লসাগুদা, কোনও ডিডাক্টেবল নেই, দুজনের জন্য আজকের দিনে মাসে ৬০০ ডলার তো ঠিকই মনে হচ্ছে। ২০১১ সালে ইস্কুল থেকে হাফ ইন্সিওরেন্স অফার করেছিল, বাকী হাফের জন্য ৩০০ ডলারের মতন দিতে হত। সেটাতে বোধয় ডিডাক্টেবল, কোপে সবই ছিল। তখনও তো ওবামাকেয়ার বোধয় লাগু হয়নি। তাই একটা সস্তা স্টুডেন্ট ইনসিওরেন্স কিনেছিলাম, যেটা কোনও কজের নয়। জাস্ট নামের ইনসিওরেন্স। সেটারও প্রিমিয়াম ছিল মাসে ১০০ ডলার। পরে অবশ্য বেড়ে গেছিলো।
আর সিনিয়র সিটিজেন, যদি আমেরিকান নাগরিক হন, তাহলে তাদের জন্যে মেডিকেয়ার আছে। ডিপেন্ডেনট হোক চাই না হোক। আমেরিকান সিটিজেন না হলে পয়সা দিয়ে ইন্শিওরেন্স কিনতে হবে।
এবারে বলো, এটাকে কি শস্তা বলে?
এবার দিলাম - ২ জনের ফ্যামিলি, বয়েস ৪৫ , টোটাল ইনকাম বছরে ৪৫,০০০ ডলার- কোনো ডিডাক্টেবেল নেই, মানে ধরো যেরকম আমার চাকরিসূত্রে পাওয়া ইন্সিওরেন্সে আছে, তেমন পেলাম এই --
আর ওবামাকেয়ারের সাথে ইন্কামের অবশ্যই সম্পর্ক আছে। মেডিকেড হল ফ্রি। কিন্তু ওবামাকেয়ারে যারা এক্সচেঞ্জে ইন্শিওরেন্স কেনে, তাদের ইন্কামের বেসিসে তারা সাবসিডি পায়। অন অ্যাভারেজ, এটা বোধহয় ৬০০০০ ডলার, চারজনের ফ্যামিলির জন্যে। স্টেট টু স্টেট ভ্যারি করে। যত হাই ইন্কাম, তত কম সাবসিডি
ওবামা কেয়ার এলো আর প্রিমিয়াম দুম করে প্রচন্ড বেড়ে গেলো (বা ইন জেনারেল হেলথ কেয়ার কস্ট বেড়ে গেলো) ব্যাপারটা এতো লিনিয়ার নয়
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি (এবং বলে রাখা ভালো আমি সেই তথাকথিত প্রিভিলেজড দের মধ্যে পড়ি যাদের হেলথ ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম এমপ্লয়ার দ্বারা অনেকটাই subsidised )
হেলথ কেয়ার এ গুরুত্বপূর্ণ চেঞ্জ এসেছে হাই ডিডাক্টেবল কনসেপ্ট আসার পর যেখানে আপনাকে HSA/FSA ইত্যাদি মেইনটেইন করতে হবে
এ সব ACA এর বহু আগে থেকে চালু হয়েচে
আকাদা সঠিক কথা। কিন্তু আপনি মেডিকেইডের জন্য এলিজেবল না হলে প্রিমিয়াম কমবে কি করে? সেইটাই বক্তব্য। আর ওবামাকেয়ারের আন্ডারেই তো মেডিকেইডও এক্সপ্যান্ড করা হয়েছিল।
* বয়েস ৬৩ আর আয় শূন্য দেখিয়ে এখন ট্রাই করলাম, Medi-Cal এ রেফার করল
না, যেত না। প্রি এক্সিস্টিং কন্ডিশনের জন্যে যে এক্স্ট্রা খরচ হয়, ইন্শিওরেন্স কোম্পানি সেই টাকাটা তোলে হেলদি লোকের থেকে, যারা প্রিমিয়াম দেয় কিন্তু খরচা বাড়ায় না। এই জন্যেই ইন্শিওরেন্স ম্যান্ডেটরি ছিল। না থাকলে ফাইন বা ট্যাক্স দিতে হবে। এই দুটো প্রভিশন কাপল্ড। ডিকাপলিং করলেই হাই রিস্ক পুল বানাতে হবে আর তাদের প্রিমিয়াম হবে স্কাই হাই বা লাইফটাইম ক্যাপ বসাতে হবে। যা কিনা ওবামাকেয়ারের আগে ছিল।
