বাচ্চা হোক, বুড়ো হোক, প্রফিট করা নিয়ে কথা। আর ওয়াল স্ট্রিটের ক্ষতি হলেই বা আমার কি? ওরা ওদের ক্ষতি রিকভার করে নেবে, যারা পারবে না তাদের জায়গায় অন্যরা চলে আসবে। লিভ অয়ান্ড লেট ডাই :-)
নানা নিজেদের প্রফিটের পরোয়া কেন করবে না? শেয়ার র্যালিটার উদ্দেশ্যই তো হলো প্রফিট করা! এখানে ইর্যাশনালিটি হলো, ফান্ডামেন্টালসের দিকে না দেখে র্যালিতে অংশগ্রহন করা। ধরুন আমি যদি এই গ্রুপের মেম্বার হতাম আর দেখতাম দাম উঠতে শুরু করেছে, তাহলে আমিও শেয়ার কিনতাম, শুধুমাত্র এই কারনে যে একশোয় কিনে দুশোয় বেচতে পারলে আমার একশো ডলার প্রফিট হবে।
আর ফাইট এগেন্সট ওয়াল স্ট্রিট ইত্যাদি অনেক বড়ো বড়ো কনসেপ্ট। আমি একশো ডলার প্রফিট করতে পারলেই খুশী, ওয়াল স্ট্রিটের লাভ হলো না ক্ষতি হলো তাতে আমার বয়ে গেল। আমি লং আর শর্ট, দুদিকেই খেলতে রাজি, স্রেফ প্রফিট হওয়া নিয়ে কথা। কোন হেজ ফান্ড ম্যানেজার যদি এসে চুপিচুপি বলে যে এই কোম্পানিটায় আমি অনেক শর্ট করেছি, কাল ওদের নিয়ে অনেক কুচ্ছো করবো, তো আমি আনন্দের সাথে শর্ট করবো (Scion ক্যাপিটাল এর জয় হোক)।
আকাদা, ইমেইল তো খুঁজে পাচ্ছিনা। একটা টেক্সট করেছি।
গেমস্টপের এপিসোডটা ইর্যাশনাল নয়। যারা এই কান্ডটা করল, বাচ্চা বাচ্চা সব ছেলেপুলে, তারা বড় হয়েছে ২০০৮ বা তার পরে। নিজের চোখে দেখেছে আর ফিল করেছে ওয়াল স্ট্রিট কিভাবে তাদের বাবা মার মর্টগেজ আর 401K নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। এখন যখন তাদের কাছে সুযোগ এসেছে ওয়াল স্ট্রিটকে টাইট দেবার, তারা সিম্পলি সেটা ব্যাবহার করেছে।
আর যে কোনো শর্ট এরা ইউজ করেনি। মেলভিন গেমস্টকের স্টক ১৪০% শর্ট করেছিল। একটা আউট্রেজিয়াস অ্যামাউন্ট। হতে পারে একটা ব্রিক অ্যান্ড মর্টার স্টোর ভাল চলছে না, কিন্তু এ তো ফোর্সড ব্যান্করাপসি। তাই মেলভিন কে টাইট দেওয়া।
তবে যে হেজ ফান্ড বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ডকে শর্ট করেছে তাদের হাতের কাছে পেলে একবার দেখে নেব। আমার বড়ির পাশের বেড বাথটা উঠে যাচ্ছে।
ডিসি, কমপ্লিটলি ডিসেগ্রি। ইনভেস্টাররা র্যাশনাল হোক না হোক, সেটা অন্য ব্যাপার। বহুলোকেই বলছে যে দে ডোন্ট কেয়ার অব দেয়ার ইন্ডিভিজুয়াল প্রফিট। বাট দে ওয়ান্ট টু ফাইট এগেইনস্ট দ্য ওয়াল স্ট্রীট। দিস ইজ ড্রিভেন বাই ডিফারেন্ট মোটিভ।
কিন্তু রবিনহুড এবং একগাদা ব্রোকারেজ ফার্ম কালকে গেমস্টপ আর এ এম সির স্টক বায়িং বন্ধ করে রেখেছিল। সেটা ক্লিয়ার মার্কেট ম্যানিপুলেশান। ওয়াল স্ট্রীটের গায়ে আঁচড় পড়তেই তারা নিজেদের ইনফ্লুয়েন্স দেখিয়েছে। দিস ইজ জাস্ট আ ডিসগ্রেস। মুখে ক্যাপিটালিজম আর ফ্রী মার্কেটের কথা বলবে, আর নিজেদের অসুবিধা হলেই যত্তসব।
বাই দ্য ওয়ে শর্ট স্কুইজ মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে। যারা রেগুলার মার্কেটে ট্রেড করে, তারা এগুলো নিয়মিত ফলো করে, বিশেষ করে শর্ট ইন্টারেস্ট রেশিও। যতদূর জানি ৫ বিলিয়ন মতন লস হয়েছিল কাল অবধি। তাছাড়া বহুদিন ধরেই হেজ ফান্ডরা এই কাজটা করে আসছে। নিজেরা শর্ট করে তারপরে সারা মিডিয়া জুড়ে সেই কোম্পানির নামে বদনাম, নেগেটিভ রিপোর্ট রিলীজ করে শেয়ারের দাম কমায়। এবারে নিজেদের জাঁতাকলেই পড়েছে।
