ভ্যাক্সিন বন্ধ করার প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
https://www.npr.org/2021/04/15/987182241/the-most-popular-j-j-vaccine-story-on-facebook-a-conspiracy-theorist-posted-it
চটেন ক্যান? গুরুতে প্রত্যেকের কাজ হল এনট্রপি বাড়িয়ে যাওয়া। নিশ্চিন্তে বাড়িয়ে যান।
এক, বাম পার্টির সীটের সঙ্গে আমার কথা বলার কি সম্পর্ক সেটা জানি না।
দুই, অতিবামেরা তো একটাও সীট পায়না, তাহলে তাদের জন্য কি বিধান?
তিন, যারা কোনও বিশেষ পার্টিকে সমর্থক করেনা, তারা কতটা কথা বলবে বলে আপনার মতে?
চার, গুরুতে কথা বলার পরিমাণ যে কোনও বিশেষ পার্টির সীট দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে, সেটা গুরু কর্তৃপক্ষ জানালে বিশেষ বাধিত হই।
পাঁচ, কে কতটা কথা বলবে সেটা যে আজকাল বিশেষ বিশেষ কেউ ঠিক করে দিচ্ছেন, সেটা জেনে ভালো লাগলো। অমিত শাহের যোগ্য উত্তরসুরি পাওয়া যাচ্ছে।
ছয়, গুরু শুনেছিলাম কারোর কথাই সেন্সর করেনা। সেটা কি তাহলে ঠিক নয়।
সাত, গুরুর কর্তৃপক্ষ দুইজনের কাছে আমার ফোন নাম্বার আছে। একজন একটা ছোট্ট টেক্সট করেও যদি জানিয়ে দেন যে মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে রাখতে, তাহলে অন্তত এখানে আর লিখবোনা।
এত তক্কো এত প্রচার এত বিচারের আহ্বান এত মিম এত তাজা তরুণ এত জেএনইউ-ছাপের পরেও মাত্তর দুটো? তাহলে বিনীত অনুরোধ, আগামী পাঁচ বছর আঙুলে সেলোটেপ লাগিয়ে রাখবেন প্লিজ। এই অনন্ত হ্যাজ আর নেওয়া যাচ্ছে না মাইরি।
লসাগুদা, হিসাব কিন্তু তাই বলছেনা। কারণ জোট এতটাই কম সীট পাবে যে তারা কোনও ইকুয়েশানেই আসবেনা। আমার ধারণা বামেরা দুই অন্কও পৌঁছবে না; এমনকি সর্বসাকুল্যে দুটো সীটও পেতে পারে। তিনোর কিছু কম পড়লে, কঙ্গ দিয়ে দেবে। আইজ-নোজের সময় গুটিকয়েক বামেরা অ্যাবস্টেইন থাকবে।
কী মুশকিল। সিপিআইএমের লোকেরা যে বলে তৃণমূলের লোকেদের উত্পাতে গুরুতে আসা দায়।
গুরু একটি আদিগন্ত হেরো, রিটায়ার্ড অপিচ বাতেলাবাজ সিপিএমের নাকিকান্নার মাঠে পরিণত হয়েছে।
তদন্ত তো হয়েই আছে। বিচার হওয়াটা তো বাকি আছে।
সেইরম মজার সব আবদার। :))
নন্দীগ্রাম নিয়ে কেউ তদন্ত করবেনা। ওটাকে সবাই ধামাচাপ দিয়ে রাজনৈতীক এবং অন্যান্য ফায়দা তুলতেই ব্যস্ত। এর থেকে বেশি আর কিছু লিখলাম না।
অবশ্য লজিক সবার এক নয়। কংগ্রেসের সকল পাস্ট ডিডের দায়িত্ব এখনকার কংগ্রেসের ওপর বর্তায় কিন্তু ব্যক্তিগত উচ্চাশা য় যারা দলত্যাগ করেছেন তারা সেসময় সে পার্টিতে থাকলেও বেদাগ
জোটটা হলে সিঙ্গুর-্নন্দীগ্রামের সঠিক তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা হতে পারে। এরকম কত কী হতে পারে।
Kishenji "killed" by Mamata Banerjee government: Abhishek Banerjee
https://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/kishenji-killed-by-mamata-banerjee-government-abhishek-banerjee/articleshow/48123286.cms
বড়েস,
না না, সিপিএমের সমর্থনে তৃণমূলের সরকার গড়ার সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অবশ্যই সেক্ষেত্রে সিপিএম অনেক টার্মস-কন্ডিশন দেবে, কিন্তু সম্ভব।
এই যেমন, রাহুল গান্ধীর পক্ষে এখন একটূ মুশকিল - এক মাসের ওপর কেরালায় বামেদের বিরুদ্ধে প্রচার করে এসে, এখন পশ্চিমবঙ্গে বামেদের জোটসঙ্গী হয়ে প্রচার করতে একটু অসুবিধে তো হতেই পারে।
