আচ্ছা, বলব কি বলব না, না বুঝে বলাই হয়নি আর।
এলেবেলেবাবু যে ব্রতীনদার মাধ্যমে আমার বাড়িতে বই পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন, বই পেয়ে খুব চমকেই গেছিলাম। ধন্যবাদ আর দেওয়া হয়নি।
যাহোক, কোলকাতা তো কবে যাওয়া হবে আর জানিনা, গেলে নিয়ে পড়ব। আপাতত আমার বাবা পড়বেন জানিয়েছেন।
আর রণজনদাকে জানানো হয়নি, আপনার পুরানো কোলকাতার সিরিজ আমার মা বাবা শাশুড়ি, অনেক আত্মীয়স্বজনই পড়েন আর পড়ে তাঁদের ভাললাগা জানান।
অনির্দিষ্টাল লকডাউনের পরেও আশার ঝিলিক দেখতে পাওয়ার বিষয়টি ঈর্ষণীয়। তা টিকটিকি কোতায় পড়ল? মস্তকে, স্কন্ধে নাকি দক্ষিণ হস্তে?
পব বলে বলছিনা।
বাকি কোন রোগ কত হয়েছে কম হয়েছে এসব নিয়ে না বলাই ভাল।
ডেংগি ম্যালেরিয়া কম হয়েছে না টেস্ট কম হয়েছে, জানলেন কীকরে? এবছরে গ্রামেগ্ণজে ম্যালেরিয়ার খবর রাখেন? গ্রামেগঞ্জে phc গুলোতে কী অবস্থা, খবর রাখেন?
পাঁজি নেই, তবে এবার বেণীমাধব শীলের ক্যালেন্ডার কিনে এনেছি, তার পোঙায় মনে হচ্ছে ঐ জাতীয় বস্তু ছাপা আছে। দ্যাখতে লাগবো ।
বাঙালী পাঁজির মধ্যে একটা অদ্ভুৎ ক্যাথলিক ব্যপার আছে। ওড়িষা ও অসমের বহু মহাপুরুষের জন্মমৃত্যু (যার সম্পর্কে হয়ত অনেক ওড়িয়া বা অসমিয়াও জানেন না ), বহু আঞ্চলিক উৎসব, এমনকি মুসলমানদের খুঁটিনাটি পর্ব ইত্যাদি কুটিকুটিকুটি অক্ষরে লেখা থাকে।
যাচ্চলে দু ইঞ্চির জন্যে রাজত্ব কিম্বা টাকা কোনোটাই হোলো না। সুখ লইয়া আমি কি করিব?
এতো পেসিমিস্টিক এ্যাটিচুড কেন? গত বছর ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া তো খুব কমই হয়েছে। কোভিড এর সংখ্যা ও কম হচ্ছে। ভ্যাকসিন নষ্ট খুব কম হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রায় একশ কোটি টাকার ভ্যাকসিন কিনেছে। আশা করাযায় আগামী দু মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভ্যাকসিন সাপ্লাই বাড়বে। ফাইজার এই বছরের শেষ ও আগামী বছরের প্রথম দিকে পঞ্চাশ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে বলেছে। আশার ঝিলিক কিছু দেখা যাচ্ছে তো!
কল্কেতা তো ভেনিস হয়ে গেল। দুদিনের বিস্টিতেই এই হাল। পিছু পিছু আসবে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া। গুমোর দেখানো কল্কেতার বাবুরা কোতায় গেলেন?
পাই, রাগ কমলে বোলো। ফোন করবো। কথা আছে।.
সরি আটোজ নয় পাই।
ওহে আটোজ "রাজার অসুখ " পড়ো নি?
রাজা তার মানে সুখী হন না?
অবশ্য অটোম্যান সুলতানদের দেখে তাই মনে হচ্ছে। অমন যে সুলতান সোলেমান, ম্যাগ্নিফিসেন্ট সেঞ্চুরি জোড়া প্রতাপ, সে রাজার মনে কী দুঃখ, কী দুঃখ! সুলতানা, শাহজাদা, গাহজাদি সবারই! একদিকে যত বৈভব, প্রাপ্তি, ক্ষমতা, অন্যদিকে ততই বঞ্চনা, অপমান, অপ্রাপ্তি, কষ্ট!
