শহুরে মধ্যবিত্ত এই বইগুলোর টার্গেট পাঠক আর গ্রামীণ কৃষক-কারিগররা সেই বইটা পড়ে মর্মোদ্ধার করতে পারবেন না বা দামের জন্য কিনতে পারবেন না - এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকা যুক্তিটা আমি বুঝতে পারিনি। দামটা যে আদৌ ফ্যাক্টর নয় সেটা বোঝা যেত যদি সিএস কোনও দিন কলাবতী মুদ্রার অন্তত একটি বইও নিজে হাতে নেড়েচেড়ে দেখতেন। যাই হোক, এই নিয়ে অকারণ তুই বিড়াল না মুই বিড়ালে আগ্রহী নয়।
খ, আপনার পিতৃদেব কেমন আছেন? উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি। আমাকে অতি দ্রুত আপনার পোস্টাল অ্যাড্রেসটা হোঅ্যা করবেন। কলকাতার বা শান্তিনিকেতনের। বাকিটা আমার ব্যাপার।
প্রকাশক যে কারিগর সংগঠনের সাথে যুক্ত সেটা জানা আছে। কিন্তু আমার বক্তব্য হলো, বইতে যা লেখা হচ্ছে সেগুলো কী ঐসব মানুষের কাছে পৌছবে নাকি তারা বিশেষ বক্তব্য সম্বলিত বই তৈরী কাজের সাথেই যুক্ত হয়ে থেকে যাবে শুধু সেটাই ধরে নেওয়া হয়েছে ? আমার তো ধারণা শুধু দ্বিতীয়্টা হলে সমস্যা, প্রকারান্তরে একই গাড্ডায় তারা থেকে যাবে, এলিট-মধ্যবিত্ত বই বাঁধাই করতে পারে না বলে কারিগররা সেগুলো করে যাবে কিন্তু বইয়ের বক্তব্য তারা পড়ে দেখতে পারবে না, নাম দিয়েই ক্ষান্ত থাকা হবে ।
ইংরেজী বই নিয়ে তো প্রচুর বক্তব্য। দাম, ইম্পোর্ট, ইম্প্রিন্ট , ইউনি প্রেসের বইয়ের দাম , দেখেশুনে তো মনে হয় বই যাতে বেশী লোকের কাছে না পৌছয় তার ব্যবস্থা করা। বাঙলা প্রকাশনার কিছু বই দেখেও তো এসব মনে হয়।
(আর প্রথমেই লিখে দেব ভেবেছিলাম এসবই সবজান্তামূলক, ভদ্রলোকীয় পোস্ট কিন্তু সেসব নিয়ে হাজির হলে লেখক-প্রকাশকদের পছন্দ নাও হতে পারে। )
বাই দ্য ওয়ে, ইয়াং চেকভ রাইট্স বলে এন ওয়াই আর বি র একটা কালেকশন আমি আমার এক সলিড পড়ুয়া ভাগনে কে দিয়েছি বুঝলে, পেপারব্যাক , সে বেশ খুশি হয়েছে। কিন্তু যে গল্প গুলো বললো, তার এক দুটো ছাড় কিস্সু মনেই করতে পারলাম না, মনে হল, আমি চেকভ জীবনে পড়ি নি। কে জানে সালা কোন গুলো সংকলিত করে রেখেচে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বাংলায় পেপারব্যাক কেন হয় না, তার কোন স্পেসিফিক কারণ আছে? মানে মোটা পত্রিকা ছাড়া। আর সেগুলোর আবার দাম কম হয় না। বহুত দাম সত্যি বাংলা বই এর। দেশী বিদেশী বই হাত দেওয়া দুশ্কর হয়ে গেছে।
এটা আমার ও সত্যি ই বিচিত্র লাগে। প্রতিটি বই এর রিভিউ তে দেখবে এক লাইন থাকে, সুন্দর বাঁধাই ও ছাপা। সুন্দর ছাপা তাও বোঝা যায়। পেপার ব্যাক কি সুন্দর বাঁধাই বলে ধরা হয় না?
