ঈশ্বর পৃথিবী খেলাধুলো
--------------------------
সিরিয়ার বুলেটবিদ্ধ যন্ত্রণায় কাতর শিশুটি
যাবার সময় বলে গিয়েছিল,
"আমি কিন্তু ঈশ্বরকে সব বলে দেব!"
ঈশ্বর তার কাছে সব শুনে বললেন,
"খেলা শুরু হবে |"
(আজকে টুইটারে একটি পোস্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখলাম)
সিংগল k | 2405:201:800e:501c:f061:97d1:2c34:***:*** | ২৬ এপ্রিল ২০২১ ০১:০১478650আমার এলাকা মধ্য কলকাতায় টীকাকরন এর এখনকার পরিস্থিতি জানিয়ে যাই-
১) মেডিকেল কলেজের টীকা নিতে গেলে সকাল নটার আগে লাইন লাগাতে হচ্ছে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ, কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এঁরা দিচ্ছেন। কতজনকে সেদিন দেওয়া হবে সকালে সেটি লিখে বোর্ড টাঙ্গানো থাকছে। দুদিন আগে সেই ছবি ও ইনফর্মেশন পোস্ট করেছিলাম, সম্ভবত বাইশ তারিখ। ১৫০ জনকে কোভিশীল্ড দ্বিতীয় ডোজ ও ২০০+২০০ জনকে কোভ্যাক্সিন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে।
২) আমাদের ৪৭এর পল্লী নাগরিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টীকা নিতে গেলে শুধু আধার কার্ডের জেরক্সে নিজের ফোন নম্বর লিখে জমা দিতে হচ্ছে, তারা দিনক্ষন বলে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় সেইদিন গেলে টীকা দেওয়া হচ্ছে। এঁরা কোভ্যাক্সিন দিচ্ছেন শুধু। দিনের যে কোন সময় কাগজ জমা দেওয়া যাচ্ছে। ফলে কোন ভীড় নেই। শুক্রবার যাঁরা কাগজ জমা করেছেন তাঁরা সোমবারের ডেট পেয়েছেন।
৩) পাশের পাড়া ৫০ এর পল্লী নাগরিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টীকা নিতে গেলে সকাল আটটার আগে লাইন দিয়ে কুপন নিতে হচ্ছে, ( ভোর চারটে থেকে লাইন পড়ছে)। এঁরা দিনে মাত্র ৩০ জনকে কোভিশীল্ড টীকা দিচ্ছেন।
৪) স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন। এখানে সকাল দশটা ও দুপুর একটায় আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকে কোনো টোকেন ইত্যাদি ইস্যু করা হচ্ছে না। লাইন লাগালে যতক্ষন ওঁদের টীকা ফুরিয়ে না যাচ্ছে ততক্ষন লোকে টীকা পাচ্ছেন। শনিবার দুপুর একটায় লাইন দিয়ে লোকে বিকেল চারটেয় টীকা পেয়েছে। শনিবার এখানে কোভিশীল্ড দেওয়া হচ্ছিল। এঁরা দিনে ২০০+ লোককে টীকা দিচ্ছেন।
৫) ইসলামিয়া হাসপাতাল। এখানে টীকাকরনের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন।
৬) লেডি ডাফরিন হাসপাতাল - এখানকার টীকাকরনের খবর এখনই আমার কাছে নেই। তবে টীকাকরন হচ্ছে এটুকু জানি।
৭) বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী মারোয়াড়ী হাসপাতাল - এঁরা ২৫০ টাকার বিনিময়ে কোভিশীল্ড টীকা দিচ্ছেন। এতদিন ফ্রী নয় বলে কোনো ভীড় থাকত না, আমার সমস্ত বন্ধুবান্ধব ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন এখানেই টীকা নিয়েছেন। বর্তমানে প্রচন্ড ভীড় হচ্ছে এবং সকালে গিয়ে লাইন লাগিয়ে টোকেন নিতে হচ্ছে। সর্বাধিক কত টীকা এঁরা দিনের মধ্যে দিচ্ছেন সেটা ঠিক জানি না।