টাকা হতে গেলে যদ্দুর মনে মনে পড়ছে ডান হাতে পড়তে হবে। কাঁধে না। ঘরে পাঁজি নাই?
মাথায় টিকটিকি পড়লে রাজা হয়। ডানকাঁধে পড়লে সুখী হয়। ক্যামন সুখ, কী সুখ অতশত জানি না।
প্রথমবার শুনেই বোল্ড আউট,! কী গলা, ক্যা তৈয়ারি !এবং পরিচতি বোধ। আর রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতই গজলও মূলতঃ কাব্য সংগীত। তাই গায়ক ও শ্রোতা, উভয়ের থেকে লিরিকের সমঝদারি আশা করে। উর্দুর সঙ্গে ভাল পরিচয় থাকলে আমার রসাস্বাদন বেড়ে যেত নিঃসন্দেহে। " ইস অজনবী শহরমেঁ' ফ্রেজটি নিয়ে কেমন খেলা করেছেন!
অনেক বড় গায়ক। ফলো করব।
রঞ্জনদা ,
এটা শুনে বলুন কেমন লাগল। এনার কথা আগেই বলেছি
b,
মশায় রাজা হওয়ার ব্যাপারটা অপ্ট করুন, টাকা এমনি এমনিই আসবে। আর তার সাথে থাকবে অন্তহীন ক্ষমতা। লটারি জেতার কি প্ৰয়োজন?
রঞ্জনদা, ভাল গান শুনে মুগ্ধ হতে পারি বড় জোর। আপনার মত এত গুছিয়ে সুন্দর বর্ণনা দিতে পারব না, কয়েকজন্ম চেষ্টা করতে হবে :-)
রাজাদের ডান কাঁধে টিকটিকি পড়লে তারা লটারী জিতবে।
মুশকিল হল, এই ধ্রূব সত্যের এখনো এক্সপেরিমেন্টাল প্রূফ পাওয়া যাচ্ছে না।
আচ্ছ, ডান কাঁধে টিকটিকি পড়লে লটারীতে অনেক টাকা পাওয়া যায় না? না কি রাজা হয়?
স্যান্ডি
আপনার দেয়া মোহতরমা বানোর দশ মিনিটের শেষ প্রোগ্রামটিও শুনলাম, আগে শুনিনি। খুব ভালো লাগল।
কিন্তু এর পরেই দেখছি ভিডিওতে টিনা সানির গাওয়া গালিবের " ইয়ে ন থী হমারী কিসমত" এর লিংক দরআঃখাচ্ছে। তাতে সঞ্চালক বললেন এবং টিনা কনফার্ম করলেন যে উনি হবীব ওয়ালি মুহম্মদের শিষ্যা। এবার স্পষ্ট দরবারীর আলাপ করে পনের মিনিট ধরে গাইলেন। মনে হোল প্রচলিত স্তবকের চেয়ে বেশি স্ট্যাঞ্জা গাইলেন এবং কমিউনিকেট করে কিন্তু বাড়াবাড়ি না করে বেশ আভিজাত্যের সঙ্গে। সময় পেলে একবার দেখে নিন।
স্যান্ডি
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার প্রিয় গানটার পর দ্বিতীয়টার দুটো গান- আসল মেহফিল। তিন সপ্তকে খেলা করা গলার সঙ্গে মেহফিল জমিয়ে দেয়া নাজ নখরা অদা। দর্শকের সঙ্গে চোখে চোখে কথা এবং লম্বা আলাপ বা তানের পর সমের মাথায় দাদের আশায় দর্শকদের সালাম- এসব না হলে কিসের মেহফিল!
তারপর আপনি দিয়েছেন একঘন্টার ট্র্যাকে ফৈজ আহমদ ফৈজের বোধহয় ছ'টা গজল ও নগমার গায়ন। আর সেই বিখ্যাত "হম দেখেঙ্গে" যা গত বছর শাহবাগ আন্দোলনের পর হিন্দি বলয়ের তরুণ তরুণীরা গাইছিল। এখানেও যখন বলা হচ্ছে 'সেদিন মাথার উপর আকাশ থেকে কড়কড়িয়ে বজ্র নামবে' বা ' ছুঁড়ে ফেলা হবে যত মুকুট আর আমাদের পদচাপে থরথরিয়ে উঠবে মাটি' তখন পাবলিকের হাততালি শ্লোগানে বদলে যাচ্ছিল আর তবলচি গান ছেড়ে মার্চিং বিটে ঠেকা দিচ্ছিল-- অনেক ধন্যবাদ।
মেহেদী হাসানের গানটার সঙ্গে আমরা সামুহিক নৃত্য করতাম।
মাইরি! কেউ একটু ইকবাল বানোর গানটার লিং ( উলফত কী নয়ী মঞ্জিল) দিন না! আজকের শেষ আবদার।
কাল বাহাদুর শা জাফরের লেখা দুটো গজলের আবদার করব'খন।
আজ আপনাদের দাক্ষিণ্যে একেবারে গজল ময় হয়ে আছি।
আচ্ছা, মেহেদী হাসানের এই হালকা চালের গানটি শুনুনঃ
' কিঁউ মুঝসে খফা হো গয়ে অয় জান এ-তমন্না,
ভিগি হুয়ী মওসম কে মজা কিঁউ নহী লেতে"?
বর্ষার গান-সঙ্গে হারমোনিয়াম বাদনও দেখুন।
ছড়িয়েছি আবার। লেজেন্ড সালামত আলি শ্যাম চৌরাসিয়া ঘরানার ক্লাসিক্য়াল গায়ক। বড়ে গুলাম আলির ভাই এর নাম বরকত আলি খান।
বাহ! পাকিস্তানি গায়করা তাহলে ভজন গাইতে ভুলে যায়নি। সালামত আলির কোন একটা ইন্টারভিউতে পড়েছিলাম (বা দেখেছিলাম) যে উনি আক্ষেপ করেছেন যে পাকিস্তানে ঠুমরির শ্রোতা নেই বলে। কোন আর্টে সামান্যতম হিন্দুয়ানির ছোঁয়া থাকলেই তাকে খুব সিস্টেমেটেক্য়ালি মেরে ফেলা হয় ওখানে। প্রসঙ্গত ইনি লেজেন্ড সালামত আলি খান নন। লেজেন্ড সালামত আলি খান হলেন বড়ে গুলাম আলির ভাই এবং গজল গায়ক গুলাম আলির গুরু। এই সালামত আলি মেহদি হাসানের শিষ্য বলে পরিচিত।
anandaB-র দেওয়া ভীমসেন যোশীর গানের অনুষ্ঠানের ভিডিওটা ক'দিন আগে শুনেছিলাম, এটা মনে হয় একটা তথ্যচিত্রর অংশ। শোনা ও দেখার সময়ে মনে হচ্ছিল, সুর - রাগ - তাল যেন আশপাশ থেকে পাকড়ে ধরে, নামিয়ে, গান গাইছেন। গীতা ঘটকের কথাও তখন মনে হল, গাওয়ার সময়ে এক্সপ্রেসিভ মুখভঙ্গী ওনারও ছিল, এতখানি নয় যদিও, যখন অন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা শান্ত ও সমাহিত, হয়ত নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ! অশোকতরুর গলা শুনে তো মনে হয়, হয়ত বা প্রায় স্থবির হয়ে যেতেন গান গাওয়ার সময়ে ! ফৈয়াজ খাঁয়ের গলা শুনে ভাবি, উনিও গাওয়ার সময়ে কীরকম এক্সপ্রেশন দিতেন, যার কিছুটা হয়ত ধরা আছে শর্বরী রায় চৌধুরীকৃত গানরতা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর মুখের ভাস্কর্যটিতে, যেটি একই সাথে শিল্পের মধ্যে এক শিল্পীর আচ্ছ্ন্ন হয়ে যাওয়াকে প্রকাশ করে এবং - বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে - একটি ভাস্কর্যের মধ্যে থেকে কীভাবে মিউজিক্যালিটি ফুটে ওঠে সেও বোঝা যায়।