চন্ডীমন্ডপের ব্যাপারটা খুব পছন্দ হইল অভ্যু। চিরকাল আমার একটা সুপ্ত বাসনা ছিল চন্ডীমন্ডপ জিনিসটা কী, সেটা দেখব। পারলে জমিয়ে আড্ডাও দেবো। আহা এতকাল ধরে সেই বাসনাই পূরণ হচ্ছে বুঝতেও পারিনি। :-)
গরু উঠে পড়েছিল দোতলায়? কই সেই গল্প? বহু আগে এক গল্পে পড়েছিলাম ন্যাদোশ বলে একটা গরু ছাদে উঠত।
পরস্পরের পিঠ চুলকানো
"তাই বলুন! পপিচু করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েচেন।"
প বলুন, পিচু নয়।
প করতেও না, আশা করতে গিয়ে টোটাল ব্যর্থ হয়েছি। ঝাড় নেমে গেছে। বাদ দিন।
পিচু নিয়ে আমার কিছু আসে যায় না, তবে হ্যাঁ, পারস্পরিকতা ব্যাপারটায় আমার আসে যায়। এইজন্যই তো এটা "সামাজিক" মাধ্যম। না কি?
কমেন্ট ব্যাপারটা তো আদান প্রদানেরও, তাই না ?
kk, কথাটা ঠিক। আসলে লেখাগুলো সোস্যাল মিডিয়ায় এমবেডেড, যার জন্য অনেক সময় লেখা ঠিক লেখা থাকে না, তাকে ঘিরে একটা কনভারসেশনের ইচ্ছে জাগে। এটা একটা ডায়ালজিক প্রসেস।
আপনার জেনের উপমাটা খুব প্রাসঙ্গিক।
এক হাতে তালির কোয়ানের মতন ব্যাপারটা।
তাই বলুন! পপিচু করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েচেন।
না, শুধু সিরিয়াস লেখা বলেই না। আমি যখন আগে দু একটা লেখা দিতাম, কিম্বা হালে দু বার দিয়েছি, তাতে মাত্র তিন চারটের বেশি কমেন্ট পাইনি। এবং আমার লেখা সিরিয়াস বা স্কলারিস্টিক ক্যাটিগরীতে পড়েনা। আমার ধারণা পড়লেও মতামত দিতে সবাই আগ্রহ পাননা। হয়তো মনে হয় "আবার এত কথা লিখতে হবে!" বা কাকতাড়ুয়া যেমন লিখলেন, অনেক নীরব পাঠকও আছেন। কমেন্টের সংখ্যা দিয়ে ভালোলাগার সংখ্যা বিচার করা যাবেনা মনে হয়।
আমি অরিনের লেখা যতটুকু পড়েছি আমার মনে হয়েছে আপনার মধ্যে একটা Zen attitude আছে। সেই আপনি কয়েকটা কমেন্টের সংখ্যার জন্য লেখা বন্ধ করবেন?
অভ্যু আর সম্বিৎ, স্পট অন।
সেটাই হয়েছে ব্যাপার, লেখার সময় কে পড়ল, কার মনে হল ফালতু নীতিজ্ঞান, এইসব হাবিজাবি নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল। তবে কমেন্ট পেলে ভাল লাগে। আসলে একেকটা লেখার সঙ্গে একটা আত্মার সম্পর্ক জড়িয়ে যায়, মনে হয় কাউকে জানানো চাই। আমি অন্য বহু ব্যাপারে ডিট্যাচড, কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে হয় না। আর আমার পক্ষে বড়জোর ঘ্যানঘ্যান করা যেতে পারে, কিন্তু দেখুন না লেখাটা বলা সম্ভব নয়। হলে হল। কেউ পড়লে পড়ল। যেটা আমার মনে হয়, কমেন্ট সে ভাল মন্দ যাই হোক, না পেলে কেমন যেন মনে হয় লেখাটা কেউ পড়েনি। এটা শুকনো সট্যাটসের ব্যাপার নয়। যোগাযোগের ব্যাপার।
আমি এখানে একজনকে জানি তিনি নতুন কিছু লিখলেই আমাকে ইমেল করে প্রথমে জানান, তারপরে যদি দেখেন কমেন্ট করিনি পরের পর তাগাদা, কি হে, কমেন্ট বক্সে লেখ, লিখলে না যে। এমনকি ইমেলে কমেন্ট করলেও হবে না। কিন্তু ইনি, আমার কোন লেখাতেই বিশেষ কমেন্ট টমেন্টের মধ্যে নেই। একদিন নিজের লেখা নিয়ে মেল করেছেন, উত্তরে লিখলাম মশাই, আপনিও তো পারলে মাঝে মাঝে আমার লেখায় কমেন্ট করতে পারেন। বললেন না, ড়ার সময় পাননি, তবে আমার অনুরোধ জেনে হৃদয়ে ব্যথা পেয়েছেন।