বাড়িতে সিক্সটিজ থেকে বিদেশী বই বলতে তো সব ই পেপারব্যাক। চে র ডাইরি, স্টুআর্ট ক্র্যাম এর করা মাও er জীবনী, আর্ন্সট ফিশার , মারকিউজ, তারিক আলি, যাবতীয় সার্ত্র, আলথুজার সেক্স অ্যাপীল এর ছড়াছড়ি। সোভিয়েত বই সব সময়ে বাঁধানো হত কেন জানি না। আই ডোন্ট গেট দ্য লজিক। মানে প্রোডাকশন লজিক। ধরো চেকভের গল্প আর একাংক সমগ্র। সোভিয়েত পাবলিকেশন হলে বাঁধানো, আর পশ্চিমি হলে পেপার ব্যাক। আর পশ্চিমে আবার এত বেশি সেক্স অ্যাপীল এর উপরে ভরসা, কবিতার সরু বই বা নাম করা লেখকের আর্লি রাইটিং, সব ই সরু পেপারব্যাক আর অসহ্য দাম। পশ্চিমেও পেপারব্যাক এর মূল লজিক টা, নতুন আইডিয়া শস্তায় নতুন পাঠকের কাছে পৌছে দাও, প্রতিটি বই য়ে, ফরাসী ছাত্র বিপ্লবের গন্ধ, বা ট্রেনের থ্রিলার ট্রেনে ওঠার আগে কিনুন, পড় হয়ে গেলে ফেলে চলে যান, পরের ফাঁকা পকেটের ছাত্র পড়বে, এই লজিক পশ্চিম থেকেও উধাও। আমি এনরিক ভিয়া মাতাস, উইলিয়াম বারোজ, আর জেমস বালডউইন আর নেলসন আলগ্রেন কিনতে গিয়ে ফতুর হয়ে গেছি কয়েক বছরে। এরকম হলে পেপার ব্যাক হয়ে লাভ কি।
জানি না, গোটাটাই মনে হয় সেক্স অ্যাপিলের ব্যাপার। মাস্ট বি হোয়াটএভার গেট্স দ্য স্টিফি :-)))))) সত্যি ই কোন লজিক নেই, আমাদের এখানে বই বাঁধানো না হলে লোকের চলে না, আবার সিড়িয়াস পত্রিকা মানেই, গোদা পেপার ব্যাক। মানে লজিক টা খুব i কঠিন। মানে শুধু এই জন্যেই বই লিখিনি তা না ঃ-))কিন্তু এটা একটা সমস্যা। এটা নিয়ে অনেক টা মদ খাওয়া সম্ভব :-))))))))))) ;-)
তবে ইবুক জিনিসটা আমার পোসায় না। বই জিনিসটা সম্পূর্ণ উঠে গেলে হয়তো ইবুক ই থাকবে। তবে যে কোনো ফর্মের বইয়ের মধ্যে একটা আশ্চর্য মিল আছে, সেটা হল খুব কম লোক বই পড়ে। তাই বই নিয়ে প্যানর প্যানর করতে আজকাল আর ভালো ও লাগে না। কেউ লিখলে ভালৈ লাগে। তবে সে নিয়ে আলোচনা করার লোক এতই চারপাশে কম, পড়ে করবটা কি মনে হয়।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
আমি কিজু . আমি একজন রূপান্তরিত নারী ।এই ফোরামে আমি নতুন . কেউ এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারে . থাঙ্কস
সবাই কেমন আছো . আমি খুব ভালো আছি
আচ্ছা, আমি যখন এখানে টাইপ করছিলাম তখন সিএস-র মন্তব্যটি ওভারল্যাপ করেছে। বইপ্রকাশজনিত লভ্যাংশের একটা বিশাল পরিমাণ টাকা কারিগর সংগঠনের তহবিলে জমা হয়। তাতে করে তাঁদের লাভ ছাড়া ক্ষতি হয় বলে আমার জানা নেই। প্রকাশকের নিজের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, ডেবিট কার্ড নেই এবং সর্বোপরি লেখক ও প্রকাশকসুলভ অহং এবং গুমোর নেই। নেই বলেই তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে বইটি বাংলাদেশের প্রকাশকদের ছাপতে দেওয়ার উদারতা দেখিয়েছেন। এই উদারতা সবাই যে দেখাতে পারেন না, এমনকি গুরুও, সে গপ্পো আমার অজানা নয়। যদিও সেই তিক্ত প্রসঙ্গ এখানে আনতে চাইছি না।
