সিঙ্গল কে-র প্রতি নমন। আপনিই কি আমাদের রেসিডেন্ট উনি জি?
বাংলার অধ্যাপক মানেই ঘোটালা। ইংরিজির মাস্টার মানেই সর্বজ্ঞ। এ তো ক্লাইভের আমল থেকে চলে আসছে। নিন্নিছারা বোঝে না।
অনেকদিন পড়তে পাইনা, যখন পড়তাম, প্রাবন্ধিক হিসেবে বিশ্বজিৎ রায়কে তুখোড় আর ব্যতিক্রমী লাগত।
চতুর্মাত্রিক, হহপাশ্ব মানে জানেন তো? হইলেও হইতে পারিত শ্বশুর। এক বিখ্যাত লেখক এইরকম এক হহপাশ্ব এর কাছে এমন ঝাড় খেয়েছিলেন তরুণ বয়সে, যে পরবর্তীকালে তাঁর প্রায় সমস্ত লেখাতেই তিনি সেই হহপাশ্বকে উপস্থিত করতেন কোনো না কোনো চরিত্র হিসেবে। ফিক্শনালি তাকে নানাভাবে ঝামেলায়, দুঃখে, পরাজয়ে ইত্যাদিতে ফেলতেন। এই জিনিসটাকে কী বলে? মনোবিজ্ঞানে এর কি কোনো নাম আছে?
ভালো আছি এবংঅথবা। ধন্যবাদ। আজগে প্রফেটের বাণীটি বেশ লাগসই ভাবে ব্যবহার করেছেন আপনি। কিন্তু আমি তো লেখক না একজন হহপাপা। তাই শুধু পাঠ করে যাই।
বিশ্বজিৎ রায় রামকৃষ্ণ মিশন পুরুলিয়া ও নরেন্দ্রপুরের প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই হল ঘটিপুরুষ। সম্ভবতঃ প্রফেসর শঙ্কুর শেষ ডাইরিও ওনারই লেখা।
চতুর্মাত্রিক, কেমন আছেন? নতুন কিছু লিখলেন কোথাও?
ডিমোক্র্যাসি একটি সিঙ্গুল কে-র অন্যতম অসাধারণ সৃষ্টি!
এলেবেলবাবুর প্রশ্ন দুটির উত্তর হলো 1) বাংলা 2) তিনি প্রথমে ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। তাই বর্তমান বিধায়ক বা আপিস হোল্ডারের পূর্বসূরী।
আর রঞ্জনবাবুর প-য়ে পাথর এবং পিটির পানজ্ঞানওলা কোটেশন খুব মানানসই।
"শাকাশীরা ফাটা কাঁসি বাজাইতে বাজাইতে কাশী চলিলেন।" ঃ-)
ওদিকে নাকি ভীষণ ভয়ঙ্করোনা? কুম্ভস্নানে কুম্ভীপাক অবস্থা?
শাকাশী নামটা যথার্থ। এরা মুরগী মারে না কিন্তু মানুষ মারতে এক পা এগিয়ে
শুদ্ধ শাকাহারী ভ্যাকসিন। ঃ-)
আমি অবাক মেনে যাই এই ভেবে যে বিশ্ববরেণ্য দেশনেতার সঙ্গে আমার কি মিল।
মাননীয় মোদীজীরও মা কোভিশীলড নিয়েছেন আর মাননীয় মোদীজী কোভ্যাক্সিন। কাল আমিও বিশ্ববরেণ্য এই দেশনায়কের সঙ্গে একই ক্যাটেগরিতে এসে যাব। আমার ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিচ্চে মশাই।
এ কি ঐ কুচুটে ডিম পেলেন? যাঁদের বাইরেটা সাদা, ভেতরটি গেরুয়া কুসুম!!
কি যে বলেন। সেই বৃক্ষবাসী গুহাবাসী ধাঁধাটার মত সব শাকাশীই স্বচ্ছভাবমূর্তির। তাদের শাক দিয়ে কিছুই ঢাকার নেই।
শুয়ে পড়ি, কাল আবার আমার -
সব কো সাথ সব কোভ্যাক্সিন।
সিঙ্গল কে, শাক কি এমনি শুধু শাক? নাকি মাছও আছে? ঃ-)
তবে স্বীকার করতেই হবে ডিমোক্রেসী ভেজোক্রেসীর চেয়ে অনেক পরিবেশবান্ধব। শাকাশীদের প্রতি গাড়ীতে জেনারেটর আছে, দিদির ডিমোক্রেসীতে নেই।
আর ডিমোক্রেসী কেন!! সোস্যালিজমেরও হদ্দমুদ্দ। দিদির দুয়ারে ডিম কাউন্টার করতে ডিমোক্রেসী বিরোধীরা দুয়ারে শাক নিয়ে হাজির হয়েছে। ছবি দেই নি বুঝি!!!
টেরিটি বাজারের মাজারের সামনের চিত্র।
সারানোর ব্যাপারটিও বেশ জাড্যাপহ অমিতবাবু, গতবারে ভেঙ্গে পড়লে কম্পেনশেসন পেয়েছিলেন মালিক। ভাড়াটেরা কিছু পান নি। যাঁদের ড্যামেজ হয়েছিল তাঁদের মেট্রো রেলের কনট্র্যাক্টর সারিয়ে দিয়েছিল, ঐ নোটিসে যাঁদের নাম আছে।
এই যে বাড়িগুলোর ড্যামেজ হয়েছে টানেল খোঁড়ার জন্যে , মেট্রো থেকে কি সেসব সারানোর পয়সা দেয় ? নাকি সেই আদালতের চক্কর কাটা?