সে ঠিক আছে। কে কি পড়বে কমেন্ট করবে আমার হাতে তো আর নেই। আমি বড়জোর খানিকটা হাঁউমাউ করতে পারি, আর না পোষালে এখান থেকে হাওয়া। তবে কি জানেন, মানুষ তো, একটু আধটু রেসিপ্রোসিটি পেলে মন্দ হয় না।
আমি দেখেছি গুরুতে সবচেয়ে বেশি কমেন্ট আসে স্মৃতিকথায়। একবার আমাদের গ্রামের বাড়ির দোতলার বেডরুমে গরু উঠে গিয়েছিল সেটা লিখেছিলাম তখন পরপর কত্তো কমেন্ট পড়ল। অনেকে বিশ্বাস করতে চাইছিল না তখন বোদাগু বললেন ওনারও অনুরূপ অভিজ্ঞতা আছে।
ইয়েস, অরিনদা দেখুন, আমার কথা আর ন্যাড়াদার কথা মিলে যাচ্ছে, লেখায় কমেন্ট কম তার মূল কারণ এটা ঠিক আপনার বিষয়ভিত্তিক সিরিয়াস লেখা আলোচনার উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নয়।
ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। শুনতে যেমনই লাগুক, গুরুটা আসলে একটা চণ্ডীমণ্ডপ। লোকে চাট্টি আড্ডা দিতে আসে, এবং সেটা মূলতঃ হাল্কা চালে দুটি কথা। এর মধ্যে একটু সিরিয়াস আলোচনা হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা ঐ লর্ডসদের মধ্যে স্কলারদের বেশি কিছু না। তো সেখানে অরিনদা সিরিয়াস লেখা লিখলে ফল যা হবার তাই হয়েছে।
আমার এক বন্ধু, যে গেল প্রায় পঁচিশ-তিরিশবছর ধরে ইন্টারনেটে বাংলা লিখছে এবং খুবই ভাল লেখে, সে একবার আমায় বলেছিল পাঠকের কমেন্ট পেতে গেলে দুচারটে ইচ্ছাকৃত ভুল রেখে দেবে লেখায়।
আমার নিজের কথা বলতে পারি, আমি লিখি হয় আমি যা জানি সেটা ঝালিয়ে নেবার জন্যে আর নইলে টাইমপাস। লোকে পড়লে আর কমেন্ট করলে তো চারগুণ মজা। নইলে আমিই নিজেই নিজের লেখা পড়ে আসি মাঝে মাঝে।
ডেফিনিটলি চ্যালেঞ্জিং ।
এবং গুরুর কমেন্টিং বক্স কিন্তু দারুণ সুন্দর করে তৈরী করা। তবে একটা ব্যাপার দেখবেন সব লেখাতে যে কমেন্ট পড়েনা, তা নয়, হাতে গোনা কয়েকটাতে পড়েনা। হয়ত থ্রেডেড কমেন্ট করলে কিছুটা কাজ হবে, তবে সব লেখায় নয়।
"অরিনের লেখা বেশ বাজে লাগে। লেখায় বিষয়বস্তুর চারদিকে কোন মোড়ক থাকেনা। ফলে নীতিকথা শোনানো আর কিছু তথ্য দেওয়াই লেখার উদ্দেশ্য মনে হয়। পড়তে আগ্রহ জাগেনা।"
তবে? এতদিনে বোঝা গেল।
নীতিকথা আবার কোথায় পেলেন? তথ্য না হয় মানলাম।
অরিন,
না সমস্যাটা একেবারেই শুধু আপনার নয়। পাঠককে দিয়ে দুলাইন লেখানো চ্যালেঞ্জিং। খেয়াল করলে দেখবেন লেখার নীচে বাঁদিকে - লাল রংএর টেক্সটে আকুল আবেদন - ভেসে উঠে নিভে যায় -
"পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না, সুচিন্তিত মতামত দিন" বা "যুদ্ধ চেয়ে মত দিন" বা "পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন" বা "ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন" , "লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন" .... ইত্যাদি ইত্যাদি - ক্যাচি ফ্রেজ ট্রেজ দিয়েও পাঠককে লেখানো যাচ্ছে না। এর কিছু কারণ আছে।
চতুরানন মশাই একদম ঠিক বলেছেন। এলেবেলের "শ্রদ্ধা" ই বারোটা বাজিয়েছে, শ্রাদ্ধ করেছে। একটা ব্যাপার লক্ষ করেছেন নিশ্চয়ই, এলেবেলে কিন্তু আমি এযাবৎ যা লিখেছি তার একটিতেও কোন মন্তব্য করেন নি, হয়ত পড়ে টড়ে দেখেনও নি।
আর আমার পক্ষে কোনদিন নির্মোহ ব মার্কা লেখা সম্ভব হবে না।
কাজেই, কিছু লিখলে কেউ পড়ে কমেন্ট করে না আমি একাই বেহায়ার মত রাজ্যের লোকের লেখায় কমেন্ট করে মরি, বেকার সময় নষ্ট, বলুন?
