স্লোগানটা এরকম হওয়া উচিত ছিলোঃ না পড়াউঙ্গা, না পড়নে দুঙ্গা। তাহলেই পাশ হয়ে যেত.
সাহাব / সাহিব মানে প্রভু নয়? ক্যা তেরা সাহাব বহরা হ্যায় ইত্যাদি?
এ আর এর খবরটা একটু মিসলিডিং। আই আই টি , আই আই এম ইউজিসির আন্ডারে আসে না। তবে হ্যাঁ, তাতে পোস্টার লাগানোর তো কোনো বাধা নেই।
আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম এই সব এডুকেশনাল ইনস্টিগুলোর স্যালারি স্লিপে ওনার ছবি থাকুক। সাথে ক্যাপশনঃ কামাই ভি আউর পঢ়াই ভি। কিন্তু কেউ পাত্তা দিলো না।
https://thedialogue.co.in/article/DIgaoJgONSbJd8JBj1j0/exclusive-ugc-asks-universities-iits--colleges-to-put-up-banners-thanking-pm-on-day1-of-18-above-vaccination
EXCLUSIVE: UGC Asks Universities, IITs & Colleges to Put Up Banners Thanking PM on Day1 of 18 Above Vaccination
বাংলাদেশে ছোট্টো বাচ্চাদের বাবু বলে উল্লেখ করা হয়। নাটকে দেখেছি, সদ্য সন্তানলাভ করেছে এমন বাবামাকে তাদের বন্ধুরা বলছে "ওমা, তোদের বাবুটা কী কিউট!" পুত্রসন্তান বা কন্যাসন্তান দুই ক্ষেত্রেই বাবু বলা হয়।
কেকে বাবু এই এলুম। নামের পর বাবু ডাকটা খুবই ভালো লাগে। ছোটোবেলায় তো বেশ একটা খাতির পাবার মতো ফিলিং হতো। মায়ের মুড্ ভালো থাকলে বাবুর সঙ্গে মণিও জুড়ে যেতো! এখনও লোকজনকে বাবু ডাকতে আনন্দ হয়। আপনিও নিশ্চয়ই বাবু বলতে পারেন সক্কলকে। আমি "আগে বলেছি" আবার ক্যামন কথা! বাবু সাহেব মণি -- সবেতেই আপনার সমান অধিকার :) নমস্কার জানবেন।
সোনামণি আর অ্যান্টিমণি শুনে কেন আর্সেনিক মনে পড়ল কেজানে! কোথাও অ্যান্টিমণির সঙ্গে আর্সেনিক পড়েছিলাম মনে হয়। কোনো একটা কিছুর উদাহরণ ছিল, আর্সেনিক আর অ্যান্টিমনি।
সেদিন শুনলাম একজন মেয়ের নাম দিয়েছে বিকর্ণা। মহাভারত থেকে নাম রাখতে চেয়ে নাকি এই অবস্থা। ঃ-)
তবে মণি দিয়ে বলার নাম ছিল কল্যাণীর দুই বোনের - সোনামণি আর অ্যান্টিমণি
দ্যাখেন মণি কেন সোনাও যথেষ্ট প্রচলিত। এমনকি বুড়ো বয়সে নরেন্দ্রপুরেও অভ্যুসোনা শুনেছি :)
ভুজুংভাজুংএর খবর শুনে আনন্দ পেলাম। কাল আমরা সুজি আর সামাই মিশিয়ে পায়েস বানালাম। অ্যাত্তো অ্যাত্তো বাদাম দেওয়া হল - কাজু, আমণ্ড, পিস্তাশিও - খাসা জিনিস হয়েছে :)
আর তা হবে নাই বা কেন? ঘন করা অর্গ্যানিক হোল মিল্ক আর কাঁড়ি কাঁড়ি চিনি থাকলে আরসোলার সুপও দিব্যি হবে খেতে।
আচ্ছা, মহাভারতে কি কিছু আছে দুর্যোধনরা একশো ভাই সবাই বিয়ে করলেন কিনা? দুর্যোধনের স্ত্রীর কথা জানা যায়, ছেলেপিলেও ছিল জানা যায়। কিন্তু দুঃশাসন টুঃসাশন ইত্যাদি আরো নিরানব্বইটা ভাইয়ের কী হল?
