টুইটারের নিয়মকানুন সব এখানে লেখা আছে। সহজেই বোঝা যায়।
https://help.twitter.com/en/rules-and-policies/twitter-rules
কোন টুইট হেট স্পীচ কিনা, সেটা বোধহয় টুইটার ঠিক করবে।
এবং কোন নিশ্চিত গাইডলাইন না থাকলে হেট স্পিচ আর কোনটা নয় এক মারাত্মক খরগোশের গর্তে সেঁধোবে। কে ঠিক করবে? জনৈক ইন্টার্ন? সে কি বুঝবে এর পরিণামদরশিতা?
পার্লারে তো পোস্ট পড়েইছিল যে এতদিন ধরে যে আর্সেনাল জমানো হয়েছে, এবারে নাকি সেটার ব্যবহার করা হবে। সেদিন টেররিস্টদের সামনে পেলোসি বা এওসি থাকলে সর্বনাশ হয়ে যেত। এদিকে এফবিআই এদেরকে ধরছে বলে অনেকের খুবই আপত্তি। কিছু টেররিস্টরা নাকি অবাক হয়ে গেছিল যে ক্যাপিটল পুলিশ তাদের যথেষ্ট আটকাচ্ছে দেখে।
আমি আবারও বলছি ট্রাম্পভক্তদের (নট ভোটার) একটাই দাবী। বাকি ঐসব ওয়ার্কিং ক্লাস টাস ওসব হগওয়াশ। ওদের নাম করে বদমায়েশি চলছে।
- 'ভারতীয়রা মেইন স্ট্রীমে মেশে না, চীনেদের মত গাড়ি চালায়, গাড়িতে রিয়ারভিউ মিররের পিছনে গণেশের মূর্তি দেখেই তাদের চেনা যায় ব্লা ব্লা । আমরা তাদের পছন্দ করি যারা সমাজে যে
সাহেব যখন এই কথাগুলো বলে তখন কত সহজে ভুলে যায় যে একদিন ওর পূর্বপুরুষ স্থানীয় দেশজদের সঙ্গে কি করেছিল।
এই ইতিহাসগুলো পারলে মনে করিয়ে দেবেন।
এবং শুধুই আমেরিকায় নয়।
কোন টুইট হেট স্পীচ কিনা, সেটা বোধহয় টুইটার ঠিক করবে। যেমন কোন ফেবু পোস্ট হেট স্পীচ কিনা তা ঠিক করবে ফেসবুক
হেট স্পিচ ফেলোনি ঠিকই। কিন্তু কোনটা হেট স্পিচ কে ঠিক করে? কোর্ট না টুইটার?
গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় কথা বলার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয় না, হয় তাদের কাজের জন্য।
আকাদা কনফিডেন্টলি ভুল বলছে। হেট স্পিচ ইজ ফেলোনি ইউএসএ-তে।
ওবামার প্রথম দু বছরে হয় নি, বাইডেন কতটা কি করতে পারবেন , সন্দেহ আছে।
শুধু সেমি অটোমেটিক ব্যান করা গেলেও কাজের কাজ হত
"পুরো দেশটা একটা বারুদের স্তুপের ওপর বসে আছে - এত এত বন্দুক , সেমি অটোমেটিক এত মানুষের হাতে "
মর্মান্তিক রিয়েলাইজেশন!
আশা করা যাবে বাইডেন এডমিনিস্ট্রেশন সেমি অটোমেটিক রাইফেলের ব্যাপারে কিছু করবেন। NRA সামলানো এই যুগে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ!
আমদের শহরের একটা ফেবু কমিউনিটি আছে - এক বন্ধু তার মেম্বার। একজন ট্রাম্প ভক্ত সেটা চালায়। দিব্য চলছিল, ৬ তারিখের পর থেকে এই ভক্ত এবং অন্য সাদা মেম্বার-রা হেট স্পীচ শুরু করে - 'ভারতীয়রা মেইন স্ট্রীমে মেশে না, চীনেদের মত গাড়ি চালায়, গাড়িতে রিয়ারভিউ মিররের পিছনে গণেশের মূর্তি দেখেই তাদের চেনা যায় ব্লা ব্লা । আমরা তাদের পছন্দ করি যারা সমাজে 'assimilate' করতে পারে , ট্রাম্পও তাই চান ইঃ প্রঃ '
পুরো দেশটা একটা বারুদের স্তুপের ওপর বসে আছে - এত এত বন্দুক , সেমি অটোমেটিক এত মানুষের হাতে
পার্লার নাকি এখন নাম্বার ওয়ান অ্যাপ স্টোরে।
ন্যাড়াদা না দেখে পোস্ট করেছে তার আগের পোস্টেই বলা আছে হেট স্পিচ কিনা দেখা দরকার। দুটো পোস্ট একটু কন্ট্রাডিকটরি এই অবধি বলা যায়।
পোটাসের একটাই অ্যাকাউন্ট। সেটার ফলোয়ার ০ করে দিয়ে রিসেট করা হবে। সেটার নতুন ওনার হবে বাইডেণ। পোটাসের বর্তমান অ্যাকাউন্ট পোটাস৪৫ নামে আর্কাইভ করা হবে।
আপনি টুইটার-ফেসবুক ছাড়া জীবনযাপন করলে, যেমনটি ১০-২০ বছর আগেও করতেন, দেখবেন এইসব কোম্পানিদের তেমন বিগ টেক আর মনে হচ্ছে না।
শুধু তাই নয়, আপনার সামনে আপনি চাইলে সোস্যাল মিডিয়ার অন্য একটা জগৎ খুলে যাবে।
"যে টুইটার অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করা হয়েছে, সেটা ট্রাম্পের পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট, প্রেসিডেন্টের সরকারি অ্যাকাউন্ট নয়। ২০ তারিখ দুপুরের পর ঐ সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টটি হয়ে যাবে বাইডেণের",
টেকনিকালি, সেটা হয়ত হবে @POTUS46,
ট্রাম্পের একাউন্ট বাইডেন পাবে না।
তবে টুইটারের এই দুমদাড়াক্কা ব্যানের চক্করে এই সময়ের টুইটগুলো নিয়ে একটা দারুণ মিমেটিক অ্যানালিসিসের স্কোপটা নষ্ট হয়ে গেল, এইটা পরিতাপের বিষয়। এখন পুরোপুরি টুইটার এপিআই এর ওপর ভরসা, সেখানেও রেট লিমিটেশনের হ্যাপা।
১) ফ্রী স্পিচ বা ফ্রীডম অব এক্সপ্রেশান সরকার কোথাও কোনওভাবে আটকাতে পারেনা।
২) প্রাইভেট কোম্পানি হিসাবে টুইটারের অধিকার আছে ট্রাম্পের সার্ভিস নাকোচ করার।
৩) টুইটারের কিছু নিয়ম আছে, সেসব না মানলে টুইটার অ্যাকাউন্ট অ্যাকশান নিতেই পারে।
৪) পলিটিকাল অ্যাফিলিয়েশান কোনো প্রোটেক্টেড ক্যাটিগরি নয়। ফলে এটা ডিসক্রিমিনেশনও নয়। তাছাড়া আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পক্ষে ডিসক্রিমিনেশান দাবী করা কার্যত অসম্ভব।
৫) যে টুইটার অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করা হয়েছে, সেটা ট্রাম্পের পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট, প্রেসিডেন্টের সরকারি অ্যাকাউন্ট নয়। ২০ তারিখ দুপুরের পর ঐ সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টটি হয়ে যাবে বাইডেণের।
৬) কয়েকদিন আগেই ফক্স নিউজ সহ ছটা টিভি চ্যানেল ট্রাম্পের একটা প্রেস কনফারেন্স দেখানো বন্ধ করে দিয়েছিল কারণ ট্রাম্প সেখানে ক্রমাগত মিথ্যাকথা বলছিল। ফলে এটা নতুন কিছু না।
৭) আপনি টুইটার-ফেসবুক ছাড়া জীবনযাপন করলে, যেমনটি ১০-২০ বছর আগেও করতেন, দেখবেন এইসব কোম্পানিদের তেমন বিগ টেক আর মনে হচ্ছে না।
গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় কথা বলার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয় না, হয় তাদের কাজের জন্য।
আকাদা কনফিডেন্টলি ভুল বলছে। হেট স্পিচ ইজ ফেলোনি ইউএসএ-তে।
অনেক দোকানেও লেখা থাকে - "We reserve the right to deny service to anyone".
প্রাইভেট কর্পোরেট মরালিটি নিয়ন্ত্রন করতে পারছে, এটাই তো গোলমেলে!
আমাদের যেরকম সোশ্যাল মিডিয়ার কোড অফ কন্ডাক্ট, ব্যাবহারের শর্ত - সেসব মেনে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, এদেরও তাই হয় না?
গণতন্ত্রে জনগণের থেকে রাষ্ট্রপতির গলার জোর বেশি হওয়াটাও একটু অসুবিধে, তাও এমন প্ল্যাটফর্মে, যেটা সরকারি না।
ফেসবুক টেসবুকও বদ, তবে দেশনেতারা কম বদ না। সরকারি কথা সরকারি প্রচারমাধ্যমে বললেই হয় - আর ব্যক্তিগত হিংসার আহ্বান এদিক ওদিক।
ট্যুইটার ইস্যুটা তেমন কিছু নয় । এই যেমন ধরো, কিছু টিভি চ্যানেল ট্রাম্পকে ব্লক করেছে, ঠিক ব্লক নয়, দিনরাত ট্রাম্পের সমালোচনা করে, নিন্দামন্দ করে, তাতে কি কোনো অসুবিধে হয়েছে, হয় নি তো, কারণ অন্য চ্যানেল ট্রাম্পের প্রসংসা করছে।
তো সেরকম, ট্যুইটারের কোনো কারণে ট্রাম্পকে ব্লক করে দিয়েছে, তাতে কি আবার হবে, ট্রাম্প নিজের সাইটে বা কোথাও গিয়ে নিজের কথা লিখবে।
"টুইটারের ইমিউনিটি আছে। এই সেন্সরশিপ ঠিক নয়। কারণ এটা কোথায় থামবে বলা যায় না"
সেই জন্য ই তো antitrust আইনের প্রয়োগের একটা প্রয়োজন রয়েছে, অন্তত ভেঙে দেওয়া হোক যাতে মোনোপলি না হতে পারে। তবে, বহু মানুষ জানেন না বা জেনেও উপেক্ষা করেন যে সোস্যাল মিডিয়া বলতে শুধু টুইটার ফেসবুক রেডিট ছাড়াও একটা গোটা ফেডারেটেড জগত আছে। যার একটা উদাহরণ ম্যাসটোডন।
এর পিটফল হল, যাদের ঐ টেক কোম্পানির সাথে ভালো রিলেশন আছে তারাই টেক কোম্পানিগুলোকে ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে কি কি সেন্সর করতে হবে, কোনটা প্রোপাগাণ্ডা করতে হবে ইত্যাদি।
গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় কথা বলার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয় না, হয় তাদের কাজের জন্য। ট্রাম্পকে আমি পছন্দ করি বা না করি, বিগ টেকের দাদাগিরিও না পসন্দ। তাদের মরাল গার্জেন হবার কোন ঠেকা কেউ দেয় নি। পুলিশ আছে, এফবিআই আছে তাদের কাছে টেকনলজিও আছে সোশাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট ট্রাফিক ইন্টারসেপ্ট করার। সেদিনকার ঘটনা তাদের ফেলিওর। ট্রাম্পের স্পিচ হেট স্পিচ না হলে কিছুই বলার নেই।
"let them stand undisturbed as monuments of the safety with which error of opinion may be tolerated where reason is left free to combat it"
টুইটারের ইমিউনিটি আছে। এই সেন্সরশিপ ঠিক নয়। কারণ এটা কোথায় থামবে বলা যায় না।
Section 230 is a piece of Internet legislation in the United States, passed into law as part of the Communications Decency Act of 1996, formally codified as Section 230 of the Communications Act of 1934 at 47 U.S.C. § 230. Section 230 generally provides immunity for website publishers from third-party content.
ধরুন গুরুর আইএসপি প্রোভাইডার যদি কোন একটা অজুহাত দেখিয়ে গুরুকে সার্ভিস না দেয়। এবং সেই প্রোভাইডার যদি বাস্তবে মনোপলি হয়?
ট্যুইটার/ফেসবুক ব্যান করতেই পারে, যাকে খুশি ব্যান করতে পারে, সেই ব্যান পছন্দ না হলে লোকে ওদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে।
ট্রাম্প ও নিজেও ট্রাম্প-ডট-কম বা কোনো একটা সাইট বানিয়ে নিজে যা লেখার সেখানে লিখতেই পারে, তার ফলোয়ারা সেসব ফলো করতেই পারে।
কোনটা সিডিশন সেটা তো কোর্টের ঠিক করার কথা।
ট্রাম্পকে আঙুল দেখিয়ে চাকরি যাওয়া আর ক্যপিটলের ঘ্টনায় চাকরি যাওয়া এক নয়। প্রথমটা ক্রিমিনাল নয় কিন্তু দ্বিতীয়টা অবশ্যই সিডিশাস, ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি। সেদিন যারা ক্যাপিটলে গিয়েছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেসের কন্সটিউশনাল ডিউটিতে বাধা দেওয়া। এটা সিডিশন বা ইনসারেক্শান।
এগজ্যাক্টলি, অরিন যেমন লিখেছেন। আইনগত কোনো বাধা নেই।