ডিসি জনাব, আগে আপনার উত্তর দিয়ে নিই। অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টে বইটি না রাখার অন্যতম কারণ হল বিদেশি কর্পোরেটের গোলামি না করতে চাওয়া। জানি এই নিয়েও প্রচুর নিননিছার আবির্ভাব হবে, তাতে কিস্যু এসে যায় না। বই কোনও প্রকাশকের ওয়েবসাইটে রাখার কথা চলছে। বাংলাদেশের প্রকাশকের নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে। তাঁরা অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টে রাখবেন কি না, তা জানি না।
এখানে কারিগরদের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মেশিন বাঁধাই হয় নি। ভাঁজাই-বাঁধাইয়ের সঙ্গে যুক্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নামোল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের যথোচিত সম্মান জানিয়ে। দুই দেশেরর জন্যই প্রচ্ছদ করে দিয়েছেন আমারই বাল্যবন্ধু। আমি কেবল কিছু ইনপুট দিয়েছি তাঁকে। ব্লার্বে গুরুর প্রথমে যে লেখাটি গিয়েছিল, সেটিকেই অবিকৃত রাখা হয়েছে। কাগজের মান ভালো করার চেষ্টা হয়েছে। আমার প্রকাশক কারিগর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর নিজেরও একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই এটা একটা আদর্শগত অবস্থান বলতে পারেন।
এবারে আসছে বইয়ের দাম নিয়ে কথা। কলেজ স্ট্রিটের বুক ডিস্ট্রিবিউটররা মোটামুটি ৩০-৩৫% কমিশনে বই তোলেন। সেখান থেকে ২০% ক্রেতাকে দিয়ে বাকিটা তাঁর লাভের অংশ। একটি ৪৫০ পাতার বই মোটামুটি ১০০ কপি ছাপতে কত ব্যয় হতে পারে, সেটা আগে বলুন।
এখন পিওডি টেকনোলজি এসে গেছে। বড় প্রকাশকরাও এখন এক লপ্তে ৫০০ কপি বই ছাপান কি না সন্দেহ। ছোট প্রকাশক মানে যাঁদের পুঁজি অত্যন্ত কম তাঁরা গড়ে ছাপেন ১০০ কপি। তার প্রোডাকশন কস্ট কত পড়তে পারে? সেগুলো প্রকাশকদের কাছে পৌছে দেওয়ার ব্যয় কত হতে পারে? তাঁর লগ্নিকৃত পুঁজির কত পার্সেন্ট তিনি দিনের শেষে ফেরত পাচ্ছেন? সর্বোপরি একটি ইংরেজি বইয়ের ৪৫০ পাতার হার্ডকপি বইয়ের দাম কত? সেটা আপনাদের 'বেশি' মনে হচ্ছে না কেন?
হার্ডব্যাক নাকি পেপারব্যাক - এই নিয়ে দীর্ঘ তক্কো করা যায়। এনাজ্জিতে পোষাবে না। তাছাড়া গুরু যেহেতু পেপারব্যাক ছাপায়, সেখানে এই তক্কো করা বেকার।
ও হ্যাঁ, 'কো' এদেশীয়দের বাপের সম্পত্তি নয়কো। কাজেই ও দিয়ে কে এদেশি আর কে বিদেশি সেটা বিচার করা বাতুলতা।
আর বই নিয়েও যথারীতি প্রাজ্ঞ পাঠককূল হাজির হয়েছেন! কী গেরো। কোন দুঃখে যে খ খপরটা এখানে দিতে গেলেন!
