এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২৩:২০476215
  • অরণ্যদা, হ্যাঁ। আমি যে সিস্টেমে অভ্যস্ত হয়ে গেছি সেটা থাকলেই হলো, বাকি আর কিছু নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই। 

  • aranya | 2601:84:4600:5410:1482:ef74:f7c5:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২২:৫৯476214
  • মানুষ গুলি খেয়ে মরুক, পরিবেশ জাহান্নমে যাক, তাও 'উন্নয়ন' চলুক - এই কি ডিসি-র বক্তব্য? 

  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২২:২০476212
  • উন্নয়ন না হলে খাবো কি? গুরুতে তর্ক করবো কি করে? এসি চালিয়ে বসে আছি, কম্পুতে গুরু খুলে টাইপ করছি। টরেন্টে একটা সিনেমা নামছে, ৩৫ জিবি সাইজ, ৪কে এইচডিআর কোয়ালিটি। হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেকশানে মোটামুটি দেড় ঘন্টায় নেমে যাবে। উন্নয়ন না হলে এতো সব কি করে হবে?  

  • r2h | 49.206.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:৫৯476211
  • সেই তো। ভোপাল, বিশাখাপত্তনম, তুতিকোরিনের (থুত্তুকোদি) গুলি, ওসব কুড়ি তিরিশ বছরে এক আধটা হবে। সরকারকে কড়া হাতে দমন করতে হয়, অত বর্জ্য, কম্প্লায়েন্স সুরক্ষা পরিবেশ এইসব নিয়ে ভাবলে কী আর চলে, না হলে উন্নয়ন কী করে হবে।

  • PT | 203.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:৪৫476210
  • আজকের বাণীঃ


    "মুকুল শুভেন্দুর মত এত খারাপ না"।

  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:৩২476209
  • পবতে যেমন গাড়ি কারখানা এক্সপার্ট শাঁওলি মিত্রকে পাওয়া গেছিল, সেরকম কুদানকুলাম আন্দোলনেও কেউ কেউ গম্ভীর মতামত জানিয়েছিলেন। গত এক দু বছর ধরে চেন্নাই-সালেম এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহন চলছে, সেসব নিয়েও মামলা হয়েছে। তারপর কোর্ট থেকে বলেছে জমি অধিগ্রহন চালু রাখতে। লাক ভালো যে এই প্রোজেক্টগুলো নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরের মতো বন্ধ হয়ে যায়নি। 

  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:২৮476208
  • এলসিএমদা, নানান কারনে আন্দোলন  হয়েই থাকে। মাওঅবাদীরা যেখানে পারে সেখানেই গিয়ে আন্দোলন শুরু করে। সেটা সমলাতে না পারলে পবর মতো এরকম ঘ্যাঁট পাকানো অবস্থা হয়ে যায়।

  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:7960:b859:be91:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:১৮476207
  • কে করেছে সেটা তো খুবই দরকারী প্রশ্ন। কী হয়েছে সেটাও। চোদ্দ জন লোক মারা গেছে সেটা মনে হয় সবাই মানে। কিন্তু সাড়ে পাঁচশ মহিলাকে ধর্ষণ, জালে লাশ খাওয়া কুমীর হাঙ্গর সেগুলো? 


    আর চোদ্দ জনকে কারা মারল? পুলিশ, তিনু গুন্ডা, মাওবাদী, নাকি পুলিশ মমতা অধিকারী নেক্সাস? 


    এইসব ইস্যুর ওপরে পশ্চিমবঙ্গের গত দশ বছরের ভাগ্য ঠিক হয়েছে। আমার মনে হয় জানাটা খুবই দরকার।

  • lcm | ৩০ মার্চ ২০২১ ২১:১১476206
  • ডিসি,


    কুদানকুলামে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর ঝামেলা জমি নেওয়া নিয়ে নয়। নিউক্লিয়ার বর্জ্য (waste) সমুদ্রে ফেলা নিয়ে। লোকাল ফিশারম্যানরা প্রটেস্ট করে, সমুদ্রের জলে নিউক্লিয়ার বর্জ্য ফেলার জন্য ঐ এলাকায় আর মাছ আসছে না, তাদের ২০-২৫ কিমি দূরে বোট নিয়ে যেতে হচ্ছে মাছ পেতে, এবং সেখানকার জেলেরা তাদের এলাকায় অন্যদের ঢুকতে দিতে চাইছে না, ইত্যাদি। জেলে দের এই আন্দোলন নাইনটিস থেকে শুরু হয়েছিল, ২০১২ তে প্রতিবাদে (মুলত জেলেনি মহিলারা) মিলিটারি পুলিশ নামে, গুলিতে একজন মারা যান, এবং ৬০ জনের ওপর গ্রেপ্তার হন।
    নিউক্লিয়ার বর্জ্য প্রসেস করার ব্যবস্থা না করে কি করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট চালু করার অনুমতি দেওয়া হয় তা নিয়ে বিজ্ঞানী মহল বিস্ময় প্রকাশ করেন।

