দময়ন্তী এবং এলসিএম এর পোস্টে খাতা/ব্লগ খানিকটা ক্লিয়ার হল। এখন তিনটে প্রশ্নঃ
১ খেরোর খাতার আঁকিবুঁকি কি চাইলে মুছে দিতে পারি? মানে নিজেরটা?
২ ধারাবাহিক কিছু লিখতে চাইলে বোধহয় ব্লগেই লেখা উচিত? তাহলে টইয়ে শুরু করা লেখা ব্লগে তুলে আনা উচিত? বা পরের অধ্যায় থেকে ব্লগে?
৩ কীভাবে এককালে লগ ইন করতাম ভুলে গেছি। কিমকর্তব্যম?
ক কু ম'র সম্বন্ধে সম্ভবতঃ বিক্রমন নায়ারের কোন স্মৃতিচারণে পড়েছিলাম যে আড্ডায় বিক্রমন ( বেশ উগ্র বাম) কমলকুমারকে ( রামকৃষ্ণ ভক্ত) উগ্র ভাবে আক্রমণ করছিলেন -- পরমকারুণিক ঈশ্বরের দুনিয়ায় এত অসাম্য কেন ?
অনেকক্ষণ চুপ করে শুনতে শুনতে কমলকুমার নীচুগলায় বললেন --কারণ, সেটাই ঈশ্বরের অভিপ্রায়।
এই উত্তরে বিক্রমনরা হকচকিয়ে গ্যালেন।
( পরে বোধহয় সেন্ট টমাস বা সেন্ট ফ্রান্সিসের এধরনের বক্তব্য কোথাও পড়েছি।)
এতোজ,
ছান্দোগ্য উপনিষদে একই ধরণের ডিস্কোর্সটা সম্ভবতঃ নচিকেতার সঙ্গে। গার্গী ও মৈত্রেয়ী দুজনের সঙ্গে ওই বৃহদারণ্যকে।
মানিকববু খেইছিলেন, হালকা করে।
খুব সম্ভবতঃ এরকম একটা লাইন, একশোর মধ্যে ৯৫ এর উপরে পেলে বড় প্রতিভা আছে ধরে নেওয়া হয়। বড় ঘরের ছেলেটির ( মানিকবাবু)তা ছিলো কি? মোটামুটি ৭৫ থেকে আশির উপরে ওনাকে দেওয়া যায় কি?
এছাড়াও নির্মাল্য আচার্য্য গালাগালি খেয়েছেন মানিকবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে, শঙ্খ ঘোষ গালাগালি খেয়েছেন নির্মাল্য আচর্য্যকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে, সুনীল গালাগালি খেয়েছেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বলে ইত্যাদি ইত্যাদি। লেখক নিজেকে কেন গালাগালি দেননি, কমল মজুমদার ন হওয়া সত্ত্বেও, সেটা বুঝি নি।
মানে পড়তে ভালই লাগে। বড় ঘরের কেচ্ছা যেমন।
কেকেএম নিয়ে সুনীল গাঙ্গুলী -
... কমলকুমারের স্কেচ ও জল রঙের ছবি দেখেছি অনেক, সমকালের বিশিষ্ট শিল্পীরা যে তাঁকে কতখানি মর্যাদা দিতেন, তাঁর প্রমাণও পেয়েছি অনেকবার। একদিন কলেজ স্ট্রিটে আমি কমলকুমারের সঙ্গে হাঁটছিলাম, এমন সময় প্রখ্যাত শিল্পী গোপাল ঘোষের সঙ্গে দেখা। আলাপচারির মধ্যে গোপাল ঘোষ হঠাৎ বললেন, কমলবাবু, আপনি যদি মন দিয়ে শুধু ছবি আঁকতেন, তাহলে আমাদের ভাত মারা যেত ...
... একটু সময় পেলেই কমলবাবু উড-কাট করতেন, অনেক সময় কথা বলতে বলতেও ...