আরো একটু লেখার ছিল। এলেবেলের বইয়ের পরই কথাগুলো উঠছে বটে কিন্তু অবশ্য কথাগুলো ওনার বই নিয়ে নয়। ওনার বইয়ের যে প্রকাশক বা একটু দেখাশোনা করে যা মনে হলো যে সেই প্রকাশনার মূল ব্যক্তিত্ব, তাঁর একটি রাজনীতি বা অ্যাজেন্ডা আছে। সেটি হল উপনিবেশ-কর্পোরেট-্পুঁজি বিরোধী ও গ্রামবাংলা-চাষী-কারিগর কেন্দ্রিক। যেসব বই ছাপা হয় সেগুলো ঐ বিরোধিতা আর পক্ষাবলম্বনকেন্দ্রিক। কিন্তু বুঝতে পারিনি একটা বইয়ের দাম ৬০০ টাকা বা ৮০০ টাকা রেখে কারিগর-্চাষীদের বা ঐ রাজনীতির কী সুবিধে হবে ? বই ছাপা বা প্রকাশনা তো পুরো রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া উচিত ? নাকি ধরে নেওয়া হয়েছে যে পাঠক মধ্যবিত্ত, শহুরে জগত থেকেই আসবে, যাদের সাথে গ্রামসমাজ বা অতীত ইতিহাসের যোগ লুপ্ত হয়েছে ? ফলে রাজনীতিটি হয় মধ্যবিত্ত-উচ্চবর্ণ বিরোধী কিন্তু বই ছাপা হচ্ছে ঐ মানুষদেরই লক্ষ্য করে আর রাজনীতিটি যাদের পক্ষে বলে বলা হচ্ছে বই প্রকাশনা বিশেষভাবে হয়ে সেই সব "ছোটলোকদেরই " বইয়ের জগত থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে !
এগুলো ইচ্ছে করে করা হচ্ছে না , প্রকাশনার জগতের চালচলনের মধ্যেই বা কীভাবে বই ছাপা হয় , প্রকাশক কোন শ্রেণী থেকে আসছে সেসবের মধ্যে এই দ্বৈতটা বা দ্বিচারিতাও হয়ত , ঘাপটি মেরে আছে।
নেপালি টানে বাঙলা অনুবাদ করে দেখা যায় - উপলব্ধর চে অন্যরকম একট কিছু হবে
অখিল বলল : দেখো এখন ব্যাপারটা হল, বই প্রকাশনা শৈল্পিক হতেই হবে, প্রচ্ছদে চাই মারকাটারি আর্ট, ব্লার্বেও শিল্পের ছোঁয়া, মলাটের রং, বর্ডার, পাতার সাইজ, পাতার কোয়ালিটি, ব্যাক কভার - সব মিলিয়ে ক্রেতার যেন মনে হয় যামিনি রায়ের বাঁকুড়ার ঘোড়া হাতে তুলে নিয়েছি। শুধু ফিকশন নয়, স্কুলের পাঠ্যপুস্তক দেখেছ? বা, স্কুলের খাতা দেখেছ। প্রেজেন্টেশন, মার্কেটিং, বাহার - ইত্যাদি।
শুনে শুভাশিস বলল : আর যদি এসবে গুরুত্ব না দিই, শুধুই সলিড কনটেন্ট থাকে।
অখিল : তাহলে ছাপা ইস্তেহারের মতন হবে। খেয়াল রেখো আমি কিন্তু 'ক্রেতা' বলেছি, 'পাঠক' বলি নি।
@ অরিন কিউই সি শ্যান্টি কিছু শেয়ার করবেন? :)
যেগুলো ওখানে লাইভ স্টেজে হয়/ হতো/ হতে পারে?
:)
বিল বারের একটা কৌতুক আছে:
আপনার আছে বন্দুক :)
রাতের বেলা সন্দেহজনক শব্দে ঘুম ভেঙে ..
নিকষ অন্ধকারে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না - চালিয়ে দিলেন গুলি ..
গুলির শব্দে নিজের কানেই লেগে গেল তালা ..
এতকখন চোখে কিছু দেখছিলেন না , এখন কানও বাতিল,
ইন্দ্রিয় বলতে আর কি রয়ে গেল? জিব?