  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২০:৫৪476205
  • তামিল নাড়ুর কুদানকুলামে যখন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট চালু করার কথা হয়, তখন যথারীতি তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। আর যথারীতি মাওবাদীরাও এসে হাজির হয়েছিলেন, কিছু পরিবেশ বিদও জড়ো হয়েছিলেন। ইউসুয়াল সাসপেক্টস আর কি। তারপর গুরুগম্ভীর বক্তৃতাও হয়েছিলো, পোবোন্দও নেমেছিল। তবে কিনা এসব চলার পর আম্মা আন্দোলনকারীদের বেশ করে বাটাম দেন, গুলিও চলে। তারপর আন্দোলন আস্তে আস্তে থেমে যায়। অনেক বছর হলো কুদানকুলাম পাওয়ার প্ল্যান্ট চলছে, আর কাউকে কিছু বলতে শুনি না। বুদ্ধবাবু আন্দোলন সামলাতে পারেন নি, আম্মা পেরেছিলেন। 

  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ২০:১৩476204
  • আমার মনে হয় বুদ্ধবাবু নন্দীগ্রামে "জমি নেওয়া হবে না" বলে বোধায় ভুল করেছিলেন। যেখানে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কেমিকাল হাব হবে আর ইনভেস্টররাও রাজি ছিলো সেখানে পিছিয়ে আসার কি দরকার ছিলো? নন্দীগ্রামে সরকার ঠিকমতো এগোলে সিঙ্গুর আন্দোলনও সফল হতো না। 

  • PT | 203.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৯:৩৫476203
  • "Nandigram Genocide: A Living Testament"এর প্রথন পর্বটি দেখলাম। (বাকিগুলো দেখছি।) প্রথম পর্বটি সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষন নিম্নরূপঃ

    ১) এই ডকু যারা বানিয়েছে তারা ঘোর SEZ বিরোধী। (হতেই পারে!!)
    ২) শুরুতেই তারা সরকারী বামেদের "masquarading as communist" বলে দাগিয়ে দেয়।
    ৩) তার পরে বেশ কয়েকটি তারিখ ও ঘটনা পর পর দেখানো হয়ঃ
    ২৮ সে ডিসেম্বর, ২০০৬
    ৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭
    ৬ ই যানুয়ারি, ২০০৭
    ৮ ই জানুয়ারি, ২০০৭
    ১২-১৪ ই মার্চ, ২০০৭
    ৪) বুদ্ধবাবু জমি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কোন উল্লেখ নেই এই ডকুতে। বোঝাই যাচ্ছে যে ইচ্ছে করে সেই প্রকাশ্য বিবৃতিটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে । শুধু বেছে নেওয়া হয়েছে বিনয় কোঙারের "লাইফ হেল করে" দেওয়া বিবৃতিটি।

    ৯ ই ফেব্রুয়ারি নাকি বুদ্ধবাবু প্রথম জানিয়েছিলেন যে জমি নেওয়া হবে না? ১১ ই মার্চে প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন। এসব জানতে পারলাম সিপিএমের দালাল অনিন্দিতা সর্বাধিকারির এই ডকুতে। সেটা থেকে আরো জানলাম যে আরো আগে থেকেই নন্দীগ্রামে খুন ধর্ষণ ইত্যাদি নাকি শুরু হয়েছিলঃ

  • π | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৯:২১476202
  • কোন ডক ফাইল টুনিবালবের মত একবার আসছে একবার যাচ্ছে , মানে পুরো পাতাটাই সাদা হয়ে যাচ্ছে, এটা কীকরে সম্ভব?  আর এরপরে কাজই বা কীকরে করা সম্ভব!  আমি কিছু টাইপ করতে গেলেই সব লেখা পালিয়ে যাচ্ছে!  

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::20e:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:৪২476201
  • @পিনাকিদা, একটু মন দিয়ে পড়বেন।

    এইসব রিপোর্টগুলো বা আপনার দেওয়া লিন্কগুলো আমাদের মতন লোকেদের জন্য খুবই জরুরী। গুজরাত দাঙ্গার কথাও আমরা এইভাবেই জানতে পারি। কারণ সরকার আর পারপেট্রেটার তো সবসময় ধামাচাপা দিতেই ব্যস্ত। আর বাজারি কাগজ কি করে সেতো আমরা সবাই জানি। তাই এই রিপোর্টগুলোতে অনেস্টি থাকাটা খুবই প্রয়োজন। নইলে আন্দোলন থেকে রিপোর্টিং সবকিছুর ক্রেডিবিলিটি নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। আজকে যদি জানতে পারেন যে ঐ ভিডিওতে দেখা মহিলাদের মধ্যে একজনও অভিনয় করেছিলেন, পুরো ডকুমেন্টারিটা ট্র্যাশে পরিণত হয়ে যাবে। তাই ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপোর্টিংএ খুব কেয়ারফুল হতে হয়। অন্যদিক যখ্ন মিথ্যাকথা বলছে তখন আরেকদিককে সত্যির উপরেই ভরসা করতে হয়।

    আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যে নন্দীগ্রামে বামেরা প্রচুর গোলমাল করেছে। হার্মাদরা প্রচুর অত্যাচার করেছে। পুলিশরাও করেছে। আবার বাম কর্মীদের উপরও অত্যাচার চলেছে। তিনোরা ছিল, মাওবাদীরাও ছিল। হয়তো সমতুল্য নয়। বামেদের সঙ্গে সরকার, পুলিশ ছিল। তাই তাদের জুলুম করা ক্ষমতাও বেশি ছিল। কিন্তু এই পুরো গোলমালটা ঠিক জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা নয়। কারণ জমি অধিগ্রহণ হবেনা বলার পরেও বহুদিন গোলমাল চলেছে। পরে এটা ক্ষমতা দখলের লড়াইতে পরিণত হয়েছিল। কে ঐ অন্চলের ক্ষমতা হাতে রাখবে। এই জায়্গাতে এসেই ব্যাপারটা গোলমেলে হয়ে যায়। তখন যে কাকে সমর্থন করবো, সেটাই বুঝে উঠতে পারিনা।

    দিদি অনেক মিথ্যা কথা বলেছেন। কিন্তু আগেরদিন ফোন কলে একটা সত্যি কথা বলেছেন মনে হল। তিনি প্রলয় ঘোষকে (?) ফোনে বললেন যে তুমি তো জানো আমাকে ওরা (অধিকারীরা?) ওখানে ঢুকতে দিতোনা। ভাবতে পারছেন দিদির মতন মূখ্যমন্ত্রীকে যিনি সেই পার্টির ওনলি পোস্ট, তিনি অধিকারীদের পারমিশান না নিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারতেন না। ভাবুন একবার। দিস ইজ আ ডিসগ্রেস।

  • PT | 203.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:৩৮476200
  • এত্ত বাইট বদহজমের পরেও একটা ছিম্পিল পোশ্নের উত্তর পাওয়া গেল না।
    মমতা তদন্ত করতে দিলেন না কেন?

  • T | 103.15.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:৩৭476199
  • এগুলো নিয়ে সত্যিই আগে প্রচুর কথা হয়েছে। শঙ্কর সামন্তর বাড়ি থেকে যে গুলি চলেছিল সেটা বিউপিসির লোকেদের দাবী ছিল। 

  • পিনাকী | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:২৬476198
  • এগুলো নিয়ে ডিবেট করলে সত্যিই ক্লান্ত লাগে। শংকর সামন্ত সিপিএম নেতা তার বাড়ি থেকে গুলি চলে। নব সামন্ত বাদল গারু সিপিএম নেতা তাদের নামে অন ক্যামেরা লোকে বলছে ঘরে ঘরে ঢুকে মলেস্ট করছে। একটু ধৈর্য্য ধরে ভিডিওগুলো দেখে নাও না গুরু। কে করেছে কেন করেছে সেসব দার্শনিক প্রশ্ন আমরা নাহয় তারপর আলোচনা করি? 

  • দীপ | 2401:4900:3a06:ac1b:bfc4:2572:779c:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:২২476197
  • কিছু হয়নি! সব অতিরঞ্জিত মিথ্যা প্রচার! আর গুজব এমনি এমনি ছড়ায় না। ১৪৪ ধারা জারি করে পুরো জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছিল! সাধারণ মানুষ চূড়ান্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে! তাই নানারকম উড়োখবর হু হু করে ছড়াতে থাকে। 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::877:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:২১476196
  • "কে করিয়েছে আর কেন করিয়েছে - এর সাথে 'কী ঘটেছে'র কী সম্পর্ক?"

    সম্পর্ক তো আছেই। রাইখস্ট্যাগের কথা ভাবুন।

  • পিনাকী | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:১৮476195
  • কে করিয়েছে আর কেন করিয়েছে - এর সাথে 'কী ঘটেছে'র কী সম্পর্ক? কিছু একটা খারাপ ঘটেছে সে তো সবাই জানে। আর কিছু না ঘটে থাকুক ১৪ জন মারা গেছে, এটা তো ঘটেছে, নাকি? এই আর্টিকল নিয়ে ডিবেট তো কে ঘটিয়েছে আর কেন ঘটিয়েছে প্রশ্নে নয়। একেবারেই 'কী ঘটেছে' প্রশ্নে। 

  • দীপ | 2401:4900:3a06:ac1b:bfc4:2572:779c:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:১৬476194
  • পুলিশের গোপন অপারেশনের খবর আন্দোলনকারীদের কাছে আগেই ফাঁস হয়েছিল


