শেষ পর্যন্ত যেটা দাঁড়িয়ে যায়, কি ফ্রেম অফ রেফারেন্স এ ডিবেট টা হবে। সেটাতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য ই রুলিং ক্লাস এই জন্যেই এতো মেডিয়া তে, বা অপিনিয়ন ইন্ফ্লুয়েন্সিং er অন্য আধুনিক টুলে এত ইনভেস্ট করে। মানে চীন বা রাশিয়া হয়ে গেলে আর দরকার হবে না, নিয়মিত অ্যাকসিডেন্ট হলেই হবে। আর ভারত হলে তো হাফ প্যান্ট পুলিশ আর কংগনাই যথেষ্ট।
হেজেমনিক ভয়েসের নেচার টাই হল, সে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের ও প্রভাবিত করবে। ডেমোক্রাট দের ইকোনোমিক জাস্টিসের প্রশ্নে , ইমিগ্রেশন প্রশ্নে প্রচুর ফাঁক আছে। বার্নি কে কেনো কালো রা ভোট দিলো না, এটাও পরিষ্কার না, ইউনিভারসাল মেডিকাল ইনশিয়োরেন্সে এবং টিউশন ফ্রি কলেজে ব্লু ওয়াল এর লোকেরা কেন সমর্থন করলো না সেটাও প্রশ্ন ------
"হোয়াইট হেজেমনির বিপদের দিন ঘনিয়ে এসেছে, এই ফল্স ভয়ের চোটে এগিয়ে এসে তাইলে তো রিপাবলিকান দের কে জেতানোর জন্য আর বাড়িতে বসে থাগলে চলবে না, এই ভাবনার লোক এসেছে, সেটা অবশ্য হিসেব করা কঠিন"।
খালি হোয়াইট হেজিমনির কথা ভাবলে আরো কঠিন হিসেব হচ্ছে ট্রাম্প কি করে ১২% ব্ল্যাক ভোট পেল। রেগনের পরে এই প্রথম।
আরে যাত্রা তো গ্রামে মশাই, তার স্বাদ শহর পাবে কী করে? মহিলাদের বসিবার ও সাইকেল রাখিবার সুবন্দোবস্ত থাকিবে। ভৈরব গঙ্গো, বীণা দাশগুপ্তা, অরুণ দাশগুপ্ত, শান্তিগোপাল সব একসে বড়কর এক। লাস্টে টিনের বেড়া ভাঙত। আর যাত্রার উত্তমকুমার স্বপনকুমার হেলিকপ্টারে চড়ে সুন্দরবনে যাত্রা করতে গিয়েছিলেন। হাল খারাপ হলেই সিনেমার লোকজনও টুপ করে যাত্রায় ঢুকে যেতেন। সবই মায়া!
আইডিওলোজিকাল ল্যান্ডস্কেপে, ' 'জীবনে এগোনোর জন্যে ডিসিট করতে হবে' - এটা 'দুদিকেই টাকা দেই' এর ভালো বাংলা মাত্র।
হ্যাঁ ডেম দের যারা কোনদিন ভোট দেবে না, এরকম লোকের সংখ্যা বেড়েছে, না আগে ভোট দিতো না, কিন্তু এখন ডেমোগ্রাফিক বিপদ আছে , হোয়াইট হেজেমনির বিপদের দিন ঘনিয়ে এসেছে, এই ফল্স ভয়ের চোটে এগিয়ে এসে তাইলে তো রিপাবলিকান দের কে জেতানোর জন্য আর বাড়িতে বসে থাগলে চলবে না, এই ভাবনার লোক এসেছে, সেটা অবশ্য হিসেব করা কঠিন। ট্রাম্পের কৃতিত্ত্ব হল, সে দুদিকের মোবিলাইজেশন ই বাড়িয়েছে। পোলারাইজেশন er এটাই এফেক্ট। তবে সে তো আর এত ভেবে করে নি, টিভি শো করতে এসেছে , করেছে, ফক্স নিউজ এর বাজার খাবে, যদি টিভি স্টেশন সত্যি ই করে ফেলে। পরের বাড়ির সমস্যা অবশ্য :-)
