পাই,
গুরু'র ছন্দ নিয়ে অসাধারণ সেই টই আরেকবার তুলে দিলে হয়না? বিশেষ করে শেষপাতে যখন সায়ন্তনী পতিতুন্ড এসে কঠিন কঠিন ব্যাপারগুলো একেবারে জলবৎ তরলং করে দিলেন।
ওটা সম্পাদন করে বই করলেও খুব ভাল হয়। নীরেন চক্রবর্তির বইটার পর ছন্দ নিয়ে এটাই মারকাটারি বই হবে, মাক্কালী!
ভাল কবি খারাপ কবি হয় না। ভালো কবিতা হয়, খারাপ কবিতা হয়।
দ্যাখেন আর্ট (কবিতা শুদ্ধু ) পুরোটাই আর এন্ড ডি। বেশির ভাগ রদ্দি বেরোবে, কয়েকটা চলনসই, দু চাট্টে পড়ে মনে হবে, আহা, আমি যদি এরকম লিখতে পারতাম!
এই আর কি।
অনিরুদ্ধ লাহিড়ী বিরাট সত্যি ই বিরাট জ্ঞানী মানুষ। এতটাই, যে এটা আমি শুধু বলেছি বলেই পাড়ার লোকের আমাকে ক্যালানো উচিত, যে ব্যাটা তুই বুঝিস কি। ক্লাসিক্স বলতে যা বোঝায়, কিছুই হয়তো পড়া , অনুধাবন করা বাকি ছিল না। মুখের থেকে চোখের সমস্যার জন্য কয়েক ইঞ্চি ধরে ধরা বই, এবং আশে পাশের পৃথিবী রসাতলে গেলেও এই টার ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে হয় না। সারাজীবন, সারাদিন। আর সন্ধেবেলায় চাঁদের হাট ।
কিন্তু তিনি এই কিস্সা বইটা কেন লিখেছেন জানি না। কমপ্লিট ওয়েস্ট অফ টাইম। শিল্পী , বুদ্ধিজীবি দের কে নিয়ে লোকের , নিজেদের মধ্যে ও এই বাজে র্যাংকিং করার প্র্যাকটিস আছে, সেটাকে গ্রন্থনা করার কি দরকার আমি বুঝি না। এতে তাঁর প্রিয় বন্ধু কমল কুমার এর কি সম্মান বৃদ্ধি হয়েছে জানি না। স্বল্প পঠিত দের সম্মান দেবার দরকার আছে সেটা বুঝি, কিন্তু ইনসুলার কাল্ট ফলোয়িং আর এই বিচিত্র র্যাংকিং এর প্রয়োজন আছ্হে বলে মনে হয় না। এটা একটা ঘোড়া রোগ।
এস্থেটিক চয়েস , পাবলিল্কেশন কোয়ালিটি, পোলিটিকাল চয়েস, সোশাল ভ্যালু চয়েস , অন্যান্য পাবলিকলি হেল্ড পজিশন, ব্যক্তিগত ইন্টিগ্রিটি ইত্যাদি সব কিছুই হয়ত আলোচনা যোগ্য, কিন্তু একটা লোক প্রতিভায় ৫০ না ৭০ না ৮০ এরকম আলোচনা কে জাস্ট বাচ্চা দের শুধু না, বোকা বাচ্চা দের কাজ মনে হয়।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
তিমি, "একাকী গায়কের নহে তো গান, " ইত্যাদি প্রভৃতি।
'মিশ্বাস'টা ভোক্যাবসে গেলে ভালো হবে।
ডিঃ মঃ,
বিশ্বাস হবে মিশ্বাস না *
প্রথমত, সব কবিতা সবাইকে ধরে বেঁধে ভালো লাগিয়ে ফেলতে হবে এমনটা না। সবার পড়ার মত কবিতা বলে কিছু হয়না। একি করোনার ভ্যাক্সিন নাকি? পড়তে ইচ্ছে হলে পড়বে, ভালো লাগলে আরো পড়বে, নইলে পড়বেনা। তারাপদ রায় (বা আরো কেউ ) মোটেই পাঠককে এনগেজ করতে পারছিনা বলে অভিযোগ করবেন না । আর শুধু কবিতাই বা কেন, গদ্য ছবি ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়েই তো এটা হয়। :)
