অরিন
অনেক ধন্যবাদ। কী জিনিস দিয়েছেন!
ডাউনলোড করছি।
আরে দেবা রে দেবা!
এই লিস্টিটা রঞ্জনবাবুর জন্য,
http://utminers.utep.edu/omwilliamson/ENGL1311/fallacies.htm
হতাশ হবেন দমদি। মাংসপট্টিতে বাঙ্গালী অবাঙ্গালী নির্বিশেষে ঐটাকে চপার বলেন। আর কিচ্ছু না সকল ভাষা ধর্মে ঐটা শুধুই চপার।
অমিত এবং অভ্যুকে 100/100.
যদুবাবু ও অভ্যু আমার মাথায় representative, heuristic , P(A I B) এমন ঠুঁসে দিয়েছে যে সারাক্ষণ ফ্যালাসি দেখছি। সেদিন গিন্নিকে বলেছি -- তোমার কথাটার বেসিস হিউরিস্টিক, স্টোকাস্টিক নয়। মহিলা বেলন খুঁজছেন।
আচ্ছা, সিপিএমের ভুলটা কি প্রিজনার্স ফ্যালাসি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে?
চতুর্ভুজ
ভয় দেখালে ভালো হবে না। আমি ও উনিজী একই সালে একই মাসে জন্মেছি। আমি হপ্তাখানেক সিনিয়র এবং বেশ হারামি টাইপ, তবে কিনা একটু কম।
আমার জন্যেও হয়ত কেউ কেউ পরেশ রাওল হয়ে প্রার্থনা করে-- উঠালে রে দেবা!
একটা কথা জানতে ইচ্ছে করে দশ বছরের এই সুশাসন এর পরেও রাজভবনের সামনে রমরমিয়ে হুকিং চলে কি করে ?
হয়্ত তিনি বলবেন, "অভয় দিচ্ছি, শুনছো না যে?"
কি দিনকাল। এই মাত্তর কদিন আগে দিলুদা বুদ্ধিজীবীদের ধরে রগড়ে দিচ্ছিলেন। এখন আবার তাদেরকেই ওনাদের হয়ে পথে নামতে ডাক দিচ্ছেন। না নামলে অবশ্য আবার রগড়ে দেবেন কিনা সেটা বলেন নি এখনো।
ঈদ স্পেশালের লেখাগুলোর নাম দেখতে দেখতে মনে পড়ল, কতদিন দরিয়ার গল্প শোনা হয় না। দরিয়ার বাবা কি আর আসেন না এখানে?
ভাঁড়ায় নি তো? ব্যাটারা বয়স ভাঁড়ায় নি তো? অবশ্য চিত্রবাবুর তাতে কিছু যায় আসে না, ওঁর কাছে খাঁটি তথ্য থাকে একেবারে সমস্ত।
মুশকিল হলো কি জানেন শয়তান গুলো সহজে মরেনা। যমের অরুচি সেই জন্যেই বলে বোধহয়।ভালো লোকেরাই আগে যায় বেশির ভাগ।
মমতা ব্যানার্জী কে নিপাট ভালো মানুষ কিন্তু এক্কেরে বলছিনা। বিরোধী থাকার সময় ওনার ডেস্ট্রাক্টিভ পলিটিক্স পব র অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে যার ফল হয়তো এখনো চলছে। কিন্তু স্কেল নিয়ে মাপতে বসলে মোদী শাহ র শয়তানির তুলনায় ওনাকে ধরতা তেই আনতে পারছিনা।
অমিত বাবু ৩তে৩৩: উইকিতে দেওয়া জন্ম বছর অনুযায়ী শুধু শা-কে নিয়ে ভাবলেই হবে। চিত্রগুপ্তবাবু শুধু যদি বয়েস দেখেই আনার জন্য লোক পাঠান তবে উনিজি লাইনে আগে আছেন।
১৯৬৪ শা; ১৯৫৫ দিদি; ১৯৫০ উনিজি
এবারের বামেদের ফলাফল নিয়ে আমি অন্তত অত চিন্তার কিছু দেখছিনা। এবারে বাইনারি লড়াই ছিল - সোজাসুজি মমতা ভিস মোদী। তৃতীয় পক্ষের জায়গা ছিল না। বরং সেটা রিস্কি অপসন হয়ে যেত লোকের কাছে। আর বামেদের আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে জোট করা আমি মনে করি পুরোপুরি ভুল পদক্ষেপ ছিল।সেটার জন্যে লোকেদের আন্টি-মুসলিম বলে গালাগাল দিলে হয়তো নিজের ইগো শান্তি হয়, কিন্তু ভোট বাক্সে লাভ হয়না। জোট ১০-১৫ % র বেশি ভোট কাটতে পারলে বরং বিপদটা অনেক বাড়তো সেটা বিজেপির ৩৮-% ভোট পাওয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে। যা হয়েছে ঠিকই আছে।