ডিসি, যোগা কি ল্যাপটপের ক্যামেরার সামনে করে করে দেখাতে হচ্ছে? এই ধরুন পদ্মাসন, বজ্রাসন, বৃক্ষাসন, উষ্ট্রাসন,হলাসন, ভুজঙ্গাসন- এইসব? এ তো মানে খুবই ইয়ে। আরেকজনকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল বারে বারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে হবে। নাহলে তো বোঝা যাবে না ভালো।
নিরপেক্ষ কোনো ডাক থাকলে চমৎকার হত। যেমন কিনা ঋষি বা কবি। এঁরা পুরুষ বা মহিলা যাই হোন না কেন উভয়েই ঋষি বা কবি। মহিলাদের জন্য ঋষিনী কবিনী অথবা ওরকম কিছু ছিল না।
আহা সিরিয়াস কিছু না ঘুমোতে যাবার আগে মনে হল একটা কাজ করি। তাই এট্টা সাজেশান দিলাম।
তবে সায়েব বাবু বাউ এগুলোই আসে মেম ম্যাম মহাশয়া খুব একটা আসে না।
হ্যাঁ, তাও বলা যায়। এমনকি 'মণি' ও শুনতে বেশ লাগছে। বেশি মাথা না খাটিয়ে ঐ 'সাহেব'টাই প্রথমে মনে এসেছিলো আর কি।
সায়েবটাও অনেকে বলে ত কেকেমণি। আমার এক দিদা সব্বাইকে মণি বলত, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে এমনকি বয়স নির্বিশেষে। তা তুমি সবাইকে মেম বল না কেন? ম্যামের মত। এমনকি ম্যামও বলতে পার।
এই যে অভ্যু সাহেব,
এই উইকেন্ডে ভুজুং ভাজুং অতি সুন্দর নেমেছেন। তাঁকে পাফ পেস্ট্রির ভেতরে পুরে এম্পানাডার মত করলাম। ক্রেডিট গো'জ টু ইউ।
রঞ্জনদা সাহেব,
থ্যাংকু :-)
কেকে,
হিন্দিতে সাহিব মানে মহাশয়। চালিয়ে দিন।
উত্তম প্রস্তাব কেকে সাহেব।
:|: আছেন নাকি?
আপনাকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বলবো বলবো ভাবি। এই যে আপনার সবাইকে 'বাবু' বলে উল্লেখ করা, এই স্টাইলটা আমার খুব পছন্দ। আমার একটা স্বভাব আছে, পট করে কাউকে শুধু নাম ধরে ডাকতে পারিনা। আর এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কে বাবু, কে বিবি, কে দাদা, কে দিদি বা মেসো,খুড়ো,মামি, বোনটি এগুলো বুঝে ওঠা তো মুশকিল। হিন্দীতে যেমন সবাইকে 'জী' বলে ডাকা যায়। বাংলায় তেমন কিছু থাকলে বেশ হতো। নেই যখন, হোলসেল এই 'বাবু' সম্বোধন খুব সুবিধাজনক। তো আপনার এই স্টাইলটা আমিও একটু অ্যাডপ্ট করি? 'বাবু' আপনি আগে শুরু করেছেন। তাই ওটা আপনার থাক। আমি ঠিক করছি সব্বাইকে আজ থেকে 'সাহেব' বলে ডাকবো। পাই সাহেব, অ্যান্ডর সাহেব, অভ্যু সাহেব, ফুটিচার সাহেব, দমুদি সাহেব, রঞ্জনদা সাহেব। কেমন তো?
ডিঃ -- 'সাহেব' বলতে কেউ আবার রেসিজম খুঁজবেননা প্লিজ। এটা ঐ 'জী' এর মতই জাস্ট একটা ডাক হিসেবে বলছি।
ফোর্জি
ঠিক বলেছেন।
আরে প্রধানসেবকের নিন্দা কোথায় করলাম! এমনকি প্রধানপিতা অবধি বললাম! কতো বড়ো সম্মানের ব্যপার!
