আচ্ছা, সকলেই অবগত আছেন যে বিবিধ দল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হচ্ছে। এইবার আসল সার্কাশ শুরু হবে। এই নিন প্রথম পর্ব
সবাই বলুন শোভানাল্লা
বি * রা ট্রেনের মিনিমাম ভাড়া ৩০ টাকা করে দিলো। মানে হাওড়া থেকে লিলুয়া যেতে ৩০ টাকা লাগবে।
পোস্ত, মিক্সিতে বাটলে তত মিহি হয় না, যতটা জিভ সই। ওটা শিল নোড়ায় বাটতে হয়। শিল নোড়ায় বাটার সঙ্গে, একটা কায়িক শ্রম এবং একটা দক্ষতা লাগে। দুয়ের যোগে শিলনোড়ায় বাটা হয়৷ শিল নোড়া, মাঝেমধ্যে কাটাতে হয়, না হলে দুটোর সারফেস প্লেন হয়ে যায়, আর বাটা ভাল হয় না।
কালই জানলাম, পোস্তভাপা বলে একরকমের রান্না হয়। পোস্ত বেটে নুন লংকা তেল দিয়ে গরম জলে মুখ আঁটা বাটিতে দিতে হয়, অন্য ভাপার মতই। খেতে নাকি অমৃত।
কুকমি মাঝে প্যাকেটে পোস্তবাটা বিক্রি শুরু করেছিল। রাসবিহারী মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের পাশে আউটলেটে বিক্রি হত। বেশ কিছুবার কিনেছিলাম। পরে বন্ধ করে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানি, বাটা পোস্ত প্রিজার্ভে সমস্যা হচ্ছে, পিঁপড়ে আটকাতে পারছে না।
পোস্ত আর পাস্তা এক নয়, সে যতই বানান আর উচ্চারণ সাম্য থাকুক।
কুলিনারি আর্ট চর্চা মানে এক্সোটিক ফুড, এ ইউরোপমন্যতা সাথে নিয়ে চলতেই হবে, কী আর করা। কিন্তু তাতে সত্য নাই।
সরি উপন্যাস নয়, গল্প সংগ্রহ। লেজেন্ড অব লক্ষী প্রসাদ।
মিসেস ফানিবোন যখন বেরিয়েছিল, তখনই পড়েছি। খুব ভাল লেগেছিল। আর অক্ষয় কে একটুও হাইলাইট করেনি এমন কি নিজের প্রাক্তন তারকা স্ট্যাটাস তাকেও না। আগে কোন একটা পেপারে এটা কলাম হয়ে বেরোত যেন। তা বেশ বেড়ে লিখেছে। পরেও আর একটা বই বেরিয়েছে, নামটা মনে নেই, তবে ওটা উপন্যাস।
বলিউড নিয়ে আমি খুবই কম জানি।
অক্ষর কুমারের বৌ আবার কি? টুইন্কল খান্নাকে চেনেন না নাকি?
রান্নাবান্নার 'ওভারগ্লোরিফিকেশান'এর কথা আপনি লিখেছেন। আর তার স্বপক্ষে বিরাট যুক্তি আপনি দিয়েছেন।
ভাটে কী নিয়ে আলোচনা হবে এবং কে কোন লেখার প্রশংসা/ সমালোচনা করবে সেটা ঠিক করে দেবার কোনও মাপকাঠি আছে বলে তো জানি না, আপনি জানেন? জানলে জানাবেন কেমন?
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( যেখানে আপনারা রান্না নিয়ে কেবলি হ্যাটা খুঁজে পান) বিবিধ রান্নার দেওয়াল বা গ্রুপপোস্টে প্রচুর আগ্রহ নিয়ে অংশ নেন মানেই ঐতিহাসিকভাবে নারী পুরুষ রান্না করে আসছেন বলা হল, এ আবার কেমনবিধ কুযুক্তি?
তবে কেকে যে কুলিনারী আর্টের কথা বলছেন, সে আর্টের কদর তো দিনে দিনে বাড়ছে। আর সবকিছুই সেই আর্টের পর্যায়ভুক্ত হবেই বা কেন? ওই সকলেই কবি নয়ের মতই...
পাস্তাভাজা কি পোস্তভাত নিয়ে ভাটকেও কুলিনারী আর্টচর্চা বলে গণ্য করতে হবে কেন? মানে ক্ষেত্রবিশেষে সে হতেই পারে, কিন্তু লঘু, হাল্কাচালের আড্ডা ভাটকে আড্ডা, ভাট না বলে শিল্পচর্চাসমালোচনাই বা বলতে হবে কেন। কেকে বলতে বলছেন বলছিনা, কিন্তু একটু ধন্দ রহিয়া গেল।
এরকম লোকও আছে প্রচুর যারা এবেলার রান্না ওবেলা খান না- আমার পরিমন্ডলেই আছে।নারী পুরুষ নির্বিশেষে এরা বদলোক নন, কিন্তু কী করবেন, খেতেই পারেন না!