মমতা ব্যানার্জি র রাজনীতির সাথে আমার নীতিগত ডিফারেন্স যাই থাক এবার যে বিজেপি কে হারানো গেছে সেটাতে যথেষ্ট খুশি।
এবার উৎরে গেলেও বিপদটা অন্য জায়গায়। মমতা ব্যানার্জী র বয়স অলরেডি ৭০ র কাছাকাছি। ওনার বাইচান্স কিছু হয়ে গেলে এই মুহূর্তে পব তে অন্য কেউ নেই যে মোদী শাহ কে ঠেকাতে পারবে। তিনুরা ভেঙে কয়েক টুকরো হবে। আর মোদী শাহ এদুটো আপদ বাই চান্স পরলোকে বিদায় হলেও বিজেপির এক্সট্রিমিস্ট নেতা র অভাব নেই। ইন্ডিয়াতে ম্যাংগো লোকের যা মেন্টালিটি তাতে করোনায় ৫-৬ লক্ষ লোক মরলেও যদি ২০২৪ এ রাম মন্দির র দরজা খুলে যায় , লোকে হয়তো আবার এই জানোয়ার গুলোকেই জিতিয়ে আনবে।
ইন ফ্যাক্ট দিলীপ ঘোষের মতো *** পাবলিক থাকতেও যে দল ৩৮-% ভোট পায় তাতে বোঝা যায় যে বাঙালি দের একটা বড়ো % অলরেডি পোলারাইজড হয়েই আছে। তারা ফিরবে এই আশা কম। বরং নেক্সট পাঁচ বছর এদের এন্টি-মুসলিম প্রোপাগান্ডা আরো উঁচু লেভেলে হবে তার আভাস অলরেডি ফেবু হোয়াটসআপ এ পাচ্ছি।
বামেদের বড়ো সমস্যা হলো তারা জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব এর লেভেলে বিকল্প কোনো নেতা অথবা একটা গভর্নেন্স মডেল তূলে ধরতে পারছে না। ইন ফ্যাক্ট মমতার গভর্নেন্স মডেল যেটা আন্ডার প্রিভিলেজড সেকশন কে সোশ্যাল বেনিফিট দেওয়ার চেষ্টা করছে সেটা অনেকটাই বামেদের হওয়া উচিত ছিল। ইয়ং দের অনেক সময় লাগবে নিজেদের একটা গ্রহণযোগ্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে।
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে আর চর্বিত চর্বন করে লাভ নেই। তবে সত্যি বলতে কি শিল্পায়ন ছাড়া বিকল্প কোনো মডেল তো গত ১০ বছরে আর দেখা গেলোনা। সোশ্যাল বেনিফিট দিতে গেলেও তো রেভিনিউ জেনারেট করতে হয়। সে আর হচ্ছে কোথায় ? সমস্যা অবশ্য পুরো দেশেই। একা পব তে নয়। কিন্তু ওই ফাঁক গলেই বিজেপি র প্রোপাগান্ড মেশিনারি ফাল হয়ে না বেরোয়।
স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্মের গুণাবলী নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু নির্বাচনে লোকে রেডক্রশ বা রামকৃষ্ণ মিশনকে ভোট দেয় না।
বিজেমূল ব্যাপারটা আমারও ঠিক ক্লিয়ার নয়।
কিন্তু এই ভয়ংকর করোনার সময় ভলান্টিয়ারিং যারা করছেন, পার্টির ব্যানারে বা বাইরে, লাল নীল যে কোনো রঙ এর আন্ডারে, তাদেরকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করাটা একটু ইয়ে মানে... ...