.... তিনি ইচ্ছে মতন লিখে গেছেন, কিন্তু গ্রন্থকার হওয়ার ব্যাপারে ছিল তাঁর গভীর অনাসক্তি। কোনো প্রকাশক তাঁর বই ছাপতে আগ্রহী হলে তিনি অবাক হতেন। 'নিম অন্নপূর্ণা' নামে তাঁর প্রথম গল্প সংকলন যখন বেরুলো, তা নিয়ে কৌতুক করতেও ছাড়েননি। আমাদের বলেছিলেন, ঐ বইটা ১৭ কপি বিক্রি হয়েছে, তার পরে ১৮ জন এসে ফেরৎ দিয়ে গেছে...
গান, সিনেমা , ছবি, অভিনয় , নাটক, সব মিলিয়ে শিল্প বস্তুটা, পুরোন বাংলা সাহিত্য, পশ্চিমী সাহিত্য , ধর্ম, বাঙালী জীবন, গ্রাম জীবন, বাংলা আর্ট, উনিশ শতক, মদ্যপান - মোটামুটি এসবই কমলকুমার বুঝতেন। মদ্যপান বাদে বাকী বিষয়গুলো নিয়ে লেখাপত্র আছে, মদ্যপানের জ্ঞান যারা সঙ্গী ছিল তারা পেয়েছে ! একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ছাড়া এই রেঞ্জ দেখা যায়নি। আর কথামৃত সুলভ একটা ব্যাপার ছিল ঐসব বিষয়কে নিয়ে।
আলাপ হলে বর্তে যেতাম । :-)
মানিকবাবু সেরকম খিস্তি খাননি লেখাটায়, খেয়েছিলেন মানিকবাবুর চেলারা।
লাহিড়ীবাবুর কলকাতার আড্ডা নিয়ে একটা বই, বেরুবে বেরুবে করছে অনেকদিন ধরে।
b, একদম, তবে জমাটি লেখার স্টাইল।
ভাস্কর চক্রবর্তী, সন্দীপন, এনারা একটু কম খেয়েছেন। সবথেকে জমাটি খিস্তিটা লেগেছিল শাঁটুল গুপ্তকে।
মনে পড়েছে। বি-বাবু হক কথা কয়েছেন। লাহিড়ীমশাই কমলবাবুর পুজো করেছেন। কমলবাবুতে এতলোক আচ্ছন্ন ছিলেন - মানিকবাবু থেকে কৃত্তিবাসীরা - এতবছর পরে আমি ব্যক্তিগতভাবে তার কারণ পাইনা।
এরকমই আরেকটি লেখা অনুষ্টুপেই পড়েছিলাম কমল সাহার (নামটা ঠিক বললাম তো?) লেখা উৎপল দত্তর ওপর। তবে সে নাট্যসংখ্যা অনুষ্টুপেই পাচু রায়ের চমৎকার একটা লেখা ছিল নাট্যবিষয়ে। সেও আজ কিছু নাহক বছর কুড়ি আগের কথা।
পুতিন, শিজিন্পিং আর মোদির পর ট্রাম্প নতুন সমর্থক পেলঃ তালিবান।
@কেসি, হ্যাঁ মনে আছে। কিন্তু বইটার মুশকিল হচ্ছে, যাঁরা যাঁরা কমলকুমার মজুমদার নন, তাঁরা সবাই খিস্তি খেয়েছেন।
ন্যাড়াদা,
"..... শক্তিদের বন্ধুস্থানীয়, মোটামুটি মাঝারি মাপের সরকারি কর্মচারী, প্রথম যৌবনে একটি কবিতার বই নামিয়েছিলেন বটে, গুনগত মানে যা-ই হোক, তবে গত পঁচিশ / তিরিশ বছর ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পরিবেশন করে আসছেন পুনঃচক্রায়িত অসুস্থ মজা-মশকরা। রিসাইক্লড সিক জোকস।..."
ই রাম, স্রেফ সিইও? আমি, বললে বিশ্বাস যাবে না, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারতুম। t
আপিসে ফাঁকি মেরে দিনের পর দিন ওই ভাট না মারলে আজ আমি এরকম ফ্যাফ্যা না করে কোম্পানির সিইও হতে পারতাম।
আমি বাপু একেনে এসে বেশ মজা পাইসি। এখনও এক্সপেরিমেন্ট চলতেছে। এসেই পেত্যমে খেরোর খাতা খুইলে বইসেছি। আর একটুকুন সময় লাগবে সব বুইজে উটতে
এখনও বুঝে উঠতে আর একটু সময় লাগবে, সবার ভাট গুলো থেকে জ্ঞান নিচ্ছি
আঃ, এইবার বেশ বোঝা গেলো, @দ ! অসংখ্য ধন্যবাদ!
