খনু আমি বিজেপি হব, কি করতে হবে একটু খবর নাও দিকি, বাজে ভাটে সময় নষ্ট করছ, সব মাল্লু চলে গেল রুদ্র গেঁড়ুয়া খেয়ে গেল।
এই কেসটা অ্যাকচুয়ালি করে কি করে। এই যে দল চেঞ্জ করে , কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেয় না, কঠিন মাল সব। শুভেন্দু তাও দিয়েছে শুনেছি, সব্যসাচী বোধ হয় এখনো দেয় নি।
এদিকে জিতেনের নাম পাছে তৃণমূল ক্যান্ডিডেট হিসেবে ঘোষণা করে দ্যায় সেজন্য জিতেন পড়ি কী মরি করে বৈদ্যবাটিতে গিয়ে বিজেপি হয়ে গ্যাচে। ঃ))))))))
এটা আজকের সেরা সার্কাশ।
ঃ)))))
"ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলবেন না বাবা শিশির"
শিশির এখন তিনোজেপি ন বিজেমুল?
পিটি, :-))))))))))))))))))))))))))))
কারা যেন বলেছিল, কেউ কেউ ভাট মডারেট করে আনন্দের মত কি যেন পায়। ঃ-))))))))))))))))
দ্যাখেন, দ্যাখেন, পরস্পরকে গরু বলছে। তাও এই জমানায়!!!
অরন্যর ন্যাকাপনা দেখলে মনে হয় কাকা খোদ জেসাস খ্রাইস্ট!
হ্যাঁ রে গরু, চল্লিশ বছর পর সব কিছু খুইয়ে। আর এটাও পার্টির কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নয়, মৌখিক স্বীকারোক্তি মাত্র। নইলে আজো এ নিয়ে কথা উঠত না!
দীপগোরুর জন্য
সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে,গুরুর পাতায় প্রতিদিন একই জিনিস কিলোদরে পোস্টানো। তাও আবার ক্লাস সেবেনের রচনা মাফিক। ধুর ধুর।
"নিজে মানুষ-কে ছাগল, বাঁদর ইঃ আখ্যা দেওয়া কদিন বন্ধ করে দেখতে পারেন"
আবার বলি "সবাইকে" বলিনি। কাদেরকে বলেছি সেটা গতকাল ব্যাখ্যা দিয়েছি।
এমনকি "বাঁদর"- ও সাম্প্রতিক কালে বলিনি (আগে বলেছি কিনা মনে নেই)। তবে বিজেপির ও তিনো সমর্থক্দের "বাঁদরামো" নিয়ে মন্তব্য করেছি।
যারা নিক বদলে বদলে যা খুশি তাই লিখে দিচ্ছে (এটা বহুল আলোচিত) তারা শাখা প্রশাখায় লাফালাফি করছে লিখেছি।
আর কোন অত্যধিক "জয় শ্রীরাম" ভক্তদের হনুমান বলেছি। রামের ভক্তদের হনুমান বলার অনুমতি আছে রামায়ণে।
অবিশ্যি সেরকম কিছু না বল সত্বেও আমার পিতৃদেবকে ডাকাডাকি করেছে কেউ কেউ। আরো আরো যেসব শব্দ গত দেড় দশক ধরে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর কাছে "ছাগল" ও "বাঁদর" এরর লিমিটের মধ্যেও আসেনা। এমনকি "বুদ্ধর বৌ" ও রেহাই পাননি।
আচ্ছা ভোটারদের (বা ইন জেনারেল মানুষদের) কুপমন্ডুক বলা এলাওড??
আর ভক্তেরা কখনো দলের সমালোচনা করেনা। দল যা করে, সব ঠিক। কংগ্রেস কখনো জরুরি অবস্থা, শিখদাঙ্গার সমালোচনা করবে না। বিজেপির মুখে বাবরি মসজিদ, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে কোনো কথা শোনা যাবেনা! তৃণমূল বলবে দিদি যা করে সব ঠিক! আর মরিচঝাঁপি থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম সবই যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আর বিরোধীদের চক্রান্ত, এ তো সবাই জানে!
প্রশ্নহীন আনুগত্য ছাড়া তো সমর্থক হওয়া যায়না!
দিদি একজন আদ্যন্ত সুবিধাবাদী ও ক্ষমতালোভী লোক- তার মধ্যে যদি aoc আর বার্নি কে খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে বাঙালী বুদ্ধিজীবী ও লিবারাল-দের কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতে হবে
তাহলে আসল কথা হল হিন্দু বাঙালি রা শাক্ত। মা কালী, মা দুর্গা এদের ভক্ত। তাই মমতাকে ভোট দিচ্ছে। শক্তির অংশ খুঁজে পাচ্ছে - কালীঘাট টু কালিন্দি , বাঙালি কে বাঁচান দি
নাকি দিদির মধ্যে aoc আর বার্নি কে খুঁজে পাচ্ছে, নিও কমিউনিজম এর নতুন উদ্গাতা ?
