মহারাষ্ট্রে শ্রমিক, গৃহসহায়িকাদের অর্থসাহায্য করার কথাটা আমিও ভাটে লিখেছিলাম। বিজেপি তো মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় নেই, সুতরাং এই খবরটাও মেনস্ট্রীম মিডিয়া মিস করে গেছে। ওদিকে অবস্থা কতটা খারাপ হলে গুজরাটের মতো রাজ্য থেকে এই সব খবর আসে https://scroll.in/article/992217/as-the-dead-pile-up-in-gujarat-the-states-media-is-on-a-warpath-with-the-government-over-covid-19
আমি যা বুঝলাম, আগের বছর ব্যাপারটা নতুন ছিল, একদম সিনেমার গল্প বাস্তবে হচ্ছে, বেশ থ্রিলিং ব্যাপার। এদ্দিন সিনেমায় দেখেছি পৃথিবী জুড়ে ভাইরাস অ্যাটাক, পালে পালে জম্বি, সেরকম আর কি। (অবশ্য জম্বি অ্যাটাক না হওয়ায় আমি বেশ হতাশ হয়েছি)। কাজেই লক ডাউন করে, থালা বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফানুস উড়িয়ে, রোজ সকালে কেস কাউন্ট পড়ে দেশের জনতা ব্যাপক আমোদ করেছে।
কিন্তু এ বছর সবাই বোর হয়ে গেছে, আর সরকারও দেখছে ধুর এটাকে সামলানোও যাচ্ছেনা, ওদিকে ইলেকশান তো লড়তেই হবে, আর কুম্ভ বন্ধ করার তো প্রশ্নই নেই। তাই এখন পসন্দ আপনা আপনা। যা ইচ্ছে করো, যেমন ইচ্ছে ঘুরে বেড়াও, কোভিড হলে নিজ দায়িত্বে সামলাও। সেরে উঠলে ভালো, পটোল তুললে সরকার চেপে যাবে। কাজেই এ বছরের মটো হলো কোই জিয়ে য়া মরে, কেয়া হামকো বাবু।
না, ব্লাড থিনার নিলেও নেওয়া যাবে, বলেছে। ডাক্তারেরাও বারবার বলেছেন।
আমার মা ব্লাড থিনার নেন। খুব দোনোমোনো করে দিইয়েছি। কিছু সমস্যা হয়নি। এবার রেয়ার ব্লাড ক্লটের সমস্যাটা হবার সম্ভাবনা পরেও কিছু যায় বলছে। জানিনা।
মা কে বাড়িতে রাখাই যাচ্ছেনা। আবাসনের প্রেসিডেন্ট, সেজন্য নাকি নানা কাজে অফিসঘরে যেতেই হবে। বাবাকেও বেরতেই হবে একবার। নইলে পুরো ঘরে থাকলে খুব অসুস্থ লাগে! ওদিকে হাউজিং এ আসিম্পটোমেটিক পজিটিভ লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে, কেউ বললেও শুনছেন না। এবার যা বুখলাম, পজিটিভদের কোয়ারান্টাইন নিয়েও আর কোন নজরদারি নেই। এই ভোট চললে আর সম্ভবও না।
এই পাশের পাড়ায় একজনের বাড়ি সবাই পজিটিভ, স্ত্রী হাস্পাতালে। তাঁকে দেখতে স্বামী হাস্পাতালে যাচ্ছেন রোজ, উনি এখনো নেগেটিভ নন। সিম্পটম আর নেই, এই অব্দি। গাড়ির ড্রাইভার, হাস্পাতালে বাকি লোকের জন্য রিস্ক হচ্ছে সেটা বলারও কেউ নেই। কোথাও এ নিয়ে কোন সচেতনতা প্রচার নেই। সবই এক্সট্রিমে চলে। গতবার স্বাস্থ্যকর্মীরা পাড়ায় ঘরছাড়া হচ্ছিলেন, পিটুনি খাচ্ছিলেন আর এবারে এই!