৮) কলেজস্কোয়ার পুজোপ্যান্ডেলের পাশে ৪০ নং ওয়ার্ড নাগরিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকালে লাইন দিয়ে টোকেন নিয়ে টীকা দিতে হচ্ছে, এঁরা কোভিশীল্ড দিচ্ছিলেন, আগে এঁরা লাইন না দিয়ে, কো উইনের এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে গেলেও দিচ্ছিলেন, এখন শুধুমাত্র লাইন দিয়ে টোকেনের ভিত্তিতেই দেওয়া হচ্ছে।
আমাদের এলাকায় অক্সিজেনের অভাব মারাত্মক, কারো কাছেই সিলিন্ডার নেই সাপ্লাই এলেই কর্পূরের মত উবে যাচ্ছে।
এখানে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে গেলে প্রায় প্রত্যেকেই বলে দিচ্ছেন যে হাতে অনেক স্যাম্পল জমে গেছে তাই তাঁরা বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন আপাতত বন্ধ রেখেছেন, পরে আবার ফোন করে দেখতে। অর্থাত টেস্টও করানো যাচ্ছে না।
অর্জুন | 103.5.***.*** | ২৬ এপ্রিল ২০২১ ০০:৪৫478649আলিপুরদুয়ারে একজনের অক্সিজেন প্রয়োজন। অনেক খোঁজ করেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা।
কারো যোগাযোগ থাকলে জানাবেন।
দু | 47.184.***.*** | ২৬ এপ্রিল ২০২১ ০০:৪১478648মৃত্যু তো আছেই কিন্তু মৃত্যুতে ও এই দুর্গতি বোধহয় কোভিডের সবচাইতে বাজে ব্যপার
সিংগল k | 2405:201:800e:501c:f061:97d1:2c34:***:*** | ২৬ এপ্রিল ২০২১ ০০:২৯478647আমার এক বন্ধু গত এক বছর ধরে একটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ভাড়া করে বসে আছে। তার এক আত্মীয় করোনাতে মারাও গেছেন আগের ওয়েভে। সেই সময়েও তার ঐ কনসেনট্রেটর কোনো কাজে লাগে নি,কারন অসুখ ধরা পডার পর থেকে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালেই পাঠাতে হয়েছিল, তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। কাজেই এই এক বছরে ঐ কনসেন্ট্রেটর প্রায় কোনো কাজেই লাগে নি,অথচ বন্ধুটি মাসের পর মাস তার ভাড়া গুনে চলেছেন স্রেফ একটা ইনসিকিউরিটি ফিলিং থেকে।
সরকারের কাজ হল জনগনের মনে ভরসা জাগানো, যে সে সব দিক দিয়ে সুরক্ষিত, দেশে সিঙ্গল ও ডবল ইঞ্জিনযুক্ত এতগুলো সরকার থাকতেও যদি তারা সবাই জনগনের মনে এই ভরসাটুকুও জাগাতে ব্যর্থ হয়, তো কমিউনিটি র ওপর পুলিশিং করে আর কতদুর কি করবেন পাইদিদি!!
নাঃ, এ ব্যাপারে ডাক্তাররা য বলবেন।
তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার হোর্ডিং খুবই হচ্ছে। একজন লিখেছেন। আরো অনেকে এটা বললেন।
"এই তীব্র অক্সিজেনের সংকটের কারণ অনুসন্ধান করে যা পেলাম...
বেশিরভাগ লোকজন স্রেফ প্যানিক করে আগেভাগেই মোটা টাকার বিনিময়ে এক মাসের কড়ারে সিলিন্ডার ভাড়া নিয়ে রেখে দিয়েছেন। তাদের অনেকেরই আদৌ এইমুহূর্তে অক্সিজেনের কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না, তবুও স্রেফ ভয় থেকেই সিলিন্ডার অহেতুক আটকে রেখেছেন।
ফলে যে সমস্ত সাপ্লায়ার সিলিন্ডার ভাড়া দেন তাঁদের স্টক দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। ভাড়ার সিলিন্ডার খালি হয়ে তাঁদের কাছে ফেরত না আসায় তাঁরাও খালি সিলিন্ডার ফের ভর্তি করে আরেকজনের প্রয়োজনে ভাড়া দিতে পারছেন না।
এই বিষয়ে আমার একটি প্রস্তাব আছে। সেটি হল...
