খ, আই বেগ টু ডিফার। গুরুর এই আদানপ্রদান আমি নিজে অত্যন্ত পছন্দ করি। যেখানে পাঠক একজন লেখককে শেখাতে পারেন, ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন বা বুঝতে না পারলে লেখককে জিজ্ঞাসা করতে পারেন - এই ফরম্যাটে একটা গণতান্ত্রিক ব্যাপার আছে। তাছাড়া লেখক একদা আলাদা ক্লাসে বিলং করেন, পাঠক সেই ক্লাসের নন - এই ক্লাস হায়ারার্কি আমি মানি না। পাঠক হিসেবেও না, লেখক হিসেবে একেবারেই না।
কাজেই আমি নিজে মনে করি, সপ্তাহে অন্তত একটা ঘন্টা এলেবেলে তার পাঠকের জন্য বরাদ্দ রাখতেই পারে। পাঠকের প্রতি এটা তার দায়বদ্ধতাও বটে। গুরু আমাকে তালেগোলে হরিদাস পাল বানিয়েছে বটে, কিন্তু আমি হরিদাস পাল নই। আমপাঠকের একজন। কাজেই লেখকের ঔদ্ধত্য আমার নেই।
হ্যাঁ, কিছু ফালতু মন্তব্য আসতে থাকবে। অধ্যায় যত বাড়বে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্লেজিং যে বাড়তে পারে - সেটা জেনেই মাঠে নেমেছি। সে ব্যাপারে ডিসি এবং রঞ্জনবাবু সতর্ক করে দেওয়ার পরে, আমি সবাইকে উত্তর দেব না। কিন্তু কোনওভাবে পাঠক যদি মনে করেন লেখক ইচ্ছে করে 'ডিসেপটিভ' কিছু করছে, এত তথ্যসূত্র উল্লেখ করার পরেও, তাহলে কেবল সেই জায়গাটাতে ইন্টারভেন করব মাত্র।
কিন্তু হৃদয়ে লিখলেও তো লোকে বাওয়াল করবে!
অহে আর টু এইচ, পাথর ক্ষয়ে যাবে। কবি বলে গেছেন।
kkদি আছ নাকি? একটা খুব সরল প্রশ্ন ছিল তোমার জন্য
হ্যা, ঠিক, তাই তোঃ)
একটা হাতুড়ীও লাগবে আপনার r2h
আমাকে একটা পাথর আর ছেনি দেওয়া হোক, শিলালিপি লিখবো। কার সাধ্য এসে কমেন্ট করে।
ও এটা তো পাই, খয়রি ব্যাঁকামত প্যাঁচা টা আবার কে ভাবছিলাম। সরি। :-)))))
প্রস্তাব মাত্র। কমেন্ট হাইডিং না। ধরুন, ব্লগ রাইটার চায় না, তার ব্লগে কেউ কমেন্ট করুক, সেরকম কেস হলে পেথম থেকে ই সে জানিয়ে দিল, কমেন্ট অফ, গাল দিতে হলে অন্যত্র দাও। ব্লগ টুলে বোধায় আগে এরকম থাকতো। আমি এই ফিচার ইউজ করব না, কিন্তু চারিদিকে যা উৎপাত কেউ করতে ই পারে, বা কিউরেটর করতেই পারে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কিন্তু সাইটে তো কমেন্ট অফ করা হয়না !
নানা ঠিক ই বলেছেন অরিন, এটা অপশনাল হলে ক্ষতি কি, টই তে না হলেও , সাইন্ড ব্লগে হতেই পারে। আমি ইউজ করব না। কিন্তু অনেকেই ম্যালা ফ্যাচ ফ্যাচ পসন্দ নাই করতে পারে। টই খুলে গাল দেবার গনতন্ত্র তো থাকছে।
এ তো চন্ডাল তাড়াবার ষড়যন্ত্র মহায়
টই তে কমেন্ট অফ করতে গেলে লেখকের তরফে কি করা উচিৎ?