মানে লোকের দুয়ারে খাবার না জুটলে ক্ষেতি নেই , কিন্তু ভোট দিতেই হবে। ডেমোক্রেসির হদ্দমুদ্দ একেবারে।
আসলে কিছু না জানেন, না জানতে চান। ফুট কাটা হচ্ছে আপনাদের অভ্যাস। আর র্দৌড় ঘনাদা কিংবা সুকুমার রায় পর্যন্ত। ফুসস!
হেঁ হেঁ, আমাদের সেন্ট্রাল ক্যালকাটা হল গিয়ে যমের অরুচি। শুভেন্দুজী যে এত দক্ষিণের ওপর ক্ষিপ্ত, উত্তরের ওপর প্রসন্ন, তিনিও সেন্ট্রাল নিয়ে নীরব।
এসব করোনা ফরোনা হচ্ছে বলে উন্নয়ন তো আর থেমে থাকতে পারে না!! তার ভারী ব্যাড হ্যাবিট হল ভোটের মুখে খড়গ হাতে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা।
তা এই ভোটের মুখে করনার মাঝে আমার বন্ধুরা বাড়ি ছেড়ে হোটেলবাসী হবার এই নোটিশটি পেয়েছে---
পাতাল রেলের এ নোটিশ অমান্য করবে এমন সাহস এ পাড়ার কারো নেই, গতবারের ঘটনা দেখার পর থেকে। ফলে করোনার চিন্তা শিকেয় তুলে সব ডেরা ডান্ডা গুটিয়ে কাল থেকে হোটেলে।
একটাই ভালো ব্যাপার, বন্ধুর সীট পড়েছে ব্রডওয়ে হোটেলে, তার নিচেই বার আছে, সেখানে একবার ঢুকলে বাড়ি রইল কি গেল সে হুঁশ তার থাকে না।।
খুবই জাড্যাপহ ব্যাপার এই দুয়ারে বুথ। করোনা রুখে যাবে। কি বলেন???
খুবই জাড্যাপহ ব্যাপার এই দুয়ারে বুথ। করোনা রুখে যাবে। কি বলেন???
এখানে মাঝের জন ভোটদাতা। বাকি সবাই ভোটকর্মী। আশির উর্ধে ভোটদাতার জন্য কারো পিপিই জুটল না?? উর্দি তো ঠিকই আছে, টিপটপ। বাইযরে আরও দুই বা তিনজন উর্দিধারী আছেন এঁরা দুজন ছাড়া।
মানে বলতে চাইছিলাম দুয়ারে যাওয়া ভোটকর্মীদের কি রোজ আরটিপিসিআর হচ্ছে? জানেন কিছু?
কেন্দ্রীয় সরকার দুয়ারে যাওয়ার ঘোর বিরোধী। কেজরীজীর দুয়ারে রেশন আটকে দিয়েছেন। দিদিকে যমের দুয়ারে সরকার বলে কটাক্ষ করেন। এদিকে স্বাধীন ইলেকশন কমিশন যে দুয়ারে গিয়ে বয়স্কদের ভোট নিচ্ছেন তার ক্ষমতা কি একটু খর্ব করা যায় না??
দেখুন সিরিয়াস ব্যাপারের আলোচনা করে করে আপনারা কেমন গম্ভীর হয়ে গেছেন। একটুখানি সুকুমার রায় পড়ে নিন চট করে। খুব মিলও আছে পরিস্থিতির সঙ্গে। ঃ-)
"আরে আরে জগমোহন—এস,এস,এস—
বল্তে পার কোথায় থাকে আদ্যানাথের মেসো?
আদ্যানাথের নাম শোন নি? খগেনকে তো চেনো?
শ্যাম বাগ্চি খগেনেরই মামাশ্বশুর জেনো।
শ্যামের জামাই কেষ্টমোহন, তার যে বাড়িওলা—
(কি যেন নাম ভুলে গেছি), তারই মামার শালা;
তারই পিসের খুড়তুতো ভাই আদ্যানাথের মেসো,
লক্ষ্মী দাদা, ঠিকানা তার একটু জেনে এসো।
ঠিকানা চাও? বলছি শোন; আমড়াতলার মোড়ে,
তিন-মুখো তিন রাস্তা গেছে, তারি একটা ধ’রে
চল্বে সিধে নাকবরাবর, ডানদিকে চোখ রেখে,
চল্তে চল্তে দেখবে শেষে রাস্তা গেছে বেঁকে।
দেখবে সেথায় ডাইনে বাঁয়ে পথ গিয়েছে কত,
তারি ভিতর ঘুরবে খানিক গোলকধাঁধার মতো।
তার পরেতে হঠাৎ বেঁকে ডাইনে মোচড় মেরে,
ফিরবে আবার বাঁয়ের দিকে তিনটে গলি ছেড়ে।
তবেই আবার পড়বে এসে আমড়াতলার মোড়ে,
তার পরে যাও যেথায় খুশি, জ্বালিয়ো নাকো মোরে।
ঃ-)