ঐ দিয়ে অন্ধকার পাঁড়ি দে পৌছতে হবে দেয়াল আর সুইচবোর্ড।
কোলবেয়ারের উসকানিতে গণ সঙ্গীত শুনতে গে এডিকটেড হ য়ে গেনু
আরো ভালো করে কিছু স্টেজ ভারসন শুনতে গে দেই রবিটার ফ্রিজ ড্রাইড ফ্লেভার নাকে সুঁড়সুড় করে
আমাদের * টা
যা হোক গণ সঙ্গীত সব শীতেই ভালো :)
এলেবেলে (বা দেবোত্তমবাবু) আমাজনে বই বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন? আমার তো মনে কয় কিন্ডলে বিক্রি করার ব্যবস্থা করলে আর আমাজনের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করলে আরও অনেকে কিনে পড়তে পারবেন।
গুলি আটকানোর জন্য নয়, তক্তপোশের পায়া নড়বড় করলে তলায় গুঁজে দেবার জন্য। ফলে কাঠমিস্ত্রী ডেকে সারাতে কত লাগে হিসেব করুন, তারপর বইয়ের দামের সঙ্গে তুলনা করুন।
ভেতরে অবশ্য রসকষহীন নির্মোহ ব থাকাই ভাল। রস থাকলে আবার বর্ষাকালে একটু নরম হয়ে যায়।
" কেউই হয়ত পড়তে আগ্রহী নন। হতে পারে যে বিষয়টা অজানা, যে দেশটা অচেনা, (যেহেতু***, তাকে নিয়ে কারো আগ্রহ নেই"
কর্তৃপক্ষ visitor সংখ্যা দেখান তো |tobe ফেরত মত এর প্রয়োজন অশিবকার করি না।
"লেখাটা আমার প্যাশন, টাকা দিয়ে কী হবে?"
ইংরেজির মাস্টার এর মত বদ্লানোর ক্ষমতা নেইকো , কিন্তু টাকা একরকম feedback / ফেরত মত | অপ্রাসঙ্গিক তাও - আপনি এদেশীয় ?উত্তেজিত হলে যুক্তি r সাথে "কো " জুরে দেন তাই ?
টাকা র মাস্টার ইন্টারেস্ট রেট নিয়ে লিখবেn না ?
নমস্কার
তদুপরি আছে কিছু 'লিটল ম্যাগাজিন'। প্রফেসর-লেকচারারদের লেখা ছাপানোর আর পড়ুয়াদের পরীক্ষার নোট নেওয়ার আড়ত।
প্রফেসররা নাকি নিজেদের বায়োডাটায় কোন ম্যাগাজিনে কী ছাপা হয়েছে সেসব উল্লেখ করেন আর পড়ুয়াদের বলেন অমুক ম্যাগাজিনটা কিনে পড়ে নিতে।
এটাকেও অবশ্য শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার আর পরীক্ষা পাসের সাথে সাথে যুক্ত করে দেখা যায়।
আইটি সেল তো হার্ডকভার বই না ছাপিয়েই মগজ ধোলাই করে ফেলল।
আর সমাজ-ইতিহাস সচেতন ভারী বইয়ের সাড়ে পাঁচশো টাকা দাম হল।
আই টি শেল আবার কি কল্ল?
বাংলা বাজারে বইয়ের দাম ঠিক হয় কী করে ? লেখকের নাম দেখে, বিষয় দেখে, প্রকাশকের নাম ধরে রাখার জন্য বা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, নাকি একটি সংস্ককরণই হবে যখন, যা টাকা পাওয়া যায় সেসব তুলে নেওয়ার জন্য?
কিছু পাবলিশারের বইয়ের যা সব দাম দেখি, গাংচিল, কারিগর টাইপ বা নতুন প্রকাশক, বইগুলো ফরসা দেখতে আর কভারগুলো তো এমন শক্ত যে বন্দুকের গুলিও আঁটকে দেবে। সেই জন্যই দামের বহর ?
যেন যারা কিনবে তারা ভাববে, ও এত দাম যখন তখন নিশ্চয় জ্ঞানগর্ভ কথা লেখা আছে। তদুপরি দেশ-্কাল- ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে গ্রাম্ভারি ব্যাপার !