একজন কবি অন্যকে পড়ানোর জন্য কবিতা লেখেন না বলে আমি মনে করি। ভুল বোঝার জায়গা আছে, তাই স্পষ্ট করে দিই। কবি কবিতা লেখে কারণ লিখতে ইচ্ছে করে, না লিখে থাকা যায়না তাই। এইটা প্রাথমিক। এর পরে সে জিনিস কেউ কেউ (সবাই না ) প্রকাশও করেন। পড়ে অন্যের ভালো লাগলে কবিরও নিশ্চয়ই ভালো লাগে। হয়ত কোথাও একটা কানেকশন তৈরী হয়েছে বলে মনে হয়। হয়ত খ্যাতি হচ্ছে বলে আনন্দ হয়। কারুর আনন্দে চাকরিও হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমি মিশ্বাস করিনা একজন কবি এইসব ভেবে কবিতা লেখেন। মানে অসম্ভব না, তবে ওতে তেমন ভালো কবিতা হওয়ার সম্ভাবনা কম ।
aka, তারাপদ রায়ের মাতাল সংস্করণ এর সবটা ভালো আমি বলিনি, বলতেও চাইনি, ও বইটার কথা তারাপদ রায়ের লেখার স্টাইল নিয়ে তুলেছিলাম । যেটুকু সে বইতে যে লেখাগুলো তিনি নিজে লিখেছিলেন, সেগুলো কিন্তু বেশ ভাল ছিল । তবে ওই আর কি, বইটাতে প্রচুর চুটকিও আছে অবশ্যই ।
আরে কবিতা পড়ে ভালো না লাগলে কেন বলবনা? আলবাত বলব। তার জন্য বিশেষজ্ঞ কেন হতে হবে? তারাপদ রায়ের কবিতা আমার গোটা পাঁচেক ছাড়া ভালোই লাগেনা। সেটা বলবনা?
সোনালী সেনগুপ্তের লেখা খুব ভালো লাগত। এখন দেখতে পাইনা বেশি। কবিদেরও যে প্রকাশকের যত্ন লাগে, তার হাতে গরম উদাহরণ সোনালী সেনগুপ্ত।
কৃত্তিবাস'দের মধ্যে আমার বাক্তিগত ফার্স্ট শঙ্খ ঘোষ, শক্তি তার পরে, সুনীল সেকেন্ড ডাউন, আর তারাপদ রায় টুয়েলভথ ম্যান।
বলেই ফেলি। আমার আবার তারাপদ রায়ের কিছু কবিতা মনে দাগ কেটে গেলেও, আর এমনিতে পড়তে দিব্বি লাহলেও অনেক কবিতাই সেরকম ভাবে মনে থেকে যায়না। বা, অনন্যসাধারণ মনে হয়না। এই যে সহজ, সরল কথার আড়ালে শান্ত গভীর প্রগাঢ় জীবনবোধের কথা হচ্ছে, যেটা মানে ওঁর ইউএসপি বলে খুবই চালু সেটা কিঞ্চিিত ওভারহাাাইপড লাগে।
কিিিউ ছচ কবিিিিতায়তাত অবশ্যই লাগেনি।
গভীরতা কম, সরলতার চটক বেশি মনে হয়েছে।
শেফালিকার নরমপর্বত আমারো প্রিয়।
কিন্তু এই যেমন ধরুন এইটি। বেশ ক্যাচি। মনে থেকে যাবার বা কোট করার মত। সরল এবং অন্যরকম উপমার জন্যই হয়তো অনেক লোকের খুব মনে ধরবে।
শালগম ওলকপির দিয়ে কবিতা স্বপ্ন বইয়ের স্তরবিন্যাস চটকদার, লোককে টানার মত তো বটেই। কবিতায় এমনটা তো আসেও না। খুব অন্যরকমও।
বই এবং পড়ার মত বই,
স্বপ্ন এবং দেখার মত স্বপ্ন,
কবিতা এবং কবিতার মত কবিতা।
এদের মধ্যে তফাত করার কথাও মনে ধরে। টানে, বেশ টানে।
কিন্তু প্রথমবার টানার পরে দ্বিতীয়বার পড়তে গিয়ে বা চিবোতে চিবোতে বিষম খাই, হোঁচট খাই।
শালকপি ওলগম কি সূর্যমুখী চন্দ্রমল্লিকার মধ্যের পার্থক্য দিয়ে এদের বই এবং পড়ার মত বই কি স্বপ্ন এবং দেখার মত স্বপ্ন অথবা কবিতা এবং কবিতার মত কবিতাদের পার্থক্য মোটে মেলাতেই পারিনা।
তুলনাটা মোটেও খাপে খাপ লাগেনা। কোথাও ঠেকে যাই, অস্বস্তি হয়। টানেনা আর তো নাই, বিকর্ষিত হই।
এমনটি আরো কিছু কবিতায় হয়েছে।
এমন সব তথাকথিত ক্যাচি কবিতা আমার মত কিছু পাঠককে হয়ত ক্যাচ করতে করতেও ফস্কে ফেলে!