মানে ওবামাকেয়ারে গরীবরা শস্তায় ইন্সিওরেন্স পেয়েছে - এটা পুরো ঠিক নয়। যেমন, এখন আজ যদি আমি কভার্ড ক্যালিফোর্নিয়া ওয়েব সাইতে যাই, বলি যে আমার আয় শূণ্য - তাহলে আমাকে মেডিক্যাল (স্টেট ফান্ডেড প্রোগ্রামে) নিয়ে যায়, অ্যাপ্লাই করতে বলে। ক্যালিফোর্নিয়া মেডি-ক্যাল (Medi-Cal) আগেই ছিল।
ওবামাকেয়ারের সাথে ইনকামের কোন সম্পর্ক নেই। ইনকাম বেসড ইন্সিওরেন্স হল মেডিকেইড।
ওবামাকেয়ার হল এক্সচেঞ্জ তাদের জন্য যাদের চাক্রি সূত্রে ইন্সিওরেন্স নেই তাদের জন্য। মিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীও এক্সচেঞ্জে গিয়ে ইন্সিওরেন্স কিনতে পারে।
(লক্ষ্য করে দেখবেন আমি কিন্তু বলি নি "lokajana" কনফিডেন্টলি ভুল বলে) :)
"এখানে যারা ওবামাকেয়ারের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করছে, ওবামাকেয়ার আদৌ তাদের জন্যই নয়। "
বড়েস,
এটা ঠিক কথা নয়, আমি যে এগজাম্পেল দিয়েছি, বা এরকম যারা - এই সিনিয়র সিটিজেনদের কোনো আয় নেই, এনারা ডিপেন্ডেন্ট, এরকম অনেকেই আছেন, যারা সন্তানদের ওপর ডিপেন্ডেন্ট। আমি অফিসে যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরও অনেকের চেনাজানা আছেন এমন।
ছোটেস, প্রি এক্সিটিং কণ্ডিশন তো এমনিই ইমপ্লিমেন্ট করা যেত। যাস্ট অন্য লেজিশলেসন এনে।
আর আমিও মনে করি ওবামাকেয়ারের উন্নত ভার্সন দরকার।
এই যেমন বার্ণীর ২০২০র ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ছিল ফাইজ শাকির। সেতো আগে ন্যানসি পেলোসি আর হ্যারি রীডের স্টাফ মেম্বার ছিল।
ওবামা নিজেও বোধহয় কোনোদিন ক্লেম করে নি যে ACA পারফেক্ট হেলথ কেয়ার সল্যুশন , বহুবার বলেছে যে ইমপ্লিমেন্টেশন এ প্রব্লেম আছে , এটা একটা স্টার্টিং পয়েন্ট হিসাবে ধরা যায়
এমনকি ২০১৭ য় যখন রিপাবলিকান রা উঠেপড়ে লেগেছিলো রিপিল করার জন্য তখন এও বলেছিলো যে ওবামা কেয়ার যদি ইম্প্রুভ করে এবং নাম বদল করে ট্রাম্প কেয়ার হয়ে যায় তাতেও অসুবিধা নেই
ইনফ্যাক্ট খুব ভুল যদি না করি ওবামা কোনোদিন অস্বীকার-ও করে নি যে মূল আইডিয়া রমনী র হেলথ কেয়ার এর পরিবর্ধিত রূপ
এনিওয়ে সম্বিৎ এর একটা কথায় একটু প্রশ্ন আছে ... রিয়েল ওয়েজ এর ব্যাপারে .... আপনি লিখলেন "ট্রাম্পের আমলে ট্রেন্ড স্টার্টেড রিভার্সিং।"
আমি অতটা নিশ্চিত নই , ডেইলি ওয়েজ মূলত বেড়েছে বিভিন্ন স্টেট এবং লোকাল লেজিসলেটিভ মুভ এর ফলে , যেমন আমাদের এখানে ১স্ট জানুয়ারী থেকে মিনিমাম ওয়েজ বেড়েছে , এটা বোধহয় গত বছর পাস হয়েছে (মন থেকে লিখছি ভুল হতে পারে টাইম লাইন এর ব্যাপারে )
ফেডারেল মিনিমাম ওয়েজ এখনো $৭.২৫ প্রতি ঘন্টায়
এখানে যারা ওবামাকেয়ারের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করছে, ওবামাকেয়ার আদৌ তাদের জন্যই নয়। কারণ তাদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেশি। ওবামাকেয়ার গরীব আমেরিকানদের জন্য। আয় কম হলে অনেক অনেক কম প্রিমিয়াম দিতে হয়। মিলিয়নেয়াররা সরকারের পয়সায় সস্তায় ইনসিওরেন্স নাও পেতে পারে।
সবার বক্তব্য হল আমেরিকার গরীবরা সবাই রিপাব্লিকানদের ভোট দেয়, সঙ্গত কারণেই। তাহলে আবার তাদেরকে ডেমরা ভোট ব্যান্ক হিসাবে কিভাবে অপব্যবহার করছে।
যেকোনও অ্যাডমিনিস্ট্রেশানেই আগের সেম পার্টির অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের অনেক লোক থাকে। যারা আমেরিকার পলিটিক্স প্রথম দেখছে, তারা নাও জানতে পারে।
লোকজন কিসব আজেবাজে কথা বলে। ভেরিফায়েবল ফ্যাক্ট ভুল বলে, তার উপর ওপিনিয়ন চাপিয়ে দেয়।
এবারে এই স্ট্যাটাস কুয়োটা ভাঙার চেষ্টা করেছিল বার্ণি খুড়ো। ওনার ক্যাম্পেইন মানির বেশিটা ইন্ডিভিজুয়াল কান্ট্রিবিউশন আর লেস দ্যান ২০০ ডলার এর কম। আর লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমার আগের পোস্টের তিন নং সেট বার্ণিকে সাপোর্ট করেছে। আবার ঐ একই তিন নং সেট ট্রাম্পকেও ভোট দিয়েছে।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক এস্টাবলিশমেন্ট (পড়ুন ওবামা ) জোর করে প্রথমবার কারচুপী করে দ্বিতীয় বার সোশ্যালিজমের জুজু ইনডাইরেক্টলি দেখিয়ে বার্ণিকে দাবিয়ে দিয়েছে।
খুব ভালো করে দেখুন বাইডেন আর ওবামার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে কি ওভারল্যাপ দেখতে পাচ্ছেন। ওবামা এখন কিং মেকার। আর তাছাড়া ট্রাম্প ভার্সেস ওবামা দ্বিইতরথ তো রয়েইছে। যে অয়ডমিনিস্ট্রেশনের শেষে ট্রাম্প আসে তারা সোল সার্চ না করে একই জিনিষের রিপ্ট করছে।
এইযে স্ট্যাটাস কুয়ো না ভেঙে সেটাকে জিইয়ে রাখার দায়ভার তা ডেমোক্রেটিক পার্টিকেই নিতে হবে।
এসব কথা ফ্রিতে বলে দিলাম, কদিন বাদে চমস্কি বলবে তখন আপনারা নাচবেন। যাই কাজ করি শ্রেণীধর্ম পালন করি।
ওবামাকেয়ার পারফেক্ট তো নয়ই, প্রচুর ইম্পলিমেন্টেশন গোলমাল আছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস ও পথে আলো জ্বেলেই, পৃথিবীর না হোক, আ্যমেরিকার ক্রমমুক্তি হবে। দেখা যাক বাইডেন-হ্যারিস আ্যডমিন ওবামাকেয়ারকে কতটা ত্রুটিমুক্ত করতে পারে।
দাদা, আমি অ্যামেরিকান হতে চেয়েছিলাম,....
ওবামাকেয়ারের নিন্দে করছেন ভাল কথা। আপানারা বোধহয় সেসব ভাগ্যবানদের একজন যাদের পরিবারে কারোর ক্যানসার, ডায়বিটিস, হার্ট ডিজিজ এইসব নেই। বা আপনারা এমন কোনো বাচ্চার পেরেন্ট নন যাদের কনজেনিটাল হার্ট কন্ডিশন আছে। মনে হচ্ছে মহিলাও নন কারণ ওবি-জিন সার্ভিস আর বার্থ কন্ট্রোলের জন্যে এক্স্ট্রা টাকা দিতে হয় না। আর যারা মেডিকেডে এনরোল করতে পেরেছে সেই কুড়ি মিলিয়ান লোকেদের মধ্যে যে পড়েন না সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।
চার্চে যাওয়া হোয়াইট মিডওয়েস্টার্নের গল্প তো শুনলাম। এবার ওবামাকেয়ারে যাদের কাছে লাইফসেভার তাদের একটু খোঁজার চেষ্টা করুন। সাধে কি আর রিপাবলিকানরা পঞ্চাশবার চেষ্টা করেও ওবামাকেয়ার রিপিল করতে পারেনি!
ওবামার আমলে আমার ট্যাক্স বেড়েছে। আমি আমার ইন্টারেস্ট দেখব। রিপাব্লিকানরা বাকি এক রেখে যদি আমার ট্যাক্স কমায়, আমি রিপাব্লিকান ভোট দেব। আমি এখানে প্লেসহোল্ডার যার আয় মিডিয়ান আ্যমেরিকান আয়ের চেয়ে বেশি।
ক্লিন্টন আমল থেকে বোধহয় রিয়েল ওয়েজ কমছে। ওবামার আমলে কমেছে তো বটেই। ট্রাম্পের আমলে ট্রেন্ড স্টার্টেড রিভার্সিং। এখন আমি যদি সেই দলে থাকি গ দিন-আনি, দিন-খাই ওয়েজ-আর্নার - আমি ট্রাম্প দেয়াল তুলল না ইমিগ্র্যান্টদের ধাওয়া করল, সেসব নিয়ে ভাবতে যাবনা। সেসব ভাবনা বাবুরা ভাবুন, যাদের পরের মাসের গাড়ির পেমেন্ট নিয়ে ভাবতে হয়না। তাতে আমাকে রেসিস্ট বললে বয়েই গেল। আমি ট্রাম্পকে চাই।
সব চরিত্র কাল্পনিক এখানে।
কিন্তু ট্রাম্প অসুখ নয়, ট্রাম্প অসুখের সিম্পটম
এটা আমারো মনে হয়। একটা দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে, চার বছর ধরে লিবেড়াল মিডিয়া সর্বশক্তি দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচার করেও কিছু করতে পারেনি। এটা অয়্যাড্রেস না করতে পারলে ব্যাথা আছে। তাও তো ডেমদের কপাল ভালো যে ট্রাম্প একটা বোকা পাঁঠা, আমাদের প্রধানসেবক হলে কপালে দুঃখ ছিল।
অভ্যু,
না, কোন ব্যাপক গুন্ডামিকে সমর্থন করার মতন পাগল হইনি। আমার পোস্ট দেখ। এই উন্মাদ লোকটার অহংকার ও মূর্খামির ( এইভাবে কাপিটলে হামলা করে নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে পারবে যে ভাবে) খেসারতে চারটে প্রাণ গেছে।
কোন একটা অসুখের কারণ খোঁজা আর তাকে জাস্টিফাই বা সমর্থন কি এক? খালি ট্রাম্পকে সরালেই হবে? ৪৯% ভোট ক্যান পায় ? হিটলারও ভোটে জিতেই ক্ষমতায় এসেছিল। কারণ, ভাইমার রিপাবলিক জার্মানির প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গরীবের সুদিনে ফেরার স্বপ্ন এবং হাইপার ইনফ্লেশন ও বেকারি সল্ভ করতে পারেনি। সুপ্ত ইহুদি বিদ্বেষ ও নর্ডিক আর্য্যের বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব কায়েম করার স্বপ্ন তাতে আফিমের কাজ করেছিল। আজ যে ছেলে ছোকরারা হামলা করে নাচল এরা সমাজের কোন ক্লাস থেকে এসেছে? ভারতে গোরক্ষক হিন্দু যুবাবাহিনীর ফুট সোলজাররা সমাজের কোন তলার লোকজন? অসুখটাকে না বিশ্লেষণ করলে পালটা রণনীতি কিসের ভিত্তিতে তৈরি হবে। খালি পলিটিক্যাল রেটোরিক আর শ্লোগানে কিস্যু হচ্ছেনা দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু ট্রাম্প অসুখ নয়, ট্রাম্প অসুখের সিম্পটম। একটা গেলে আর একটা আসবে যদি সিস্টেমিক চেঞ্জ না হয়। যদি গরীবদের খালি ভোট ব্যাংকের জন্য ব্যভার করা হয়। সব দেশে হতাশা ও আর্থিক ধ্বসের সময় ফ্যাশিস্তদের স্টর্ম ট্রুপার গরীব ও লুম্পেন ক্লাস থেকেই এসেছে।
যদি বলি ব্যাপক গরীব মানুষ মোদীকে ওর বেচা স্বপ্নে (যাতে ১৫ লাখ, কালো টাকা উদ্ধার, কোটী লোকের চাকরি, করাপশন দূর, পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ সবই আছে) বুঁদ হয়ে ভোট দিইয়েছে এবং এটা কংগ্রেসের নিও লিব্রাল পলিসির ফল ও ব্যর্থতা তাহলে কি মোদীকে সমর্থন করা হল?
ল্যাদোষদা একদম এটাই হয়েছে। একটা ইন্সিওরেন্স পলিসিও কাজের ছিল না।
ওবামাকেয়ার লেফট ব্যাড টেস্ট ইন মাউথ ফর মেনি। যেহেতু ট্রাম্প এগেইনস্টে আর রিপাবলিকানরা রিপিল করতে বলছে তাই ওবামাকেয়ার খুব ভালো এই লজিক তো বালিতে মুখ গুঁজে থাকার মতন। e আমরা ভার্সেস ওরা রাজনীতি বা পেজ থ্রি রাজনীতি, সেসব চলুক তার সাথে একটু সিরিয়াস ডিসকোর্সের দরকারএই যা।
আবার এটা বল্লাম বলেই বলবেন কালকের ভ্যাণ্ডালিজমকে সমর্থন করছি, তা নয়।
সেট থিওরীর ভাষায় - একদল সেটের জন্ম রিপাবলিক লগ্নে বিভিন্ন কারণে তারা থাম দাঁড়ালেও রিপাবলিকানদের ভোট দেবে, দুই, হোয়াইট রেসিস্ট এরাও রিপাবলিকানদের ভোট দেবে (এরাই কাল ভাংচুর করেছে), তিন, ওয়ার্কিং ক্লাস যাদের বিভিন্ন কারণে অবস্থা খারাপ আর ডেমরা স্ট্র্যাটেজিকালি তাদের ইগনোর করেছে। এই তিন নং সেটের লোকের জন্য পলিসি যেকোন রাজনৈতিক কর্তব্য। সেটা না করলে সেটটা এত বড় হয় আর বহু ভুলভাল কাজ লেজিটেমেসি পায় যে তাতে ট্রাম্প তৈরী হয়। আবার একটি ট্রাম্পকে রুক্জতে এই স্ট্যাটাস কুয়োটা ভাঙা খুব জরুরী। আর সঠিক কাজও বটে।
আমার অভিজ্ঞতা অন্য দিকে থেকে, কনজিউমারের দিক থেকে। পরিবারের এক সিনিয়র সিটিজেনের হেলথ ইন্সিওরেন্স কেনা নিয়ে। ওবামাকেয়ারের/ACA এর প্রচুর অ্যাড ইত্যাদি এল, তার মাস চার-পাঁচেক বাদে ভাবলাম দেখি নিশ্চয়ই এখন শস্তায় ইন্সিওরেন্স কেনা যাবে। প্রিএক্সিস্টিং কন্ডিশন জানতে চাইছে না ঠিকই, কিন্তু দাম সাংঘাতিক। তিন চারটে কোম্পানির অপশন গুলোর মধ্যে সবথেকে কম দামের দেখলাম কাইজারের ইন্সিওরেন্স - ব্রোন্জ না কি একটা যেন, গোল্ডের দাম বেশি - কিন্তু ব্রোঞ্জ ও প্রায় ৭০০ ডলার মাসে, আর ৫০০০ ডলার আউট-অফ-পকেট। তার মানে, ৭০০ x ১২ = ৮৪০০ বছরে প্রিমিয়াম, তার ওপর নিজের পকেট থেকে ৫০০০ ডলার খরচা হলে তারপরে ইন্সিওরেন্স কোম্পানি পয়্সা দেবে। এটা দেখে বেশ কনফিউজড হয়ে গেছিলাম। তারপরে, অফিসে কয়েকজনকে জিগ্গেস করলাম, তারাও বলল ওদের চেনাশোনাদের একই এক্সপেরিয়েন্স।
এখন তো দেখলাম, বেচারি বার্নি ক্যাম্পেইনে ওবামাকেয়ার নিয়ে বলতে গিয়ে হীতে বিপরীত হল, গরীব লোকে শুনতে চায় না।
কনসেপ্ট চিপ, আমার এই মুহূর্তে হাজারখানা যুগান্তকারী আইডিয়া আছে, কিন্তু ইমপ্লিমেন্ট না করতে পারলে সেসবের মূল্য নমকিন আঁশু ছাড়া কিসুই নয় হে পুষ্পা।
তো আমি নেভাডার হেলথ ইন্সিওরেন্স এক্সচেঞ্জ ইমপ্লিমেন্টেশনের পার্ট ছিলাম। তো সেপ্টেম্বরে ইমপ্লিমেন্ট হবার কথা, শুরু হয়েছে আগের সেপ্টেম্বর থেকে। কোন এক ভেণ্ডর্কে সাব কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসে দেখা গেল শুধু এইচটিএমল ওয়ারফ্রেম ছাড়া মালটায় কিসুই নেই। তখন প্রতি হপ্তায় আমি স্যান্টা অ্যানা যেতাম। আমার ভার ছিল ১৬ খানা ইন্টারফেস ইন্টিগ্রেট করা। তারমধ্যে ডেলয়েটের বানানো এলিজিবিলিটি সিস্টেম, অন্য ভেণ্দরের প্ল্যান-প্রোগ্রাম মানে ইন্সিওরেন্স সিস্টেম সব আছে।
যাই হোক, একদিন কোড রিভিউ করতে গিয়ে দেখি এরর হ্যাণ্ডলার নেই। কোন অডিট ট্রেল নেই। এসব কমেন্ট দিলাম কিন্তু অবশ্যইঅ কিসুই সেরকম হয় নি।
ফল হল, ইম্প্লিমেন্টশনের পরে লোকে পয়সা দিলেও কোথায় গিয়ে আটকে গিয়ে ইনএলিজেবল করে দিচ্ছে। একজন এর ফলে চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা গেল। আমাদের সিইও ওপেন অ্যাপলজি চাইল ইত্যাদি। খুব কপাল ভালো এসব হবার আগে আমি ওখান থেকে বেরিয়ে গেছি।
ইশ আমাকে মাত্র লাখ পঞ্চাশেক টাকা দিলেই বিজেপির সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বো।