অরিনবাবু বলেছেন চুরাশির আগে পর্যন্ত বিষয়টা জানাই ছিল না? ও তাহলে আমি পড়তে ভুল করেছি! বা পড়েছি, ঠিক বুঝতে পারিনি!!
কত দিন ছিল এই ঘাটতি? ২০১১ অবধি?
'অন্যতম প্রধান কারণ' তত্বটিও ভুলভাল। যা জানাই ছিল না ১৯৮৪-র আগে সেটার কি পরিণাম হতে পারে সেটা নিয়ে ২০২০ তে বসে বিস্তর তাত্বিকতা করা যায়। এটার সঙ্গে অরিন যেমন বলেছেন, খাদ্য সংকটের নিবিড় যোগাযোগ আছে। ১৯৭৭ এ পব "rice deficit state" ছিল।
ব্যাপারটা ছাড়ান দিন।
হ্যাঁ নাড়া নিয়ে দু'চারটে কথা। ক্যাপসুল বেরিয়ে গেছে। জমিতে ক্যাপসুল ছড়িয়ে দিলে ওই নাড়া সার হয়ে যাবে। তার আগে যেটা করা যেত, সেটা হচ্ছে পঞ্চায়েত থেকে এই নাড়া যন্ত্রের মাধ্যমে তুলে এক জায়গায় জড়ো করে কাগজ কলে চালান করা। ১০০ দিনের কাজে এটার সফল প্রয়োগ হতে পারত। মানুষ দুটো পয়সা পেত। চাষি পয়সা পেত। দূষণ কম হত। সিপিএম এই বিকল্পের কথা বলেছিল কি না, তা অবশ্য জানি না।
দেখুন তো কোথাও এ কথা লিখেছি কি না যে আর্সেনিকের জন্য বোরো চাষ 'একমাত্র' কারণ? 'সম্ভবত' লিখেছি 'অন্যতম' প্রধান কারণ। হ্যাটা করবেন করুন, আপত্তি নেই। একমাত্র পুঁজি তো ওটাই!
@PT:"কত শতাংশ বাড়িতে ২০২০ তেও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছোচ্ছে?"
এই ব্যাপারটা আপনি যেমন লিখেছেন, একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা। ২০১৯ এও ইউনিসেফ জানাচ্ছে যে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন বাড়িতে পানীয় জল/স্যানিটেশন ঠিকমত পৌঁছয়নি। আসলে আর্সেনিকের সমস্যার মূলেও জলবাহিত রোগের নিদানের একটা সম্পর্ক আছে | তার সঙ্গে আবার খাদ্যসংকট (৬০ এর দশকে) ও জড়িত।
@S, আর্সেনিক ও তার সমস্যা নিয়ে টই খোলার আইডিয়াটা খুব ভাল। লিখলে সত্যি ভাল হয় |
একটা সাহায্য দরকার
আমার ল্যাপটপে সমস্ত বাংলা লেখা আয়তক্ষেত্রাকার হয়ে যাচ্ছে, আজ সকাল থেকে। নতুন ফাইল খুলে নিজে লিখলে বাংলা আসছে। কিন্তু পুরনো ফাইল খুললে অধিকাংশ লেখা বা নতুন কোনও বাংলা লেখা সমেত ফাইল আয়তক্ষেত্র।
কী করণীয় যদি বলেন, খুব উপকার হয়। কাজ আটকে যাচ্ছে।
কী আর বলা যায়! এ মানে ---
অরিন ধন্যবাদ।
কোন রোগের কারণ নির্ধারণ, তার ব্যাপ্তি ইত্যাদি নির্ধারণ করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অন্য ব্যাপার। আর্সেনিক বাদ দিন, বহু দশক ধরেই জল বাহিত রোগের কথা জানাই আছে। কত শতাংশ বাড়িতে ২০২০ তেও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছোচ্ছে?
আর্সেনিক সমস্যা বর্তমানে সারা ভারত জুড়ে কি অবস্থা সেটা এখানে পাওয়া যাবে।https://iwaponline.com/jwh/article/14/5/827/28040/Policy-intervention-for-arsenic-mitigation-in।
এখান থেকে জানছিঃ An Expert Committee constituted under the Ministry of Drinking Water & Sanitation, prepared a key policy document, Uniform Drinking Water Quality Monitoring Protocol, which was released in February 2013 and issued to all the states (Ministry of Drinking Water & Sanitation 2013d)...........it is expected that all arsenic affected habitations, where the arsenic level is 0.05 mg/L or more, should be tackled by March 2017.
২০১৩? ২০১৭? সেকি? বামেরা চলে যাওয়ার এত পরেও তার সমাধান হয়নি??
কাজেই বোরো- সিপিএম- আর্সেনিক জুড়ে দেওয়ার (আপনি নন) প্রচেষ্টা অর্থ্হীন ও চুড়ান্ত বালখিল্যতা এবং নিছ্ক ছ্যাবলামি।
আরেকটা কথা সিপিএম এর কিছু আন্দোলন এর মূল ভাবনা ঠিকই ছিল, কিন্তু এক্সিকিউশন এ প্রবলেম ছিল।
১. ইংরেজি র বিরুদ্ধে না লড়ে লড়া উচিত ছিল বাংলার প্রাধান্য বজায় রাখতে। কিছু চেষ্টাও হয়েছে। আজ তো সত্যিই এখানে বাংলা একেবারে সাইড লাইন ইং আর হিং এর পাল্লায় পড়ে। তাহলে। ওদিকে তামিলনাড়ু, কেরালায় অনেকে হিন্দিতে বললে জবাব ই দেয় না। প্রাইম টাইমে প্রাদেশিক ভাষার মুভি চলে। হাই ক্লাস রেস্টুরেন্টে গিয়েও নিজের ভাষায় অর্ডার দেয়। বাংলায় তো পাতি কে এফ সি তে গেলেই ইংরেজির অপচেষ্টা শুরু হয়ে যায়। কেন ? যখন ক্রেতা ও সহায়ক দুজনেই বাঙালি ?
২. কম্পিউটার এ বেকার বেড়ে যাবে এটা ছিল অতি সরলীকরণ। আসল কথা অটোমেশন এ বেকার বেড়ে যাবে। ভারতের মতো শ্রম নিবিড় অর্থনীতির দেশে অটো মেশন খুবই বিপজননক। আজকে সত্যি কি বেকার বাাড়ে নি ? একজন কত আপস্কিিিল করবে ? 60 বছর অব্দি আপস্কিল করেে যাবে ?
এই নিননিছা গিরি করে গায়ের ঝাল মেটানো বন্ধ হওয়া উচিত, খুব বাজে লাগে। এমনি মজা করা আলাদা, যুক্তি দিয়ে না এঁটে উঠে থুতু ছুঁড়ে যাওয়াটা অন্য জিনিস।
যাই হোক। আমি বলবো এলেবেলে এই খানে একটু একদেশদর্ষি আচরণ করছে। আর্সেনিক টা সময়ের ফল, সেখানে বাম কংগ্রেস যে কারুর সময়ে হতে পারত। কংগ্রেস আমলে জল বেশি ছিল, পরে নামতে নামতে আর্সেনিক বেরোয়। হয়তো বিজ্ঞান বা কি হতে পারে এসব বিষয় ততটা জানা ছিল না, বা ভাবার অবকাশ পায়নি, বা জেনেও সলভ করা যায়নি। এই যে উত্তর ভারতে নাড়া পোড়ানো হয় এটা খারাপ আমরা সবাই জানি। এবার কং তখন তখত এ ছিল তো নাাড়া পোড়ার জন্য কং দায়ী এটাকি দাগিয়ে দেওয়া যায়?
রানি ভবানী নাকি সতীদাহের কিছুই প্রমাণ করেন না! তা তাকে কে বোঝাবে যে রানি ভবানীর অন্তত ৩০ বছর পরেও বাংলার একটি বিধবাও সতী হননি। তার কাছে এর কোনও প্রমাণ আছে? নাকি...
এর আগে এসেছিল জীমূতবাহন। তিনি কেটে উঠেছেন। এখন এক নতুন গাড়লের আমদানি।
অরিন, এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা টই খুলে লিখুন দেখি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আপনিই সঠিক লোক।
অরিনবাবু আমাকে সাপোর্ট করবেননাকো! এইমাত্র এক নিননিছা মূর্খ আমাকে গুরুর কঙ্গনা বলেছেন! এদের অলীক সুখ নিতে দিন!! এই চাঁদদের চেপে ধরলেই মুর্খামি বেরিয়ে পড়ে!!!
@PT , দীপঙ্কর চক্রবর্তীর ১৯৮৪ সালে জলে আর্সেনিক নিয়ে সমীক্ষার নেপথ্যে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার গবেষণার একটি সম্বন্ধ আছে, একটু বলা দরকার। ১৯৮৩-১৯৮৪ সাল নাগাদ ক্ষিতীশ বাবু একাধিক রোগীর মধ্যে আর্সেনিক জনিত চামড়ার অসুখ লক্ষ করেন। এঁরা সকলে উত্তর চব্বিশ পরগণা, ও সংলগ্ন গাঙগেয় অববাহিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। মূলত ক্ষিতীশ চন্দ্রের প্রাথমিক গবেষণার সূত্রে exposure assessment এর জন্য দীপঙ্কর বাবু শুরু করেন। এখানে যে কথাটা বলার, সেটা এই যে, ১৯৮২-১৯৮৩ তে যদি প্রথম দিককার রোগীদের শনাক্তকরণ হয়, আর্সেনিক সমস্যার সূত্রপাত অন্তত ১৯৬০ এর দশকে, এবং জিওলজিকালি শ্যালো টিউবওয়েল, বিশেষ করে গাঙগেয় অববাহিকায় শ্যালো টিউবওয়েল ও তার দল পানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
কাজেই, ১৯৮৪ তে আর্সেনিক সমস্যার নিয়ে লেখালিখি ও গবেষণার সূত্রপাত হতে পারে, মূল সমস্যাটি ৬০ এর দশকে থেকে শুরু হয়। এর এপিডেমিওলজির বিষয়টি নিয়ে আমার ডকটরাল থিসিস। কেন কলকাতা , কেন গাঙ্গেয় অববাহিকা, কেন শ্যালো টিউবওয়েল, এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে বহু গবেষণা আছে। কিছু জানা সমস্যার কথা এলেবেলে ও লিখেছেন দেখলাম।
থ্যাংক্স :-))))))))))))))))))))))))) শত্রু পক্ষ কেও অন্তিম যাত্রায় পাঠানোর কল্পনা করি না অবিশ্যি, অতটা খারাপ মাটি কামড়ানো ডিসিপ্লিন্ড ক্যাডার ইত্যাদি ইত্যাদি নই। :-)))))
সিপিএম আর্সেনিক এনেচে। গুরুর কঙ্গনার লেটেস্ট দাবী। চাম্পি চাম্পি!