বড়েস, অসুবিধা না থাকলে একখানা ইমেল করো। তোমার কাছে আমার ইমেল আছে।
তবে যেটা জানার বিষয়, সেটা হলো ইন্ডিয়ান স্টকের এরকম কোন রেডিট গ্রুপ আছে কিনা, স্টক র্যালির আগাম খবর জানলে দু পয়সা ইনকাম করতে পারি।
S গেমস্টপ যেটা দেখালো সেটা হচ্ছে ইনভেস্টররা ইর্যাশনাল এনটিটি। ফ্রি মার্কেট আছে কি নেই তার সাথে সম্পর্ক নেই (এমনিতেও ফ্রি মার্কেট একটা থিওরেটিকাল ব্যপার, রিয়েল লাইফে আমরা তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি)।
a, গেমস্টপ সাগা নানাভাবে বলা যায়, তবে তার মধ্যে সবচে ইন্টারেস্টিং হলো, এটা বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ার গপ্পো। গপ্পের শুরু এরকমঃ কোম্পানির শেয়ার আপনি দুভাবে ট্র্যানস্যাক্ট করতে পারেন, লং আর শর্ট। লং মানে আগে কিনে পরে বেচা, আর শর্ট মানে আগে বেচে (বা ধার করে) পরে কেনা। যদি আপনার মনে হয় যে কোন কোম্পানির শেয়ার প্রাইস ফল করবে, তাহপে আপনি শর্ট পোজিশান নিতে পারেন, অর্থাত বেশী দামে শেয়ার ধার করলেন (ধরুন একশো টাকা পার শেয়ার), পরে কম দামে কিনে নিলেন (ধরুন পঞ্চাশ টাকা পার শেয়ার)। এই দামের ডিফারেন্সটা হলো আপনার প্রফিট (একে বলে কভারড শর্ট)। এবার এমন অনেক কোম্পানি আছে, যেগুলোর পারফর্মেন্স খারাপ বা মার্কেট পোজিশান খারাপ, বা অন্য কিছু। শেয়ার অয়ানালিস্টরা এরকম কোম্পানিগুলোকে শর্ট করে রাখে, ফলে খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য শেয়ারের দাম পড়লে ওদের প্রফিট হয়। বড়ো বড়ো হেজ ফান্ডগুলো এরকম অনেক কোম্পানির শেয়ার ম্যাসিভ রেটে শর্ট করে রাখে (আরেকটা উদাহরন টেসলা, যার জন্য এলম মাস্ক হেজ ফান্ডগুলোর ওপর খুব খাপ্পা)।
কিন্তু এই দাঁড়িপাল্লার উল্টো দিকও আছে। যে কোম্পানির শেয়ার অনেক শর্ট করা, সেই শেয়ারগুলো যদি কোন কারনে দাম বাড়তে থাকে তাহলে শর্ট পোজিশানগুলোতে লস হতে শুরু করে। তখন এই হেজ ফান্ডগুলো লস খেয়েও শর্ট পোজিশানগুলো স্কোয়ার করতে শুরু করে, কারন দাম যতো উঠবে ওদের লস ততো বেশী হবে। এবার রেডিটে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছিল, নাম ওয়াল্স্ট্রিটবেটস। এখানে অনেক রকম স্টক টিপস ইত্যাদি দেওয়া হয়। এই গ্রুপে কয়েকজন দেখে যে গেমস্টপ শেয়ারে প্রচুর শর্ট পোজিশান আছে। তখন এই গ্রুপে অনেক লোক মিলে ঠিক করে শেয়ারটার দাম বাড়াতে হবে, সবাই মিলে এই শেয়ারটা কিনতে শুরু করে। দুয়েক মাসের মধ্যে গেমস্টপের শেয়ারের দাম ১০০০% নাকি তারও বেশী বেড়ে গেছে, ফলে যারা শর্ট পোজিশান নিয়েছিলো সেই হেজ ফান্ডগুলো অনেক লস করেছে, মোটামুটি ৭০ বিলিয়ন ডলার লস হয়েছে।
তো দুয়েকটা অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ট্রেডিং বন্ধ রেখেছিল, তাতে সবাই খেপে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, এওসি, আর টেড ক্রুজ, সবাই মিলে বলছে কেন এই কোলাভেরি ডি, বেচারা ছোট ইনভেস্টরদের কেন এইভাবে আটকানো হচ্ছে। এখনো অবধি এই হলো গল্প।
আর এই সেই বিখ্যাত রেডিট গ্রুপঃ
সিদ্ধি ( নিপাতনে) লাভ করলাম!