এহ, মডার্নিস্ট হবে।
কলাজগতের আদা বা কাঁচকলা কোনো কিছু নিয়েই তেমন ধুন্ধুমার হয় না।
আর শুধু কবিতা কেন? ধরো ফিকশন নিয়েই বা কি ছাতার মাথা চর্চা হয়েচে, নিজেরা হাত মকশো ছাড়া।
একটা বিরাট গ্যাপ আমি অন্তত অনুভব করি এখানকার একটিভ পারটিসিপ্যান্ট দের মধ্যে যে আর্ট এর ক্ষেত্রে অনেকেই,অবশ্যই সবাই না, ক্লাসিকাল এজ এ থেকে গেছেন, বা ক্লাসিকাল থেকে বেড়িয়ে আর কোথাও দাঁড়িয়ে নেই, থেকে থেকে ইতিউতি পোস্ট মডার্নিজম কে স্মার্ট ( পড়ুন, চালু) ব্যঙ্গ করচেন। মর্ডানিসট ইরা র গোটা পঞ্চাশ বছর পুরো কালচারাল ইন্ডক্ট্রিনেশন থেকে বাদ।
এই বিশাল গ্যাপের কারনে সবই " সেই আমাদের ডট ডট ডট " নাহলে পোমো মকারিতে পর্যবসিত হয়। এদিকে মর্ডানিস্ট ইরা নিয়ে উন্নাসিক হলে, সে আপনি তাকে পছন্দ করুন ছাই না করুন, সিরিয়াস আর্ট চর্চা আম পচে বেল হয়ে যায়। আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই গ্যাপের কারনেই এখানে কলাজগতের রন্ধনপ্রণালী টি ব্রাত্য হয়ে রয়েচে।
আরে কবিতার ছন্দ বিষয়ক একটা টই পর্যন্ত ছিল, সচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন বা এইরকম কিছু একটা নাম ছিল।
তখন আমরা সব ছোট্টো ছোট্টো। " হাঁটি হাঁটি পা পা। খোকন হাঁটে দেখে যা।" ঃ-)
ভালো কথা, সে কোথায়? ওখানে অবস্থা কীরকম এখন?
শিব্রামের পত্রিকাতে অনেক হাতমকশো করত, কৃষিবিষয়ক কবিতা হিসেবে একজন লিখছিল "সীমের মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর/ ধামার মাঝে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর।" যাই বলুন আর তাই বলুন, সীমার চেয়ে সীম অনেক বেশি উপকারী। ঃ-)
আহা আমরাও তখন ছোটই ছিলাম। কিছু নাহলেও অন্তত তেরো বছর আগের কথা। :)
আরে কবি বলেছেন, "দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা" ঃ-)
হাত মকশ করাকে ঠিক চর্চা বলেনা :) ও ইস্কুল কলেজের বাচ্চারা দেয়ালে করে, আমরা টই খুলে।
সুকি এসব কোথায় শুনেছে? যে বলেছে তারে গিয়ে জিগাও। চর্চা মানে কি লেখা? তাইলে হত তো, গুচ্ছ কবতে লেখা হত। লেখা হাত মক্শো, যা বলো। এক এক সময় একসাথে কবিতা বা কবিতার মত লেখার টই হয়ত তিনখানা চলছে এরকমও হয়েছে।
আলোচনা কি খুব হত কোনদিন? আমার মনে পড়েনা।
এই এককই তো বুনোহাঁসের ভাষায় একটা অতি চমৎকার প্যারাডাইম শিফটিং কবিতা লিখেছিলেন। আর একটা ছিল একটু সংস্কৃত ঘেঁষা, বর্ষাকালের কবিতা।
আর গুরুতে কবিতা শেয়ার ও একটা বৃত্তের মধ্যেই ঘোরে, যেমন স্বদেশ সেনের কাজকর্ম কেও শেয়ার করেচেন মনে পড়ে না। এইরকম আর কী।
নাহ, চর্চা হয়নি কখনো বোধয় সেরকম। কবিতা লেখা হতো, লোকজন নিয়মিত কবিতা লিখতো, কবিতার ক্রাফ্ট নিয়ে বড় টই আছে, কিন্তু সমকালীন কবিতা নিয়ে আলোচনা, কবিতার সমালোচনা আমারও মনে পড়ে না।
এটা হলে ভালো হত। শুক্রবারের বিভাগটায় ওরকম লেখা পাওয়ার আকাঙ্খা।
কবিতার চর্চা বলতে যদি কবিতার হাতমকশো হয়, সে এককালে হত। বেশ কিছু কবিতার থ্রেড ছিল, তাতে অনেকেই কবিতা লেখা অভ্যাস করতেন।
আমি অন্তত দেখিনি সেরকম কোন চর্চা গুরুতে। সুনীল শক্তি র লেখা নিয়েও ত কিছু মনে পড়চে না। হ্যাঁ , লোকে চাট্টি ভালোলাগা লেখা হয়ত শেয়ার করত আগে, রনজিত দাশ থেকে কবিতা সিংহ থেকে পিনাকী ঠাকুর সব ই। কিন্তু নামল্লেখ বা শেয়ারকে চর্চা বললে ত, খাবারের মেনু কে রান্নার বই বলে চালাতে হয় :))) আমার স্মৃতি তে গুরুর কবিতা চর্চা কিস্যু ধরা নেই। অবশ্য অন্যদের স্মৃতিতে থাকতেও পারে।
কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি - প্রায়ই শুনি গুরুতে আগে কবিতার খুব চর্চা হত এখন আর হয় না ইত্যাদি । বাকি প্রায় সমস্ত জিনিসের সমকালীন আলোচনা দেখেছি এখানে - গান থেকে নাটক। কিন্তু কবিতা সেই সুনীল-শক্তিতে! তার পরে অনেক জল বয়ে গেছে বাংলা কবিতায়। এগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না বলে কেমন অবাক লাগে।
সুনীলের কবিতা বেশিরভাগ ভাল লাগেনা। কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন জাত চেনান কাজএইটা :
///////
অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় জীবন বদলে নিলাম আমি ও নিখিলেশ,