    রানা দাস: টানা তিনমাস পুলিশ এলাকায় ঢুকতে পারেনি৷ তবে, আইনের শাসন ফেরাতে নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকবে, তার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল৷ বিভিন্ন জেলা এবং থানা থেকে কাতারে কাতারে পুলিশ কর্মী আর অফিসার আনা হচ্ছিল তমলুক পুলিশ লাইনে৷ সেখান থেকে ভ্যানে করে তাদের পাঠানো হচ্ছিল তেখালি খালের ওপারে খেজুরি থানা এলাকায়৷ চণ্ডিপুর থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে গজিয়ে উঠছিল সিপিএমের ক্যাম্প৷ নজর রাখা হচ্ছিল কারা নন্দীগ্রামে আসছে-যাচ্ছে৷


    সারাদিন নন্দীগ্রামে পরে থাকার পর রাতে তমলুকে ফেরার পথে সিপিএম ক্যাডারদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছিল৷ বর্তমান পত্রিকার সাংবাদিক এই পরিচয় কোনদিনও দিতে পারেনি৷ খবরের কাগজে কাজ করতাম বলে, কেউ কোনদিন বর্তমান পত্রিকার সাংবাদিককে চিনত না৷ আর নন্দীগ্রামে আসা-যাওয়ার পথে সঙ্গী করেছিলাম আজকালের জেলা সাংবাদিক রাজীব চক্রবর্তীকে৷ স্থানীয় নিচুতলার সিপিএম নেতাদের সঙ্গে তাঁর মুখ চেনা সম্পর্ক৷ফলে রাজীবকে সঙ্গে করেই যাতায়াত করতাম বলে, কোনদিন সমস্যা হয়নি৷ যদিও খবর ছিল, সিপিএম ক্যান্পে ক্যান্পে নির্দেশ দেওয়া ছিল আমাকে খুঁজে বের করার জন্য৷ কিন্তু, রাজীবকে সঙ্গী করার ফলে কেউ কোনদিন আমাকে সন্দেহ করেনি, জানতেও পারেনি যে আমিই বর্তমানের জেলা সাংবাদিক৷ ফলে বরাত জোরে টার্গেটে থাকলেও, কোনদিন ধরা পড়িনি৷ যাই হোক, নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকে আইনের শাসন ফেরাবে, সেই লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল৷ কিন্তু, কবে কীভাবে পুলিশ ঢুকবে তার কোন সঠিক দিনক্ষণ জানতে পারছিলাম না৷ অন্যদিকে, পুলিশের ঢোকা আটকাতে নন্দীগ্রামের অন্দরেও জোর তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল৷


    ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ সন্ধেবেলা প্রথম জানতে পারি যে, ১৪ মার্চ খেজুরির দিকে থেকে নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকবে৷ এটা জানতে পারি তখনকার বাংলা আউটলুক ম্যাগাজিনের দুঁদে সাংবাদিক সঞ্জয় ভদ্রের কাছ থেকে৷ কলকাতায় ক্রাইম বিটের রিপোর্টার বলে তাঁর কাছে খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল৷ ঠিক তার কিছু পরেই তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম, খবরটা সত্যি ১৪ মার্চ পুলিশ ঢুকবে৷


    ঘটনার ১১ বছর পর আর বলতে কোন বাধা নেই যে, শুভেন্দুর কাছ থেকেই জানতে পারলাম, এই খবরটা তিনি পেয়েছেন মহাকরণ থেকেই৷ রাজ্য পুলিশের এক কর্তা তাঁকে মোবাইলে ফোন করে সরকারের পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়৷ সেই রাতেই কলকাতা থেকে এপিবি আনন্দের (তখন স্টার আনন্দ ছিল) সাংবাদিক চিত্রদীপদা (চিত্রদীপ চক্রবর্তী) ফোন করে একই কথা বললেন৷ ফলে সব দিক থেকেই বুঝতে পারছিলাম আগামিকাল, ১৪ মার্চ বড় কিছু একটা ঘটতে চলেছে৷ তমলুকে আমরা যারা থাকতাম, তারা প্রায় দিন নন্দীগ্রামেই রাত কাটাতাম৷


    কিন্তু, ১৩ তারিখের রাতটা তমলুকেই ছিলাম৷ আমাদেরই এক সহকর্মী কলকাতা টিভির ক্যামেরাম্যান কাজল মাইতি সেই রাতে নন্দীগ্রামেই ছিল৷ তাকে ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চাইলাম৷ অনেকক্ষণ কথা বলে জানতে পারলাম, কাল খেজুরি দিয়ে পুলিশ ঢুকছে, সেই খবর আন্দোলনকারীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে৷ পুলিশকে প্রতিরোধ করার সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷


    কাজল সেই রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তেখালি ব্রিজের কাছে সোনাচুড়ায় আছে৷ ওকে জানিয়ে রাখলাম, কিছু হলে যেন রাতেই জানায়৷ সেই রাতে আর ঘুম হল না৷ সারারাত জেগেই কাটালাম৷ কারণ পরের দিন কী হতে চলেছে, তা আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি থেকে বুঝতে পারছিলাম৷ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্যে করে গুলি না চালালে পুলিশের নন্দীগ্রামে ঢোকার কোনও ক্ষমতা ছিল না, এটা স্পষ্ট হয়েছিল টানা চার-পাঁচমাস নন্দীগ্রামে পড়ে থাকার ফলে৷


