এলেবেলে
মিতাক্ষরায় বিধবা স্ত্রীর শুধু ভরণপোষণের অধিকার। কাজেই উত্তরাধিকারের প্রশ্নে পূর্ব ভারত আর উত্তরভারত আলাদা ছিল, মনুস্মৃতিতে যাই থেকে থাকুক।
ওই উত্তরাধিকার আইনের জন্য পূর্ব ভারতে জমি অনেক ভাগে ভাগ হয়ে যেত। এটাই পয়েন্ট ছিল।
পূর্ব ভারতে চাষীর দারিদ্র্যের আরো কারণ আছে। কিন্তু এটাও একটা।
যারা ন্যূনতম আদর্শ ছাড়াই রাজনীতি করে, তাদের কাছে বাম-রাম-ডান সবই এক। সেক্ষেত্রে বিজেপিতে যোগ দেওয়াই তাদের কাছে সবথেকে লাভজনক বিকল্প। একটা তত্ত্ব বাজারে খুব চলছে যেটা এইসব দলবদলকে বা সাধারণ লোকজনদের হঠাত বিজেপির দিকে হেলে পড়তে সাহায্য করছে। আগামী কয়েকদশক বিজেপি রাজত্ব করবে দেশজুড়ে। অবশ্য দেশব্যাপী মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এতটাই দূর্বল হয়ে পড়েছে, আর বাম পার্টিগুলোর অবস্থা দেখে সেরকমই ভয় হয়।
২০২১ এর জানুয়ারিতে বিধবাবিবাহ গন ফট। বাইশে সতীদাহ গন ফট। গুরুর লোকেদের অনেকেই সেটা জানেন। যারা জানেন না , তাদের জানিয়ে রাখলাম।
"The MLAs' defection to the BJP has shrunk the JD(U) seat count in the 60-member Arunachal assembly to just one."
আর কত দলবদল হলে শিক্ষা নেবে এই সব নির্বোধ দলগুলো?
আর জোন্স কেড়ে নেন মেয়েদের স্ত্রীধন রাখার ক্ষমতা। এসব আমাকে ডিটেল স্টাডি করতে হয়েছে। না জানা থাকলে সবই সুইপিং স্টেটমেন্ট মনে হওয়া স্বাভাবিক।
আমাকে ছেড়ে দিন, বিধবা স্ত্রীর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে মনু কী বলেছেন আগে সেটা পড়ে নিন। তারপরে রামমোহনকে হিরো বানাবেন।
কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধিতা গদির জন্য, নীতির জন্য নয়। আমি চাইছি বিজেপির বিরুদ্ধে সরকারে সিপিএম পনেরোটা এমেলে নিয়ে যোগ দিক। বাইরে থেকে সমর্থন করার নাটক বন্ধ করুক।
পলিটিশিয়ান, দুঃখিত কথাটা ঠিক আপনাকে নয়। আগে যিনি পুরনো নিকে লিখতেন এবং এখন যিনি নতুন নিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর বাচ্চাদের মত বলছেন ,'পারেনি পারেনি' - এই শূন্য কলসিদের উদ্দেশ্যে জানাই রঘুনন্দন শুধু বিধবা স্ত্রীকে সম্পত্তির অধিকার দিয়েছিলেন তাই নয়, তার মৃত্যুর আগে সেই সম্পত্তি কারও ভাগ করার ক্ষমতা ছিল না। এবং মৃত্যুর পরে সেই সম্পত্তিতে মেয়েদের এমনকি বিধবা মেয়েদের সমান অধিকার ছিল। এই পরম্পরা মনু, দায়ভাগ হয়ে রঘুনন্দনে এসেছিল। হ্যালহেড সেটাকে ভেঙে দেন।
গুরুর ফেকু লেখিকা নিশ্চিতভাবেই লতা মণি পড়েননি। গায়ত্রী চক্রবর্তী তো ছেড়েই দিলাম।
"The first arsenic contamination of groundwater in India and its health effects were reported from Chandigarh in North India and its surrounding villages in 1976 (Datta, 1976). The next incident of arsenic health effects in India was reported from the lower Ganges plain of West Bengal in 1984 (Garai et al., 1984).