ট্রাম্পের পপুলারিটি ঠিক 'জীবনে এগোনোর জন্যে ডিসিট করতে হবে' এই লাইনে তৈরি হয় নি। ২০১৬ এ ট্রাম্প যেভাবে নিজেকে প্রজেক্ট করেছিল সেটা হচ্ছে আমি একজন আউট্সাইডার। ধরে ধরে প্রতিটা এস্টাবলিশ রিপাব্লিকান কনটেনডারকে প্রায় ডেমোলিশ করেছিল। সেই সঙ্গে ছিল একটা শেমলেস কিন্তু সত্যি কথা বলেছিল যে আমি ডেমোক্রাট আর রিপাবলিকান দুই দলকেই টাকা দি এবং যখন যাকে দরকার তাকে ইউজ করি। এই কথাটা প্রতিটা র্যালিতে বুক ফুলিয়ে বলত। আর সেই সাথে এটাও বলত যে আমি সেল্ফ মেড বিলিওনেয়ার, আমার কারোর টাকা দরকার নেই। আমি নিজের মতে চলব। সবথেকে পপুলার স্লোগান ছিল ড্রেন দা সোয়াম্প।
লোকে, বিশেষ করে গ্লোবালাইজেশানের জন্যে যাদের অবস্থা খারাপ হয়েছিল সেই রকম লোকজন এইটুকু অ্যাট্লিস্ট অ্যাডমায়ার করেছিল এবং এখনো করে। প্রেসিডেন্ট হবার পর যদিও এইসব প্রমিস বেশিরভাগ আর ইম্প্লিমেন্ট হয়নি। কিন্তু এতদিনে একটা লয়াল বেস তৈরি হয়ে গেছে যারা যে কোনো কারণেই উল্টোদিকে ভোট দিতে রাজি নয়।
যাত্রা টা বেশি শ্রীনিকেতনে আর বোলপুরে হত। আমরা মাঘমেলার আগে পরে দেখতাম।
আপারেন্টলি আমি ওপেনিং 'চ্যঁ্ন্ভ্যে চ্যাভে পো' (অবন ঠাকুর ভারসন ) এর মিউউজিকের সময়ে আমি নাকি নাচানাচি ও করতাম। :-)))
বিভিন্ন চিৎঅপুরের দল আসতো আর সুরুল এর নিজের দল ও যাত্রা করতো। যাত্রা শেষে গরুর গাড়ি , বা জীপ বা বাস এর ব্যাবস্থাও থাকতো গ্রামে ফেরার জন্য। লন্ঠন নিয়ে লোকে যাত্রা দেখতে আসতো। পিতামহী র বীর পুরুষ সংগী হিসেবে যাবার দায়িত্ত্ব আমার ই পড়তো :-))))))))))))))))))) মিড সেভেন্টিজ --আর্লি এইটিজ।
রাত্রি দশ ঘটিকায় যাত্রা হয় পৌষমেলায়? তাহলে তো একবার যেতেই হবে।
ইয়ে ঘড়িবাবু কি কোনও কালে কোনও ঘড়ি কোম্পানিতে চাকরি করতেন? সবই দেখি ঘড়ি-ঘন্টা মেপে কথা বলেন। তবে কি না ঘড়ির শাসনও কলোনির উপহার! খ্যাল রাখবেন।
ওবাবা স্যান্ডি ৪ ডিসে ৬টা ১০: পাঁচ বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেও পৌষ মেলার সময় রাত্রি দশ ঘটিকার যাত্রাপালা দেখেননি? ধূসর রঙের চাদর মাথামুড়ি দিয়ে প্রবল ঠান্ডায় চিনেবাদাম চিবোতে চিবোতে দেখার কথা ছিল তো!
