আসল বাঁশটা দিয়ে গেছে সিপিএম -
West Bnegal's share of total industrial output in India was 9.8% in 1980–81, declining to 5% by 1997–98.
চ্যানেল 18 এর ক্লিপটা দেখলাম। মমতা সত্যিই বলেছেন চটি পরা পুলিশ ঢুকেছিল অধিকারীদের মদতে। আমি এতটা কখনো ভাবিনি। কিন্ত সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে নন্দীগ্রামের সেই পুলিশ অফিসারকে তৃণমূলে নেওয়া নিয়ে একটা সন্দেহ ছিলই।
আর আপনার কথা PT। তর্ক বা আলোচনায় নেমে যাঁরা গালাগালি করেন তাদের যুক্তি দুর্বল। আপনি এদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখেও নিজের কথায় অটল থেকেছেন। এমনটা বেশী দেখিনা। আমার শ্রদ্ধা নেবেন।
@পলিটিশিয়ান
"বাপ- ব্যাটা মিলে চটি পরা পুলিশ ঢুকিয়েছিল"!!
জাগো গুরু জাগো! আত্মানুসন্ধান ও সত্যানুসন্ধান কর।
@পলিটিশিয়ান
"বাপ- ব্যাটা মিলে চটি পরা পুলিশ ঢুকিয়েছিল"!!
জাগো গুরু জাগো! আত্মানুসন্ধান ও সত্যানুসন্ধান কর।
এলেবাবুর উদ্যোগ ও লক্ষ্য অতি উত্তম। খুবই প্রশংসনীয়।
এমনকি কাব্যিকও বটে। নীললোহিতের দিকশূণ্যপুরকে মনে করিয়ে দেয়।
লার্জ স্কেলে এই প্রকল্পের যেটা সমস্যা ঠেকছে - এটা ইতিহাসের মোমেন্টামকে অগ্রাহ্য করছে। সায়েন্স আর টেকনোলজি, সেটা ক্রমশঃ বিগ সায়েন্স আর বিগ টেকনোলজি হয়ে পড়েছে, লার্জ ক্যাপিটাল ছাড়া হওয়া কষ্টকর। আর গত দুশো বছরে এইটে ইতিহাসের গতি একেবারে ব্রেকনেক স্পীডে পাল্টে দিচ্ছে। এলের মডেল এটা কিছুতেই কাউন্টার করতে পারবে না, কোন দৈবী অঘটন ছাড়া - একেবারে লিখে দেওয়া যায়।
সেক্ষেত্রে একটা বড়সড় সমঝোতা করে নিতেই হবে।
"আপনারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য লালায়িত।"
এইসব holier than thou" বক্তব্য মোটেই কোন যুক্তি নয়, emotinal outburst মাত্র। । আপনি এমন ভাব করছেন যেন আপনি সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী আর অন্যদের জিভ দিয়ে জল ঝরছে ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার জন্য।
এতক্ষণ ধরে জানান দিচ্ছিলেন যে আপনার প্ল্যান গোটা পব-র জন্য আর আমরা অনেকেই IIT বা সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে সীমাবদ্ধ। বেলাশেষে জানাচ্ছেন যে "সীমাবদ্ধ ক্ষমতায়" আপনার "কর্মক্ষেত্রটি" একটি বিদ্যালয় মাত্র। অর্থাৎ কিনা আপাততঃ ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরীর দরকার নেই। কিন্তু আমার ছাত্র- ছাত্রীদের গতকালই চাকরী দরকার। নন্দীগ্রামের কেমিকাল হাব হলে বেশ সুবিধে হত তাদের। নাহলে নয়ডা, লুরু, হায়েদ্রাবাদ বা পুণে ভরসা।
good luck anyway!!
আপনারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য লালায়িত। আপনারা প্রসঙ্গগুলো তুলবেন।
আমার সীমাবদ্ধ ক্ষমতায় আমার কর্মক্ষেত্রটিকে অনেক আগেই প্রায় আদর্শ বিদ্যালয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছি। আরও চেষ্টা চলছে।
'আমরা'টা মানে গ্রামের বাসিন্দারা। আমাদের ভালোটা আমাদেরকেই বুঝতে দিন। নাহলে ওই 'বাবুরা এয়েচেন আকাল দেখতে' মনে হবে আর কি।
"ওটা এসেছে ছদ্ম দরদের প্রসঙ্গে। "
এইসব unqualified বক্তব্যগুলো যতটা সম্ভব বাদ রাখলেই ভাল হয়। ওটা দেবলীনা যবে বলবেন তবে ভেবে দেখব।
"এই শহরায়নও একটি নিন্দনীয় চাল।"
এটাও তো unqualified" বক্তব্য। আপনার ভাল নাও লাগতে পারে। কিন্তু এমনটা অথবা কাছকাছি কিছু যে একেবারেই হচ্ছে না তা নয়ঃ "15 Progressive Indian Villages That Will Make You Want to Ditch Your City Life Right Away!"