কিন্তু এক এক রাজ্যে এক এক রকমের ইকুয়েশন দাঁড়াতেই পারে।
অতিবামেরাও যে দিদির গোয়ালের আরেক দুধেল গরু।
সুমনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দিদি এটাও বলেছেন অতিবামেদের আদর্শ আছে। কিন্তু সিপিয়েম পার্টিটা আদর্শহীন হওয়াতেই সমস্যা। এরা অন্ধ মমতাবিরোধী আর গোপনে পদ্মফুলে ছাপ মারে।
মহিমার নামকরা সিনেমা হল পরদেশ। শারুখের সঙ্গে। সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনা। ঐ সিনেমার পর থেকেই নাকি ঘাইয়ের সঙ্গে শাহরুখের সমস্যা হয়। সেই সিনেমাতে ভিলেন যে ইন্ডিয়ার নামে বেশ কতগুলো অপ্রিয় সত্যি কথা বলেছিল।
আমি অবশ্য এখনও বেশিরভাগ হিন্দি সিনেমার ভিলেনরা কেন ভিলেন সেটা বুঝিনি।
কেউ তো সদ্যজাত নয়। এহসান জাফরির খুন পরবর্তী মোদীর জয়ের সময় তারা পেপার পড়তো। তখন যদি মমতা র আচরণ রিয়াল টাইমে খারাপ না লেগে থাকে এখন লাগবে কেন?
জোটটা হলে তো বামেদেরও একটু সুবিধে হয়। যাদের মনের মণিকোঠায় দলটি সেইসব সমর্থকরা ফিরে আসে, কাজ করার সুবিধে পায়, নতুন মুখগুলোকে লোকে আরো বেশী চিনতে পারে, ক্ষমতা বাড়তে পারে ইত্যাদি প্রভৃতি।
গোঁড়া সমর্থকদের চাপে পড়ে সে সুযোগ নেবে কিনা সে আলাদা ব্যাপার।
তবে হ্যাঁ, অ্যাক্টরদের মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয় - মহিমা চৌধুরীর কথা। তিনি বলিউডের নায়িকা ছিলেন এক সময় (যদিও আমি সিনেমার নাম মনে করতে পারলাম না)।
যাই হোক তিনি নাকি দুদিনের ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন, এয়ারপোর্ট থেকে পাঁচতারা হোটেল, সেখান থেকে চলে গেলেন এক তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে, চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে ধীরগতির জিপে চড়ে এলাকার লোকজনকে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেবার আবেদন জানালেন। পরের দিন একই কাজ করলেন, আর এক কেন্দ্রে, তবে বিজেপি প্রার্থীর জন্য। দুদিনে দুই দলের দুই প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে তিনি ফেরত গেলেন মুম্বই। তবু ভাল যে একই কেন্দ্রে করেন নি।
মনে পরে গেল, ছোটোবেলায় আমাদের পাড়ায় আন্ডার হাইট (৪'১০" র নীচে) ফুটবল টুর্নামেন্ট হত। সেখানে কিছু স্টার প্লেয়ার অন্য পাড়া থেকে এসে ভাড়া খেলত, এর পোশাকি নাম ছিল "খেপ" খেলা। একটি ছেলে ছিল, সে একই দিনে একই টুর্নামেন্টে দু-তিনটে ক্লাবের হয়ে খেলে দিত, ধরো বেলা দশটায় সবুজ সংঘের হয়ে একটা ম্যাচ খেলল, আবার বারোটায় মিলন সংঘের হয়ে নেমে পড়ল। তো একবার খুব সমস্যা হয়েছিল, যখন সবুজ সংঘ ভার্সেস মিলন সংঘের খেলা পড়েছিল, সেই ছেলেটিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না, দু পক্ষ থেকেই খেপ খেলার উপঢৌকন নিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে। এরপর কড়া নিয়ম হল, টুর্নামেন্টের নিয়মাবলীতে ছাপানো হল যে এক খেলোয়াড় একের বেশি দলের হয়ে একটি টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। পরে কানাঘুষো শোনা গেছিল এতে করে সেই ছেলেটি নাকি মেকাপ নিয়ে ছদ্মবেশে খেলবে কিনা ভাবছিল।
মহিমা চৌধুরীর ক্যাম্পেইন নিয়ে মনে পড়ল।
এগুলো তিনোদের এবং তিনোপন্থী সোকল্ড অতিবামেদের বড় ফ্যান্টাসি। কারণ তারা নিজেরা দিদির হাত শক্ত করে যে ভুল করেছে, সেটার কাউন্টার করতে এখন তিনো-বাম জোট দেখার খুব শখ। কারণ সেটা হলে আর তাদের দিকে আঙুল তোলার কেউ থাকলো না।
চিন্তা নেই। দিদি একাই জিতবেন। তারপরের খেলাও আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে দেখবো।
তিনো-বিজেপি জোট করেছে।
তিনো-কং জোট করেছে।
কং-সিপিএম জোট করেছে।
তিনো-সিপিএম জোটটা এবার দেখার সুযোগ যেন পেতে পারি।
সুমনের সঙ্গে দিদির সাক্ষাতকারটা পুরো শুনলে দেখবেন সেখানে দিদি স্পষ্টই বলেছেন যে নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনায় অধিকারীদের হাত ছিল। এবং সেকথা তিনি তখনই জানতেন। কিন্তু রাজনৈতীক কারণে তাদেরকে দলে এবং সরকারে রাখতে হয়েছে।
আর ব্রিগেডে বাজপেয়ির হাত ধরা নিয়ে এখানে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে। কারোর প্রয়োজন হলে গত ১০ বছরের ভাট খুলে পড়ে নিন।
তিনো দলটাই তৈরী করা হয়েছিল বিজেপির সঙ্গে জোট করে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কারণ সেটা কঙ্গে থেকে করা যাচ্ছিলো না। এবং এই কাজের দায়িত্বে ছিলেন অজিত পাঁজা। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ অবধি তিনোরা বেশিরভাগ সময়ই এনডিএর অন্তর্গত ছিল। ১৯৯৯ আর ২০০৪ এর লোকসভা নির্বাচন তিনোরা বিজেপিকে সঙ্গে করেই লড়েছিল, এনডিএর পার্ট হিসাবে। এমনকি তহেলকার পর যখন দিদি এনডিএ ছেড়ে দেন বলে কথিত আছে, তখন সেটা অনেকটাই সিম্বলিক ছিল। তখনও তিনোরা এনডিএকে প্রয়োজনে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এমনকি এই এনডিএ ছেড়ে বেড়িয়ে আসাটা লোকসভার স্পিকারকেও অফিশিয়ালি জানানো হয়নি। তখন দিদি এমন কথাও বলেছিলেন যে অটলজীর উপর তাঁর বিশ্বাস আছে ইত্যাদি।
আসলে এইগুলো খুব পুরোনো ট্যাকটিক্স। একদম জানা জিনিস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেও। লোকে সেসব নিয়েই আলোচনা করে যাবে। আসল প্রশ্নগুলো তুলবেই না।
রাখঢাকের কিছু নেই। ফুটকিরা ব্রিগেডে বাজপেয়ীর হাত ধরে ছবি তুলেছিল, এটা কি ঢাকা আছে? আসল কথা হল দিদি বামেদের মত উদ্ধত নন। তিনি একজন প্রকৃত মানবদরদী শিল্পী। রেলমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলার মানুষের যাতে উপকার হয়, তিনি সেটাই করে গেছেন।
"----প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দিদি রেলমন্ত্রীর চাকরি ছেড়ে দেন"।
--রেলমন্ত্রী হওয়া কি চাকরি করা?
ত্রিপাক্ষিক লড়াইয়ে কিছু কনফিউশন ন্যাচারাল।
যেমন ধরো, পার্টি A, B, C এর মধ্যে ঘোর লড়াই, কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না। এমন অবস্থায়, পার্টি A যখন পার্টি B এর প্রবল সমালোচনা করবে তখন মনে হবে যেন পার্টি A আর C একই কথা বলছে।
আর জোট ভাঙ্গা গড়া ভারতের দলগুলির মধ্যে হয়ে থাকে। সেদিন একজন বলছিলেন যে তিনি তার সিনিয়র সিটিজেন জেঠিমাকে ফোনে মোর্চা ব্যাপারটা বোঝাতে গেছিলেন, কিন্তু সিপিএম আর কংগ্রেসে জোট হয়েছে এই ব্যাপারটা ঠিক পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেন নি।
কিন্তু, তৃণমূল যে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল, এখন আর নেই - এগুলো তো ফ্যাক্ট, এ নিয়ে লোকজন এত রাখঢাক করে কেন বুঝি না।
বাবা বোশেখমাসে এত মুলো উঠেছে!
আচ্ছা এইগুলো কি জোক্স হিসাবেই বলছে? নাকি উইকিপিডিয়া সাইটের খোঁজ জানেনা? অবশ্য হোয়াট্সাপের বাণী এখন ঘরে ঘরে।
India Covid-19 second wave: ‘A coronavirus tsunami we had never seen before’