আচ্ছা দুজন দিলীপ কুমার রায় আছেন, আর দ্বিতীয়জন আবার রজনীকান্তের গান রেকর্ড করেছিলেন। ভাগী-সোসেন আমাকে দিয়েছিল।
ওহ্হ্হ্হ অভ্যু!!!!! খুবই ভালো নাচ। অঙ্ক, আসলে তো অঙ্ক। নাচ খুবই উচ্চ গণিত। :-)
থ্যাংকু এল সিএম। এবারে ক্লীয়ার হল।
যে এল পি নিয়ে এত কথা ( দেবব্রত, সন্তোষ, দ্বিজেন, তরুণ, পূরবী, সুপ্রীতি০, সেটি রবীন্দ্রশতবার্ষিকীতেই প্রকাশিত- অভ্যুর দেওয়া প্রথম লিংকে যেমন ছিল।
হেমন্ত, সুচিত্রা, কণিকা, চিন্ময়ের চিত্রাঙ্গদা ১৯৭৪ এর।
সব জট কাটল।
আরেকটা জিনিস খেয়াল করো, ইন্দ্রাণীদির এবং ইবের লিংকে রেকর্ডের যে ছবি পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে কিন্তু আমার দেওয়া প্রথম লিঙ্কের ছবিটা আলাদা। ওটাও ফটো কোনো সন্দেহ নেই।
আমার প্রথম লিংকে লেখা আছে The first recording of Chitrangada done by HMV in 1961 on the occasion of centenary celebration of Rabindranath Tagore.
এলপি টা পরে হয়েছে, রেকর্ডে বলছে ১৯৭৪ -
ইন্দ্রাণীদি, এবার প্লিজ টইতে লিখো
আরেকটু জাসুসি করতে হবে।
আমরা চিত্রাঙ্গদার যে এল পি শুনে বড় হলাম ( হেমন্ত, সুচিত্রা, কণিকা, চিন্ময়), সেইটি তবে কোন সালের রেকর্ডিং? সেইটি-ই কি তবে রবীন্দ্রশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছিল? রেকর্ডখানা বাড়িতে আছে- কিন্তু কাউকে ব্যতিব্যস্ত করতে চাই না।
আপনাদের হাতের কাছে থাকলে একটু জানাবেন।
নয়ত আবার অন লাইন গোয়েন্দাগিরি করতে হবে।
অসাধারণ, ইন্দ্রাণীদি।
টেস্টিং
ইন্দ্রাণীদির জাসুস অফ দা ইয়ার খেতাব পাওনা হল। বছরে সবে তিনদিন হয়েছে, এর মধ্যেই।
আরো পেলাম; উল্টে পাল্টে কাভারের ছবি দেখে নিন।
https://www.ebay.ca/itm/Rabindranath-Tagore-Chitraganda-ECLP-2272-HMV-Bengali-LP-Record-India-NM-1455/324371244588?hash=item4b8608662c:g:b2oAAOSwqVBZYQ7Y
৩রা নভেম্বর, ২০১৯ এ আনন্দবাজারের সম্পাদক সমীপেষুতে স্বপন সোম লিখছেন অবশ্য চিত্রাঙ্গদার ১৯৫০ এর রেকর্ডিংএর কথা-
দেবব্রত বিশ্বাসকে নিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’ (পত্রিকা, ১৯-১০) নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘‘সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরই অপমান’ ছিল তাঁর প্রথম রেকর্ড। ১৯৩৮ সালে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে কনক দাশের সঙ্গে দ্বৈত ভাবে। পরের রেকর্ড ১৯৬১ সালে।’’ কনক দাশের সঙ্গে যুগ্মকণ্ঠে ‘সঙ্কোচের বিহ্বলতা’ দেবব্রতের প্রথম রেকর্ড ঠিকই, কিন্তু তা প্রকাশিত হয় ১৯৪৪-এর সেপ্টেম্বরে (পি ১১৮৬৬)।
দেবব্রতের পরের রেকর্ড মোটেও ১৯৬১-তে নয়। ১৯৪৪-১৯৬১— এই সময়সীমায় দেবব্রতর অনেকগুলি রেকর্ড প্রকাশিত হয় একক, যুগ্ম ও সমবেত কণ্ঠে। যথা: একক কণ্ঠে ‘এ শুধু অলস মায়া’ ও ‘আছ আকাশপানে’ (জিই ২৯২৭, ১৯৪৬), ‘আমি চঞ্চল হে’ ও ‘দিন পরে যায় দিন’ (জিই ৭১০৩, অক্টোবর ১৯৪৭), ‘এমনি করেই যায় যদি দিন’ ও ‘চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে’ (জিই ৭২৩৩, মে ১৯৪৮), ‘সকালবেলার আলোয় বাজে’ ও ‘দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে’ (জিই ৭৩৫২, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৪৮), ‘ওগো পথের সাথী’ ও ‘তুমি রবে নীরবে’ (জিই ৭৫৯৩, ১৯৪৯), ‘এই তো ভাল লেগেছিল’ ও ‘এখন আমার সময় হল’ (জিই ৭৭০২, মে ১৯৫০), ‘ওই আসনতলের’ ও ‘আকাশ জুড়ে শুনিনু’ (এন ৮২৬১৪, মে ১৯৫৪)।
দ্বৈতকণ্ঠে কনক দাশের সঙ্গে ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা’ ও ‘ওই ঝঞ্ঝার ঝঙ্কারে’ (পি ১১৮৭৪, ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫), কুমারী গীতা নাহার সঙ্গে ‘আগুনের পরশমণি’ ও ‘অনেকদিনের শূন্যতা মোর’ (জিই ৭৩০১, অগস্ট ১৯৪৮)। সমবেত কণ্ঠে ‘দেশ দেশ নন্দিত করি’ ও ‘তোর আপনজনে ছাড়বে তোরে’— সহশিল্পীবৃন্দ: জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, শ্রীমতী সুপ্রীতি ঘোষ, কুমারী সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়, শ্রীমতী কনিকা দেবী (মুখোপাধ্যায়) (এন ২৭৭৩৬, অক্টোবর ১৯৪৭), ‘ওগো কিশোর আজি’— সহশিল্পীবৃন্দ: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়, গীতা নাহা, চিত্রা মজুমদার, অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় (জিই ৭২৩০, মে ১৯৪৮), ‘বন্দেমাতরম্’ (কথা: বঙ্কিমচন্দ্র, সুর: রবীন্দ্রনাথ) ও ‘জনগণমন’— সহশিল্পীবৃন্দ: জগন্ময় মিত্র, দ্বিজেন চৌধুরী, নীহারবিন্দু সেন, শ্রীমতী কনক দাশ, সুচিত্রা মুখোপাধ্যায়, শ্রীমতী সুপ্রীতি ঘোষ, কুমারী গীতা নাহা (এন ২৭৮২৯,
মে ১৯৪৮)।
তা ছাড়া ১৯৫০-এ সন্তোষ সেনগুপ্তের পরিচালনায় ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যের রেকর্ডে অর্জুনের প্রথম দু’টি গান করেন। এই নৃত্যনাট্যটি সে সময় ৭টি ৭৮ স্পিড গ্রামোফোন রেকর্ডে অটো কাপলিং সেট-এ প্রকাশিত হয়। ১৯৬১-তে দেবব্রত প্রথম হিন্দুস্থান রেকর্ডে রেকর্ড করেন আর সেখান থেকেই তাঁর অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রার শুরু।
এ তো গেল রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা। ১৯৪৯-এ দেবব্রত অংশ নেন ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের ‘ও আলোর পথযাত্রী’ ও ‘হাতে মোদের’ গণসঙ্গীতের রেকর্ডে (কথা ও সুর: সলিল চৌধুরী, জিই ৭৫৪৭)। সহশিল্পী ছিলেন প্রীতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য।
স্বপন সোম
কলকাতা-৩৭
https://www.anandabazar.com/editorial/letters-to-the-editor/letter-to-editor-information-about-the-song-recording-history-of-debabrata-biswas-1.1065978
এই তো। পুরুষদের সবার গলা চেনা গেছে। সন্তোষ সেনগুপ্তর গানও আছে।
যে লিংকটি দিলাম, ইউ টিউবে গিয়ে দেখুন। লেখা রয়েছেঃ
চিত্রাঙ্গদার গান:- পূরবী চট্টোপাধ্যায়
সুপ্রীতি ঘোষ
সংলাপ:- নমিতা সেনগুপ্ত
অর্জুনের গান: - দেবব্রত বিশ্বাস
দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
সংলাপ:- জয়ন্ত চৌধুরী
মদন:- তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
চিত্রাঙ্গদার সখীগন:- বনানী ঘোষ ও মীরা রায়
সংগীত-পরিচালনা:- সন্তোষ সেনগুপ্ত
ইয়েস, দ্যাটস ইট। পূরবী মুখোপাধ্যায়ের দিকেই আমার ভোট দিলাম। থাঙ্কিউ। পূরবী মুখোপাধ্যায় দেবব্রতর ছাত্রী ছিলেন, না?
অংবং এর কাছে হয়তো অরিজিনাল রেকর্ড আছে। আর একটু বিশদে লিখুন না?
রোদনভরা পূরবী মুখোপাধ্যায়( তখন চট্টোপাধ্যায়) গেয়েছেন, মনে হয়
সাড়ে চুয়াল্লিশ মিনিট যদি বনানী ঘোষ হন, আবার তাঁকে শুনতে পাবে ১৯৭৮-এর রেকর্ডিংঃ
১৯৭৮-এর রেকর্ডিঙে স্টাইল অনেক জাঁকিয়ে বসেছে, কিছুটা অ্যাফেক্টেশন এসেছে।
এনাদের সঙ্গে "রোদনভরা"-র স্টাইল মিলছে না। তবে অংবং যখন কনফিডেন্টলি বললেন, সে কথা উড়িয়ে দেবার কারণও পাচ্ছিনা।
বারো আর তারপরে সাড়ে তের মিনিটে একটা গান আছে, শেষে সাড়ে চুয়াল্লিশ মিনিটে।
অভ্যু, মিষ্টি প্রেম ছাড়াও আছে তেতো প্রেম। তাঁরা উচ্ছে বা করোলা ভালোবাসেন। টিফিনে পর্যন্ত করোলাসেদ্ধ নিয়ে যান। :-)
সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ তথ্যচিত্রে বনানী ঘোষের একটা গান ছিল বলে কথিত, না? "আমার মুক্তি"? এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না। গায়কির কম্পেয়ার করতাম। দুটোই কাছাকাছি সময়ের রেকর্ডিং। তবে রবীন্দ্রনাথেও বনানী ঘোষ বোধহয় কনফার্মড নয়। ক্রেডিটে নাম যায়নি। পরের বনানী ঘোষের স্টাইলের সঙ্গে " রোদনভরা"-র স্টাইলের মিল একেবারেই নেই।
তবে ব্যোমকেশের কেসগুলোতে বৈচিত্র অনেক বেশি, সামাজিক বাস্তবতাও । কেবল ফেলুমার্কা বড়লোকী কোন বাদশার আংটি, কোন ফড়নবিশের হার, কার স্ট্যাম্প কালেকশন, কার জাহাঙ্গীরি মোহর , কোন সাহেবের আঁকা ছবি--এইসব শৌখীন কেস না। ফেলুর প্রত্যেকটা মক্কেল এইরকম সব বাপঠাউদ্দার টাকায় বড়লোকী করে বেড়ানো মোসাহেব পুষে বেড়ানো অষ্টাদশ শতকীয় পাব্লিক।
অতীশ কীসে করে আনতেন গ্রেনেড? পিঠে করে? :-)
দক্ষিণীর রেকর্ডিং কি? ন্যাড়াদার ভাইয়ের কাছে ১৯৬১এর একটা রেকর্ডিং আছে। অং বাবুর কাছে অরিজিনাল রেকর্ডটা আছে?
বনানী ঘোষ কি দুজন আছেন?