আগে এর থেকে পঞ্চাশগুণ কম কেস, একশোগুণ কম বাড়ার রেটে সারা দেশকে কুলুপ এঁট্ব বসে থাকতে হল,আর এখন!! রোডশো, কুম্ভ।
ট্রেনগুলোতেও কী ভিড়। লোকে করবেনই বা কী।
বাড়ি বাড়ি বাজারের যে রেওয়াজ চালু হয়েছিল, সেও আর সেভাবে নেই দেখলাম। বাজারে খুব খুব ভিড়। চৈত্র সেলের বিশায়াল ভিড়। গতবছরের এত লস, লোকে করবেই বা কী, সরকার থেকে কোন প্রোটেকশন না দিলে!
মহারাষ্ট্রে দেখলাম অবশেষে অটো চালক, গৃহসহায়িকা ইতুয়াদি সবাইকে মাসে মাসে টাকা দেবে বলেছে। এ যদি আরো আগে থেকে করা হত!
এটা থাকল। বাংলার জন্য হয়ত এই কুরুক্ষেত্রর উপমাই সত্যি হতে চলেছে! এতদিন মোটামুটি ম্যানেজড অবস্থায় থেকে, সরকারি ব্যবস্থা প্রায় নিখরচায় অনেকটা সুষ্ঠুভাবে দিয়েও এবারে বোধহয় হাতের বাইরেই যাবে!
ভারত বায়োটেকের ওয়েবসাইটেই পাবেন যে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ব্লাড থিনার খেলে সমস্যা হতে পারে। রইল বাকি কোভিশিল্ড। আমার বাবার বয়স পঁচাশি মতো, সেরিব্রাল অ্যাটাক ইত্যাদি হয়ে গেছে, ব্লাড থিনার খান এবং এক ডোজ কোভোশিল্ড হয়ে গেছে। আমরা যে ডাক্তারের কাছ থেকে কনফার্ম করেছিলাম ওনার মাও ব্লাড থিনার খান, এবং দিব্যি কোভিশিল্ড নিয়েছেন।
শুভ নববর্ষ।
আমার মার ব্লাড থিনার ওষুধ খেতে হয়। আমি আর আমার স্ত্রী ভ্যাক্সিন নিচ্ছি, তবে মাকে দেবোনা ঠিক করেছি কারন মা বাড়ি থেকে প্রায় বেরোয় না, শুধু আমাদের সাথে বেরোয়। আপাতত এই, পরে ভ্যাক্সিন দেওয়াতেও পারি। তবে আমার মা আর আমার পিসি (কলকাতায় থাকে) খুব বন্ধু, দুজন মিলে ঠিক করেছে ভ্যাক্সিন নেবেনা। দেখা যাক।
কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর আছে, নিয়মিত ব্লাড থিনার মেডিসিন নিতে হয়, এমন লোকের কী ব্যবস্থা?
মিউট্যান্ট ভাইরাস ওয়াইল্ড টাইপ ভ্যাকসিনে দমবে কিনা আগে থেকে বলা যাবে না। যদি ভ্যাকসিন নেওয়া কেউ মিউট্যান্ট স্ট্রেন থেকে পজিটিভ হয় তাহলে বুঝতে হবে ভ্যাক্সিন মিউট্যান্ট স্ট্রেন থেকে ইন্ফেকশান আটকাতে পারছে না। তবে এখনো পর্যন্ত কনসেনশাস হচ্ছে যে ভ্যাক্সিন ইন্ফেকশান না আট্কালেও সিভিয়ার ডিজিজ না হসপিটালাইজেশন আটকাবে। সেটুকু হলেও অনেক।
রিস্ক বেনিফিট অ্যানালিসিস করলে ভ্যাকসিন পজ করাটা ঠিক মনে হচ্ছে না। এক মিলিয়ন লোকের মধ্যে একটা ফ্যাটাল কেসের সাথে যদি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা তুলনা করা যায় তাহলে পজ করার যুক্তি খাটছে না। আর জে অ্যান্ড জে ভ্যাকসিন রুরাল এরিয়াতে বেশি দেওয়া হচ্ছিল যেখানে ফাইজার বা মডার্ণা ভ্যাক্সিন স্টোর করার উপযুক্ত ফ্রিজার নেই। এখন সেই সব জায়্গায় ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। তার উপর পাবলিক হেল্থ অফিশিয়ালদের প্রতি লোকের বিশ্বাস এমনিতেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। এক সপ্তাহ পর সিডিসি আবার চালু করলে লোকে তখন নিতে চাইবে না। আমার মনে হয় যেটা করা উচিৎ ছিল সেটা হচ্ছে ব্লাড ক্লটের সিম্প্টমস সেই পর্টিকুলার ডেমোগ্রাফিকে জানানো আর মনিটর করা। ইভন প্রি মেনোপজাল মহিলাদের বাদ দেওয়া যেত। ব্লাড ক্লট এদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। একদম ব্ল্যান্কেট ব্যান করার ফলে লোকের মধ্যে হেসিট্যান্সি আরো বেড়ে গেল।
মিউটেট করা ভাইরাসের ক্ষেত্রে কী হবে? ওরা কি ভ্যাকসিনে দমবে?