হরি ওমের পর তৎ সৎ বলতে হয়। যাস্ট ফাই।
আপনারা শুনলে খুশি হবেন, একাধারে গান্ধী পরিবারের পাপ্পু সন্তান, অসৎ তৃণমূল নেতা ও ভন্ড সিপিএম নেতা আদরনীয় মোদিজী র আমলে করোনার সময়ে তৈরী হওয়া পি এম কেয়ার ফান্ড একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত এবং আপাতত নিয়ন্ত্রিত ফান্ড হওয়া সত্ত্বেও আর টি আই এর উর্ধে। এই সৌভাগ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত অন্য ফান্ড গুলির উপরে কেন বর্ষিত হচ্ছে না, সেটাই আশ্চর্য্যের। আশাকরি প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী তাদের ও সদগতি হবে। হরি ওম। বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কিন্তু ট্রাম্প ন্যাশভিল এক্সপ্লোশান নিয়ে চুপ কেন? কোনও টুইট করেছে?
তখন শ্যালো বসেনি। ইরিগেশন- এর জল চুরি করে এই চাষটা হত বর্ধমানের উর্বর জমিতে। সেই বর্ধমানের একটা বিশাল বেল্টে এখন শীতকালে শুধু সবজি আর ফুল চাষ হয়। নবদ্বীপের কাছে পারুলিয়া বলে একটা জায়গা আছে। সে কলকাতার অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষকে সবজি খাওয়ানোর ক্ষমতা ধরে। এমনি এমনি?
কোলকাতায় এত আর্সেনিক কেন?
প্রতিবার টেইলেন্ডাররা এত রান করে।
বোরো চাষ কোন সময় থেকে শুরু হয়েছিল? ১৯৭৫? না। ৭৭? না। ৮০? না। ১৯৮৫-র পরে বাংলায় ব্যাপক হারে বোরো চাষ শুরু হয়। তার দায় কার?
*দলে প্রচুর লোক
"Arsenic poisoning in humans was first reported in1984 from the lower Ganga plain of West Bengal, ." Environ Sci Pollut Res (2016) 23:9492–9504. JU-র অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর আগে পবর জলে আর্সেনিক নিয়ে ব্যাপ্ক আলোচনা সেরকম ভাবে কেউ করেননি। এমনকি উনি ক্লাশে পড়ানোর সময়ে (1975 onwards) এই জাতীয় কোন বিষয় উল্লেখ করতেন বলে মনে করতে পারিনা। কাজেই বামেরা ক্ষমতায় আসার আগে আর্সেনিকের ব্যাপারটা অজানাই ছিল। কিন্তু এই সমস্যা থেকে বাঁচার রাস্তা (বিশেষতঃ চাষের জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে) বিশেষ কেউ দেখাতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। বোরো চাষ বন্ধ করে দেওয়াটাও আদৌ কোন মুক্তির পথ সেই সময়ে ছিল ন।
এইসব ব্যাপার নিয়ে বালখিল্য সুলভ চপলতা দেখানো অর্থহীন। সিপিএমকে গাল দিলে যদি ঘুম ভাল হয় তো দিন কিন্তু baseless গুজব রটাবেন না।
যে দলের নেতা কংগ্রেসকে মমতার আঁচলের ওপরে না নিচে বলে অঙ্গভঙ্গি করে এবং তার পরে তাদের সঙ্গে হাত মেলায়, তাদের কোনও দিন ব্যাখ্যার অভাব হয়? বলে প্রচুর লোক আছেন যারা মেলাবেন তিনি মেলাবেন কবিতাটি মুখস্থ করে রেখেছেন।
বোরো চাষ করতে সমীক্ষা লাগে? কেন? সিপিএমের নেতারা কিছু কম জানে? ওরা যা বলবে সেটাই নিয়ম। প্রাথমিকে ইংরেজি হোক, বোরো চাষ হোক, পঞ্চায়েতের দুর্নীতি হোক, কৃষি খামারে রাজনীতি হোক, মিউনিসিপ্যালিটিতে ক্যাডার ঢোকানো হোক - তার আবার সমীক্ষা!
আর্সেনিক বলবেন খ ও আকা। আমি তো ফেকু এলেবেলে।