আচ্ছা, খেরোর খাতা বনাম হরিদাস পালের ধাঁধার সলিউশন বেরিয়েছে?
না দেখা একটা লং টার্ম অপসন নিশ্চয় থিওরিটিক্যালী। যত কম লোক দেখবে সেই চ্যানেল তত বেশি ইরেলিভেন্ট হয়ে যাবে.
কিন্তু প্রাক্টিক্যাললি সেই সল্যুশন খুব সোজা নয় । এক তো 1.4 বিলিয়ন পপুলেশন। সেকেন্ডলী কেও কেও না দেখলেও কিন্তু তারা বিপদ থেকে বাচঁবেনা। এরা নিজেদের TRP বাড়াতে নিজেদের এজেন্ডা মতো কাউকে একটা টার্গেট করে করে মিডিয়া ট্রায়াল করে যাবে দিনের পর দিন যেমন রিয়া চক্কোত্তি. এতে সে রিপাবলিক বা টাইমস চ্যানেল দেখতো কিনা সেটা ইরেলিভেন্ট।. একইভাবে উমর খালিদ বা তথাকথিত আরবান নক্সালস- এদেরকে রেগুলার বেসিস এ টার্গেট করা হয়েছে এসব চ্যানেলে দিনের পর দিন । কালকে আমাদের ঘরের কেউ টার্গেট হয়ে যেতেই পারে সে চ্যানেল দেখুক বা নাই দেখুক।
কিন্তু কী কীসের মধ্যে ওতপ্রোত আছে, এই প্রশ্নমালা বিখ্যাত, ওটা গার্গীর প্রশ্ন আর যাজ্ঞবল্ক্যের উত্তর।
বৃহদারণ্যক।
না না, বৃহাদারণ্যকেই আছে মৈত্রেয়ীর উক্তিটি।
রঞ্জনদা, মৈত্রেয়ীর ওই বিখ্যাত "যেনাহং অমৃতা স্যাম..." সম্ভবতঃ বৃহাদারণ্যকে নেই, ছান্দোগ্যে আছে।
"আপত্তি দ্বিতীয়টা নিয়ে মেনলি . সেটাকে ঠেকানো যাবে কিভাবে এই টক্সিক এনভায়রনমেন্ট এ ? "
এইটাই আসল প্রশ্ন । এবং মুশকিল হচ্ছে এর জন্যে আমরা নিজেরা দায়ী । আপনি S এর কমেন্ট টি লক্ষ্য করুন, বলেছেন, Republic TV দেখবেন না । এইটাই ঠিক পথ, কিন্তু এর জন্যে যতটা সেলফ-discipline থাকা চাই, সকলের মধ্যে পাবেন কি?
দেখুন, নানা ভাবে আমরা একটা বিশ্রী রকমের surveillance capitalism এর পাল্লায় পড়েছি, যেখানে নিজেদের ইচ্ছেয় সরকার, ব্যবসা, বড় মিডিয়া, এরা আমাদের ইচ্ছামতন ম্যানিপুলেট করছে । নিজেরা এদের আওতা থেকে না বেরোতে শিখলে ভবিষ্যত আরো অন্ধকার ।
কিন্তু সেটাই তো হচ্ছে। নির্বাচিত সরকারই তো সবকটা মেজর মিডিয়া হাউস কে পুরোপুরি কন্ট্রোল করছে যেভাবেই হোক । সেটা আটকানো যাচ্ছে কোথায় ?
আর নিজের পছন্দে সরকারকে সাপোর্ট করা বা সরকারের মাউথ পিস্ হিসেবে কাজ করা আর রেন্ডম মিডিয়া ট্রায়াল করে করে সেগুলোকে একটা চরম লেভেলে নিয়ে গিয়ে ইনোসেন্ট লোকজনদের জীবন অতিষ্ঠ করে দেওয়া তো এক জিনিস নয়। আপত্তি দ্বিতীয়টা নিয়ে মেনলি . সেটাকে ঠেকানো যাবে কিভাবে এই টক্সিক এনভায়রনমেন্ট এ ?
এতোজ,
'সহী পকড়ে হ্যায়' । জনক রাজার সভায় যাজ্ঞবল্ক্য- গার্গী সংবাদ বৃহদারণ্যক উপনিষদে আছে। কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্য -মৈত্রেয়ী (পতি-পত্নী) বিতর্কও ওই বৃহদারণ্যকেও আছে। যেখানে মৈত্রেয়ী বলছেন--সম্পত্তির ভাগ চাইনে, কী করে অমরত্ব পাব সেটা বলুন।
এখানে পথিক কী কন্টেক্সটে মৈত্রেয়ীকে এনেছেন সেটা আপনি ভাল বলতে পারবেন। পথিক সিরিয়াস স্কলার বলেই জানি।
ঐ ডায়লগে আমার ভাল লেগেছিল-- পতি বা পত্নীর জন্যে প্রেম ? ওরা উপলক্ষ মাত্র, এর মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে নিজেকে ভালবাসে।
"কিন্তু এই নিউস চ্যানেল গুলোকে কড়া লাগাম পড়ানো খুব জরুরি এই মুহূর্তে।"
লাগাম কে পরাবে ? কেন?
সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকার নিউজ চ্যানেল/সংবাদপত্র কে কোনোভাবেই নিজের ইচ্ছাধীন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, সে অধিকার তাঁদের থাকার কথা নয় ।
মুশকিল হচ্ছে বহু লোক দেখলাম রীতিমতন সিরিয়াসলি ওই লিংক শেয়ার করছেন। আবার ওই লিংকে গিয়ে কমেন্ট টমেন্টও করছেন, প্রশংসা ইত্যাদি করছেন।
অরিন, সি দিয়ে এমকে আঘাত করে ই তৈরী করা, এ জিনিস বিরিঞ্চিবাবা ছাড়া আর কে জানত বলুন? ঃ-)
মামলা লোক দেখানো হতে পারে। কিন্তু এই নিউস চ্যানেল গুলোকে কড়া লাগাম পড়ানো খুব জরুরি এই মুহূর্তে। আদৌ করা যাবে কিনা কেজানে । এরা এমন রিয়েল লাইফ মেলো ড্রামা তৈরী করছে , যেকেউ এদের ভিকটিম হয়ে যেতে পারে যেকোনো দিন , কিছু না করেও। যেমন রিয়া চক্কোত্তির কেসটা। কোনো এভিডেন্স ছাড়াই জাস্ট মিডিয়া ট্রায়াল করে করে ওকে শেষে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে একমাস জেল খাটানো হলো বিহার ভোটের অঙ্কে। এতে আমি বা আরো কজন সেই চ্যানেল দেখলে বা না দেখলে কিছু তফাৎ পড়বে না বা তারা এই বিপদ থেকে ইনসুলেট হবেনা।
এদিকে মোদির পোষা চ্যানেল গুলো ড্রামা করে পাবলিককে ডাইভার্ট করে রাখছে উল্টোদিকে সরকার যাকে পারছে তাকে ধরে UAPA লাগিয়ে এরেস্ট করে জেলে ফেলে রাখছে।. মানে এখন সরকারের এগেইনস্ট এ কিছু বলার থেকে খুন জখম করে বেড়ানো অনেক বেশি নিরাপদ কাজ হয়ে গেছে. কয়েকটা রিপোর্টারকে ধরেছিলো যোগীর পুলিশ তাদের কেস হিয়ারিং দিয়েছে একমাস পরে , ভারভরা রাও , স্তান স্বামী এদেরকে তো ছেড়েই দেওয়া যাক ,
মানে কিছু না করেও জাস্ট একটা দুটো ফেবু বা টুইট এর জন্যে কয়েকমাস জেলের ঘানি যেকেউ কে টানতে হতে পারে -সিম্পল. জাস্ট কোনোভাবে কুনজরে পড়লেই ব্যাস। এখন যা অবস্থা , দেশে বেড়াতে গেলে সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনক্লুডিং গুরুর পোস্ট ইস্তক সব ডিলিট করে যেতে পারলে ভালো হয় .
আত্মার আবার পুরুষ মহিলা । এ কি বিরিঞ্চিবাবার পোস্ট ডক ?
তবে মশাই, দেখলাম উনি বের করেছেন আত্মার ওজন খুব কম । 1.66 X10^-24 কেজি । পুরুষদের এটা। মহিলাদের আত্মার ওজন নাকি আরো কম। ফুরফুর হাল্কা লাগছে। এত কম ওজন, উড়ে না যাই! ঃ-)
ওঃ, সে এক মহা ইয়ে ব্যাপার মশাই। তাঁর লেখা বইপত্তর নাকি দেশে বিদেশে বড় বড় বিজ্ঞানীরা পড়ে পড়ে একেবারে থ! কত পুরস্কার নাকি পেয়েছেন। এম কে সি দিয়ে আঘাত করলেই যে শক্তি উৎপন্ন হয়, সেটা জানতেন? উনি তাই লিখেছেন। ঃ-)
"এক বাঙালি বিজ্ঞানী আত্মার ওজন নির্ণয় করেছেন।"
বাব্বাবাবাঃ! এ যদি "ভাট " নগর পুরস্কার না পেয়েছে!
আরে, বলিউড কী বলছেন, এইমাত্র দেখলাম এক কাগজে বেরিয়েছে এক বাঙালি বিজ্ঞানী আত্মার ওজন নির্ণয় করেছেন। কী হারে ফেবুতে লোকে শেয়ার করছে সেই লিংক! এসব তো সেই পুরনো আমলে, প্ল্যানচেটের রবরবার আমলে করত শুনতাম লোকে! এখন আবার এসব চাড়া দিল নাকি?
"প্রসন্ন গুরুমশাই যে কেন এত রেগে যেতেন, "খোকা হাসচ কেন? এটা কি নাট্যশালা? " বলতেন, কেজানে!"