প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় যাঁরা সিলিন্ডার ভাড়া দেন তাঁদের থেকে যাঁরা সিলিন্ডার ভাড়া নিয়েছেন তাঁদের ডেটা কালেক্ট করুন। এবার সেই ডেটা ধরে সিলিন্ডার ভাড়া নেওয়া লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিলিন্ডার সেই মুহূর্তে আদৌ তাঁরা ব্যবহার করছেন কিনা বা আদৌ তাঁদের সিলিন্ডারের আশু প্রয়োজন আছে কিনা চেক করে দেখা হোক। অপ্রয়োজনে রেখে দেওয়া সিলিন্ডার ফেরত নিয়ে এসে যাঁদের সেই মুহূর্তে জরুরি প্রয়োজন তাঁদেরকে দেওয়া হোক।
এলাকাভিত্তিক একটা টিম বানিয়ে এই কাজটা কি করা যায় ???"
@dc ওটাই লাস্ট এপিসোড।
আরেকটা শো রেকমেন্ড করতে পারি, ইনভিনসিবল। আনিমেশন, কিন্তু দারুন হচ্ছে। আমাজন প্রাইম এ হয়।
হিজি -বিজ -বিজ | 2603:8000:b101:f400:4579:61b0:86de:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২৩:০৪478644পাই দি, এটা নিয়ে আরেকটু ডিটেলে লিখবে প্লিজ?
কমেন্টবাক্স।
https://www.facebook.com/796725300/posts/2249668431832807/?substory_index=66
পুণ্যদা লিখেছেন,
গতবছর এরকম সময় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর আকাল দেখা গেছিল। আই সি এম আর স্বাস্থ্যকর্মী এবং কোভিদ রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানুষজনদের এই ওষুধ খাওয়ার নির্দেশিকা জারি করার পর অনেকেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মজুদ করতে থাকেন।
এবছর এমনটাই ঘটছে অক্সিজেন এর সঙ্গে। হাসপাতালে অক্সিজেন বেড দুর্লভ, তাই যারা পারছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়িতে মজুদ করছেন আর বাজারে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের কৃত্রিম আকাল।
মনে রাখুন কোভিদ রোগে শ্বাসকষ্ট না হলে, এসপিও২ অর্থাৎ রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা 95 শতাংশ এর নিচে না নামলে অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই।
মনে রাখুন অক্সিজেনের মাত্রা 95 শতাংশ এর নিচে নামলে কিন্তু বাড়িতে অক্সিজেন দিয়ে সে ঘাটতি পূরণ করা যায় না। পূরণ করার জন্য হাই ফ্লো নেজাল কেনুলা, বাইপ্যাপ মেশিন বা ভেন্টিলেটর দিয়ে অক্সিজেন দিতে হয়। সেইসব কিন্তু বাড়িতে সম্ভব নয়।
তাই বাড়িতে অক্সিজেন মজুদ করে বাজারে অক্সিজেনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন না, কালোবাজারিতে মদদ দেবেন না।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করুন।
হোয়াটসঅ্যাপ, ফোন ভরে যাচ্ছে, কোনো বন্ধু বলছে তাদের প্লাজমা চাই, কেউ অক্সিজেনের, কারু বাড়িতে দুজনের কোভিড, তাকে চাকরি বাচাতেই হবে নাহলে খাবে কি? এই অবস্থায় অনলাইন/অফলাইন ভলেন্টিয়ার লাগবে। পিং করুন ৯৮০৪৮৮৯২৪৩"
- Chhandak Chatterjee
dc | 122.164.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪৩478639ফ্যালকন বনাম উইন্টার সোলজারের ৬ নং এপিসোড দেখলাম, এখনো অবধি এটাই সবচেয়ে ভালো লাগলো। তবে সেষে ক্যাপ্টেন আমেরিকা বনাম উইন্টার সোলজার হয়ে গেল।
ধন্যবাদ @π
PT | 203.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:২৫478637"District Medical Officer K.J. Reena has stressed that COVID-19 will not spread from dead bodies that have been cremated or buried in compliance with all protocols. "
https://www.thehindu.com/news/national/kerala/covid-does-not-spread-from-dead-body-dmo/article32216202.ece
""There isn't any evidence or record about bodies of novel coronavirus patients spreading infection among healthy people," AIIMS-Bhopal Director Professor Sarman Singh told NDTV"
https://www.ndtv.com/india-news/coronavirus-does-covid-19-spread-from-the-dead-bhopal-aiims-deep-dive-to-find-out-2300660
AIIMS একটা স্টাডি করবে বলেছিল গতবছর কিন্তু তার কোন রেসাল্ট পেলাম না।
কিন্তু রুগীর ব্যবহৃত সব কিছুই যদি মৃতদেহের সঙ্গেই শেষকৃত্যের জায়্গায় পাঠানো হয় তাহলে সেগুলো থেকে তো ছড়াতে পারে?
দু | 47.184.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:০৮478636মৃতদেহ থেকে কি সত্যিই ছড়াতে পারে?
আমার কাছে এই তালিকা ছিল, যেটা আগে দিয়েছিলাম।



বা edf হসপিটালে কি করোনা টেস্ট হচ্ছে ?
যাদবপুরে , সাউথ সিটি র কাছে কোনো কোভিড টেস্ট এর সেন্টার আছে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ? বা আজ টেস্ট করা সম্ভব হবে ?
Abhyu | 47.39.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১০478632আমাদের বন্ধু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মণিকর্নিকা ঘাটে কী দেখেছে, সে আর লিখবো না, কিছু জিনিস না লেখাই ভালো।
বিশ্বের ভাণ্ডারী শুধিবে না
এত ঋণ?
রাত্রির তপস্যা সে কি আনিবে না দিন?
বিশ্বের ভাণ্ডারীর দরকার নেই, মানুষ ভোট বাক্সে উত্তর দেবে না?
এটাও পেলাম। রইল।





For Bengal, bed availability, updated in real time,
Via Chandroneev Brahma
https://docs.google.com/spreadsheets/d/11zkegb8A1FBMx9_O9nG6gadnKBhZe-r7-Grzj3oB09w/htmlview
এই সাইটটাও থাক।
স্বাতী লিখেছে, কাল, আবারও, বাংলায় ভোট। কলকাতায় এখন দুটো স্যাম্পল টেস্ট করলে একটা পজিটিভ হচ্ছে। জেলায় টেস্ট কত হয় ঈশ্বর জানেন। কিন্তু কাল ভোট, এবং মানুষ বিপদ মাথায় নিয়েই ভোট দিতে যাবেন।
এখানে অনেকেই জানেন যে আমাদের এক বন্ধু বেশ কিছুদিন বারাণসীতে হাসপাতালে ছিল। তার টেস্টের রিপোর্ট পেতে দু সপ্তাহ আগে ৩ দিনের উপর লেগেছিল। হাসপাতাল পাওয়াটা তার এক্সিডেন্ট। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে আড়াই ঘন্টা মেঝেতে শুয়ে থাকার পর নিজে হেঁটে বাইরে গিয়ে, অটো ধরে নগর নিগম চিহ্নিত হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত হয়ে, অবশেষে সহৃদয় এম্বুলেন্স চালকের সাহায্যে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়, আরও বেশ কয়েকটা হাসপাতাল ঘুরে। আইসিইউর বৰ্ণনা, হাসপাতালে কর্মীদের অসহায়তা, ডাক্তারের প্রায় একক লড়াই, এগুলো আর লিখবো না - গল্পটা আমার নয়।
ভারতীয় মধ্যবিত্তের অভ্যাস মতই আমরা তাকে বলছিলাম, টাকা নিয়ে ভাববি না। আর সত্যি, ভাবতে হয়নি। রেমডিসিভির কিনতে একটা আশ্চর্য এমাউন্ট দিতে হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় টাকা তুলে আমরা তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে এনেছি। আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থান এরকমই যে ডাক দিলে টাকা উঠে যায়। কিন্তু সেদিন রাত্রে, যেদিন পরিষেবার দরকার ছিল, সেদিন আমাদের এত অবস্থানগত প্রিভিলেজ, এত পরিচিতি, এত টাকা - কোন কিছু কাজে আসেনি।ভারতবর্ষে টাকা ফেললে অনেক কিছুই হয়ে যায় আমরা জানতাম, আমরা ভাবতাম। আসলে সেটা যে মধ্যবিত্তের বালিতে মুখ গোঁজা, সেটা বুঝতে পারিনি। আমরা টাকা ছুঁড়ে মারতেই শিখেছি শুধু, একটা রাজনৈতিক শ্রেণী তৈরি করতে পারিনি যেটা সার্বজনীন পরিষেবা দিতে পারবে, যেখানে অক্সিজেনে জিএসটি আর খোলা বাজারে ভ্যাকসিনের মতন ভয়ঙ্কর জিনিস দেখতে হবেনা।