রান্নাবান্নার ঐ বিরাট পোস্টে সবদিকই কষে বেঁধে ফেলেছেন- কেবল সামাজিক দিকটা একটু ঢিলে হয়ে গেছে। ইতিহাসে নারী পুরুষ নির্বিশেষে 'সবাই' রান্না করে নীরব বিপ্লবের সাথে সাথে রান্নার মত একটি লুপ্তপ্রায় শিল্পকে যে 'মর্যাদা' দিয়েছেন(যাবতীয় সামাজিক মাধ্যমে)তা বাঙালি সমাজজীবনকে যৌথতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে:-)
আমি আবার রান্নাতেও আছি আর পানুতেও আছি। অর্থাত কিনা ফুড পর্ন।
রোজকার রান্না রোজ কর কেন? হপ্তায় দুদিন রান্না। তারপর রোজ শুধু ভাত করা।
একটা নতুন বই পেলাম। মিসেস ফানিবোন্স। দারুণ লাগল। কিছুটা পড়ার পর লেখিকার নামে গুগল করলাম। ও হরি, ইনি দেখি অক্ষয় কুমারের পত্নী।
মজার ছলে এখনকার মেয়েদের সমস্যা, সামাজিক প্রবলেমগুলোকে তুলে ধরা, আমার বেশ ভালোই লাগল। কোথাও একফোঁটা মোদিস্তুতিতো নেইই বরং বেশ কিছু জায়গায় ভালো মতন ঠেস মারা।
চেখে দেখতে পারেন সুধীজনেরা।
দ্দুদ্দুর, রোজকার রান্না করতে হলে একঘেয়ে লাগে, আবার, মনে সেদ্ধ ভাত খাই।
আমারও কেসির কেস। রান্না বিরাট স্ট্রেস রিলিভার। ইউউউউজ।
একটা দুটো ব্যাঁকা কথা নাহয় বললামই তা হজম করতে না পারলে সে আপনাদের রসবোধের অভাব বাপু। ইয়ার্কি বোঝেন ন?
তবে হ্যাঁ আমাদের নিয়ে ইয়ার্কি দিলে সেটা আর ইয়ার্কি নয় পার্সোনাল অ্যাটাক হ্যাঁ।
আরে না না, শুধু গুরুর মধ্যেকার কথা জানতে চাইছিলাম। অন্য মিডিয়ায় কী হয় তা নিয়ে বলিনি। যাই হোক, অনেকের মতামত পড়লাম। ভালো লাগলো।
অ্যান্ডর,
আমি মাঝেমধ্যে খাপছাড়া ভাবে লিখি। ছেঁড়া পাতায় এক কলম, দু কলম। তা সেসব জমা করছি। কখনো আকার নিলে তুলে দেবো অখন।
রান্নার মত বড় স্ট্রেস বাস্টার আর কিছু নেই, পাঁচ ফোরণের ঝোল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের পিলাফ সবকিছুতেই।
ধুর অত কিছুও নয়। সোশাল মিডিয়াতে বরং বহু ক্ষেত্রে রান্নাবান্নার ওভারগ্লোরিফিকেশনই হয়!
রান্নাবান্নার পোস্ট করে দেখুন, সবচাইতে বেশী এনগেজমেন্ট, হু হা লাইক, হুলিয়ে মন্তব্য। রান্নাবান্নার গ্রুপগুলোও চলে সবচাইতে বেশী রমরমিয়ে, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। কোথায় লাগে পলিটিক্সের গ্রুপের এক্টিভিটি ! এমনকি কোয়ারান্টাইনেও বাঘা বাঘা বিপ্লবীরা কোয়ারান্টাইন কুকিং, লকডাউন রান্নাবান্না, এ জাতীয় গাদা গাদা গ্রুপ খুলে দিবারাত্র গাদা গাদা পোস্ট করে গেছেন! এখন তো ফুডিজ হওয়া খুবই ইন থিং, বিশেষ করে শহরে। ফুড ওয়াক, পর্ক আডিক্ট গ্রুপ, বিফ আডিক্ট গ্রুপ হেব্বি কেতের। সেসব করে ছবি সাঁটিয়ে, নিজেদের দেওয়াল, গ্রুপের দেওয়াল লোকে ভরিয়ে দিচ্ছে, কোথায় যে আপনারা রান্না নিয়ে হ্যাটা পান !