গোটা দেশটাই যে নাট্যশালা হয়ে গেছে, বলিউডের সং গুলোর কাজ নেই বোধহয়।
রিপাব্লিক টিভি দেখা বন্ধ করে দিলেই তো পারেন।
দু'টো রেসিপি খুবই ভালো লাগল, নাম দুটো খুবই কবিতার মতন, ছোটো করে নেওয়া যায়। শোলালু আর হাঁসোল। অর্থাৎ কিনা শোল -আলু আর হাঁস-ওল। অতি ভালো। একদিন রেঁধে বেড়ে খাইয়ে (তারপরে খেয়ে) দেখতে হবে।
নাটক সব। সবই নাটক। অবশ্য এ কথা অনেক আগেই সেক্ষপীর বলেছেন, জগৎটাই নাট্যশালা। প্রসন্ন গুরুমশাই যে কেন এত রেগে যেতেন, "খোকা হাসচ কেন? এটা কি নাট্যশালা? " বলতেন, কেজানে!
অর্ণব নামক জানোয়ারটি ভারতে কোনোদিন ঘানি টানবে না । এই সব লোক দেখানো মামলায় কিছুই হবে না ।
দুগ্গোপূজোর বাজারে বেশ ভালো খবর। কুকুরের আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে বলিউড এর সব মাথারা এক কাট্টা হয়ে আদালতে নালিশ ঠুকেছে। এই অর্ণব নামক জানোয়ার টাকে কয়েক মাস জেলের ঘানি টানতে দেখলে দিল পুরো গার্ডেন গার্ডেন হয়ে যাবে। যেন তাই হয় ঠাকুর।
সিঙ্গল কে, আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর আছে। ঃ-)
ছোটাইদির সঙ্গে এই অনুরোধ আমিও করে গেলাম ম কে। টইতে বড় লেখা দিতে। ভাটিয়া৯তে লেখা খুঁজে পাওয়া বড়ই শক্ত, তর তর কল কল রবে নদীর মতন বয়ে চলেছে ভাটিয়া৯, সেখান থেকে পুরনো লেখা বের করে তুলে আনা কঠিন খুব।
পাই, এটা পড়ে দেখ,
https://amp.rnz.co.nz/article/b998bd34-b76e-4aff-8290-9021e5afd7c3?__twitter_impression=true
এক ধাক্কায় আড়াই হাজার বছর পার। ঃ-) ঃ-) ঃ-) ঃ-)
একবার হল কী, এক ফড়ফড়ে আঁতেল এসে হাজির কফি হাউজে। নতুন নতুন কী সব বইপত্তর নিয়ে বেজায় বকছে। সদ্য প্রকাশ হওয়া কোন এক আর্ট থিওরির বইয়ের নাম করে বললে, “সে কী, এ বই না পড়া থাকলে তো তিরিশ বছর পিছিয়ে আছেন?”
“হঠাৎ বহু ক্ষণ চুপ থাকা কমলবাবু বললেন, ‘আপনার কি অ্যারিস্টটলের ‘পোয়েটিক্স’ পড়া আছে? আঁতেল মাথা নাড়ল, “না, ওটা পড়া নেই।” তাতে ‘এ হে হে’ করে উঠলেন কমলবাবু। বললেন, “তাহলে তো আড়াই হাজার বছর পিছিয়ে গেলেন মোহায়! আঁতেল চুপ।”
কবিতা নিয়ে কথোপকথন দিব্য লাগল। বোধিদার পয়েনটা বুঝেছি। তারাপদ রায় সম্পর্কিত মতে মিললো না, কিন্তু পয়েন্ট টেকেন। মিঠুদির সাথেও একটু ডিসেগ্রি করলাম কবিতার কাটাছেঁড়া বিষয়ে, কিন্তু আবারো, পাঠকের জার্নি তো, ঠিকই আছে।
ইদানীং মনে হয় পুরনো লেখাপত্র আরো ভালো করে পড়ে ফেলার, ফিরে পড়ার কোন বিকল্প নেই। এটা তুষার রায় পড়তে পড়তে মনে হলো সেদিন। তারাপদ রায় পড়তে গিয়ে, সেদিন সুনীলের কী একটা কবিতা পড়তে গিয়েও মনে হলো। পড়তে পড়তেই টের পাওয়া যায়, কেমন লাগছে বলার জন্য আরো একটু সময়, আরো একটু মনোযোগ দরকার ছিলো।
কেসি দা উল্লিখিত অংশ টা তুলে দিলে ভালো হয়। আমার কাছেও মনে হয় ক কু ম আছেন, তবে খুঁজতে হবে।
আর এই কোভিড এসে লোকজনের সাথে যোগাযোগ সবই নষ্ট হয়ে গেছে, তায় ভোট আর রেড স্টেটের লিবেরাল ব্যাশিং মিলিয়ে মানসিক ভাবে একটু রোগা হয়ে গেছি। বোধিদা চাপ নিওনা। এই সামারেই তো দেখা হবার কথা ছিলো। :)