আর ম-কে ৪ ডিসের ৬টা ২৩-এর প্রেক্ষিতে বলার ছিলো -- কথাটা "রিস্কা" :)
** প্রস্যুটো।
অরিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৩৯
পুরো পোস্ট ট পড়লে আর আগের ঐ আইটি মহিলার ভিডিও টা দেখলে অদ্ভুত কোথায় লাগে বোঝা যাবে।
মোদ্দা বিষয় হল, বড় ইকোনোমি তে, বিশেষতঃ আমেরিকাতে সোশাল মোবিলিটি তুলনায় বেশি থাকায়, মোটামুটি সততা / পরিশ্রম ইত্যাদির একটা দাম ছিল ও আছে, মানে গ্লোবালাইজার দের 'সফি' জব / বড় শহরের 'গুড লাইফ' এর গুলোর বিরুদ্ধে জনরোষ এর এটাও একটা কারণ। মানে ধরেন , ডানকিন ডোনাট্স বনাম স্টারবাক্স এর লড়াই, অথবা হ্যাম বনাম প্রসকুইটো র লড়াই। সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব। ট্রাম্প এর ন্যারেটিভ এই জায়্গাটা আমি বুঝি না।
ট্রাম্পের ন্যারেটিভ যেটা বাইরে থেকে গ্লোবালাইজেশন এ তৈরী সফি জীবন সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরল গোলগাল হার্ড হ্যাট হার্ড বুট্স এর জীবনের সারল্যের অথেন্টিসিটির পক্ষে কথা বলে, সেটা একই সংগে কি ভাবে 'জীবনে এগোনোর জন্য বা সোনার কমোড এর জন্য ডিসিট করতেই হয়' এই গোছের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ মেশে কি করে, সেটাই আমার অদ্ভুত লাগে। মূলতঃ ।
ওকে ,ইউজিন এর ব্যাকগ্রউন্ড টা এবার বুঝেছি। অমি এতোক্ষন ভাবছিলাম ওটা হিটলার নামের মত আইনত নিষিদ্ধ কিছু কিনা।
অরিন লিখেছিলেন কোথায় থামতে হবে সেটা জানা জরুরি। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই লাইনটা সাবজেকটিভ, বিশেষ করে আমেরিকার মত বহু ভাষা, ধর্ম আর সংস্কৃতির দেশে। একমাত্র যেখানে স্পষ্ট আইন রয়েছে সেটা অবজেটিভ বলে ধরা যায়। তাই যতক্ষণ লোকে আইন ভাঙছে না, ততক্ষন কে কোথায় থামবে বলা মুশকিল। আমি যাকে অসভ্যতা বলে মনে করি সেটা অন্য কারোর কাছে গ্রহণ্যোগ্য হতেই পারে। এবং উল্টোটাও সত্যি হতে পারে। তাই অ্যাবসলিউউট বাক স্বাধীনতা হচ্ছে সেফ বেট। আপনার কারোর কথা বা কাজ ভাল না লাগলে আপনিও কষে গালি দিন। পুলিশ, আদালতের ভয় না পেয়ে।
তবে পুলিশ আদালত না হলেও যে কোনো রিপার্কাশন হবে না তার গ্যারান্টি নেই। ওভার অল একটা সামাজিক নর্ম রয়েছে যেটা বেশির ভাগ লোকে মেনে চলে।
নিজেরা তো মরলই, সর্বনাশ করে দিয়ে গেল সুন্দর চিহ্নটাকে ধাক্কা মেরে পয়তাল্লিশ ডিগ্রী বেঁকিয়ে দিয়ে। সমস্ত গন্ডগোল করে ফেলল। আরে, একটা কিছু জোরজার করে নিলেই হয়?
@Amit:"ইউজিন টা সত্যই জানিনা , কিন্তু আমার অফিসেই তো দুটো ইউজিন আছে দুটোই সাদা অস্ট্রেলিয়ান"
আপনাকে একটা গ্রাফ দেখাই |
(সূত্র: https://www.behindthename.com/name/eugene/top)
এটা অবশ্য আমেরিকান নামের স্ট্যাটিসটিকস, তবে ফ্রান্সেও একই রকমের প্যাটার্ণ | তার মানে আপনার আপিসের ছেলেদের নামের মতন, তাই বলে কেউ কি রাখবে না? এইরকম বাইনারি ভাবে ভাবেন কেন কে জানে?
লক্ষ্য করে দেখুন ১৯৩০ সাল নাগাদ আমেরিকায় এই নামটি খুব জনপ্রিয় ছিল। তার পরে ঝপ করে এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আর পরে। এর সঙ্গে স্ট্যাটিসটিকস আর জেনেটিকসের ইতিহাসের একটা গল্প আছে। আশাকরি বুঝতে পারছেন|
ওদিকে করোনা তো প্রচন্ড প্রতাপে তেড়ে উঠছে। আর কিনা এরা যাত্রা করে যাচ্ছে এই সময়ে।
ট্রাম্প আর ইলেকশন লড়বে না। ওর টাকার দরকার, একটা রাইট উইং থার্ড ক্লাস চ্যানেল খুলবে, তাতে টাকার, হ্যানিটি, ইনগ্রামের মতন লোকজনকে হায়ার করবে, এসব তারই গ্রাউণ্ড ওয়ার্ক।
ফেক নিউজে বাইডেন আর কমলা এসেছে:-)
আমার ছেলে ইউজান, ইউzআন, ইউহান পেরিয়ে এখন মোটামুটি স্বনামে পরিচিত হয়:-)
অরিন , ইউজিন টা সত্যই জানিনা , কিন্তু আমার অফিসেই তো দুটো ইউজিন আছে দুটোই সাদা অস্ট্রেলিয়ান । বেশি বয়সও না , বাচ্চা ছেলে.