    রাতভর একটা কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, জোর করে পুলিশ ঢুকতে গেলে লাশ পড়বে অনেক৷ পুলিশের ওপরও আঘাত আসতে পারে৷ আগুন জ্বলতে পারে রাজ্যজুড়েই৷ এই সব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে ভোরের আলো ফুটে ওঠে৷ সকালে নন্দীগ্রামে যাওয়া জন্য তৈরি হচ্ছিলাম, এমনই সময় নন্দীগ্রাম থেকে খবর এল যে, তেখালি খাল পেরিয়ে পুলিশ দুই দিক দিয়ে নন্দীগ্রামের ঢোকার জন্য এগিয়ে আসছে৷ একদিকে গোকুলনগর৷ অন্যদিকে ভাঙাবেড়্যা হয়ে পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে চলেছে৷ প্রচুর পুলিশ এগিয়ে আসছে নন্দীগ্রামের দিকে৷ অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা যাতে না পালাতে পারে, তার জন্য নন্দীগ্রামে ঢোকা এবং বের হওয়ার সমস্ত পথে ক্যাম্প করে খানা-তল্লাসি চালাচ্ছে সিপিএমের লোকেরা৷ এমন কী, কেউ যাতে হলদি নদী পেরিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকতে এবং বের হতে না পারে, তার জন্য নদীঘাটেও ক্যাম্প করেছে সিপিএম কর্মীরা৷ তারা সংবাদমাধ্যমকেও নন্দীগ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না৷ এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে যাওয়াটা খুব দরকার৷ আর যে কোনভাবেই নন্দীগ্রামে ঢুকতেই হবে৷ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলাম আজকালের জেলা সাংবাদিক রাজীবের সঙ্গে৷ তাকেও ভিতরে ঢুকতে হবে৷ নন্দীগ্রামের বাইরে যেমন আমার বিপদ সিপিএম ক্যাডারদের কাছ, তেমনি নন্দীগ্রামের ভিতরে আন্দোলনকারীদের মুখে রাজীবেরও বিপদ৷ দু’জনেই ঠিক করলাম আমরা নন্দীগ্রাম যাব৷ গাড়ি নিয়ে গেলে বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ তাই তমলুক থেকে বাসেই রওনা দিলাম৷ নেমে গেলাম চণ্ডিপুরে৷ এর পর আর ভিতরে যাওয়ার কোন উপায় নেই৷ সেখান থেকে কম করেও ২২ কিলোমিটার যেতে নন্দীগ্রাম পৌঁছতে৷ কিন্তু চণ্ডিপুরেই হাসপাতাল মোড়েই ক্যাম্প করে আছে সিপিএমের লোকেরা তার কিছুটা দূরে হাঁসখালিতেও আরও একটা ক্যাম্প আছে সিপিএমের৷ ফলে এই দুই ক্যাম্পের লোকেরা কোন মতেই আমাদের নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেবে না৷ কিন্তু যেতে যে হবেই৷ তাই সেখান থেকে ফোনে যোগাযোগ করলাম সানুদা বলে চণ্ডিপুরে এক যুবকের সঙ্গে৷ তিনি কট্টর কর্মী না হলেও, তৃণমূল সমর্থক৷ শুভেন্দুর ভক্ত৷ আন্দোলনের শুরুর অনেক আগে থেকে নন্দীগ্রাম নিয়ে বিস্তর খবর করার জন্য তিনি আমারও ভক্ত ছিলেন৷ ফোন করতেই তিনি তার লাল রঙের মোটর বাইক নিয়ে হাজির৷ আমরা নন্দীগ্রামে ঢুকতে চাই, একটা ব্যবস্থা করতে হবে৷ আমার কথা শুনেই তিনি বললেন, ‘দাদা কোন চিন্তা করবেন না, আমি আপনাদের নন্দীগ্রামে পৌঁছে দেব৷ সিপিএমের লোকেরা টেরই পাবে না৷ আমি আর রাজীর তাঁর বাইকে উঠে বসলাম৷ সানুদা তাঁর বাইকের মুখটা ঘুরিয়ে তমলুকের দিকে করলেন৷ কিছুটা আসার পরেই মগরাজপুরে থেকে ডানদিকের একটা রাস্তা ধরলেন নন্দীগ্রাম যাওয়ার জন্য? বেলা তখন দশটা হবে হয়তো, এমন সময় শুভেন্দু ফোন করে জানতে চাইলেন আমি কি নন্দীগ্রামে যেতে পেরেছি কি না? সেখানকার তাজা পরিস্থিতি জানার জন্যই আমাকে কল করেছিলেন৷ আমি নন্দীগ্রামের পথে এটা জানতেই বললেন, সেখানে কী অবস্থা আমি যেন তাঁকে জানায়৷ পাশাপাশি এটাও বললেন, তিনি কিছু খবর পেলে জানাবেন৷ আরও কিছুটা যাওয়ার পর আমার শুভেন্দুর ফোন করে বললেন, পরিস্থিতি ভালো নয়, গোকুলনগরে ঢুকছে পুলিশ, সেখানে মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে পুলিশ৷ ভাঙাবেড়্যার দিকেও ঢোকার চেষ্টা করছে৷ সেখানে পুলিশের সঙ্গে সিপিএম ক্যাডাররাও বন্দুক হাতে নিয়ে নন্দীগ্রামে ঢোকার চেষ্টা করছে৷ গলার স্বরে স্পষ্ট বুঝলাম, শুভেন্দু প্রচণ্ড চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন৷ কারণ, কোনভাবে পুলিশ গুলি চালালে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে, তাঁর কথায় বুঝলাম পুলিশের গুলিতে কোন গ্রামবাসীর কোন ক্ষতি হোক, সেটা তিনি কোনভাবেই চান না৷ বাইক তখন প্রায় নন্দীগ্রামে ঢোকার মুখে৷ আবার শুভেন্দুর ফোন৷ এবার তাঁকে খুব বিচলিত বলেই মনে হল, ফোন করেই বললেন, ‘রানা আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল৷ পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে৷ মনে হচ্ছে অনেক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশ গ্রামের দিকে ঢুকছে৷’ আমি ও রাজীবও কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম৷ কী করে ঘটনাস্থলে যাব? এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে৷ সাহস করেই ঢুকে পড়লাম নন্দীগ্রামে৷


