আর এক ভ্দ্রমহিলাও খুব তাড়াতাড়ি নোবেল পাবে সব ঠিকঠাক থাকলে অর্থাৎ ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে। মহিলার নাম এলিসন হার্ডিন নারায়ণ, ওনার এখন বয়স মাত্র ৩৬
স্যান্ডি,
আরও বলতে হবে, "স্যর, একটা বই লিখুন। নাম দেবেন, 'কপাল খুলল করোনায়'।"
ঃ-)
হ্যাঁ তারপর কফি খেয়েদেয়ে বলতে হবে "বিলটা তাহলে আজকে আপনিই দিন না মশাই; আজকাল তো ভ্যাকসিনের দৌলতে ভালই কামাচ্ছেন। "
নোবেল পেতে গেলে একটু ভাগ্যের সহায়তাও বোধহয় লাগে। নাহলে আর্নল্ড সমরফিল্ডের মত বিজ্ঞানী নোবেল বঞ্চিত থাকে?
ক্রিস্পার নিয়ে গবেষণা করে জিন কাটার কাঁচি বানিয়ে যে দুই ভদ্রমহিলা নোবেল পেলেন, এঁদের কাজও তো আগে সেভাবে মিডিয়াতে দেখায়ই নি। নোবেল পেলেন বলে তবু একটু খবর টবর হল।
অরিন, উনি এখন ভালো আছেন তো? সেই যে লিখলেন বেশ অনেক বছর আগে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল? আশা করি সুস্থ হয়েছেন।
;-), &/, ভারি ভাল লাগল।
এই বছর কাটালিন কারিকো নোবেল প্রাইজ পেলে ভাল লাগত। দেখা যাক, ২০২১ এ কি হয়।
স্যান্ডি, সাইকেলে করে শাহীনকে ঘুরতে দেখলেই দৌড়ে গিয়ে বলবেন, "স্যর, স্যর, এক মিনিট। একটু দাঁড়ান।" উনি সাইকেল থামিয়ে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়ালেই দৌড়ে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ক্লিক করে ছবি নিয়ে নেবেন দু'জনের। তারপরে একগাল হেসে বলবেন, "থ্যাংক ইউ স্যর। আপনি যে কী ভালো, কী ভালো! চলুন স্যর, ওই ক্যাফেটায় যাই, আপনি কফি খান তো? " ঃ-)
অরিনকে যদি ধন্যবাদ জানাই, তাঁর জন্য কোনো ধন্যবাদই যথেষ্ট হবে না। কত অজানা জরুরী কথা জানতে পারি তাঁরই সৌজন্যে। এই ভ্যাকসিন গবেষক ভদ্রমহিলার কথাও কিছুই জানতাম না। মেইনস্ত্রিম মিডিয়া এইসব ভালো কাজকে সেভাবে দেখায়ই না, হাইলাইট করা তো দূরের কথা।
কোভিড ভ্যাকসিনের উপেক্ষিতা গবেষক - ৫/৫
তারপর। ২০২০ তে কোভিড-১৯ । এ এমন এক মহামারী যার জন্য খুব দ্রুত, অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, এবং প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকসিন দরকার। প্রচলিত পদ্ধতিতে যা অসম্ভব ছিল। কারিকোর দেখানো পথেই মিলল ভ্যাকসিন তৈরীর সন্ধান। ফাইজার আর মডার্নার কয়েক কোটি ভ্যাকসিন দ্রুত তৈরী করতে সক্ষম হল।
কারিকো হয়ত এখনো উপেক্ষিতা, তবে বহু লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো, একশো বছরে একবার আসা অতিমারী রোখার ভ্যাকসিন তাঁর নীরব অথচ দৃঢ় গবেষণা না হলে সম্ভব ছিল না।
উগুর শাহিনকে রাস্তায় প্রায়ই দেখি সাইকেল নিয়ে ঘুরতে। অরিনবাবুকে ধন্যবাদ কারিকোর সম্পর্কে এত বিশদে জানানোর জন্য। ফেসবুকে এক বন্ধুর পোস্টে এনার সম্পর্কে জেনেছিলাম প্রথমে।
নিউ ইয়ার টেস্ট সিডনিতেই হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিন - ৪/৫
একই সময়ে, ওয়াইসম্যান এবং কারিকো, ও ইগর সাহিন বায়োএনটেক নামে আরেকটি কোমপানি খোলেন। ২০১৭ এ মডারনা প্রথম জিকা ভাইরাসের এম আর এনে ভ্যাকসিন বার করেন, তার পরের বছর ২০১৮ তে বায়োএনটেক ফাইজারের সঙ্গে মিলে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন বার করেন। ২০ বছরের অধিককাল ধরে মানুষটা আমাদের চেনা জানা ওষুধ আর ভ্যাকসিন গবেষণার জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে গেলেন, অথচ কোথাও স্বীকৃতি জুটল না। ফ্যাকালটি পজিশন পেতে পেতে ডিমোটেড!
কিন্তু এঁরা কেউ মাস্ক পরেন নি! করোনা তো এদের নাকের উপরে নৃত্য করবে!!!
ঐ "একূল ওকূল দুকূল আগেই কেটেছে মুকুল" ছড়াটায় উনি লিখবেন,
"কিলিপ ঝিলিপ সিলিপ
এবার যাবে কি দিলীপ?" ঃ-)
এলেবেলে ছবি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ কমিদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। দেখুন, দিলীপ ঘোষের হাতে আত্মসমর্পণের ভঙ্গী। সুজন চক্রবর্তীর হাত দিলীপ ঘোষের হাতের উপর চেপে বসেছে।
হুঁ। আমি ভাবতাম আর যেই হোক, দিলীপ ঘোষ কমি হবে না। এই লোকটার জন্য বিজেপির আশা আছে।
এখন দেখছি সেও তলে তলে কমি হবার তাল করছে।
কোভিড ভ্যাকসিনের গল্প - ৩/৫
কালক্রমে আর সবাই যখন টেনিওর পান, পয়সা আনতে না পারার ফলশ্রুতিতে ইউ পেন থেকে ভদ্রমহিলাকে জানান হল, হয় ডিমোটেড হও, নাহলে বেরোও। সেই সময় তাঁর আবার ক্যানসার ধরা পড়ে, সাংঘাতিক সাংসারিক সংকট, বাধ্য হয়ে ডিমোশন মেনে নিলেন। ল্যাবের টেকনিশিয়ানের চেয়ে কম মাইনে আর মর্যাদা নিয়েও লেগে পড়ে রইলেন। এই সময়ে ইউ পেন এ ড্রিউ ওয়াইসম্যান যোগ দিলেন, ড্রিউ ওয়াইসম্যানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা শুরু করলেন। ২০০৫ এ পেপার বেরোল কি উপায়ে mRNA কে ওষুধ তৈরীর কাজে ব্যবহার করা যায়। ২০১৫ সালে ইনি প্রথম সিনথেটিক mRNA ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে সফল পরীক্ষা করে দেখালেন।
তার পরেও কিন্তু সম্মান জোটেনি। ২০১০ সালে ওয়াইসম্যান আর কারিকোর গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ডেরিক রোসি স্ট্যানফোর্ডে মডার্ণা নামে কোম্পানিটি খোলেন। এরা mRNA therapeutics নিয়ে কাজ করতেন ।
@b, অশ্রুধারা তো তপ্তই। বডি টেম্পারেচারের। সে তো পারিপার্শ্বিকের তুলনায় খানিকটা বেশি। ৯৬ থেকে ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট (জ্বর হলে আরও বেশি) । আর পরিবেশের তাপমাত্রা তো ৭০ কি ৮০ কি ৯০ ডিগ্রী ফারেনহাইট সাধারনতঃ।
ইয়ে মানে ফিলিপ মোষ? ঃ-)
তাই তো দেখছি। দিলীপ ঘোষ কমিদের সাথে মাখামাখি করছে।
নাঃ, আমার আর চাড্ডি হওয়া হল না।
কোভিডের ভ্যাকসিন - ২/৫
ক্যাটালিন কারিকো ১৯৯৫ থেকে mRNA এবং তার থেকে থেরাপি তৈরীর কথা বহুদিন ধরে গবেষণা করেছেন। ডদ্রমহিলা পেষসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন। তার আগে হাঙ্গেরি থেকে অ্যামেরিকায় এসে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন, বসের সঙ্গে মনোমালিন্যে কাজটি যায়, শুধু তাই নয়, বস ভদ্রলোক চেষ্টা করেছিলেন এনাকে ডিপোর্ট অবধি করতে। পারেননি, ইনি পেনসিলভ্যানিয়ায় চলে এলেন এম আর এন এ নিয়ে গবেষণা করতে।
সেখানে বছরের পর বছর গবেষণা করেন, গ্রান্ট লেখেন, কিছুই জোটেনা। অ-ইংরেজিভাষী, ইমিগ্র্যান্ট মহিলা গবেষকের আমেরিকায় , কোন গ্রান্ট নেই, যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন, জ্যাঠাযমশায়রা মনে করেন ও দিয়ে কিছু হবে না। একবার এম আর এন এ থেরাপিউটিকস নিয়ে ব্যবসা করবেন বলেও এগিয়েছিলেন, প্রথম মিটিং এর পর ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট পাত্তা দিলেন না।
কোভিডের ভ্যাকসিন এবং এক উপেক্ষিতা গবেষকের সংগ্রাম -১/৫
কোভিডের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আপনি / আপনারা নেবেন / নিয়ে ফেলেছেন। এআ ভ্যাকসিনটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জগতে একটি আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কারণ এটি mRNA নিয়ন্ত্রিত ভ্যাকসিন, কোভিড ভাইরাস যে প্রোটিনটির সাহায্যে কোষে প্রবেশ করে তারই বিরুদ্ধে অ্যানটিবডি গঠন করে প্রতিষেধকটি তৈরী হয়েছে।
mRNA দিয়ে এই ভ্যাকসিনের নেপথ্যে যিনি মূলত এর আবিষ্কারক বলে দাবী করতে পারেন, তাঁর নিরন্তর উপেক্ষা এবং বঞ্চনার একটি কাহিনি রয়েছে, কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা হাঙ্গেরিয়ান গবেষক কাটালিন কারিকো,
ব্রতীন যে!!!! আছো কেমন? কতদিন বাদে দেখা!
kc:"আরে মামী, ওসব পরিষ্কার করা ভালোই জানি, কিন্তু চিংড়ির প্যাকেটে মুর্শিদাবাদের নাম আর পিন নম্বর ছিল, আর দ্যাশের বাইরে থাগলে দ্যাশের জন্যি প্রেম এক্কেরে ভরপুর হয়ে ওঠে। তাই কিচ্ছু ফেলা যায়না, প্যাকেটটাকেও ধুয়ে মুছে শুকিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। খেতে ভালোই হয়েছে।"
kc, জানেন নিশ্চয়ই কত সহস্র ক্রীতদাসের অশ্রু-ক্লেদ-রক্তের বিনিময়েআ আপনার চিংড়ি খাবার উদরবাসনা পূরণ হচ্ছে?
ব্রতীন সাতম্যাচের খরা কেটে যাবার আনন্দে মাংস রাঁধছে!বা: কী আনন্দ:-)
আরে মামী, ওসব পরিষ্কার করা ভালোই জানি, কিন্তু চিংড়ির প্যাকেটে মুর্শিদাবাদের নাম আর পিন নম্বর ছিল, আর দ্যাশের বাইরে থাগলে দ্যাশের জন্যি প্রেম এক্কেরে ভরপুর হয়ে ওঠে। তাই কিচ্ছু ফেলা যায়না, প্যাকেটটাকেও ধুয়ে মুছে শুকিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। খেতে ভালোই হয়েছে।
বলছি যে দ্যাশের কতা ভাবতে ভাবতে ঐ খোসাসমেতই কি খেয়ে ফেললেন?
সৈকত আমি নির্বাণ লাভের দিকে এগোচ্ছি, সুজাতার বানানো পায়েস হলে ভেবে দেখতাম।
আলমারী কারা লেখে? কী সাংঘাতিক সব লোক চার্দিকে।