ। বৃন্দাবনে তো গরুটরু চরাতো। হয় তো তাচ্চেয়ে উন্নত। তাই বলে হরপ্পার মতো কখনোই না। বাকী গুলোর ক্ষেত্রেও এই রকম করে বলা যায় কিন্তু কুঁড়েমি লাগছে যে!
ওনার চিত্রকর একটি অসাধারণ বই, এখানে পাবেন https://archive.org/search.php?query=creator%3A%22Mukhopadhyay%2C+Binodbihari%22
বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়। শিল্পীর নাম।
Ranjan Roy | ২১ জুন ২০২১ ০০:০১
রঞ্জনদা, এই সাইট থেকে আরামসে গান ডাউনলোড করা যায়। যেটা আরেকটা সুবিধে।
আরও ব্যাপার আছে। "দেখি নাই ফিরে" প্রকাশিত হবার পরে অনেক বেশি লোক রামকিঙ্কর সম্পর্কে জানতে পারেন, আগে অতজন জানতেন না। তেমনি সত্যজিৎ রায়ের ঐ বিখ্যাত সিনেমাটা, দৃষ্টিহীন এক শিল্পীকে নিয়ে, ওটা বেরোবার পরে অনেক লোক জানতে পারেন ওই শিল্পী সম্পর্কে।
হ্যাঁ স্যান্ডি সেটাই বলতে চাইলাম। পথ চলতি মানুষ যাঁদের নাম শুনেছেন তাঁরা ওই কয়েকজনই।
যেখানে কমপ্লিট লিস্ট
https://en.wikipedia.org/wiki/Notable_people_associated_with_Santiniketan
অ্যান্ডর, ভিজ্যুয়াল আর্টের লিস্টিটা একটু লম্বা হবে বোধ হয়। বিনোদ মুখার্জি বাদ গেলেন যে! সোমনাথ হোড়, সুরেন কর ছাড়াও সাম্প্রতিককালে যোগেন চৌধুরী, সেলিম মুন্সি, কে জি সুব্রহ্মনিয়ন, দিনকর কৌশিক উল্লেখযোগ্য। তা সত্বেও লিস্ট ছোট সেটা মেনেনিতেই হবে।
সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রমথনাথ বিশী , মুজতবা আলী , মহাশ্বেতা দেবী
ভিসুয়াল আর্টেও তো মাত্র কয়েকজনের নামই শুনি। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু আর রামকিংকর বেইজ। অবশ্য আমি ফিল্ডের লোক না, বাইরের লোক মাত্র। জনসাধারণের একজন। যাঁরা জড়িত আছেন, হয়তো আরো অনেকের নাম বলতে পারবেন।
চতুর্মাত্রিক, তাহলে আর্যরা যে অযোধ্যা, মিথিলা, হস্তিনাপুর, ইন্দ্রপ্রস্থ, মাহিষ্মতী, দ্বারকা, মথুরা ---ইত্যাদি প্রভৃতি আরও নানা সুন্দর সুন্দর শহর গড়েছিলেন, সেগুলোর কী গতি হবে? "অযোধ্যার লোকে যোদ্ধা হয়েছে শুনে মরি আমি হাসিয়া" স্টাইলে সব নালিফাই করে দেবে হরপ্পা টরপ্পার সিন্ধুসভ্যতার বংশের যারা ছিল বা আছে? মানে অযোধ্যা মিথিলা টিথিলা সবই গ্লোরিফাইড গ্রাম? ঃ-)
শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতীর আজকের চেহারা যতোই হতশ্রী হোক, ওখানে বেড়ে উঠেছিলেন শিল্প-সাহিত্যের যে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্করা, তাঁদের কথা বাঙালি ভুলবে কেমন করে?
শিল্প, মানে ভিশুয়াল আর্ট, ছাড়া শান্তিনিকেতন সেরকম কোন সাহিত্যিক বা শিল্পী তৈরি করতে পেরেছেন কি? গানেও বলার মতন শিল্পী এক, বড়জোর দু, আঙুলে ধরে যাবে। তাও সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মৌরসীপাট্টা ছিল বলে।
হুতেন্দ্রবাবু, কাশীর কুল কী? নারকেলি কুল?
ডিসি, আছেন? সায়েব তো বলছেন ভোগোনরা মারাত্মক খারাপ কবিতা লেখায় তৃতীয়। দ্বিতীয় কারা? প্রথমই বা কারা?