    ইতিমধ্যেই ভাঙাবেড়্যা এবং গোকুলনগর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফৎ খবর আসতে শুরু করল যে, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে গ্রামের দখল নিচ্ছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে৷ এটা মূলত হয়েছে গোকুলনগর অধিকারিপাড়ায়৷ লোকমুখে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বহু গ্রামবাসী পুলিশের গুলিতে মারা পড়েছে৷ সংখ্যাটা কত? তা বোঝা যাচ্ছে না৷ এরমধ্যেই আমরা পৌঁছলাম নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ সেখানে তখন কাতারে কাতারে গ্রামবাসী ভিড় জমিয়েছেন৷ খেজুরি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ফাঁকা মানুষ এসে ভিড় করছেন নন্দীগ্রাম থানা চত্বরে৷ আমরা যেতে চাইলাম ভাঙাবেড়্যার দিকে৷


    কিন্তু, নন্দীগ্রাম থানার এক পরিচিত অফিসার সতর্ক করে বললেন, প্লিজ ওদিকে যাবেন না, খেজুরির দিকে পুলিশ গুলি চালাতে চালাতে নন্দীগ্রামে ঢুকছে, এতে বিপদ হতে পারে৷ অগত্যা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে, সোনাচুড়ার থেকে রক্তাক্ত এক গ্রামবাসীকে সেখানে আনা হল৷ কান্নার রোল পড়ে গেল সেখানে৷ এর পর এক এক করে গুলিবিদ্ধকে আনা হতে থাকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য৷ সারা শরীরে রক্তে ভেসে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের৷ তাদের মুখ থেকে জানতে পারলাম পুলিশের গুলিতে বহুলোক মারা গিয়েছে৷ এমন কি অনেকের দেহ তুলে পর্যন্ত আনতে পারেননি তারা৷


    স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে থাকল নানা গুজব৷ কেউ বলছে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ কেউ বলছে তার চোখের সামনে শিশুদের পা চিরে মেরে ফেলা হয়েছে৷ যদিও পরবর্তীতে জানতে পেরেছিলাম, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করতেই এই ধরণের গুজব কৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ বেলা যত বাড়তে থাকল, গুলিবিদ্ধের সংখ্যাও বাড়তে লাগল৷ কারও পায়ে গুলি লেগেছে, কারও বুক চিরে চলে গিয়েছে থ্রি নট থ্রির বুলেট৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই সবাইকেই তমলুকে স্থানান্তরিত করা হতে থাকে৷ জিপ, অ্যাম্বুলেন্স করে জখমদের তমলুকে নিয়ে যেতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ সেদিনই লক্ষ্য করেছিলাম বিপদের দিনেও আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা কীভাবে একে অপরের পাশে থেকেছেন৷