কোন টইতে কে যাবে তার কী কোনো বাঁধাধরা নিয়ম আছে? তুলে দিন আর কি!
সিপিএম তাহলে পরের ইলেকশনে রেডক্রশের সঙ্গে জোট করছে, তার প্রথম স্টেপ রেডভলান্টিয়ার্স
এনার কথা অনেকবারই অনেক সূত্রে, অনেক দিন ধরে শোনা।
বিজেমূল নামক একটি কাল্পনিক দল বানিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রচার নিয়ে মোর্চার অনেকের বক্তব্য হল - আসলে মোর্চা বলতে চেয়েছে যে লড়াইটা বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পার্টিরই বিরুদ্ধে, বারবার দুটো পার্টির নাম বলতে অসুবিধে হয়, তাই জুড়ে দিয়ে একসাথে বিজেমূল বলছে।
তাহলে তো প্রবলেম নেই, কিন্তু মোর্চা প্রচার চালিয়েছে এইভাবে যে বিজেমূল হল বিজেপি=তৃণমূল এই ইকোয়েশন দিয়ে। এই দুই পার্টি আগে একসঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েছে, এখন পরস্পরের বিরুদ্ধে নাম-কা-ওয়াস্তে লড়াই, আসলে এই দুই পার্টি এক, এক পার্টির নেতারা অন্য পার্টিতে যখন খুশি চলে যায়, এরা আসলে জোটবন্ধু।
যেটা আশ্চর্যের সেটা হল - এই প্রচার যারা করছে, মানে বাম এবং কংগ্রেসের মোর্চা জোট, তারা একসময় ছিল চরম শত্রু এখন হয়েছে জোটবন্ধু।
কোভিড চলাকালীন সিপিএমের ইয়াং ক্রাউড স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্ম করে - কিছু কম্যুনিটি কিচেন চালায়, এবং রেড ভলান্টিয়ার্স নামে মানুষকে সাহায্য করা শুরু করে। এই উদ্যোগে মানুষের উপকার হয়েছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এদের অনলাইনে প্রচার ছিল এরকম যে - সিপিএমের লোকজন বিজেমুল এর থেকে ভাল কারণ তারা মহামারীর সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছে, তাই সিপিএমকে ভোট দিন। ব্যক্তিগত নৈতিকতাকে নির্বাচনের সময় দলগত গুণাবলী হিসেবে প্রচার মুশকিল, যেখানে সমস্ত প্রার্থীই পরস্পরের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার দাবি তুলছে, এবং নিজেকে হোলিয়ার-দ্যান-দাউ বলে সর্বক্ষণ প্রচার করছে। স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্মের গুণাবলী নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু নির্বাচনে লোকে রেডক্রশ বা রামকৃষ্ণ মিশনকে ভোট দেয় না।
দুটি প্রশ্ন
ক) ব্র্যাকেট কবিতা নিয়ে একটা হোয়া ঘুরছে, সেটা কি আই এস আই এর মধুর স্বপ্নের টই এ যাবে না?
খ) "The Master and His Emissary - The Divided Brain and the Making of Western World" বলে এক গাবদা বই জুটিয়েছি। কারো কোন বক্তব্য থাক্লে শুনতে আগ্রহী।
আসলে, কোন টইতে খ) যাবে বুঝতে/ মনে করতে না পেরে এখানেই হুজ্জুতি করা!