ভাটিয়া৯ তো আড্ডা মারার জায়গা। আগে তো আমাদের সন্ধ্যের পর আম্রিকার সকালের দিকটায় আমরা বেজায় আড্ডা মারতাম। সে রোবু সেদিন কী রান্না করল থেকে অভ্যু পাঁঠার গায়ে হলুদ দিয়ে ফেলেছে কিনা হয়ে আরো নানা সব ডালেপাতায় ছড়াত। এখন তেমন জুৎ করে আড্ডা মারার লোকই পাই না। ভাটাতে লগিন লাগে না। হুলো মেনি যে খুশী এসে আড্ডামেরে যেতে পারে।
টইপত্তর আবার বিষয়ভিত্তিক। একটা নাম দিতে হবে আর তার কিছু কনটেন্ট। কিন্তু ঐ লগিন লাগে না। যে কারণে নিকচুরির বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল।
খেরোর খাতা হল আসলি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম ধাপ। আপনাকে একটা লগিন আইডি বানাতেই হবে। একটা হেডিং দিয়ে লিখতে হবে। কিন্তু আনাড়ি হলেও চলেগা।
ব্লগ অ্যাকসেস কর্তৃপক্ষ বুঝেশুনে দেবেন। কথা হল গুরুসহ পশ্চিমবঙ্গের সব সাইটই ব্লোগের বাসটা মিস করেছিল। ব্লগের স্বর্ণযুগ ছিল ২০০৬-১০। সামু, সচল, আমার ব্লগ ইত্যাদি সেইসময় দাপিয়ে রাজত্ব করেছে। পশ্চিমবঙ্গ তখন 'এহ ইউনিকোড আবার কি! অত্ত খাততে পারবো না এই তো কেমন বাংলিশে লিখছি'বলে পাশ ফিরেছে।
এরপর এলো ফেবু যুগ। আর মেহেদীর অভ্র আরো ভাল পলিশড হল। ব্যাস্স্স
এই এদ্দিনে কেউ একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিল। দ-দির কথা সব বেশ বোঝা যাচ্ছে।
এবার ওদিকে লেখা পড়তে গিয়ে একটা নীল 'আদরবাসা দিন' টাইপের কী একটা প্ররোচনা ভেসে বেড়াচ্ছে। গুরু মাইরি জুমের থেকেও দ্রুত ফিচার বদলাচ্ছে।
"যখন যা মনে হল লিখে দিলেন। দেখবেন কি ভাল খেলাম কিন্তু আঁচানোর জলটায় গোলাপের গন্ধ ছিল না টাইপের লেখাপত্তর ওখানে পড়ছে। আবার ঠিক গোছানো নয় কিন্তু অর্ণব হুড়কো খাচ্ছে দেখে উৎফুল্ল হয়ে দু'কথা লিখে দেওয়া সেও ওখানেই যাবে। "
তা'লে ভাটিয়ালি আর টইপত্তর কোন কাজে লাগে?
Amit : " সেকেন্ডলী কেও কেও না দেখলেও কিন্তু তারা বিপদ থেকে বাচঁবেনা।"
সেটাই তো কথা ।
বিপদ থেকে বাঁচা আর চ্যানেল না দেখার কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক নেই,মানুষ কি টিভি চ্যানেল দেখে বিপদ এড়াবার জন্য? কিন্তু চ্যানেল টিকে যদি অপ্রাসঙ্গিক করে দেন তাহলে বাঁচার জন্যে চ্যানেলটা চেষ্টা করবে মানুষ যা দেখতে চায় ("খেতে চায়") সেই রকম করে ক্যাটার করতে । সেটা একটা দিক ।
ব্যাপারটা তো আজকাল টিভিরও নয়,সোশ্যাল মিডিয়ার ও । তার সঙ্গে জুটেছে এলগোরিদম । আপনি চোরা "হিন্দুত্ববাদী", অত ভেবেচিন্তে দেখেন না, "গরুপূজোর" ভিডিও দেখে লাইক দিলেন, তারপরই পরের পর আপনার মাথা গুলিয়ে দেবার মেসেজ পেতে থাকলেন । ঠিক যেরকম ইন্টারনেট এ বাড়ি কেনার সার্চ করার সময় দেখবেন ফ্রীজ কোম্পানিগুলো কিরকম করে যেন জেনে বুঝে বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে ।
অনেকটা সেই সাবপ্রাইম মর্টগেজ ক্রাইসিস এর মতো হয়ে যাচ্ছে । সাবপ্রাইম attention । যার বাড়ি করার টাকা ধার পাবার কথা নয়, জোর জবরদস্তি তাকে চড়া সুদে টাকা দিয়ে বাড়ি কিনিয়ে দেওয়া হত । এও তাই মশাই । অপরিণত অশিক্ষিত, কুশিক্ষিত লোকের হাতে পাওয়ারফুল ডিভাইস , সে করে কি?