    সেদিনই বুঝেছিলাম নন্দীগ্রাম পড়ে পড়ে মার খাবে, কিন্তু বশ্যতা স্বীকার করবে না৷ পুলিশের গুলিতে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে পারবে না৷ ইতিমধ্যে আরও গুজব ছড়িয়ে পড়ল যে, পুলিশের গুলিতে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে, তেখালি খালের জল রঙ বদলে লাল হয়ে গিয়েছে৷ গুলি চালানোর খবর এমনভাবে রাজ্য জুড়ে চাউর হয়ে গিয়েছিল যে, বুদ্ধদেব সরকার রীতিমতো চাপে পড়ে যায়৷ বাধ্য হয়েই পুলিশ সোনাচুড়ার পর আর এগোতে পারেনি৷ সেখানে অভিযান থামিয়ে দিতে হয়৷ ভাঙাবেড়্যা থেকে সোনাচুড়া পর্যন্ত কেটে দেওয়া রাস্তা মেরামতিও করে পুলিশ৷ এরমধ্যে পুলিশের অভিযান শেষ করে৷ দিন শেষে যা হিসেব পাওয়া গেল, তাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ১৬জন গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন৷ পুলিশ এবং হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী, আমার খবরে ছিল ১৪ জনের মৃত্যুর কথা৷ কিন্তু পরদিন বর্তমান পত্রিকা পড়ে খুব তাজ্জব হয়েছিলাম মৃতের সংখ্যা শতাধিক দেখে৷ সেদিন সারাটা দিন খুব আতঙ্কের মধ্যেই কেটেছে৷ তবে বার বার খুব ইচ্ছে করছিল একবার ভাঙাবেড়্যার ঘটনাস্থলে যেতে৷ যাওয়ার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলাম৷ কিন্তু, সেদিন বর্ধমান থেকে নন্দীগ্রামে আসা আমার সিনিয়র রিপোর্টার তন্ময় মল্লিক নিষেধ করেন৷ ওনার কথা অমান্য করে চুপি চুপি ভাঙাবেড়্যার গিয়ে পৌঁছে যাই৷ তেখালি খালের এপারে হাতের বাঁদিকে দোকানঘরগুলোর দেওয়ালে স্পষ্ট ছিল বুলেটের দাগ৷ সেই দাগ যেন বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিল জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই ক্ষতচিহ্নগুলো৷ তবে, তেখালি খালের জল ছিল স্বাভাবিকই৷ পাশের খালেও জলও ছিল একই রকম৷ তবে, সেই দিনের অভিজ্ঞতা আর আতঙ্ক এখনও মোটা কম্বলের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে…

  • পিনাকী | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:১২476193
  • দেখো একদম ফ্র্যাংকলি বলছি আমি যখন এরকম লেখা পড়ি আমি কখনই ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড বিশ্বাস করিনা। সে বামদিক থেকেই আসুক আর ডানদিক থেকে। ফলে আমি যখন এই লেখাটা পড়ি আমারও মনে হয়েছিল এগুলো নিশ্চয়ই আতংকের কারণে ছড়ানো গুজব। মাছধরা ট্রেলারে কিন্তু ঘড়িয়াল জাতীয় প্রাণী বা ছোট হাঙর আমি উঠতে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে হয়ত এরকমই কিছু ঘটেছে একটা স্ট্রে ইনসিডেন্ট যেটাকে লোকে এই মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার সাথে রিলেট করেছে। একইভাবে পা ধরে চিরে দেওয়া হয়ত সত্যি সত্যি হয়নি, কিন্তু চিরে দেবে বলে ভয় দেখিয়েছে। কী ঘটেছে আমরা জানিনা। কিন্তু কালেক্টিভ ট্রমাটা সত্যি। সেটা দেখে আন্দাজ পাওয়া কঠিন নয় যে যা ঘটেছে সেটা নৃশংস। নইলে এরকম লেভেলের গুজব ছড়াতেও পারত না, সেটা ভিত্তি পেত না, লোকে বিশ্বাস করত না। তুমি যদি ভিডিওগুলো দেখো, দেখবে একটা লোক কাঁদতে কাঁদতে বলছে সে বিশ্বাস করে যে রাস্তার কাটাঅংশগুলো ভরাট করা হয়েছে তার নিচে মৃতদেহ আছে। সে কনভিকশন নিয়ে বলছে খোঁড়া হোক। এগুলো দেখলে একটা আন্দাজ তো পাওয়া যায়। আমার বক্তব্য সেটাই কি যথেষ্ট নয়? একটা ঘটনার নৃশংসতাকে বোঝার জন্য? 

  • a | 14.203.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:০৫476192
  • ঘটনাটা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা কেউ করছে বলে মনে হয়না, প্রশ্ন উঠছে কে করিয়েছে আর কেন করিয়েছে। 


    বাকি রয়ে গেল গুরুতে কেন মিথ্যে নিবন্ধ (যদিও লেখাটির উপরে সবুজ ব্যানারে আজও লেখা আছে pratibedan) কে ডিফেন্ড করার মরিয়া চেষ্টাটা। হাস্যকর টেকনিকালিটির শাক দিয়ে নিজেদের ব্য্র্থতার দায় ঢাকার চেষ্টা। তা চলুক। 

  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:7960:b859:be91:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৮476191
  • আপাততঃ পিসীকে ডিসওন করলে তখন একটা আলোচনার জায়গা আসে। আসলে কি হয়েছিল এবং কারা করেছিল সেটা হয়তো এখনো বের করা যায়। কিন্তু পিসী তো কোন ইনভেস্টিগেশন হতে দিচ্ছে না।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::20d:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৬476190
  • নন্দীগ্রামকে লঘু যদি কেউ করে থাকেন, সেটা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুরো ঘটনাটাকে দলীয় কোন্দল হিসাবে দেখাতে চাইছেন।