আদরবাসা রহিল
https://www.instagram.com/tv/CKmDavfDY4_/?utm_source=ig_embed
গেমস্টপের গপ্পোটা কি?
আমি তো ভাবলাম এবার একটা ফেলুদা কুইজ চলবে।
কিন্তু ওসব অন্য কারোর কাজ।
প্রায় ঋদ্ধ ও হয়ে গেছি। :-)
বড় এস , গুরু , ভালো গান আর ভালো ধাঁধার ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আকচুয়ালি মন ছুঁয়ে গেছে :-)))))))
আজকে স্টক মার্কেটে যুদ্ধ হবে। ওয়াল স্ট্রীট বনাম রিটেইল ইনভেস্টারস। সারা দুনিয়ার সব ছোট ইনভেস্টাররা নিজেদের সাধ্যমতন পুঁজি নিয়ে তৈরী হয়ে রয়েছে ওয়ালস্ট্রীটের বিগ ক্যাপিটালের মোকাবিলা করতে।
এদিকে রবিনহুড বিট্রে করেছে। তবে মেলভিন ক্যাপিটাল নেহাতই চুনোপুঁটি। রাঘব বোয়ালদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
দ্য এন্টায়ার গেমস্টপ সাগা শোজ দ্যাট দেয়ার ইজ নাথিং কলড ফ্রী মার্কেট। এমনকি ক্যাপিটাল মার্কেটও রিগড ইন ফেবার অব দ্য বিগ ক্যাপিটাল। ওরা যেটাকে ক্যাপিটালিজম নাম দিয়েছে সেটা বেসিকালি সোশালিজম ফর দ্য রীচ।
গেমস্টপের শেয়ার কেউ কেনাবেচা করলেন নাকি?
বাঃ বাঃ। ধন্যবাদ সবাইকে।
উচাটন মনে ঘর রয়না?
অমিত, ওটাই তো মজা! আঁতিপাতি করে খুঁজেও কেউ লিওনার্দোর ছবিতে ভুল খুঁজে পায়না। উল্টে যতো খোঁজে ততো নতুন নতুন জিনিস বেরিয়ে আসে। তবে না উনি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি! :-)
ইয়ে আপনেরা যেভাবে আতিপাতি করে ছবিতে ভুল বার করছেন খুঁজে খুঁজে, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি তো আপনাদের পাল্লায় পড়লে মনে হয় মোনালিসা আঁকা ছেড়ে রোমের রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ির গাড়োয়ান হয়ে যেতেন।
এটি একটি বিখ্যাত ঠুংরি। এর আদলে ততোধিক বিখ্যাত একটি বাংলা গান কাওয়ালিতে বাঁধা হয়েছিল।
একটু ভালো ভালো গান টান দ্যান তো!। বিলায়েতের পিক ফর্মের দরবারী ইত্যাদি।
The Statesman হবে।
টেলিফোনের রিসিভারের কানের দিকটায় তার, ওটা মুখের দিকে হয়।
ছবির ফ্রেমগুলোতে ডেপ্থ বোঝানোর জন্য যে ইনারমোস্ট লাইনগুলো, সেগুলোয় গন্ডগোল আছে। ছবিটার POV যেহেতু টেবিলের ওপর থেকে, তাই ছবিগুলো ওপরে, তো নীচের বর্ডার দেখতে পাওয়ার কথা না।