"আমার কাছে বিকল্প রাস্তা আছে"
আরো একটি ফাঁকা দাবী। মনে হয় এটা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে হবে।
"আমরা দেখেছি। আর বানাতে দেব না।"
এই আমরাটা কারা?
যাই হোক অনেক বাইটের বিনিময়ে এখনো পর্যন্ত ফাঁকা তাত্বিকতাই পাওয়া যাচ্ছে। ঐ সিঙ্গুর-্নন্দীগ্রামের কালেও এইরকম ফাঁকা তাত্বিকতা অন্যেরা করেছিলেন। তার নেট ফলাফল তো দেখছি সবাই।
একটা খবর শুনলাম, কেউ সত্যি মিথ্যে ভেরিফাই করতে পারেন?
মমতা নাকি বলেছে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় অধিকারীরাই গ্রামে পুলিশ ঢুকিয়েছিল?
না, অনেক গ্রামকে শহর বানিয়েছেন। আমরা দেখেছি। আর বানাতে দেব না। গ্রামকে গ্রামই থাকতে দিন। জমি হাব বানান। সেখানে শিল্প গড়ে তুলুন। এই শহরায়নও একটি নিন্দনীয় চাল।
* একটা বিধানসভার টার্মে প্রত্যেকটি বিধানসভা আসনে
না এলেবেলে নিতান্তই এলেবেলে। তাকে দেবলীনা হেমব্রম কিছুই বলেননি। ওটা এসেছে ছদ্ম দরদের প্রসঙ্গে। মডেলের কথা বললেই পব তখন নিছকই একটা রাজ্য হয়ে যায়। একটা বিধানসভার টার্মে অন্তত একটা আদর্শ পঞ্চায়েত আর একটা আদর্শ পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেই ৩৪ বছরে কতগুলো হতে পারত?
আপনারা বকলমে ক্রোনি ক্যাপিট্যালের পূজারি, আমি নই। আমার কাছে বিকল্প রাস্তা আছে এবং এই মায়াপাতায় চাষবাসের লাভক্ষতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থাকার ব্যাপারে এলেবেলে অনেকের থেকেই অনেক এগিয়ে আছে। বাদ্দিন।
আগামীতে সিপিএমই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। তখন এই প্রসঙ্গগুলো রাজ্য নেতাদের কানে তুলে দেবেন। চাষিরা-কারিগররা-শ্রমিকরা আপনাদের আশীর্বাদ করবেন দু-হাত তুলে।
পশ্চিমবঙ্গের স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট নিয়ে কন্ট্রোভার্সি আছে।
https://www.epw.in/journal/2019/4/commentary/state-west-bengal-economy.html
ভারতবর্ষে কৃষিতে পাবলিক ইনভেস্ট -- চীনের মত না হোক অন্তত কিছু-- আদৌ বাড়ছে কি? কেন্দ্রের বা রাজের?
ভারতবর্ষে কৃষিতে পাবলিক ইনভেস্ট -- চীনের মত না হোক অন্তত কিছু-- আদৌ বাড়ছে কি? কেন্দ্রের বা রাজের?
"গ্রাম থেকে শহরে সরে যাওয়াই নিয়তি। "
কেন? গ্রামই শহরে পরিণত হোকনা। কিছু জমি শিল্পের জন্য ছেড়ে কম জমিতে বেশী ফসল ফলানো যায় না?
.....the average size of operational holdings in India fell to 1.2 hectares in 2010-11 from 2.3 hectares in 1970-71. China’s average holdings are even smaller.......0.6 hectares.
.............Given the constraint on further expansion of area under cultivation, improving yield holds the key to increasing agricultural production in the future......
......much of this growth has been achieved by improvement in yields and not increase in agricultural area.