    না ঐসব কুমিরের কথা মিথ্যা বেড়োলে ঘটনাটা লঘু হয়না। কিন্তু আন্দোনলকারীদের পজিশনটা দুর্বল হয়ে যায়। কারণ তখন সবার মনে সন্দেহ জাগে যে আর কি কি কথা মিথ্যা বলা হচ্ছে।

    আর ঐসব অতিরন্জন বাদ দিয়েও রিপোর্টটা ছাপা যেতো। বলেছে যে জাল টানলে নাকি কুমীর উঠে আসছে। সিরিয়াসলি? একটা কুমীদের কত ওজন জানেন? সেটা তুলতে কি ধরনের জাল আর কি ধরনের যন্ত্র লাগে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ জাগেনি মনে? নাকি মনে হয়েছে যে এইটা না থাকলে রিপোর্টটা ঠিক জমছে না।

  • দু | 47.184.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৬476189
  • প্রাইভেট পরিসরে আরেসেস নেতা কর্মীরা ও বলছে তারা ছিল এই আন্দোলনের মূল ব্রেন। শুনতে চাই নি বলে আর জানি না কিন্তু সময় এলে তারা ও লিখবে হয়তো।

  • Pinaki | 136.228.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৮476188
  • ঐ লেখাটায় হলদি নদীতে মৃতদেহের কারণে কুমির হাঙর চলে আসাটুকু অন ক্যামেরা কাউকে বলতে শুনিনি। কিন্তু তা বাদে বাকি সবকিছু অন ক্যামেরা লোকে বলেছে। তালপটি খালে একেরপর এক বডি ভাসিয়ে দেওয়া - প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে অন ক্যামেরা ডকুমেন্টেড। শিশুর পা চিরে ছিড়ে ফেলা - প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে অন ক্যামেরা ডকুমেন্টেড। এগুলো সবই অতিরঞ্জন হতে পারে, আবার কিছু সত্যি ঘটেছে কিছু অতিরঞ্জন - এরকমও হতে পারে। কিন্তু লেখক নিজে বানায়নি। ফলে হলদি নদীতে কুমীরের গুজবও লেখকের নিজের বানানো না-ই হতে পারে, সেটাও আক্রান্তদের মুখে মুখে ফেরা অতিরঞ্জন হতে পারে। ঐসময়ে দাঁড়িয়ে সেটা ভেরিফাই করার কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, এগুলো না হওয়া মানে কি ঘটনাটা লঘু হয়ে যাওয়া? ধর আজ প্রমাণিত হল গুজরাট দাঙ্গায় ওরকম ভ্রূণকে তরোয়ালের ডগায় নিয়ে নাচানো ব্যাপারটা অতিরণ্জন ছিল, সেটা জানলে কি গুজরট দাঙ্গা সামান্য ব্যাপার হিসেবে প্রতিপন্ন হবে? নন্দীগ্রামকে সামান্য দেখানোর এই তাগিদ কেন? 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::e00:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৫476187
  • নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সবথেকে বড় ক্ষতি হয়েছে এই দিদির হাত ধরে। কারণ দিদি পুরো আন্দোনলটাকেই নিজের রাজনৈতীক সুবিধার্থে ব্যবহার করেছেন। এখনও করছেন। সিঙ্গুরেও তাই হয়েছে। একটা হয়ে যাওয়া কারখানাকে বন্ধ করা হয়েছিল। রাজনৈতীক সুবিধার জন্য। সেই জমিতে এখন চাষও হয়্না, কারখানাও নেই। আর সেই সময়ের সোকল্ড সুশীলজনরা অনেকেই দিদির পেরোলে জায়্গা পেয়ে যায় তাকে ক্ষমতায় বসানোতে সাহায্য করার জন্য। সবাই কত চাষীদের কথা মাথায় রেখে আন্দোলন করেছে আমার জানা আছে।

  • PT | 203.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৪০476186
  • "লোকে যা বোঝার বুঝে যাচ্ছে তো।"
    কি বুঝছে?
    "সাথীদের খুনে রাঙা পথে দেখ, হায়্নার আনাগোনা"-ঐ হায়্নাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে তিনোরা।
    অমি চাইছি যে লড়াইটা এবার তিনোদানের চাল, ক্লাব, পুজো, ইমাম ভাতা আর অন্যদিকে কখনো "RSS দেশপ্রেমিক", কখনো "অটলজীর মত নেতা হয়্না" ইত্যাদির মুখোশের বাইরে এসে রাজনৈতিক হোক।
    বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমার কিছু পাওয়ার নেই যেমন কিনা ৩৪ বছরের শাসকের সাথেও কোন দেওয়া-নেওয়া ছিলনা। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত