কোথায় একটা পড়েছিলাম যে ১৯৮২ সালে মারাদোনার ঐ লাল কার্ড পাওয়ার আগে মারাদোনাকে ২৬ বার ফাউল করা হয়েছিল। কিন্তু তখন খুচরো ফাউলের জন্য কার্ড দেখানো হতনা, সে যতবারই করা হোক না কেন। বিগত দুইতিনদিন ধরে এই লালকার্ডের কথাটাই ভাবছিলাম। আর আজকে এই খবর।
তখন অফ সাইড, ফাউল, কার্ডের যেসব নিয়ম ছিল তার মধ্যে আর্জেন্তিনার মতন একটা দলকে একা বিশ্বকাপ পাওয়ানো একমাত্র মারাদোনার পক্ষেই সম্ভব ছিল।
তন্দ্রা বর্মন? জরাসন্ধের জেলের গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা ন্যায়দন্ড?
আমি মারাদোনাকে প্রথম দেখি ৮২ তে, ব্রাজিলের সাথে খেলায়, কার একটা বুকে লাথি মেরে লালকার্ড দেখেছিল। ১৯৮৬ তে মারাদোনা যা খেলেছিল সেটা কি যাদুবলে সম্ভব হয়েছিল জানি না। মেরে, সাতজনে মিলে ঘিরে ধরে, ধাক্কা দিয়ে কিছুতেই মারাদোনাকে আটকানো যায় নি। ঐ খেলা হিউম্যানলি অসম্ভব এখন মনে হয়।
এটাও আজ চোখে পড়ল https://www.anandabazar.com/editorial/letters-to-the-editor/bengali-actress-tandra-barman-dies-1.776195?ref=related-stry-2
বাকি পাতা ও দেখে না থাকলে
১৯৯০ তে নেপলসের দর্শকেরা সেমি ফাইনালে ইটালিকে সাপোর্ট না করে আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটিয়েছিলো।
কাজ হয়েছে। না হয়ে যায়? 'কাটলেট দু'জনা
কোলাকুলি করে না' ঃ-)
আতোজ, তোমার সুপার কন্ডাক্টারের কাজ হল ঔ ভাল্লুক-কচ্ছপ দিয়ে?
ওই নামাবলি জড়ানো ছবিটা ফেবুতে প্রচন্ড হারে ভেসে ভেসে উঠছে।
নপোলি-র মারাদোনা। এই খেলাগুলো দেখা হয় নি, আপশোষ
ট্রাম্পের পার্ডন ট্রেন চালু হয়েছে।
ইতালির লীগের খেলাগুলো। কারেকা কে দিয়ে গোলের পর গোল করানো। ফ্রিকিক গুলো। ভাগ্যিস দেখতে পেয়েছি লাইভ। এমন ইম্প্যাক্ট একটা ফুটবলারের হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস হত না। বিশেষ করে দলগত খেলায় ।
অমিয় তরফদার তখন আবাপর ফটোগ্রাফি কভার করত, একটা ছবি খুব বিখ্যাত হয়েছিল - মারাদোনা নামাবলী গায়ে জড়িয়ে।
১৯৮৬-তে সামার ট্রেনিং, হায়্দ্রাবাদ সিএমসি। রাত জেগে অফিসের টিভিতে মারাদোনা আর প্রতিদিন বিকেলে মাঠে খেলার সময় আবারও বিস্মিত হওয়া, কি করে ঐ অসম্ভব ড্রিবল গুলো অবলীলায় করে লোকটা
পেলের খেলা লাইভ দেখি নি, জর্জ বেস্ট-কেও । তবে মারাদোনাকে দেখেছি, বিশাল প্রাপ্তি
আমি ভাগ্যবান যে ১৯৮৬ সনের সবকটা খেলা লাইভ দেখেছি। সেবারই প্রথম দূরদর্শন সবকটা খেলা সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। একক দক্ষতার অমন প্রদর্শন তাও আবার একটা পুরো টুর্ণামেন্ট জুড়ে আর কখনো দেখি নি।
ইংলণ্ড্যের খেলার দিন আবার ইভিনিং শোয়ে কাকু-কাকিমার সাথে "গানস অফ নভারন" দেখতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে কোনরকমে তাড়াহুড়ো করে খেলা দেখতে বসি, তারপরে প্রথমে হ্যান্ডস অফ গড, তারপরে ঐ গোল। যদিও আমি বরাবর ব্রাজিলের সাপোর্টার।
হুম। বন্ধুর কাকা। প্যাপিরাসের প্রেস থেকে আমাদের প্রথম নাটকের আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। ওনার স্ত্রী নমিতা মজুমদার বহুরূপীতে নাটক করতেন।
স্বপন মজুমদার
মাইমা, কোন স্বপনবাবু?
'মারাদোনা মারাদোনা' বইটা আমিও পড়েছিলাম ছোটোবেলায়। মারাদোনা ফুটবলের ভগবান ছিলেন না। ভগবান যদি কখনও ফুটবল খেলতে চান, তাহলে মারাদোনার মতন খেলতে চাইবেন, এবং ব্যর্থ হবেন। আমার কাছে ফুটবল মানেই মারাদোনা ছিল, আছে, এবং থাকবে। জঘণ্য একটা সময় চলছে। আর কিছুই ভালো লাগেনা। মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন আমার মনের মধ্যে। চোখদুটো ঝাপসা হয়ে ওঠে।
জীবনে সবথেকে আনন্দ পেয়েছি মারাদোনার খেলা দেখে। ফুটবলকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম এই লোকটার জন্যই। অনেক কিছুই বলার থাকে, তবু সেসব বলে আর কি হবে।
ছোটবেলা থেকে মেজোবেলার রাতজাগা আনন্দের একটুকরো চলে গেল...
ওদিকে যাদবপুরের স্বপন বাবুও চলে গেলেন কোভিডে।
সকাল শুরু হয়েছিলো এক কাজিনের নিউমোনিয়ায় হাসপাতালের ভর্তি হবার সংবাদে। তারপর এক বাল্যবন্ধুর বাবা র আত্মহত্যার খবর এলো
অবিশ্বাস্য দিন একটা
ব্রাজিল কে বাদ দিয়ে অন্য কোনো টীম এর খেলা দেখতে বাধ্য করেছিল এই লোকটা
৯০ সালে এই লোকটার জন্যই ব্রাজিল বিদায় নেয় , তা সত্ত্বেও খারাপ লাগাতে পারি নি (যদিও পুরো খেলাটা ওই একটা পাস বাদে যা তা )
এরকম প্লেয়ার ১০০ বছরে একটাই হয়
প্রথমবার কোন প্লেয়ার চলে যাওয়ায় এত মন খারাপ এত ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। ১৯৮৬র সেই বিশ্বকাপ দেখব বলে কিস্তিতে ১৪ ইঞ্চি সাদাকালো টিভি কিনেছিলাম। অকালে গেলেন ।
একটা স্পোর্টস ম্যাড পরিবারে জন্মেও, খেলাধুলায় কোনদিন ইন্টারেস্ট পাইনি। সবাইকে নিরাশ করিয়েছিলাম। আমার আট বছরের জন্মদিনে পাড়ার এক বন্ধু দাদা, 'মারাদোনা মারাদোনা' নামে একটি বই উপহার দিয়েছিল। সে তার কি উৎসাহ বইটি পড়ে শোনানোর! জন্মদিনে খাওয়া দাওয়া, গল্প গুজব চলছে আর সেই দাদা আমার পাশে বসে পাতা উল্টে উল্টে পড়ে শোনাচ্ছে সে পাড়ায় নিয়মিত ফুটবল খেলত। বইটা এখনো আছে। বোধহয় লেখক রূপক সাহা।
ছিয়াশির সেই গোল। কি যে হচ্ছে এ বছর।
মারাদোনা :(
Zoom App install করে Join a meeting এ প্রাপ্ত Zoom id টি দিয়ে join করলেই প্রগ্রামে ঢুকে পড়া যাবে ।