দশ বছরের ট্রায়াল স্কুইজ করে আট মাসে ভ্যাকসিন নামাতে হলে এ তো অতি সামান্য গ্লিচ .... এতো লাখ লোকেদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েক জনের এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া অভাবনীয় ব্যাপার
তবে আমার মতে CDC এর এই গো স্লো একদম সঠিক পদক্ষেপ এবং যুক্তিসঙ্গত .... এরকম তো নয় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে , সঠিক এনালাইসিস এর জন্য কিছুদিন স্থগিত আছে এই যা
সিডিসি তো বিজ্ঞপ্তি জারি করে সারাদেশে জনসনের ভ্যাকসিনটা বন্ধ রেখেছে।যে জন্যে নানা রাজ্যের গভর্নররা খুব রেগে গেছে।একটা ডোজ নিলেই হয়ে যাচ্ছিলো সেটা একটা ইতিবাচক দিক।এখন যদি আবার ফিরিয়েও আনে, মানুষ নিতে চাইবে কিনা সন্দেহ:-(
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়াতে নাকি একটা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে,সে ভাইরাস নাকি দু বার মিউটেট করে ফেলেছে! কোথায় গিয়ে এ থামবে কে জানে:-(((
https://dar.uga.edu/apps/htmlemails/viewinbrowser/19483
Abhyu
আর হার্ড ইমিউনিটি এখনি হবে না, অ্যাট লিস্ট এই বছরে হবে বলে মনে হয় না। প্রথমত, ১৬ বছরের কম বয়স যাদের তারা বাদ। এরপর আছে হেসিট্যান্ট লোকজন। সব মিলিয়ে হার্ড ইমিউনিটি আসতে আসতে ২০২২। তার মধ্যে এই ভাইরাসের অরো কত মিউট্যান্ট চলে আসবে কে জানে!
ভ্যাক্সিন কোনো পার্মানেন্ট সলিউশন নয়। যেটা খুব দরকার সেটা হল থেরাপিউটিক, মানে ওষুধ। ট্যামি ফ্লু টাইপের। ইনফেকশান হবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নিলে যাতে কাজ হয় আর লোকে ফার্মেসি থেকে কিনে খেতে পারে।
আনন্দবাজারে মৈত্রীশদার লেখা বেরিয়েছে, পুরো পড়তে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
https://epaper.anandabazar.com/imageview_55549_72430533_4_71_14-04-2021_4_i_1_sf.html
যারা ভ্যাক্সিন দিচ্ছে তাদের বেশির ভাগ হল কমিশন্ড কোর। এরা ডিওডি নয়, HHS এর এমপ্লয়ী। শুনেছি সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের সময় এই কমিশন্ড কোর তৈরি হয়েছিল। এদের সিডিসি, এফডিএ, এনাইচ সব এজেন্সিতে দেখা যায় কিন্তু ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্টের সময় এদের ডাক পড়ে।
আনন্দবাজারে মৈত্রীশদার লেখা বেরিয়েছে, পুরো পড়তে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
https://epaper.anandabazar.com/imageview_55549_72430533_4_71_14-04-2021_4_i_1_sf.html