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা বিরাট উচ্চতার। সেটা নিঃসন্দেহে। কিন্তু বিশ্বভারতীর ব্যাপারে তিনি নিজেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, তিনি যা করতে চাইছিলেন তা যে হচ্ছিল না সেটা বিভিন্ন লেখায় লিখেওছেন।
স্যান্ডি, যতদূর যা শুনছি তা হল বিদ্যাসাগরের ওই স্কুলে নাকি বিদ্যাসাগরের জামাতাও চাকরি করতেন। ঐ মিথ্যে অভিযোগের বয়ান নাকি তিনিই তৈরী করেন ও ছাত্রদের দিয়ে সই করান। এখন সেটা কেন করেন কী বৃত্তান্ত কেজানে! তাঁর হয়তো ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা ছিল নরেন মাস্টারের সঙ্গে! কিংবা হয়তো অন্য কোনো গভীর গাড্ডা ছিল, সেটা থেকে কর্তৃপক্ষের নজর সরানোর জন্য স্ক্পেগোট হিসেবে ব্যবহার করেন মাস্টারকে।
বিদ্যসাগরের জন্য শোনা যায় উনি খুব ডিসিপ্লিন্ড ছিলেন। সময় মত কলেজে না আসার জন্য উনি মাইকেল মধুসুদনকেও কলেজ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন।
&/, চক্রান্তটা ঠিক কিসের জন্য হল? কে করল? কেনই বা করল? চ্যালেঞ্জ করছি ভাববেন না যেন। জানতে চাইছি ঔৎসুক্য মেটানোর জন্য।
ঠিক ঠিক! উনি কয়েকটি ছেলেকে মাওবাদী বলেছেন। অতএব , বিদ্যুৎ = মমপিসি :-)
বিশ্বভারতী বা শান্তিনিকেতনকে কেউ ফেইলড এক্সপেরিমেন্ট বলতেই পারেন। তাতে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা ছোটো হয়ে যায় না; ওঁর এ সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়লে বোঝা যায় কতোটা ব্যাপ্তি ছিল তার, আর আজও তার প্রাসঙ্গিকতা কতোটা।
তা ছাড়া, সুবীরানন্দজী থালা বাজাতে বললে সে জন্য তো রঙ্গনাথানন্দজীকে তো গাল দেওয়া যায় না।
শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতীর আজকের চেহারা যতোই হতশ্রী হোক, ওখানে বেড়ে উঠেছিলেন শিল্প-সাহিত্যের যে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্করা, তাঁদের কথা বাঙালি ভুলবে কেমন করে?
একটা চক্রান্তও ছিল। নরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ছাত্রদের দিয়ে মিথ্যে অভিযোগও করানো হয়েছিল, "মাস্টার ভালো পড়ান না।" এটা শুনে নাকি নরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "ছেলেরা এই বলল? কিন্তু আমি তো বেশ খেটেখুটে পড়াতুম!"
এ বাবা, বিবেকানন্দ বিদ্য়াসাগরকেও ছাড়েন নি? এটা জানতাম না।
সদ্য পড়লাম তিনি নাকি "মাওবাদী" আখ্যা দিয়েছেন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে।
কিন্তু এত সাধের বিশ্বভারতী? সে তো সেই "বৈদিক ঋষিদের উত্তরাধিকার" ইত্যাদি বলে টলে শুরু করলেন দাড়িদাদু। কিন্তু পরবর্তীতে সে কী জিনিস হয়ে দাঁড়াল?
শংকরের একটা সাম্প্রতিক লেখায় পড়লাম তাঁর ছোটোবেলায়, কথামৃত রাখেন এমন এক বুকস্টলের মালিক দুঃখ করতেন, একেবারে বিক্রি নেই। তারপরে একসময় এত বিক্রি বাড়ল যে গীতাকে ছাড়িয়ে গেল। ---আমার প্রশ্ন হল, এটা কখন হল? কেমন করে হল?
ধন্যবাদ অভ্যু, এটা সত্যি অনেক ভাল। বহু বছর আগে শুনেছিলাম। প্রসঙ্গত: "কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি" - গানটি একজন ভাল গাইতেন বলে শান্তিনিকেতনের লোকজন দাবী করত। তাঁর নাম 'বলতে নেই ঘোষ'। ওনার নাম নিলে দিন খারাপ যায় বলে লোকে দাবী করত। কেউ কেউ হয়ত সিরিয়াসলি বিশ্বাসও করত হয়ত। আমার এক বন্ধু ইউনিভার্সিটির হয়ে ভলি খেলতে গিয়ে কোচের কাছে ভীষণ বকা খেয়েছিল ম্যাচের আগে আগেই'বলতে নেই ঘোষ'এর নাম নেওয়ায়।
গরীব মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিবেকানন্দের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। কিন্তু শিক্ষা বা সাহিত্যভাবনা নিয়ে সেকথা বলা যায় না, বিদ্যাসাগর আর রবীন্দ্রনাথকে হ্যাটা করতে গিয়ে নিজেই হাস্যাস্পদ হয়েছেন।
ক্ক।
সালমা আগের মেয়ে বোধহয় বলিউডের ছবি করেছে
কিন্তু এত সাধের বিশ্বভারতী? সে তো সেই "বৈদিক ঋষিদের উত্তরাধিকার" ইত্যাদি বলে টলে শুরু করলেন দাড়িদাদু। কিন্তু পরবর্তীতে সে কী জিনিস হয়ে দাঁড়াল?