ডিসি খুব খ্রাপ লুক। পিটিকে খিস্তি দিয়ে ভাগিয়েছে, এখন আবার প্রধান সেবকের আড়েঠাড়ে নিন্দে করছে।
হ্যাঁ শবাসন আমাদেরও খুব প্রিয় ছিল। পিটি ক্লাসে ঢুকেই সবাই শবাসন শুরু করে দিত, আর খানিক পর পিটি স্যার এসে গাল দিয়ে সবার ভুত ভাগাতেন :-)
আমাদের ছিল ফিজিক্যাল এডুকেশন। বছরে একদিন ক্লাস হত, আর একদিন পরীক্ষা। যুগল স্যার পরীক্ষা নিতেন (মেয়েদেরও)। শর্মিষ্ঠা রায় বলে আমাদের ক্লাসে একটা মেয়ে ছিল।
স্যার - কোনো একটা আসন কর।
শর্মিষ্ঠা - স্যার যে কোনো একটা করলেই হবে?
স্যার - হ্যাঁ।
শর্মিষ্ঠা - স্যার শব আসন সিলেবাসে আছে?
স্যার - হ্যাঁ সব আসনই সিলেবাসে আছে।
শমিষ্ঠা শবাসন করে দেখিয়ে দিল। নম্বর কতো পেয়েছিল আমরা জানতে চাইনি :)
সুপ্রভাত। আজ যোগা ডে, অতি পূণ্য দিন। আমাদের পরম প্রিয় প্রধানপিতা প্রধানসেবক বলেছেন আজ আমাদের যোগা করতে হবে। কয়েকদিন আগেই আমার মেয়ের ইস্কুল থেকে সার্কুলার পাঠিয়েছিল যে প্রত্যেককে যোগা করে দেখাতে হবে, অ্যাটেন্ড্যান্স কম্পালসরি, ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে দেখানো হবে। তাই আমার মেয়ে এখন ছাদে ল্যাপটপ খুলে যোগা করছে, মুখখানা বাংলার পাঁচের মতো বানিয়ে। একটু দূর থেকে স্ক্রিনে উঁকি মেরে দেখা গেলো অনেকগুলো ছাত্রছাত্রী বিরস বদনে যোগারত। এদের যে কি হবে!
বেশ ছবি
বন্ধুরা বেড়াতে এসেছিলো, তাই অনেকদিন এ পাড়ায় আসা হয়নি। তবে এই সুযোগে 'ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া' ব্লু রিজ পার্কওয়েতে আবার কিছুটা ঘুরে বেড়ানোর সুসোগ হলো। এই অদ্ভুত সুন্দর রাস্তাটা ধরে গান শুনতে শুনতে শুধু উপর-নীচ করা, মাঝে মাঝে ওভারলুক পয়েন্ট এলে দাঁড়িয়ে একটা মিনিট চেয়ে থাকা, আবার উপর-নীচ, এই উদ্দেশ্যহীন ড্রাইভ যে ঠিক কেন এতো ভালো লাগে জানিনা। হয়তো কোথাও-ই পৌঁছতে আর ইচ্ছে করে না বলে।
হুম, বিদ্যা-বিবুকে লড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভায়া শংকর! তাঁর ইস্কুলে নাকি মধুসূদন চাকরি করতেন এবং তিনিও বিতাড়িত হন। আর বিদ্যার জামাতা ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং ওই কারণে বোধহয় শেষে নিজেই বিতাড়িত হয়েছিলেন!!!
চালিয়ে যান, আপনাদের হবে।
চতুর্মাত্রিক, শহর বানানোর ক্ষমতা থাকলে আমিও আর্যদের মতন বানাতাম। প্রত্যেকটা প্লটের অর্ধেকে বাগান, অর্ধেকে বিল্ডিং। আর এমনিতেও প্রচুর খোলা জায়্গা, মাঠ, পুকুর, ছোটো ছোটো নিরামিষ জঙ্গল এইসব রাখার ব্যবস্থা করতাম। বর্ষাকালে জল যাতে রাস্তায় না ওঠে, যাতে পুকুরগুলোতে চলে যায় সেই ব্যবস্থা রাখতাম। ছোটো ছোটো খাল কেটে নদীর সঙ্গে জুড়ে দেবার ব্যবস্থা করতাম। শহরকে শহরও হত, কিছুটা অরণ্য অরণ্য ভাবও থাকত। ঘেঁষাঘেঁষি হরপ্পাটাইপের শহর খুব কস্টলি, চারপাশে বিশাল খালি অঞ্চল দরকার, বাড়তি জল সব সেদিকে ডাম্প করার জন্য।