আমাদের এখানে গতকাল জে অ্যান্ড জের ভ্যাকসীন দেওয়ার কথা ছিল। জানিনা কি হয়েছে। আমাদের রাজ্যে মূলত ফাইজারই পাওয়া যাচ্ছিলো। কিন্তু একজন বললো যে সে মডার্না নিয়েছে, প্রাইভেট ফার্মাসি থেকে। আমাকে তো আমেরিকার মেডিকাল কম্যান্ড ফাইজার ফুটিয়ে দিলো। সব মিলিটারির পোষাকে একগাদা অমায়িক লোকজন।
কী ভালো! টিশার্ট গিফ্ট দিচ্ছে ভ্যাকসিনের সঙ্গে!!!! ঃ-)
মিঠুদি আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এবারে ৫০০০ J&J ভ্যাকসিন এসেছে। কিন্তু CDC বারণ করেছে বলে দিচ্ছে না। বরং টিশার্ট দেবে বলেছে ভ্যাকসিন নিলে।
আমাদের কাউন্টি পুরো টাই ফাইজার দিচ্ছে।
ভারতে করোনার কেস এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক বেশি হচ্ছে দিনপ্রতি। আগেরবার কয়েক হাজার করে হচ্ছিল, এইবারে দিনে কয়েক লাখ করে হচ্ছে। ওদিকে এত বড় বড় জমায়েত হচ্ছে, রাজনৈতিক জনসভা হচ্ছে, ধর্মীয় সম্মেলন হচ্ছে, সবই চলছে।
গত বছর যখন করোনার অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব হচ্ছিল, ইউরোপ আমেরিকা ফানা ফান হয়ে যাচ্ছিল, সেই সময়েও কিন্তু ইসরায়েলে তুলনামূলকভাবে অবস্থা অনেকটা ভালোর দিকেই ছিল।
ভ্যাকসিন হিসেবে এখনো অবধি ইসরায়েল সবথেকে বেশি পপুলেশন % কভার করেছে। ওদের কিন্তু রিসেন্ট ইনফেকশন রেট খুব কমে গেছে। এবার সেটা একা ভ্যাকসিনের জন্যে নাকি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিঙ , বেটার হাইজিন , বেটার মেডিকেল সিস্টেম সব মিলিয়ে কে জানে।
ইন্ডিয়ার গ্রাফ যদি দ্যাখেন , হটাৎ করে মার্চ থেকে একটা সাডেন জাম্প করেছে।
এইরে এটাতো আমার জানার কথা নয়। অরিণ বলতে পারবেন। তবে বাকিদের মধ্য থাকতে থাকতে যদি মিউটেট করে?
জনসাধারণের একটা ক্রিটিকাল শতাংশ, ধরুন ৫০% যদি ভ্যাকসিন নিয়ে নেয়, তাহলেই তো অনেকটা বাগ মেনে যাবে। তাই নয়?
একজনকে জিগালাম যে নেওনি কেন? বলে যদি সাইড এফেক্ট থাকে, তাই এক বছর পরে নেবো। এবারে সামলাও প্যান্ডামিক।
ডীপ স্টেটের খবর কিছু শুনলেন? সেই যে স্যান্ডি আসতেন, তিনিই বা গেলেন কোথায়?
ফাইজার (এবং সম্ভবত মডার্না) সেকেন্ড ডোজের পর কিছু সমস্য়া দেখো যায় , চারিদিকে যা দেখছি তার নিরিখে
আমার স্ত্রী র ক্ষেত্রে (ফাইজার নিয়েছেন ) দ্বিতীয় ডোজের পরের দিন গা হাত পা ব্যাথা , চিলিং এফেক্ট , সামান্য জ্বর (১০০ moton) আর একটু ক্লান্তি ছিল
বড় পুত্র মডার্না র ফার্স্ট ডোজ নিয়েছে , এখনো পর্যন্ত উপসর্গ বিহীন
আমি নিজে নিয়েছি জনসন এর ভ্যাকসিন , ঠিক এক সপ্তাহ হলো , ২৪ ঘন্টা পর একটু শীত শীত করছিলো মিনিট ১৫ কিন্তু সে রকম আমার সারাবছর ই হয়ে থাকে , সুতরাং সাইড এফেক্ট কিনা বলা শক্ত
আমরা মিলিত ভাবে কমপ্লিট ইউস কেস কভার করে ফেলেছি :)