অথচ শুনি বই ছাপানোর নানা রকমের সুবিধে হয়েছে আজকাল ! কিন্তু সর্বত্র হার্ডকভার। কারণ যেন পেপারব্যাক বই দুধভাত, হার্ডকভার না হলে বইয়ের মূল্যই নেই।
চামড়াটা যাতে দেখতে সুশ্রী হয়, তার ব্যবস্থা যেন।
পাবলিশাররা কী চান ? বই পড়াতে নাকি মিউজিয়মের উপযোগী বই বানাতে আর বই ছাপাইয়ের পুরস্কার পেতে ? নাকি, খদ্দের এসে ঝোলাঝুলি করবে আরো একটি ডিসকাউন্টের জন্য আর সেটা দিয়ে শ্লাঘা বোধ করবে ? কিছু ক্ষেত্রে তো দেখি ৫০০ টাকার বই, কিন্তু প্রথমেই বিক্রী করছে চারশো টাকায়। না বলতেই। তাহলে ঐ দামটি আর রাখা কেন ?
আর লেখকদের কোন বক্তব্য নেই দাম বিষয়ে ? তারা কী চান, বই পড়াতে নাকি বইয়ের বাঁধাই দেখে উচ্ছ্বসিত হতে ? তারা বললে দাম কম রাখা যায় না, নাকি প্রকাশককে চটাতে চান না ?
এও হতে পারে অবশ্য যে টাকা-পয়সার উন্নতি হয়েছে মধ্যবিত্ত লোকজনের, ফলে দাম দিয়েও বই কিনতে অসুবিধে নেই। বাংলাদেশের হয়ত আরো উন্নতি হয়েছে, একটি দেশ হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায়।
ফলে সেই এলিট, বাবুদের বই সাজানোর ব্যবস্থা, সিরিয়াস বিষয়ের 'চর্চা'-র আড়ালে ?
কেনার ইচ্ছেই হয় না এরকম বই !
ওদিকে এখন আইটি সেল মগজ ধোলাই করে ফেলল !
এবার কি তবে গুরুর পাতায় আইকনদের পিণ্ডি চটকানো ও তজ্জনিত সুললিত খেউড় বন্ধ হবে? গুরু কি বয়ঃসন্ধি কাটিয়ে উঠল?
তবে গুগল করলাম
Available কে তো বাংলায় উপলদ্ধ ই লিখছে।
কি জানি ওরাও পান পরাগ খাচ্ছে কিনা
@অরিন আমি আপনার সিরিজের প্রতিটি খন্ড পড়ি। কমেন্ট খুুুব একটা করা হয়ে ওঠে না কারণ আমি ভাাবছি পড়তে এত ভাল লাগছে কি বলবো, মানে আমি তো এখানে কিিছু এড করছি না, প্রশ্ন থাকলে করা যায়।
এই নীলাঞ্জন বাবুর খিচুড়ি প্রত্যেক খন্ড পড়ি । ওটাতেও দেখি কমেন্ট তেমন নেই।
আর @এলেবেলে আপনি রামমোহন আর চৈতন্য এখানে না ছাপায় গভীর ভাবে দুঃখ লাগছে। আপনার গান্ধী সিরিজ দারুন লেগেছিল। বিিদ্যাসাগর তো অসামান্য।
উপলদ্ধ র জন্য দুঃখিত। :-) তখন অন্য শব্দ মাথায় আসেনি।
গ্রন্থিক
অবশ্যই কমেন্ট করবো :-)
@dc, আপনি যে "দখিন হাওয়ার দেশ" নিয়মিত পড়েন এটা জেনে ভারি ভাল লাগল।
কারণ আমি প্রতিটা এপিসোড লেখার আগে আপনার প্রোফাইলের কাউকে সামনে কল্পনা করে লিখি | এমন একজন, যিনি ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন, যিনি এই দেশটাতে আসছেন বা একদিন আসবেন, ঘুরে বেড়াবেন, অথচ ঠিক হুশ হুশ করে গাড়ি চালিয়ে হাইওয়ে ধরে কি কি দেখার আছে লিস্ট বানিয়ে সেভেন পয়েন্ট ট্যুর নয়, দেশটাকে জানার আগ্রহে |