ট্রাম্প আর রুডি পাতি ৱ্যাবল রাউসিং করে যাচ্ছে । এরা ভালোই জানে যে এসব নুইসেন্স একটাও কোর্টে দাড়াবেনা। এসব আসলে নেক্সট ইলেকশন এর গ্রউন্ড ওয়ার্ক সেরে রাখছে। সমানে ভোটার ফ্রড এর থিয়োরি ছড়িয়ে বিডেনকে ইললিগাল প্রেসিডেন্ট এর প্রোপাগান্ডা করে যাবে আর ফান্ড রাইসিং করে যাবে । অলরেডি ২০০ মিলিয়ন তুলে ফেলেছে। পাবলিক ও সেরকমই। হাত খুলে দিয়ে যাচ্ছে ওদের ফুর্তির পয়সা জোগাতে।
কিন্তু আমাৰ মনে হয় ইটস টু আর্লি টু স্টার্ট দা ব্যান্ডওয়াগন চার বছর অনেক অনেক সময়। এখন রিপাবলিকান যারা ট্রাম্পের সাপোর্ট বেস এর ভয়ে চুপ করে আছে তাদের অনেকেই চার বছর পরে নিজে প্রেসিডেন্ট হতে চাইবে। তারা যখন দেখবে সেই ট্রাম্পই আবার গদিতে বসবে , তাদের কপালে লবডঙ্কা , তখন বাওয়াল লাগবেই।
আর ডেমরাও ছাড়বেনা ওকে. ইনকাম ট্যাক্স , সেক্সচুয়াল এসল্ট সবরকমের মামলায় ফাঁসিয়ে রাখবে। প্রেসিডেনশিয়াল পার্দন শুধু ফেডারেল ক্রাইম এর জন্যে হয় . কিন্তু সেক্সচুয়াল এসল্ট স্টেট্ আইনের মধ্যে পড়ে।
"আমেরিকায় আমার যেটা অদ্ভুত লাগে, সেটা হল, সাধারণ মানুষ যথেষ্ট সৎ"
এতে অদ্ভুত লাগার কি আছে?
"প্রথম নাম হিসেবে এডলফ আইনত নিষিদ্ধ নয় , কিন্তু খুব ঊনপলুলার। "
হ্যাঁ, যেমন প্রথম নাম হিসেবে "ইউজিন" আজকাল আর কেউ রাখে না। কেন জানেন তো?
জার্মানি তে কিন্তু এখন এডলফ হিটলার এর নাম রাখা নিষিদ্ধ। মানে কেও নিজের বাচ্চার নাম এডলফ হিটলার রাখতে পারেনা। প্রথম নাম হিসেবে এডলফ আইনত নিষিদ্ধ নয় , কিন্তু খুব ঊনপলুলার।
আমেরিকায় আমার যেটা অদ্ভুত লাগে, সেটা হল, সাধারণ মানুষ যথেষ্ট সৎ। মানে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের থেকে কম সৎ এরকম মনে হয় নি। ইন ফ্যাক্ট কখনো কখনো মনে হয়, চালিয়াতি জিনিসটা কম ই, আপিসে কাছারিতে। কিন্তু এটা আমি বুঝি না, কেন জানি কিছু লোকের মাথায় ঢোকে সম্পূর্ণ স্ট্রেট ফেসড ঢপ দিতে পারলে সেটা গ্রহণ করানো সোজা।
এই নিন,
"A politician named after Adolf Hitler has won a seat at a Namibian election - but says he has no plans for world domination.
Adolf Hitler Uunona was elected with 85 per cent of the vote in the former German colony, which is still home to a small German-speaking community and where a number of streets, places and people still bear German names."
৯ - ১১ র সময় এই লোকের কত নাম ডাক। অথচ ঐ ৯ - ১১ র জন্য লোকে ভুলে যায়, নিউ ইয়র্ক শহর জেন্ট্রিফিকেশনে তার কত সুনাম। গরীব দের পেঁদিয়ে বের করা। এন ওয়াই পি ডি র এখনকার চেহারা তার ই মডেল। এখন তো যাতা নাটক শুরু করেছে, জাস্ট পয়সার জন্য। তবে বোরাট এর ছবিতে প্যান্টে হাত দেবা কেস টা ঢপ, ফাল্তু ভুল ভাল রিয়েলিটি টিভি।
রুডি ভালো লোক জোগাড় করেছে। দিনে বিশ হাজার ডলার সোজা কথা।
বোধিসত্ব দাশগুপ্ত