সংবাদপত্রের সংবাদপত্রে
রামমোহন চর্চা সমীক্ষা
সব নরম পেয়ে যাবেন।
তবে হ্যাঁ, ওই নগেন চট্টো ভুলেও পড়বেন না। খাজাস্য খাজা। দিলীপ বিশ্বাসের রামমোহন চর্চা বইটি নিয়ে উলুতপুলুত হয় বটে কিন্তু এবারে তিনিও অক্কা পাবেন।
অরিনবাবু, একবার মেল চেক করবেন প্লিজ।
রমিত, বই তো প্রচুর। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি বলুন তো? তবে একেবারে বেসিক চর্চার জন্য মেরি কার্পেন্টার, সোফিয়া ডবসন কলেট, হরফ প্রকাশনীর রামমোহন রচনাবলী, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোর সংবাদপত্রের সেকালের কথা এবং কালিদাস নাগ সম্পাদিত সাত খণ্ডের English Works দিয়ে শুরু করতে পারেন। বাদবাকি আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমার বইতে পাবেন!!! সেখানে ২০২০ সালে প্রকাশিত গ্রন্থেরও উল্লেখ থাকবে।
কোনও সহৃদয় ব্যক্তি অলোক রায় সম্পাদিত Nineteenth Century Studies দিতে পারেন?
@এলেবেলে এলেনই যখন রামমোহন নিয়ে আর মধ্যযুুুগের বাাংলার ওপর কটা নরম বই এর সন্ধান দিয়ে যান।
এইটা দেখুন - শুধু ফা-হিয়েন না, আরো অনেক কথা জানা যাবে (অ্যাপোলো ওঠার বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বদলে গেল, প্রাইভেট হাসপাতাল ও কর্পোরেট হাসপাতাল) - তবে মুজঃফরপুরের লিচু ও ফা-হিয়েনও বাদ নাই। অনেক কিছু জানেন বিভিন্ন বিষয়ে - তবে ভুল বলতেই পারেন :)
আমিও অরণ্য দা তোমার দলে।বুকে বালিশ দিয়ে আধশোয়া হয়ে।তবে না...
তথ্যসূত্র:
ফাহিয়েনের রুট:
সিল্ক রুট
ফা হিয়েন
এটা ত মনে হচ্ছে উত্তর পশ্চিমের সিলজ রুট টা। ফা হিতেন এনশিয়েন্ট সিল্ক রুট দিয়ে লাসা থেকে নাথুলা জেলেপ লা রুটে ঢুকেছিল না?
কিন্তু ফা হিয়েন ত এসছিলেন জেলেপ লা রুটে। সেদিকে লুংতুং পর্যন্ত লিচু কেন কোন গাছই হয় না। খানিকটা অ্যালপাইন ঘাসের এলাকা, বাকীটা বরফের এলাকা। আর এই অঞ্চলের রাস্তাই সবচে গোলমেলে। কখন ঝড়বিষ্টি হচ্ছে কখন ধ্বস নামছে আর সব গুলিয়ে যাচ্ছে।
না হে অভ্যু লিচুর গপ্পটা অন্যকিছু হবে।
ফা-হিয়েন যখন ভারতে আসেন তখন রাস্তাঘাট ভালো ছিল না, ফিরবেন কী ভাবে এই চিন্তা ছিল মাথায়। তাই রাস্তায় উনি লিচু গাছ লাগাতে লাগাতে চলেছিলেন - ফেরার সময় সেই লিচু গাছই কাজে লেগেছিল। যেহেতু ঐ গাছ এদেশে ছিল না, আর ফলটিও এমন যে স্থানীয় লোক গাছটা কাটবে না - সেহেতু লিচু গাছ দেখে রাস্তা চেনা সহজ হবে - এমনই ছিল মনে।
আপনারা আঁশফল খান না? লিচুর গরীব বেরাদর।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লিচুর একদম ভায়রা-ভাই হল 'রম্বুথান' - খেতে একদম প্রায় লিচুর মত
অভ্যু জানে না, আমি বলছি।
লিচু একটি দ্বৈততাময় ফল। এর বাইরের খোসা উগ্র লাল ও কাঁটা কাঁটা, ভেতরের শাঁস শান্ত, শীতল, রূপোলী রসালো ও মাংসল। লিচুর বহিরঙ্গে মারের উগ্রতা, অন্তরঙ্গে বুদ্ধের শান্তি। লিচুর এই দ্বৈতাভাষের কূলকিনারা কত্তে না পেরে ফা হিয়েন মাথা চুলকে চুলকে টাক ফেলে দিলেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন, ভারতের বৌদ্ধসঙ্ঘেই এর ঊত্তর খুঁজতে যেতে হবে।
বৌদ্ধসঙ্ঘে অনেক তক্কি বিতক্কো শেষে সিদ্ধান্ত হল- খোসাও নয়, শাঁসও নয়, লিচুর সকল বেদনার উৎস হল পিঙ্গল বর্ণ ঐ আঁটি। লিচু শেষ হয়ে গেলে হাতে পড়ে থাকে রসে চ্যাটচেটে একটি ইয়াব্বড় আঁটি।লিচু শেষের ঐ আঁটিবেদনাকে যে অতিক্রম করে যেতে পারে সেই নির্বাণলাভের অধিকারী।আজ অবধি তেমন কাউকে পাওয়া যায় নি।
এই ঘটনা উপলক্ষেই বৌদ্ধ গায়ক গেয়েছেন- লিচু, তোমার মান্য ত্রিভুবনে!
আরে কদিন আগে বেগুনি বাঁধাকপি এনেছিলুম। সেটি ফুরোতে না ফুরোতে বেগুনি ফুলকপি এয়েছে।
লিচুর গল্পটা বলা হল না, বলছি দাঁড়ান।
না, পারে না। ই কি রান্নাঘর না বসন্ত উৎসব?
আচ্ছা থ্যাঙ্কু। তাহলে তো লাল আলু আর বেগুনী ফুলকপির ডালনাও চলতে পারে?
অভ্যু,
না, স্বাদে তফাৎ কিছু নেই। বেগুনিতে অ্যান্থোসায়ানিন আছে, তাই একটু উপকার বেশি। হলুদও পাওয়া যায়, দেখেছো নিশ্চয়ই। সব একই স্বাদ। সবুজ, যেগুলো রোমানেস্কো নাম সেগুলো একটু অন্যরকম খেতে। একটু ডেলিকেট।
কেকে, সাদা আর বেগুনি ফুলকপির স্বাদ কি আলাদা?
বোতিন্দা পরিব্রাজক নিয়ে পড়াশোনো করছে কিনা, তাই মনে হল। লিচু ভারতে নিয়ে আসেন ফা-হিয়েন। কেন জানেন?
ভেবে চিন্তে মনে হলো রানাঘাট থেকে তিব্বত যত কাছে মুজফ্ফরপুর থেকে চীন তার থেকে বেশীই কাছে হওয়া উচিৎ।
ও, রেসিপিটা -- https://www.fried-green-tomatoes.com/post/thanksgiving-entr%C3%A9e-dressed-up-cauliflower-steaks
তাই বুঝি? লিচু চীনে ফল? তবে যে এদ্দিন জানতুম লিচু আসে বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে কিন্তু আমটি আমাদের মালদারই। ভুল জানতুম নাকি?
ও, চীনে পরিব্রাজকরা নিয়ে এসেছিলেন কি? তাঁরা তো আসতেন হামেশাই ভারতে।
হ্যাঁ বেগুনি ফুলকপি।
লিচু চীনে ফল। প্রশ্ন হল, লিচু ভারতে এল কী করে?