সৈকত এবং সিংগল কে'র সঙ্গে ১০০% সহমত। খারাপ লাগল খেরোর খাতায় বোধির আব্বাসের ইলেকশনের আগে গজিয়ে ওঠা পার্টিকে একেবারে সেকুলার তথা মুসলিম প্লেবিয়ানদের ভয়েস বলে জাস্টিফাই করার এবং সমালোচকদের প্রকারান্তরে ইস্লামোফোবিক বলার করুণ প্রচেষ্টা দেখে।
যে লোকটির বেঁচে থাকার ভিত্তি ধর্মগুরু জীবন, যে ইলেকশনের দু'মাস আগেও দলিত আদিবাসী এবং গরীব মুসলমানদের স্বার্থ নিয়ে কোন আন্দোলন তো দুর একটা প্রটেস্টও করেনি, যে আগে মমতার কাছে সীট চাইতে গেছল সে হঠাত আদ্দেক সীট নন-মুসলিমদের দিলেই সেকুলার? অনেক বন্ধু বলছেন--দেখান দেখি ব্রিগ্রেড বা অন্য নির্বাচনী মঞ্চে উনি কোথায় সাম্প্রদায়িক কথা বলেছেন?
মোদীজিও তো মঞ্চ থেকে বা মন কী বাত প্রগ্রামে এসব কথা না বলে সব ক্যা সাথ, সব ক্যা বিকাস, সবকা বিশ্বাস জাতীয় ভাল ভাল কথা বলেন। ওটুকু দিয়ে কী আর সার্টিফুকেট দেয়া যায়? আগের কথা গুলো নিয়ে চোখ বুঁজে থাকা? এ যেন বিয়ের আগে ছেলেরা অমন একটু আধটু করেই থাকে, বিয়ে দিলে শুধরে যায়।
ধার্মিক গুরুরা কি সামাজিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হতে পারেন না? কেন নয়? লাতিন আমেরিকার লিবারেশন থিওলজি এবং দক্ষিণ ভারতে আশির দশকে মছুয়াদের আন্দোলনে সিস্টাররা বা স্বামী অগ্নিবেশ, বিহারে ফাদার স্টয়ান স্বামী তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু সেই বিশ্বাস অর্জনের বস্তু, লাগাতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে , হঠাৎ নির্বাচনী দল গড়ে নয়।
অভ্যু
নরেন্দ্রপুরে থাকার সময় নিষ্ঠার নাম শুনেছি, তুমি যুক্ত শুনে ভাল লাগল। কোলকাতা গেলে অবশ্যই তোমার যোগাযোগ নিয়ে ওখানে যাব। একটু কুকুরজাতীয় পলিটিক্স (কমলাকান্ত) করে গিন্নিকে রাজি করিয়েছি মহামারী চলে গেলে কোলকাতায় স্থায়ী আড্ডা বানাতে। মানে শীতকালীন ছ'মাস কোলকাতা এবং গ্রীষ্মকালীন ছ'মাস মেয়ের কাছে গুরগাঁও। অন্ততঃ দেড়-দু'বছর পরের ব্যাপার। একবার কোলকাতায় পা রাখতে পারলে 'কা তব কান্তা, কস্তে পুত্রাঃ' কেস' হবে!
সব্বাইকে ঈদ মুবারক। কিন্তু আপনারা চাপাতি কাটারি চপার নিয়ে আলোচনা করছেন দেখি? বাপস!
না না আরশোলার নয়। আরশোলা মারতে এসব লাগে না।
চায়না দাম বাড়াচ্ছে আর পচা মাল পাঠাচ্ছে।আবার বলছে আমরা হেল্প করছি।
দমদি কি আরশোলা মারার জন্য খুঁজছ?
এটাকে বাংলায় বলে চপার। রামদা হলো কাটারি, হাত দা, খাঁড়া সব মিলিয়ে মিশিয়ে একটা বড় সাইজের ব্যাপার।
ভাল কথা, যে গোল কাঠটার ওপর মাংসটা থোড়ে সেটারও একটা নাম আছে। সেটাও মনে পড়ছে না। কাল সেটাও ঝালিয়ে নিতে হবে।
বাংলা, হিন্দী, উর্দু কাল সব জেনে দেব দমদি।
কাল আমার আবার সেকেণ্ড ডোজ টীকাও নেবার আছে। কোভ্যাক্সিন।