হাতঘড়ি ও কলম, পকেট বই, রুমাল-
রেডিওতে পাঁচটা বাজলো, আচ্ছা কাল
দেখা হবে,- বিদায় নিলাম,- সন্ধেবেলার রক্তবর্ণ বাতাস ও শেষ
শীতের মধ্যে, একা সিঁড়ি দিয়ে নামবার
সময় মনে পড়লো- ঠিকানা ও টেলিফোন নাম্বার
এসবও বদলানো দরকার, যেমন মুখভঙ্গী ও দুঃখ, হাসির মুহূর্ত
নিখিলেশ ক্রুদ্ধ ও উদাসীন, এবং কিছুটা ধূর্ত।
হাল্কা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে আমি নিখিলেশ হয়ে বহুদূর
হেঁটে গেলাম, নতুন গোধূলি ও রাত্রি, বাড়ি ও দরজা এমনটি অন্তঃপুর
ঘুঁমোবার আগে চুরুট, ঘুমের গভীরতা ও জাগরণ-
ছ’লক্ষ অ্যালার্ম ঘড়ি কলকাতার হিম আস্তরণ
ভাঙার আগেই আমি, অর্থাৎ নিখিলেশ, টেলিফোনে নিখিলেশ
অর্থাৎ সুনীলকে
ডেকে বলি, তুই কি রোড কন্ডেন্স্ড্ মিল্কে
চা খেতিস? বদ গন্ধ, তা হোক! আমি অর্থাৎ পুরোনো সুনীল,
নিখিলেশ এখন,
তোর অর্থাৎ পুরোনো নিখিল অর্থাৎ নতুন সুনীলের সিংহাসন
এবং হৃঃপিন্ড ও শোণিত
পেতে চাই, তোর পুরোনো ভবিষ্যৎ কিংবা আমার নতুন অতীত
তোর নতুন অতীতের মধ্যে, আমার পুরোনো ভবিষ্যতে
(কিংবা তোর ভবিষ্যতে আমার অতীত কোনো পঞ্চম অতীত ভবিষ্যতে)
কিংবা তোর নিঃসঙ্গতা, আমার না-বেঁচে-থাকা হৈ-হৈ জগতে
দু’রকম স্মৃতি ও বিস্মরণ, যেন স্বপ্ন কিংবা স্পপ্ন বদলের
বীয়ার ও রামের নেশা, বন্ধুহীন, বন্ধু ও দলের
আড়ালে প্রেম ও প্রেমহীনতা, দুঃখ ও দুঃখের মতো অবিশ্বাস
জীবনের তীব্র চুপ, যে-রকম মৃতের নিঃশ্বাস,-
লোভ ও শান্তির মুখোমুখি এসে আমার পূজা ও নারীহত্যা
তোর দিকে, রক্ত ও সৃষ্টির মধ্যে আমি অগত্যা
প্রেমিকার দিকে যাবো, স্তনের ওপরে মুখ, মুখ নয়, ধ্যান ও অসি’রতা
এক জীবনে, ঊরুর সামনে ঊরু, ঊরু নয়, যোনির সামনে লিঙ্গ, অশরীরী,
ঘৃণা ও মমতা
অসম্ভব তান্ডব কিংবা চেয়ে দেখা মুহূর্তের রৌদ্রে কোনো কুরূপা অস্পরী
শীত করলে অন্ধকারে শোবে। দুপুরে হঠাৎ রাস্তায় আমি তোকে
সুনীল সুনীল বলে ডেকে উঠবো, পুরোনো আমার নামে, দেখতে চাই চোখে
একশো আট পল্লব কাঁপে কি না, কতটা বাতাস লাগে গালে ও হৃদয়ে
ক’হাজার আলপিন, কত রূপান্তর জন্মে, শোকে পরাজয়ে,
সুখ, সুখ নয় পাপ, পাপ নয়, দোলে, দোলে না, ভাঙে, ভাঙে না, মৃত্যু, স্রোতে
আমি, ও আমার মতো, আমার মতো ও আমি, আমি নয়,
এক জীবন দৌড়াতে দৌড়াতে।।
আর এই গল্পটা. কবে প্রথম পড়েছিলাম সেই বিখ্যাত মান্ধাই কাঁঠালের গল্প।
এই সন্ধ্যামালতী গল্পটা খুব ভালো লাগে।
https://www.galpopath.com/2015/08/blog-post_72.html
এইরকম আরো কিছু গল্প আছে।
তারাপদ বলতে নিঝুমপুর মনে আসে। এরকম আরো কিছু গল্প। রম্যরচনা মনে আসেনা।
ওরে ব্বাবা। টইতে গিয়ে দেখি এক হাতী পোস্ট। স্ক্রোল করেই যাচ্ছি, করেই যাচ্ছি শেষ আর হয় না! এগুলোতে কোনো সতর্কবার্তা থাকা উচিত।