কোলকাতায় তো বহুকাল চাষবাস কিছু হয়না।
ভোটার
আর্সেনিকের ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত বলুন তো। নেটে এটা নিয়ে অনেক কথা আছে। কিন্তু যতটা জানলে জল আর দুধ আলাদা করা যায় ততটা জানি না বলে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
বাংলা এমন একটা ভাষা যার ভুল গুলোও সুন্দর। জমি কবিতা হতে পারে। চাঁদ হয় ছন্দ। জব্দ হয় গদ্য।
রঞ্জনদা,
অমর্ত্য সেন সরকারী জমি "কবিতা করেছেন" শুনে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। নবনীতা তাঁর একটা লেখায় লিখেছিলেন অমর্ত্য কবিতা তো দূরস্থান, গানও গাইতে জানতেন মাত্র একটা। সে অবশ্য যে সে গান না, সেটা 'ভূষন্ডীর মাঠ' এর কারিয়া পিরেতের গান। :-)
রামমোহনকে শয়তান, পাজি, হাড়বজ্জাত, বৃটিশের দালাল প্রতিপন্ন কার চেষ্টা করছিল একদল ড্যাশ ড্যাশ। পারে নি, পারে নি, পারে নি। :-)
১৯৯৯-২০০০ সালে জলের আর্সেনিক ডিটেকশন ও রাজ্যের জেলাভিত্তিক আর্সেনিক বিষক্রিয়ার বিস্তার, প্রভাব, প্রতিকার নিয়ে প্রজেক্ট করেছিলাম। তখনও যাদবপুরে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্যাদি ছিল, গোটাগুটি কাজ করাই ছিল। সুতরাং ২০০৭ এর গল্পটা নেটভ্রান্তিই ধরতে পারেন।
জমি কব্জা--- হয়েছে কবিতা।
এই শালার অটোকরেকশন!!
এলেবেলে একটু সুইপিং স্টেটমেন্ট করতে ভালোবাসেন। এই যেমন রানী ভবানীর পরে তিরিশ বছর সতীদাহ হয়নি। সতীদাহ হয়নি, আর সতীদাহের ডিটেল রেকর্ড নেই, দুটো এক জিনিস নয়। ওরকম সুইপিং স্টেটমেন্ট করলে একটু প্রমান দিতে হয়। যতদূর মনে পড়ছে রঘুনন্দন সতীদাহ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সতীদাহ বাংলায় ছিল না, অথচ আইনের বইতে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আর্সেনিক নিয়ে একটু খোঁজ করলাম। যেটা জানলাম
এক, আর্সেনিক কুড়ি থেকে একশ মিটার অবধি গভীর নলকূপের জলে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে চাষের নলকূপ গড়ে একশ মিটারের কিছু বেশী গভীর।
দুই, 2007 এ বাংলাদেশের আর্সেনিক পয়জনিঙের ঘটনা থেকে এই নিয়ে ওয়াইডস্প্ৰ্রেড সচেতনতা আসে।
আমি এ বিষয়ের এক্সপার্ট না। এগুলো নেট ঘেঁটে পেলাম। এলেবেলে নিশ্চয়ই আরো অনেক বেশী জানেন। সেগুলো একটু প্রমান সহ বললে আমরাও জানতে পারি।
আর একটা কথা। জানিনা এলেবেলে বিশ্বাস করবেন কিনা। তবু বলি। এখানে প্রায় সবাইকেই বিভিন্নভাবে জীবিকা অর্জন করতে হয়। তার পরেও পরিবারের ও সামাজিক জীবনের দায়িত্ব থাকে। কাজেই কেউ ওনার কথার উত্তর না দিলে, বা দেরী করে উত্তর দিলে পালিয়ে গেছে বলে বুক না থাবড়ানোই ভাল।
I think অধিকার > কবিতা
জমি কবিতা করেছেন মানে? জমি দখল করেছেন?
কিছু খবর বটে!
1 বিশ্বভারতীর ভিসি অভিযোগ করেছেন --অমর্ত্য সেন বেআইনি ভাবে শান্তিনিকেতনের সরকারি জমি কবিতা করেছেন।
2 অর্ণবের R ভারত চ্যানেল ও অর্ণব নিজে 6 সেপ্টেম্বর 2019 শে কম্যুনাল বিষ ছড়ানোর অভিযোগে লন্ডনে কুড়ি লাখ টাকা পেনাল্টি শাস্তি পেয়েছে।
3 গত এক বছর ধরে কোলকাতায় থাকা ইলেকশন কনসালট্যান্ট প্রশান্ত কিশোর বলেছেন বিজেপি বঙ্গে দুই ডিজিট ছাড়িিয়ে গেেেলে উনি এই পেশা ছেেড়ে দেবেন।
কং এখন নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্যই জোটে যেতে চায়। মনে হয় না কেউ হাশমি, জরুরী অবস্থা ইত্যাদি ভুলে গিয়েছে। এখন একটিই তত্ব। বিজেপিকে আটকানো - অন্ততঃ চেষ্টা করা। আপাততঃ একটি ব্যাপারে নিশ্চয়তা আছে -বিজেপির বিরোধীতার ব্যাপারে কং দোদুল্যমান নয়।
আপনি একটু ঝেড়ে কাশুন তো -কি চাইছেন।
ঠিক যেমনভাবে কংগ্রেসকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জোটে শামিল করা যায়! এবং সফদর হাশমিকে দিব্যি ভুলে মেরে দেওয়া যায়!!