শুধু শুধু খেটে খুটে নিউজিল্যাণ্ডের লেখাটা লিখলাম। কার কি আসে যায়? আমার অবশ্য নিজের দেশটার সঙ্গে আরো একটু ভালবাসা হল, এইটেই যা লাভ।
যাকগে।
অরিনের লেখা বেশ বাজে লাগে। লেখায় বিষয়বস্তুর চারদিকে কোন মোড়ক থাকেনা। ফলে নীতিকথা শোনানো আর কিছু তথ্য দেওয়াই লেখার উদ্দেশ্য মনে হয়। পড়তে আগ্রহ জাগেনা।
কিন্তু সেই জন্যই তো এলেবেলেবাবু আপনাকে "শ্রদ্ধা" করেন। @অরিনবাবু ৪টে ৪৮।
ডিম:
"আর, লেখক-পাঠকের ইন্টার্যাকশন - এটা একটা ব্যাপার। অনেকে পড়েন কিন্তু কমেন্ট করেন না। "
সমস্যাটা শুধু আমারই, তবে এটাও ঠিক যে আমি এখানে ডিসক্রিমিনেটেড, আমার লেখায় _খুব_ কম কমেন্ট পড়ে, চেয়ে চিন্তেও কমেন্ট পাই না। লেখাগুলো নিয়ে সাবস্টানটিভ আলোচনা অনেক পরের কথা। এখন হতে পারে আমি লিখতে টিখতে পারি না, কিন্তু বেছে বেছে আমার লেখায় কোন কমেন্ট না পড়াটা আমার কাছে বিরক্তিকর লাগে, বিশেষ করে আমি নিজে যখন বহু লেখায় কমেন্ট করি, এমনকি ভাটে যতটা পারি অংশগ্রহণ করি। পরিতাপের বিষয়, আমার লেখায় আমি রেসপন্স পাই না।
কোথাও গেছেন কি? কন্সপিরেসির টইতে পোস্টগুলো কারা করে?
দীপাঞ্জন আর দ্রি কে মিস করি। ডীপ স্টেটের গল্পগুলো শুনতে বড্ড ভালো লাগতো। আরো নানা চিত্তাকর্ষক কনস্পিরেসির কাহিনি----মঙ্গল গ্রহের কলোনি---ভালো ভালো ইউএফও ---বড় বড় মনোলিথ---সব মিস করছি। কই গেলেন আপনারা?
আরে আমি তো মাঝে মাঝেই গিয়ে পড়ি। যদি লেখাটা ভালো লেগে যায়, তাহলে একই লেখা বহুবার পড়ি।
ফেলো জিউয়ের সাথে ছবিটা আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে!
অরিনদার সব লেখা মোট কতবার পড়া হয়েছে জানা যাচ্ছে? কিউমুলেটিভ ফ্রিকোয়েন্সির মতো? :)
অভ্যু, এই কিনা হালচাল? ভদ্রলোক চুপচাপ শীতে জড়োসড়ো হয়ে হাতমোজা পরে বসে আছেন, তাই নিয়ে কিনা হাসিঠাট্টা করছে! :-)
অরিনের লেখা অনেকে পড়ে। ধরো গত এক বছরে অরিনের লেখাগুলি ১১,০০০ বারের বেশি পঠিত। নিউজিল্যান্ড নিয়ে লেখাগুলো ছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত লেখাগুলোও বহুল পঠিত।
আর, লেখক-পাঠকের ইন্টার্যাকশন - এটা একটা ব্যাপার। অনেকে পড়েন কিন্তু কমেন্ট করেন না। যখন একই ধরনের লেখা কেউ কোনো ম্যাগাজিনে বা প্রকাশনায় পড়ছেন সেখানেও তিনি লেখকের সঙ্গে ডাইরেক্ট ইন্টার্যাকশন করতে পারছেন না।
ওদিকে ফেবুতে বিদ্যাসাগর নিয়ে তুমুল ঝাম বেঁধে গেছে একজনের ওয়ালে। তিনি যত বলেন, আরে এই পোস্ট নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে, কে শোনে কার কথা! :-)
লুরুতে পর্যন্ত রামমন্দিরের চাঁদা চাইতে ঘরে ঘরে যাচ্ছে, তাহলে অযোধ্যার কাছাকাছি কী যে হচ্ছে কেজানে! লোকজন যোদ্ধা হয়ে গেছে মনে হয়।
অ্যালজের হিস vs.হুইটেকার চেম্বারস গল্প থেকেও হাতির গতি বুঝলাম একটু .