আসলে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় নিউজিল্যাণ্ডের একটা স্বাতন্ত্র আছে, যেটা অমার মনে হয় আজ অবধি অন্তত বাংলা ভাষায় কেউ লেখেন নি | এবং সবথেকে বড় কথা, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্য যেকোন অঞ্চলের তুলনায় বাঙলা এবং কলকাতার সঙ্গে নিউজিল্যাণ্ডের একটা অন্য রকমের আত্মীয়তা আছে, যেটা চট করে চোখে পড়ে না, কিন্তু এগুলো কোথাও লিখে রাখার প্রয়োজন। আমি নিজে এখানে না আসলে বা না ঘুরে বেড়ালে মাওরিদের সঙ্গে না মিশলে, তাদের ইতিহাস সংস্কৃতি না বুঝলে, জানতাম না।
আমরা খেয়াল করি না, কিন্তু বৃটিশ কলোনীর সূত্রে এককালে বেশ কয়েকজন মাওরী উনবিংশ শতক থেকে কলকাতায় গেছে, তেমনি চট্টগ্রামের বহু বাঙালী নাবিক ("লশকর") বৃটিশ জাহাজে এখানে এসে জাহাজ থেকে উধাও হয়ে এখানে বসতি করেছিল। এই পারস্পরিক সম্বন্ধ আপনি বিলেত আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় অভিবাসনের ইতিহাসে পাবেন না। একই রকমভাবে বহু বাঙালী এককালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ভাগ্যের অন্বেষণে এসেছিলেন, তারপর এখানে থিতু হয়েছেন, কিন্তু এঁদের না খুঁজলে দেখতে পাবেন না, এবং অনেকের বিচিত্র সব জীবনের গল্প | এমন একজনের সঙ্গে এখানে আসবার পর আমাদের কাকতালীয় সূত্রে আলাপ হয়েছিল, ভদ্রমহিলার কোন এক পূর্বপুরুষ বর্ধমান জেলায় থাকতেন। নাম টাম বদলে সে এক যা তা কেস |
ভদ্রমহিলা দু তিন বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন।
আপনারা অনেকে জানতে পারেন, কলকাতার রামবাগান অঞ্চলে এক বা একাধিক কিউয়ি সোস্যাল আঁতেপ্রেনিওর ভারি ইন্টারেস্টিং কাজ করেন।
যাইহোক, দু দেশের পারস্পরিক লেনদেন নিয়ে বিস্তর গল্প বলার আছে।
তবে দু একটা কমেন্ট যদি পারেন, করলে আমার ভাল লাগে, মনে হয়, একেবারে বোতলে একটা কাগজে লিখে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া নয় | একটা কানেকশন তৈরী হয় কি না |
না হলে উপেক্ষার দৃষ্টি ও উপেক্ষিত হবার বোধটি ভারি আবিল কিনা।
একি, অরিনবাবুর নিউ জিল্যান্ড সিরিস পড়তে আমার খুব ভাল্লাগে তো! এখনও অবধি দশ পর্বই পড়ে রেখেছি। এমনিতেই ট্র্যাভেলগ টাইপের লেখা পড়তে আমার ভাল্লাগে। কমেন্ট করিনা কিন্তু পড়ি তো বটেই!
এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তাহলেও মাঝে মধ্যে বইয়ের প্র কাশকাল ইত্যাদি এখানে জানাবার অনুরোধ রাখলাম।
অরিনবাবু, আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রথম বইটি পাঠক মহলে গৃহীত হলে পাঠক নিজের উদ্যোগেই আমার পরবর্তী বইটিকে খুঁজে নেবেন। সেই ব্যাপারে গুরুর প্লাটফর্মকে আমি নীতিগতভাবে ব্যবহার করব না। কতগুলো শূন্য কলসি পারস্পরিক পিঠ চুলকানি করে চণ্ডীমণ্ডপ আলো করে বসে থাকুন গিয়ে। আমার বয়ে গেল। গুরুর প্রতি আমার ভালোবাসা একই রকম থাকবে।