আমাদের বন্ধু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মণিকর্নিকা ঘাটে কী দেখেছে, সে আর লিখবো না, কিছু জিনিস না লেখাই ভালো। আমার প্রিয়তম অসসি ঘাটে মৃত অন্তত ৪ জন পরিচিত বাঙালি ব্যবসায়ী। যে ছোট ব্যবসায়ীদের কথা বলে বারাণসী নগর নীগম কোন সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা নেয়নি, তাঁরাই আজকে নেই। এরকম আরও কত মানুষ নেই, জানিনা, কল্পনার বাইরে।
প্রশ্ন থাকছে, বারাণসীর নগর নিগমের প্রতি। তাঁরা কোন পরিষেবাই দিতে অপারগ। কিছুদিন আগে বাড়িতে গোলাপী রঙ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
প্রশ্ন থাকছে বারাণসীর এমএলদের প্রতি। প্রশ্ন থাকছে উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতি।
আপনারা কোথায়? আপনারা কী করছিলেন যখন একটি অসুস্থ ছেলে আড়াই ঘন্টা হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে ছিল?
বারাণসীর এমপিও আছেন একজন অবশ্য, এঁরা সবাই একই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তিনি কোথায় ছিলেন জানি সে সময়। আমার শহরে সভা করছিলেন।
কাল ভোট। ভেবেচিন্তে ভোট দিন। মহামারীতে পয়সা দিয়ে পরিষেবা কিনতে পারবেন না, আক্কেল তো ছেড়েই দিন।
r2h | 49.206.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৩:০০478626বেশ কিছুদিন আগে হপা বা খেরোর খাতায় একজন একতা ধারাবাহিক উপব্যাস শুরু করেছিলাম, একজন বিদেশে কাজ করতে যাওয়া আইটি কর্মীর এনআরসি সিএএ বিরোধি আন্দোলনের জড়িয়ে পড়া নিয়ে - খেরোর খাতা চালু হওয়ার একদম শুরুর দিকে, তিনটে মত পর্ব হয়েছিল। কারো মনে থাকলে একেটু তুলে দেবেন।
খেরোর খাতার লেখাগুলোর প্রতি মনোযোগ কম দেওয়া হয়, ওখানে যাঁরা লেখেন, তাঁদের অনেকেই বোধয় একটা কমেন্ট করে টইতে ভাসানোর ব্যাপারটা জানেন না। আবার নিজে নিজে টইতে আনতে গেলে আপনি কি অমুক তমুক বা কী বই পড়বেন ওসবও চলে আসে।
Abhyu | 47.39.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১২:৩৩478625এখানেও লিখেছে আদিত্যদার কথা https://epaper.anandabazar.com/imageview_55805_54624244_4_71_25-04-2021_11_i_1_sf.html

ধন্যবাদ রমিত।
যথাসাধ্য শেয়ার করছি।
ঈপ্সিতাকেও ধন্যবাদ দিই। এই কদিনে ঈপ্সিতার দেওয়া অনেক লিংক শেয়ার করেছি।
বেড, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, প্লাজমা, রক্ত থেকে শুরু করে টেস্টিং, হোম কেয়ার ফেসিলিটি, মেন্টাল হেলথ রিসোর্স, মিল ডেলিভারি - সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাবতীয় রিসোর্স একত্রিত করা হয়েছে একজায়গায়। সম্পুর্ন ক্রাউডসোর্সড কাজ। প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে সাইটটা।
দ্রুতগতিতে শেয়ার করুন।
যে গতিতে কোভিড ছড়াচ্ছে, তারচেয়ে বেশি হারে এটা ছড়িয়ে দিতে হবে https://covidresourceswestbengal.carrd.co/
মাছ ধরা হয়ে গেছে, তাই আর জালের দরকার নেই।