............China’s farm success has been driven by heavy public investments in the sector.
https://www.livemint.com/Opinion/bORKeOM7iNCRvi4nNse8gO/What-India-can-learn-from-Chinese-agriculture.html
শুধুমাত্র শিল্পমুখী উন্নয়ন কখনই সঠিক উন্নয়ন হতে পারে না। গ্রামের থেকে সবাইকে কেন শহরে আসতে হবে। গ্রামেও যাতে সবাই ভালো ভাবে জীবনধারণ করতে পারে সেটা দেখতে হবে।
আসলে উন্নয়নের মডেল কী হওয়া উচিৎ তা নিয়ে স্পষ্ট স্ট্যান্ড নেয়া দরকার।
বড় এস এবং সিটি মা বলছেন তার সঙ্গে নিও লিবেরাল ইকনমিক মডেলের কোন বেসিক তফাৎ দেখছি না।
সেই ইউরোপীয় ক্লাসিক ক্যাপিটালিস্ট মডেল।
১ কৃষির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবং জমিতে ক্রমাগত জনসংখ্যার চাপ বাড়ায় কৃষি জীবিকা হিসেবে লাভজনক নয়। গ্রাম থেকে শহরে সরে যাওয়াই নিয়তি। তাই কৃষির কর্পোরেটাইজেশন হলে সবার লাভ। উন্নত টেকনিক ও পুঁজি এলে চাষে উৎপাদন বাড়বে এবং চাষি ভাল দাম পাবে।
২ তাহলে শিল্প শস্তায় শ্রমিক পাবে। বৃহৎ শিল্প তাতে উন্নত টেকনোলজি লাগে তাতেই আমাদের উদ্ধার। এমপ্লয়মেন্ট বাড়বে অক্সিলিয়ারি ও অ্যানসিলিয়ারিতে।
৩ প্রান্তিক লোকজন শহুরে ঘেট্টো বানিয়ে এবং নানা রকম কাজ করে বেঁচে থাকবে।
৪ উন্নয়নের মাপকাঠি জিডিপি বৃদ্ধির ও নগরায়ন।
ঠিক বুঝেছি?
অত হতাশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। জমিদারীপ্রথা উঠে যাওয়ার সময় অনেকে হাহুতাশ করেছিল, সমাজ উচ্চন্নে যাবে, চাষাদের আর কোন অভিভাবক রইল না।
লাঙল যার জমি তার স্লোগান সুনে যদ্দূর মনে পড়ে কিরণশঙ্কর রায় বলেছিলেন এরপর এরা বলবে পাল্কি যার বৌ তার।
তো, মাটির কাছে যাঁরা থাকেন তাঁরা নিজেদের ভালো একেবারেই বোঝেন না, সব খারাপ লোকজন তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁদের বিপথে চালিত করবে, তাই এক দল গুড শেপার্ড এসে তাদের আইস বলে গড্ডলিকার মত পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে, এমন ভাবার কোন কারন নেই।
পলিসি টলিসি বানাতে হবে সরকারকে, পরিবেশ পরিস্থিতি বানাতে হবে, সুযোগ তৈরী করতে হবে। লোকের ভিটেমাটি নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করলে একটু ঝামেলা তো হবেই।
তথাকথিত বামপন্থীদের অবস্থা বিগত দশ বছরে দেখেছি। তারা কোথায় কোথায় নাম লিখিয়েছে, সেটাও দেখেছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন তিনোদের এমেলে-এমপি। আরেকজন এবারে বিজেপির সম্ভাব্য সিএম ক্যান্ডিডেট।
ইউ নো হোয়াট। ইট ডাজনট ম্যাটার। বেঙ্গল হ্যাভ ডাগ ইটস ঔন গ্রেভ। অ্যান্ড নাউ মেকিং ইট ডীপার সো দ্যাট দ্য স্টেট নেভার গেটস ব্যাক অন ইটস ফীট। আই উইশ দেম অল দ্য বেস্ট।
সেরকম একটি কোম্পানি রাজ্যে কোম্পানি খুলবে - ব্যাপার যে এত সরল ছিল না, সেটা না বোঝার মত নাইভ এখানে কেউই নয়। এই কোম্পানি খোলার জন্যে উৎখাত, জমি দখল, পুরুষানুক্রমিক পেশা হারানো - অনেক কিছুই ছিল।
হরিয়ানা আর পাঞ্জাবের কৃষকরা নিজেদের ভালো বোঝেন কিন্তু বাংলার কৃষকেরা কী বোকা, এও নিতান্ত গোলমেলে অবস্থান।
বিজেপি বলে এরা কৃষক কই, খালিস্তানি আর নকশাল। সিপিএম বলে এরা কৃষক কই, তৃণমূল আর মাওবাদী।
ঐ জন্যেই আসলে জনগন ভুল করে সব রাজনৈতিক দলকেই এক চোখে দেখে, আদর্শ নীতি ইস্তেহার তত্ত্ব এসব কত ভালো তা আর দেখতে চায় না।
সাধে কী আর ভোটারদের ছাগল বলা হয়।
"তবে সবার আগে চাষকে লাভযোগ্য করতে হবে......দেবলীনা হেমব্রম তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।"
এই ব্যাপারটা কি পব নামে রাজ্য করতে পারে আলাদা করে নাকি তার আগে পব নামে দেশ হওয়া দরকার?
আর দেবলীনা কি বলেছেন এলেবেলেকে যা কিনা পলিটব্যুরোর কানে গেলনা? এদ্দিন "চাষার ব্যাটা" রাজ্জাককে নিয়ে কান্নাকাটি হত। তিনি তিনোতে যাওয়ার পরে শুভানুধ্যায়ীদের চোখের জল শুকিয়ে গেছে।
"চাষির ছেলে নিজের ভালো বোঝে না, তাকে ঘাড় ধরে চাষের ক্ষেত থেকে টেনে এনে আইটইওলা বানাতে হবে,"
না, নিজের ভাল বোঝে বলেই চাষ করতে চায় না। আর কতবার এইসব লিং দিতে হবে?
In 2016, the average age of an Indian farmer was 50.1 years. This is worrying because the next generation of the current farmers is quitting the profession. ........
....... According to the 2011 Census, every day 2,000 farmers give up farming. The income of a farmer is around one-fifth of a non-farmer.
........Only 1.2 per cent of 30,000 rural youth surveyed by non-profit Pratham for its 2017 Annual Status of Education Report aspired to be farmers.
https://www.downtoearth.org.in/blog/agriculture/farmers-ageing-new-generation-disinterested-who-will-grow-our-food--65800
হুঁ, আসলে নিজের যুক্তির সঙ্গে মিললেই আপনি তালগাছ। না মিললে? থাক...
নিশান বদল হলো হঠাৎ সকালে
ধ্বনি শুধু থেকে গেল, থেকে গেল বাণী
আমি যা ছিলাম তাই থেকে গেছি আজও
একই মতো থেকে যায় গ্রাম রাজধানী
বড় এস, অন্যদের জানি না, আমার বক্তব্য এক্কেবারে কিছুই বোঝেননি।
এই সবই হোক, কিন্তু তার জন্যে যে লোকজনের নির্দিষ্ট আইনসঙ্গত রেলিভ্যান্ট জীবিকা আছে আর তারা সেটা চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের ভালোর দোহাই দিয়ে পুলিশ মিলিটারি গুন্ডা লাগিয়ে তাদের উৎখাত করার চেষ্টা অন্যায়, আর না করতে পারলে সেটা নিয়ে দশকব্যাপী হাহুতাশ হাস্যকর।
আর বাকি ভারি শিল্প টিল্প নিয়ে, সে তো স্বপ্নের পোলাও। ওসব নিয়ে সরকার আমার মত নিতে অন্তত আসবে না, এসব বিষয়ে কোন দলের নীতির ওপর আমার একটি মাত্র ভোট নির্ভর করবে, এই তো।
আরো কিসব ওয়ারক ফ্রম হোম টোম পড়ে বুঝলাম আপনার পোস্টে আমার মতামত নিয়েও কিছু আছে, তাই লিখলাম।
ভুল স্বীকার করা কত কঠিন সে তো নন্দীগ্রাম জাস্টিফিকেশনের অনন্ত প্রবাহ দেখেই বোঝা যায়। মমতা যা করেছেন তা অত্যন্ত অপর্চুনিস্ট কাজকর্ম। কিন্তু শিল্পের গাজর দেখে কর্পোরেটকে জমি দেওয়ার জন্যে চাষিদের ওপর পুলিশ মিলিটারি লেলিয়ে দেওয়া ততটাই অন্যায় যতটা কাশ্মিরে পেলেট গান বা মণিপুরে আফস্পা। তথাকথি বামপন্থীরা সেসবের নিন্দে করেন আর নন্দীগ্রামকে জাস্টিফাই করেন, এ এক খোরাক।
সিঙ্গুরে কারখানা না হয়ে হাতে রয়েছে পেনসিল। কারখানা হলে থাকতো পেনসিল + কারখানা। সহজ হিসাব।
বাকী যাসব শুনলাম সব খুবই কনফিউজড লোকজনের কথা। ট্যুরিজম বাড়লে নাকি লোকে বেআইনি বিদেশি মদ বেশি খাবে (তাতেই বা কি অসুবিধা জানি না), আরো কিসব যেন হবে। ফুল চাষে লাভ নেই, কেন সেটা ভাবার অবশ্য প্রয়োজন নেই। বাম সরকার কেন কিছু করছে না? যদিও গত দশ বছর ধরে রাজ্যে অন্য দলের সরকার চলছে। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা মানে দাসত্ব। অথচ সেই দাসত্ব করার জন্য লোকজন কি পরিশ্রমই না করছে। আমি সারা দুনিয়া জুড়ে পুঁজিবাদী কোম্পানিতে চাকরি করবো, অথচ সেইরকম একটি কোম্পানিই রাজ্যে আপিস খুলতে চাইলে রাজ্যের লোককে পুঁজিবাদ থেকে বাঁচানোর গুরুদায়িত্ব নেবো। অথচ অন্য লোককে বলবো যে চাষী নিজের ভালো নিজে বুঝে নিক। আরো কিসব ওয়ার্ক ফ্রাম হোম টোম হল। এইসব আর কি। বিগত দশ বছর ধরে এইরকম নিত্য নতুন যুক্তি এসেই চলেছে। আসলে ভুল বা ব্লান্ডার স্বীকার করে নেওয়াটা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার। তাই নতুন নতুন যুক্তি আসে।
হেহে কেসিদা সে হয়ত আপনি বলবেন সংসারী মানুষজনের জন্যেও আলাদা কোর্স আছে।
সেসব নয়, কেমন য়েন লাগল দেখেশুনে তাই বললাম।
মিড ডে মিল স্কুলগুলোতে কবে থেকে চালু হয়েছে? তিনো আমলে? মাত্র দুটো চাহিদা পূরণ করা গেল না? ১০০০ ছাত্রবিশিষ্ট মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলোর ছাদে কিচেন গার্ডেন আর সৌর বিদ্যুৎ? সরকার অর্ধেক খরচ দেবে, বাকি অর্ধেক দেবে সংশ্লিষ্ট স্কুল? ২৩৫টা বিধায়ক ছিল তো। ঘোড়ার ঘাস কেটেছিলেন তাঁরা? তাতে গ্রামীণ ছেলেমেয়েদের উৎসাহী করে তোলা যেত না? সেটা দীর্ঘস্থায়ী হত না?
এবং আইটিওলারা ওয়ারক ফ্রম হোমের সুযোগে বাংলায় ফিরে আসুক সেটা আমি ভীষনভাবে চাই। বাংলায় খরচপত্র করবে, দোকান বাজার করবে, বেড়াতে যাবে, ব্লু কলার কাজে যাঁরা আছেন তাঁদের চাহিদা ও তার সঙ্গে সঙ্গে মাইনে কড়ি বাড়বে।
রিয়েল এস্টেট একটা আপদ বিশেষ, তবে সে আর কী করা যাবে, দুচারটে খারাপ জিনিস মেনে নিতে হবে। এমনিতেও ওর কিছু কমতি দেখা যায় না।
এলেবেলেবাবু, সীমাহীন লোভ, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এগুলো সবই একটা হিউম্যান ট্রেট বলে মনে হয় এখন। তার দাওয়াই অন্য কিছু হয়তো। এখন অবধি মনুষ্য আবিষ্কৃত দাওয়াই আর কাজ করতে পারছেনা।
হুতোর কথা আমারও। আমি আমার অবস্থান স্পষ্টভাষায় বলেছি ('ফাঁকা তাত্ত্বিকতা' এড়িয়ে)। হুতো হুতোর অবস্থানে অনড় আছেন। এর মধ্যে পরস্পরবিরোধিতা বা অপোজিট অবস্থানের প্রশ্নই নেই।