ঠিক এই তথ্য ফিট করানো চলে যখন সিপিএমকে ভোট দেয় ভোটাররা তখন মানুষ, সিপিএমকে না দিলে একই ভোটার তখন ছাগল। তাতে লিংকের বন্যা বয়ে যায়। পাতার পর পাতা ঝগড়া চলে।
আমার পুলিশ কখনও কোনও অন্যায় করে না যতক্ষণ তারা আমার পুলিশ।
রমিত, আপনাকে বলিনি।
"বামেদের কম্পিউটার বিরোধীতা হঠকারি সিদ্ধান্ত"
তারা কেন্দ্রের (একটি অত্যন্ত যুক্তিবাদী) সিদ্ধান্ত implement করেছিল। একটি pdf file, internet-এ পাওয়া যায়। লিং বহুবার দিয়েছি আগে। মিডিয়া ও কিছু কট্টর বামবিরোধী তাত্বিক এই পারসেপশন তৈরী করেছিল।
বামেদের কম্পিউটার বিরোধীতা হঠকারি সিদ্ধান্ত, অনেকটা নিউক্লিয়ার ডীলের মতন। কিন্তু তার সঙ্গে আইটিজবের তেমন কোনও সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়না। ব্যাঙ্গালোর অনেকদিন থেকেই ইলেকট্রনিক সিটি নামে পরিচিত। সেখানে বহুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগ করে বসে আছে। তাছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রিটা বহুদিন ধরেই দক্ষীন ভারতীয়দের কুক্ষিগত ছিল। তারা কোলকাতায় বিনিয়োগে খুব বেশি উৎসাহী কোনওকালেই নয়। বামেরা তো এগ্রি বিজনেসে উৎসাহী ছিল, তারপরেও সেরকম বিনিয়োগ আসেনি কেন? কারণ ভারতের যারা বিনিয়োগকারী বা যারা বিনিয়োগের দালালি করে, তারা এই রাজ্যে বিনিয়োগের বিরোধী।
কোনটা তথ্য ফিট করানো ? আমি তো বলছি বাম ঠিক ছিল।
তথ্য ফিট করানো। একদম। :-)
সমস্যা হচ্ছে যে সিদ্ধান্তটি পূর্ব- নির্ধারিত। সেখানে তথ্য ফিট করার প্রচেষ্টা চলছে। ঐ দিদির "বাম আমলে মায়েরা গর্ভবতী" হয়েছিল বলে তিনো আমলে শিশুমৃত্যু হয়েছে জাতীয় তত্বের মত।
আমি তো বললাম, ইন্টেনশন এক আর এক্সিকিউশন এক। তাতে লালের গায়ে প্রগতিবিরোধী ছাপ লেগে গেছে।
আসল কথা হল, সত্যিই কম্পিউটার এর ফলে অনেক চাকরি কমেও গেছে। অবশ্যই পাশাপাশি ডিজিটাল রেভলিউশন ও হয়েছে। লাইফস্টাইল অনেক উন্নত হয়েছে। আবার ভারত আর ইন্ডিয়া আরো দূরে চলে গেছে। ডিজিটাল ডিভাইড ও হয়েছে।
কিন্তু প্রযুক্তি কে আটকানো খুব কঠিন। সে জগন্নাথ এর রথের মতো এগিয়ে চলতে চায় আর সামনের পথে কেউ পরে গেলে তার জন্য দাঁড়াবে না।
কম্পিউটারের বিরোধীতা করার সমালোচনাটা ঠিক কি?
সবাই কমনলি ইংরেজী আর কম্পিউটারএই দুটো সিপিএম এর ঐতিহাসিক ভুল বলে চালাতে চায়।
আমি বলবো এ আই নিয়ে একটা টই খোলা উচিৎ। কি হচ্ছে, কি হতে পারে, সুফল কুফল বিশদে আলোচনা র প্রয়োজন আছে। এ আই এর কোডিং এর খুঁটিনাটি বিষয় ছাড়া মোদ্দা কথা তার ব্যবহার এবং তার ফলাফল , ইমপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন।