অভ্যু, ধাঁধা। ভুলো না।
স্যানকে বহুদিন দেখতে পাই না। এখানের কারুর সঙ্গে যোগাযোগ আছে? ভালো আছে আশা করি স্যান।
এদিকে আমার ক্লাস চলাকালীন ভিডিওতে কি দেখা গিয়েছিল সে লিখলে ভারি ইয়ে মতো ব্যাপার হবে। এমনিতেই হানুদা স্ক্যান্ডালাস ব্যাপার এইসব বলে থাকে।
মাস কয় আগে আমার বসের বসের অল হ্যান্ডস কল চলছিল, সে খুবি জরুরী মিটিন । ইদিকে দাদা কল করল, আমি মিউটে আছি ভেবে পাহাড়, অরণ্য এসব আরো জরুরী বিষয় নিয়ে গপ্পো করছিলাম, আর ক্যামেরা অফ বলে এদিক ওদিক হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম।
ক মিনিটএর মধ্যে সেল ফোনে গোটা ৫ মেসেজ, পর পর কল, আপিস জ্যাবারে গোটা ২০ মেসেজ , ভয়ানক জরুরী অল হ্যান্ডস মিটিনে বাংলায় প্রকৃতি বর্ণন - সে এক পুদিচ্চেরী কান্ড :-(
আরে বি সেই ২০০৭-০৮ এ জুম কই? সে নিতান্ত অডিও কংকল ছিল ভয়েপে।
অভ্যু,
ওটা দীপ্সিতার পথসভা ছিল আজজের। ইউটিউবে পাবে হয়ত দীপ্সিতার চ্যানেলে।
হা হা ওফ্রহোতে সত্যিই বিদঘুটে সব কান্ড হয়। আমাদের সকালের স্ক্রামকলে ব্যাঙ্গালোর থেকে এক মহিলা আনমিউট হলেই এক কোকিলের তারস্বরে কুহু কুহু সঙ্গে ফাউ আসে। আরেকজন বলেছিল মাঝে মাঝে মনে হয় আমিই ওর একটা জোড়া কিনে ওঁদের বাড়ির পাশের গাছে বসিয়ে দিয়ে আসি। তাতে কোকিলসঙ্গী মহিলা ভারী রাগ করলেন। এদিকে আরেক ব্যাঙ্গালোরবাসিনীর বাড়িতে খান দুই কুকুর আছে আর তারা কল চলাকালীন নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া অতীব জরুরী মনে করে। তো এক হাঙ্গেরিয়ান মহিলা যিনি খুবই কুকুর ভালোবাসেন কিন্তু নাকি খুব ছোট বাড়িতে থাকেন তাই কুকুর নিতে পারেন নি, একদিন আর না পেরে জিগ্যেস করে ফেললেন কী ব্রিড কুকুর? এবং তারপরে বললেন ব্যাঙ্গালোরের লোকজন যে পশুপাখী অত্যন্ত ভালোবাসে এতে তিনি খুবই খুশী। এদিকে আমি কোন্নগরে। আমাদের পাড়ায় এখন ছটা কুকুর। জানুয়ারী মাস যখন ডে লাইট সেভিং টাইম বলবৎ, রাত আটটা নাগাদ যেই না আনমিউট করেছি কথা বলব বলে অমনি ছটা কুকুর ছয়রকম সুরে গলা সাধতে শুরু করেছে। এদিকে আমি ইউরোপীয়ানগুলোকে রাস্তার কুকুর কনসেপ্টটাই বুঝিয়ে উঠতে পারছি না। সে এক কেলো (দাদা নয়)। আবার অজ্জিত বলল ওদের কোন মিটিঙে লোকজন খালিগায়ে বসা এদিকে বেখেয়ালে ভিডো অন হয়ে গেছে। টিমসে অনেকসময় প্রেজেন্ট করতে থাকলে বা কথা বলতে থাকলেবমেস্রজ রিয়াল টাইমে দেখা যায় না। সবার ফোন নাম্বারও সবার কাছে থাকে না, বিশেষত ক্রস ফাংশানাল কিছু হলে ত থাকেই না। শেষে সেই খালিগায়ের কোন টিমমেম্বারের ফোন্নং পেয়ে তাকে ফোন করে বলা ওরে তোর বসকে ভিডিও অফ করতে বল।
আমার আজগাল আর চিকেন ভাল্লাগে না, শুধু বীফ ভাল্লাগে। বিজেপি পেটাতে পারে
আমার প্লেটে চিকেন চাঙ্গেজি ছিল, খেয়ে ফেললুম।
আমার প্লেটে টিপিকালি চানাচুর থাকে, এখনো রয়েছে।
আম্বানি সম্ভবতঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া কিন্তে চলেছে, নিজেরা ছাঁটাই করবে না,তাই ২১এর দেয়ালির মধ্যে আরো স্লিম অ্যান্ড ট্রিম করে ফেলতে হবে।
এই মার্চেই শ'খানেক গেছে সারা দেশে। পুজোর পর থেকে ধরলে ৮০০ এর ওপর।
রিপাব্লিকনাকি কাজ করতে পারছে না, আর ফার্স্টপোস্ট চলেনি মোটেই, মোদীর এক্কেরে নিজস্ব এক্টা মিডিয়া লাগবে, তাই।
নানা সেই দ এর রভির গম্পটা সবচেয়ে ভালো। জুম মিটিঙে বস জিজ্ঞাস করেছে নাউ রভি, সো হোয়াট্স অন ইয়োর প্লেট? সে বলছে কার্ডা রাইসা অ্যাণ্ড পিকল।
পুরো মুছে যাবার আগে লিখে ফ্যালো। আর মোরগের মালকিনকে বলো তোমাদের বাড়িতে একবার নেমন্ত করতে, উলিশটি প্রালী।
ও, আর আমার প্লেনের গল্প টইতে না তো, ওটা হলো হস্তিমূর্খের গল্প। আমারও মজার মজার গল্প আছে, কিন্তু এখন মজা গুলো আবছা করে থাকলেও গল্পগুলো আবছাতর হয়ে গেছে।
এই বাড়ি থেকে কাজের চক্করে কত কী যে হচ্ছে। আমাদের টিমের একজন, কর্ণাটকের কোথাও একটা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে রিমোট কাজের সুযোগে। এবার গ্রামের বাড়ি, নানান পোষ্য আছে, সকালের দিকে যেকোন মিটিংএ প্রচন্ড কোঁকর কোঁ করে মোরগের ডাক শোনা যায়। ভদ্রমহিলা তাতে মরমে মরে থাকেন, দুর্বিনীত মোরগের জন্যে বার বার ক্ষমা চান।
এবার টিমে একজন বদমেজাজি লোক আছে, তার নাম ধরা যাক ষ। একবার মিটিং চলাকালীন নেপথ্যে প্রচন্ড মিক্সির আওয়াজ শোনা যাওয়াতে মোরগের মালকিন তাকে প্রাইভেট চ্যাটে বলেছিল - তুমি মিউট হও।
তাতে করে মিটিং শেষ হলে ষ আমাকে ফোন করে প্রচন্ড চোটপাট - সবাই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, তুমি কাউকে কিছুই বলো না, এই যে র'র মোরগ সারাক্ষন ডাকে, আমি কী কিছু বলেছি কাউকে কোনদিন?
আমাদের সঙ্গে কাজ করেন রোমানিয়ার এক ভদ্রমহিলা, যেকোন মিটিং শুরু হলে তাঁর বেড়াল ল্যাজ তুলে ল্যাপটপের ওপর দিয়ে ভিডিও ক্যামেরাটা ঘষে ঘষে হেঁটে যায়, তাকে থাবা নাড়িয়ে হাই বলানো হয়, আমরাও তাকে হাই হ্যালো বলে মিটিং শুরু করি।
কে বলেছে বামেরা যায় না? লিচ্চয় যায়। লোভে যায়, ভয়ে যায় কিংবা খেদিয়ে দিলে যায়। কিন্তু একটা তালিকা দিন প্লিজ যেটা দেখাবে যে কতজন চোর- চোট্টা বা ভোটে টিকিট না পাওয়া নেতা অন্য দল থেকে বামেদের দিকে এসেছে।
বাবু তিতাসের ভিডিও আমিও দেখতে চাই
ড্যাফনি-র ভিডিও খুবি মজাদার :-)
থ্যাংকস অভ্যু
দুই ফুলের পচা গন্ধে মাথাব্যথা করছে? বাম লাগান।
"TMC's in-charge of Tripura, Sabyasachi Dutta, who is an MLA in West Bengal Assembly, told PTI that he is positive that the TMC will be a force to reckon with in the state."
ইনি এখন কোথায়?
In 2016, the TMC had inducted six Congress MLAs into the party ....
.......The six MLAs .....crossed over to the BJP just ahead of the presidential elections......
এসব ছাড়া কি ত্রিপুরার আলোচনা শুরুই করা যায়?
এইসব ঘটনা থেকে সব চাইতে আগে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ ছিল তিনোদের। তা তারা নেয়নি নাকি নিতে চায়নি?
ত্রিপুরায় বিজেপি অপশাসনে তিন বছরের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা
মানিক সরকার
দেশহিতৈষী: বিশেষ নির্বাচনী প্রচার পুস্তিকা: বিধানসভা নির্বাচন ২০২১
(অংশ বিশেষ)
‘চলো পাল্টাই-এর মতো উন্মত্ত ও অতিউৎসাহী খ্যাপা স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপি তার সর্বশক্তি নিয়ে ত্রিপুরার বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে এসে দলের মূল রণধ্বনির সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ করে বলেছিলেন: ‘এবার মাণিক ছাড়ুন— হিরা হাতে তুলে নিন’। …. দলের নির্বাচন ইশ্তিহার… ভিশন ডকুমেন্ট শিরোনামের পরিচ্ছেদ ছিল ২৮টি। প্রতিশ্রুতি ছিল ২৯৯টি। …
প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং উচ্চনাদে প্রচার করা হয়েছিল বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে—
• ত্রিপুরার প্রত্যেক পরিবারে একটি চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে। এর অর্থ হচ্ছে সাত থেকে আট লক্ষ পরিবারে একটি করে চাকরি হবে।
• বিজেপির হিসাবে ত্রিপুরা সরকারের নাকি পঞ্চাশ হাজার পদ শূন্য পরে রয়েছে। বিজেপি সরকার গঠনের প্রথম বছরেই এই সকল শূন্যপদ পূরণ করে ফেলবে।
• ত্রিপুরা সরকারের সকল কর্মচারীকে ৭ম কেন্দ্রীয় পে কমিশনের সকল সুপারিশ পূরণ করে দেওয়া হবে। মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
• সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরের ১০,৩২৩ জন কর্মচ্যুত শিক্ষকের সমস্যা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সুরাহা করা হবে।
• ন্যূনতম সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করা হবে।
• ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৪০ টাকা করা হবে। প্রচারের সময় বলা হয়েছে রেগার শ্রমদিবস বছরে দুইশত দিন করা হবে। রেগায় ন্যূনতম মজুরি করা হবে ৩৪০ টাকা।…
সরকার গঠিত হবার পর ইতিমধ্যে তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। জনগণের মনভোলানো, প্রাণমাতানো প্রতিশ্রুতি কিন্তু এখনো বাস্তবের মাটিতে পা ফেলেনি।…
… মিথ্যার উপর কল্পিত বিজেপি’র তথাকথিত সরকারি পঞ্চাশ হাজার শূন্যপদ প্রথম বছরেই পূরণ করার প্রতিশ্রুতির কী হলো জানতে চাইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এখন উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন।ক্ষুব্ধকণ্ঠে জবাব ছুঁড়ে দিয়ে বলছেন, মন্ত্রীসভা বা সরকার চাকরি তৈরি করার কারখানা নয়।…
৭ম পে কমিশনের বকেয়া সুপারিশ কার্যকর করা দূরের কথা এই সরকার গঠিত হবার পর এই তিন বছরে একটিও ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (ডিএ) ত্রিপুরার কর্মচারীরা পাননি।…. শুরু হয়েছে আগাম অবসরে পাঠাবার ব্যবস্থা করার।…
… এই সরকারের সময় ত্রিপুরার সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা আবার মাথা তুলতে শুরু করেছে। অপহরণ, খুন, অর্থ আদায় শুরু করেছে।
চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীরা নিয়মিত হবার পরিবর্তে শ’য়ে শ’য়ে কাজ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে আক্রমণ নেমে আসছে আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, মিড-ডে মিল কর্মী, পানীয় জল এবং সেচ প্রকল্পের পাম্প অপারেটর, বনদপ্তরের প্রকল্প কর্মী প্রমুখের বিরুদ্ধে।
কর্মচ্যুত ১০,৩২৩ শিক্ষকদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ ফিরে পাবার সুনিশ্চিত ব্যবস্থার পরিবর্তে সরকার পুলিশের শক্তি ব্যবহার করে তাদের মানবিক দাবি পূরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভাঙতে স্বৈরাচারী পদ্ধতি অনুসরণ করে।….
রেগার কাজের শ্রমদুবস দুইশত দিন করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা তো দূরের কথা ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ দিন এবং সর্বোচ্চ ৯৪ দিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা এখন ৪০-৫০ দিনে এসে দাঁড়িয়েছে। মজুরি ৩৪০ টাকা দূরের কথা চলতি মজুরিতেই রেগা’র কাজের কার্ড আছে এমন সকল কাজ-প্রার্থী পরিবার কাজ পাচ্ছেন না।…
সরকারের উন্নয়ন দপ্তরের অর্থাৎ প্রশাসনিক ভাষায় লাইন ডিপার্টমেন্টের কাজ প্রায় নেই।
এইসব কিছুর পরিণামে অর্ধাহার, অনাহার, অনাহার মৃত্যু, কোথাও কোথাও সন্তান বিক্রির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায়, ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এই সমস্যা অত্যন্ত তীব্র।…
এই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্তমান ত্রিপুরার রোজনামচা, দিনলিপি।
ভাল লেখা
ডাঁটা খায় কি? লহরী তা-ও খেত। দিদু নাম দিয়েছিল চব্বিশ পহরী।
আমাদের বাড়ির বেড়াল সব খায়, বিকেলবেলায় একটু গরম চা খায় মেরি বিস্কুট দিয়ে। সন্ধেবেলায় মুড়ি পাঁপরভাজা মাখা হলে তাও খায়।
আচ্ছা আপনারা বিলি দ্য কিডের নাম শুনেছেন?
আমি প্রতি ক্লাসেই নিয়ম করে দু তিনটে বিড়াল দেখি।