বিদ্যাসাগর লেখাটা তো শেষ হয় নি। আমি বুঝতে পারছি না, লেখক কেন ইন্টারিম মন্তব্য গুলির উত্তর দিচ্ছেন। প্রায়োরিটি তো হবে লেখাটা শেষ করা। আর শেষ হলেই বা উত্তর দেবার কি দরকার বুঝি না।হয়তো হয়্তো নিজে নিজেই উত্তর বেরিয়ে আসবে। একটা বই সম্পর্কে পাঠকের , সমালোচক এর যত প্রশ্ন থাকে, সেটা কি লেখকলেখিকা বসে বসে উত্তর দেন সব সময়। যা বলার বইয়ের মধ্যেই থাকবে, কিছু লোক লেখকের আর্গুমেন্টে কনভিন্স্ড হবে, কিসু লোক হবে না, মিটে গেল।
আমেরিকার সোশালিস্ট পার্টি।
মেইল ইন ব্যালট - দুজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রার্থী আছেন - দুটি পার্টি থেকে - দুজনেই উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য - কমলা এবং সুনীল
কিসব স্কোরলাইন। ৭-২, ৬-১
৭ গোল খেয়ে গেল মাইরি। এমনিতেই প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের মত ম্যাচ। তাই বলে এত ক্যাজুয়াল।
ই বাবা। ই সব স্কোরলাইন তো কোল্কাতা মাঠের থার্ড ডিভিশনের গট আপ গেমগুলোতে দেখি।
এক চরম সংঘাতময় ফুতবল ম্যাচে টিকিয়াপাড়া বালক সংঘের কাছে ছ গোল খেয়েশে ছছুরাবাদ, অন্যদিকে একটি শালকিয়া ব্যায়াম সমিতি অন্য শালকিয়া ব্যায়াম সমিতিটিকে সাত গৌল দিয়েশে। বিস্তর কনফিউশনাদির শেষে, নাটক অন্ত হইবার পরেও প্রচুর দর্শক অপেক্ষা করিতেছিলেন প্রকৃত পরিচয়াদি ও পরিসংখ্যান জানিবার জন্য।
বি দা সেদিন সাতগোল সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নাদি রেখেছিলেন।
হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা...
নিউজিল্যান্ড এর ছবি, থাকেন যে বুঝবেন কিভাবে,
ট্রাম্প আবার গাড়ি চড়তে বেড়লো কেন? ইলেকশান জেতার অনেক তাড়না দেখছি।
জলের ব্যাপারে ইউরোপীয় নাবিকেরা খুবই কষ্টে পড়ত নানা লেখায় দেখা যায়, সমুদ্রে পানীয় জল পাবার ব্যাপারে। মালবাহী নৌকায় জালা জালা জল নিয়ে চলত।
এই হাল্কা মাওরি নৌকোগুলো দেখে বারে বারে এই প্রশ্ন মনে আসে, জলের ব্যাপাট্টা কী কল্লেন দাদা? ওরা মনে হয় ছোটো ছোটো নারকেলগাছের দ্বীপে নেমে নেমে ডাব পেড়ে জল খেয়ে নিত। আর স্নানটান ধোয়াধুয়ি সাগরের জলে। ঃ-)
মাওরিদের নৌকোয় তো পালও দেখছি না! দাঁড়ে চালিয়ে প্রশান্তমুখে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি। আবার কম্পাস টম্পাসও লাগতো না ওদের, তারা আর ঢেউ দেখে দিক চিনে ফেলত। সমুদ্র থেকেই গাইত, "ওই দেখা যায় বাড়ি আমার, চারদিকে মালঞ্চের বেড়া, ভোমরায় সেথা গুনগুন করে গুনগুন করে" ঃ-)
"যাবোই আমি যাবোই বাণিজ্যেতে যাবোই" ...
তাসের দেশের রাজপুত্রের মতো গান গেয়ে যেতে হবে। "সাজিয়ে নিয়ে জাহাজ খানি বসিয়ে হাজার দাঁড়ি"...
ইত্যাদি
মেহ , পালতোলা?
মাওরিরা এই নৌকো নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে,
এতকাল যেমন চলেছে আজকালও দিব্যি চলছে।
কিনতে বা বানাতে গেলে শুধু ভাস্কোদার মত ২০০ টনের পেল্লাই বানাবেন না। ছোটখাটো আধুনিক টেকনোলজির বানান,অশ্ব অক্ষাংশেও তরতর করে চলবে।
টাইম ট্রাভেলাররা বলছে ওরে তোরা এইরকম পালতোলা নৌকা নিয়ে সমুদ্রে যাবি? যাস নে, মরে যাবি। বরং অপেক্ষা কর, স্টীম ইঞ্জিন আবিষ্কার হোক। কিন্তু প্রাচীন বীর নাবিকেরা বলছে, না, আমরা যাবোই, অত সহজে দমবার পাত্র নই। চাপ দেবেন্না, ভয় দেখাবেন্না। সমুদ্র আমাদের ডাকছে। দেখুন না আমাদের হয়েই একদিন বাঙালি কবি লিখবেন, "ভীষণ রঙ্গে ভবতরঙ্গে ভাসাই ভেলা।"
ঃ-)