ফেসবুক ইন্সটা এসে বরং রান্নাবান্না করে কি রেস্তুরেন্টে গিয়ে খাবারদাবারের ছবি চিপকানো ট্রেন্ডিং ব্যাপার হয়েছে, তার আগে লোকে এসব তেমন ভাবতেও পারত না! ফুড ব্লগিং চলত অল্পসল্প।
ইউটিউবে দেখুন, কিছু একটা রান্না করে তুলে দেওয়া চ্যানেল, তার ভিউয়ারশিপ দেখুন মশায়, ভিউয়ারশিপ দেখুন। আর এরকম চ্যানেলের সংখ্যাও দেখুন, লাখে লাখে। তাদের বেশীরভাগের আবার লাখে লাখ ভিউ, হাজারে হাজারে লাইক, কাতারে কাতারে মন্তব্য!
টিভিতেও দেখুন, রান্নাবান্নার শো কেমনি পপুলার। বিজ্ঞাপন, সিরিয়াল, সিনেমা কোথায় আর রান্নাবান্নাকে হ্যাটা করেছে, বরং মেয়েদের কাজ হিসেবে বিশেষ করে বেশ বেশ গ্লোরিফায়েড, কখনো ওভারগ্লোরিফায়েড ! এখনো ছেলেদের রান্নাবান্নাও ট্রেন্ডিং হচ্ছে। আমাদের আবীরহিরো সানরাইজের মাস্টারশেফ। অবশ্য মাস্টারশেফরা তো প্রায় বরাবরই পুরুষমাস্টারই!
এদিক ওদিক একদুই লাইন হ্যাটা খিল্লি শুনলে অত শহীদ মোডে যাবেন না, সোশাল মিডিয়া এসে এসবের স্বর্ণযুগই চলছে বলা চলে। এরপর প্লাটিনাম টামও আসতে পারে।
একটা ভিডিও দেখে পুরো বোমকে গেলাম। বলে কি ? অভিষেক হ্যাপি শেখ রোগা মোটা অনেক কেস । হাসব না ভাবব বোঝা যাচ্ছে না।
আবার কিছু কিছু 'স্বঘোষিত পন্ডিত' বলেন, এসব নাকি তাঁদের মতন বড় বড় মনস্বীদের কাছে বড়ই ক্লান্তিকর।
নতুন কিছু না, রান্না শুনলেই কিছু লোকের রক্ত খলবলিয়ে ওঠে।রান্না মানেই ঐ কোনও কাজ নেই ( মানে আর কিছু পারে না তো)তাই - বেচারি রা জাতীয় ভাবনা।যাবতীয় সামাজিক মাধ্যমে রসিকতার নামে যে কদাকার দাগিয়ে দেওয়া চলে,ঘরকন্নার কাজ তারমধ্যে একনাম্বারে আসে বোধহয়! দেখতে দেখতে বমি আসে আজকাল।
ডিডিস্যারের কোনো লেখায় কোনো কমেন্টে একটাও ইমোজি থাকে না। অতিরিক্ত সোশাল মিডিয়া করা লোকজন হেসে গড়ায়। সেন্স অব হিউমার ফোটাতে হয় বাক্যগঠনের শব্দচয়নের ধরণে। অন্য শখ পেশা ইত্যাদিকে হ্যাটা করা আক্রমণাত্মক মন্তব্য ডিফেন্ড করতে অন্যের সেন্স অব হিউমারের অভাবের দোহাই দেওয়া শুধু যে আরো আক্রমণাত্মক নয় নাচতে না জানলে উঠোন ব্যাঁকার উদাহরণ।
অরিনকে বহুদিন দেখতে পাই না।
কিন্তু আলকাতরা উঠবে কী করে? ভালো করে ধুতে হবে। জলে ধুলে আলকাতরা ওঠে না, সাবানেও না। কেরোসিন দিয়ে আগে ডলে ডলে আলকাতরা তুলে নিতে হয়, তারপরে সাবান জল ইত্যাদি।
কিন্তু চাকরি তো আছে, সেই দাবীই ইনি করেছেন। বিজেপি সেই চাকরিগুলো থলি থেকে বের করবে।
আকা বাবু ০০৩৫:
বলুন্তো ৩৪ + ১০ = ? সেটিই হলো ০০৩৩-এর পোস্টএর উত্তর। ইনি বেকারদের সেই না থাকা চাকরি হাপিস করার জন্য যুগ্ম ভাবে দুইটি পথকে দায়ী করেছেন।
কেকে, তোমার করা প্রশ্নটা আমিও প্রায় করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু করা হয় নি। ঃ-)
তোমার নতুন রূপকথা র জন্য অপেক্ষা থাকে। কতদিন সেরকম লেখা পাইনি।
S, আপনার বক্তব্য বুঝলাম। আপনাদের সবার বক্তব্যই পড়ে খুশি হলাম। থ্যাংকিউ।
দু দি, থ্যাংকিউ :-)