ধ্যাৎ আমি সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। খেরোর খাতা হল ফেবু দেওয়ালের মত। যখন যা মনে হল লিখে দিলেন। দেখবেন কি ভাল খেলাম কিন্তু আঁচানোর জলটায় গোলাপের গন্ধ ছিল না টাইপের লেখাপত্তর ওখানে পড়ছে। আবার ঠিক গোছানো নয় কিন্তু অর্ণব হুড়কো খাচ্ছে দেখে উৎফুল্ল হয়ে দু'কথা লিখে দেওয়া সেও ওখানেই যাবে।
হরিদাস হল গিয়ে ব্লগ। সে ঐ অর্ণবের হুড়কো খাবার পেছনে বলিউডের কী কী হিসেব কাজ করেছে, ভারতীয় রোয়ান্ডা টিভির ভবিষ্যৎ কী হওয়া উচিৎ এইসব লেখার। সেইটে লিখে যদি আপনার মনে হয় মিডিয়া কন্ট্রোল ও তার আর্থ সামাজিক প্রভাব ও তার প্রতিকারের উপায় বিষয়ে আপনি একজন অথরিটি টাইপ তাহলে পাঠিয়ে দিন বুবুভায়।
আমি খেরোর খাতাটা scratch পেজ বলে ভাবতুম । এখন দেখছি ব্যাপারটা বোধয় সেরকম নয়,কি জানি । ওয়াল বলছে কেন? কিসের পাঁচিল?
আমি তালে ফাস্টো ক্লাস। আমার খেরোতে কী প্রয়োজন। সেদিন দেখলাম ঈশান, যে কিনা ফাস ক্লাস ফাস, সে খেরোর খাতায় লিখেছে।
কেন, অনুমোদিত বলছে তো! হরিদাস পালরা ফার্স্ট ক্লাস, খেরোর খাতা ক্যাটল ক্লাস।
ঐ 2 আর 3 এর তফাতটাই একটু শিশি বোতল লাগল বাকিটা তো বোঝাই Jaachchhe
ছায়া প্রকাশনী ও রায়-মার্টিনের দৌলতে পি আচার্য ও এম সেনের দিন কী গিয়াছে?
এ টেক্সট বইয়ের জবাব হল। আমি মানে বই চাই।
(১) বুলবুলভাজা - শুধুমাত্র সম্পাদকেরা প্রকাশ করতে পারে
(২) হরিদাস পাল (ব্লগ) - অনুমোদিত লগড-ইন ইউজাররা প্রকাশ করতে পারেন।
(৩) খেরোর খাতা (ওয়াল) - যে কোনো লগড-ইন ইউজার নিজের খেরোর খাতায় লিখতে পারেন
(৪) টইপত্তর - যে কেউ লিখতে পারেন, লগড ইন ইউজার হওয়া বাধ্যতামূলক নয়
(৫) ভাটিয়ালি - যে কেউ লিখতে পারেন, লগড ইন ইউজার হওয়া বাধ্যতামূলক নয়
(৬) কোনো লেখায় মন্তব্য - যে কেউ করতে পারেন, লগড ইন ইউজার হওয়া বাধ্যতামূলক নয়
----
এবার, আমার মতে একটু বেশি হয়ে গেছে, কনফিউশন এর সুযোগ