সিপিএম যদি আসলি কমুনিস্ট হয় তাহলে দিদিও তাই। আর যদি দিদি আসলি কমুনিস্ট হয় তাহলে সিপিএমও তাই। আপনেরা তো জানেনই যে পরিবর্তন কিছুই হয় নি, হবেই বা কি করে, দিদিই তো সিপিএম, সিপিএমই তো দিদি। পিটিদাইও বলে দিয়েছেন, দিদির কন্যাশ্রী আসলে সিপিএমের, দিদির সাইকেলও সিপিএমের।
যেকোনো সাম্প্রদায়িকতাই চূড়ান্ত ঘৃণ্য ও সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সব রকমের সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বিরুদ্ধে আন্দোলন জরুরি! এক শ্রেণীর সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বিরুদ্ধে নীরবতা অবলম্বন করে অপর শ্রেণীর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা ব্যতীত আর কিছু নয়! দুঃখের বিষয় , আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো এই কাজ করে এসেছে! আর বিজেপি তার সুযোগ নিচ্ছে!
কেউ ইমাম ভাতা, পুরোহিত ভাতা দিচ্ছে। আবার কেউ আব্বাসকে দরিদ্র শ্রেণীর প্রতিনিধি রূপে দেখাচ্ছে! এই সবকিছু আরেকটি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদত দিচ্ছে!
দিদিই তো পোকিত বাম।
হ্যাঁ, রাণীমার মধ্যে নিও কমিউনিজম, গুড জোক :-)
বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা ও লিবারালরা বড়ই দিদি ভক্ত
কিন্তু এতদিন যে সবাই বামেদের ভোট রামে গেলো বলে গাল দিলো। তার কি হবে?
কীই যে বলেন! বিজেপির আইটি সেল তো রাদ্দিন জ্যোতিবাবু, মুসলীম লিগ, ছেচল্লিশ সাল আর বাজপেয়ী নিয়ে পোস্ট করেই চলে, ও নতুন কিছু না। তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা ও লিবারালরা যাঁরা রাণীমার মধ্যে নিও কমিউনিজম দেখতে পেয়েশিল।
তা, ধর্মীয় গোঁড়ামি কে আর পছন্দ করে বলুন। এই দেখুন না, কবীর সুমন বাংলাদেশের ব্লগারদের কুলাঙ্গার মনে করেন যারা ইসলামকে খিলাফ হ্যায়। গরমাগরম বক্তব্য ঝেড়েছেন আগে। কী করবেন, সুমনের গান শুনবেন না আর ?
বাঙালী আর মুসলমান আলাদা? ডিসজয়েন্ট সেটস?
'প্রচার' করছে প্রো-বিজেপি মিডিয়া, বিজেপি-র আইটি সেল , বিজেপি কর্মী-সমর্থক রা।
প্রচারের বাইরে আছে নিজের ধারণা , যে ধারণা গড়ে ওঠার পিছনে বিজেপি-বিরোধী হিন্দু ও মুসালিম বন্ধু বান্ধবের অবদান আছে।
হুম বুঝলাম :) যাই ঘুমোই, কিছু করে দেখাই।
অরণ্যদা,এই অরি-সরলীকরণটা কারা করছে ? এই যে প্রচারটা চলছে আব্বাসকে দ্যাখানো মানে হিন্দু ভোট হারানো এটা কাদের প্রচার ?
ফেটে গ্যাছে অবধি আমার অবজারভেশন। ঃ))) ঠিক না ?
জোট ব্যর্থ হবে কিনা সে তো ভোটের পর জানা যাবে। আর সাফল্যের ইন্ডিকেটরটা কী? বিজেপিকে রুখে দেওয়ার ব্যাপার থাকলে একরকম, ক্ষমতা দখলের ব্যাপার থাকলে একরকম।
সারে হিন্দু বাংগালী বিজেপি-কে ভোট দেবে বলে লাইন লাগিয়েছে , এ মনে হয় অতি সরলীকরণ।
ইসলামিক মৌলবাদ সারা পৃথিবীতেই এক ভয়ানক সমস্যা। আব্বাস ফ্রান্সে শিক্ষক হত্যাকে সমর্থন জানিয়েছেন, ঘরের পাশে বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার সম্বন্ধে আজকের এই জোট গঠনের আগে অব্দি তার কি স্ট্যান্ড ছিল , সহজেই অনুমেয়।
আমি নিজে বিজেপি এবং তিনো দের পছন্দ করি না, এই নির্বাচনে বাম ফ্রন্টের অনেক আসন বাড়ুক - এটা আন্তরিক ভাবেই চাই। এবং আমি আব্বাসের মত ধর্মীয় মৌলবাদী -দের পছন্দ করি না । আমার মত মানুষ নিশ্চয়ই আরও আছেন।
আচ্ছা তাহলে অবজারভেশনই ধরি - তার মানে তুমি বলতে চাইছ যে এই ফেজ টুপি পরা মুসলমানকে দেখে বাঙালীর ফেটে গেছে, তাহলে তো ভোট দেবে না। তাহলে সিদ্দিকির সাথে জোট ব্যর্থ। তাই তো? এই কি তোমার অবজারভেশন?
তবে যেটা 'সেইরম হইছে' মানে কিশু লিবারাল এখন হিন্দু মৌলবাদ ও মুসলিম মৌলবাদের মধ্যে তুলনামূলক আবেগে যাচ্ছেন ও হিঁদু মৌলবাদ বেছে নিচ্ছেন। পরমব্রত যেরকম লিখেছিল কাগজে, আরে ভাই বিজেপিতে যাবি তো যা, অ্যাত হ্যাজানোর কী আছে।