"... এবারে এই লোককে যারা দুবার ভোট দিচ্ছে তাদেরকে রেসিস্ট, মিসজিনিস্ট, বাইগট বলা যাবেনা? ... "
লোককে ভোট? ডেমোক্রেসি না মোনার্কি?
আমার কাছে হয়ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল আমার ক্রিশ্চান ক্যাথোলিক প্রো-লাইফ পজিশন। সেইজন্যে আমি রিপাব্লিকানদের ভোট দিই। তাহলেই আমি সব রিপাব্লিকান চিন্তাভাবনার শরিক সেটা অসম্ভব ওয়ান-ডাইমেনশনাল চিন্তা এবং একটা প্লুরালিস্টিক সমাজকে বোঝার কোন চেষ্টাই দেখা যায়না।
হিলিবিলি,
না, সেটা তো ঠিক আছে, সাইকোলজিক্যাল অ্যানালিসিস - যে বদমাইশ জার্মান জাত হিটলার তৈরি করেছে, না, হিটলার বদমাশ জার্মান জাত তৈরি করেছে। সব মানুষের সাবকনশাসে একজন হিটলার থাকে, নাকি গান্ধী থাকে।
কিন্তু, এখন যে ভোটের সিস্টেম দাঁড়িয়েছে অনেক দেশে - অর্থাৎ, বাইপার্টিশান (যেখানে দুটি মাত্র পক্ষ, দুটি চয়েস), এই বাইনারি সিচুয়েশনে - এক্জন ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন সেটার অনেক ফ্যাক্টর থাকতে পারে। ভোটারের চোখে কনটেস্টটা - হিটলার বনাম গান্ধী নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সেটা হল, ভোটারের ওনলি চান্স টু এক্সরসাইজ হিজ/হার পাওয়ার, ভোটারের যাদি মনে হয়, গদি ওল্টানোই আমার ফার্স্ট চয়েস, তাহলে তাই।
রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধিহীন মানুষেরাও ভাল লোক হয়। এই যেমন আকালি দলের নেতারা। তারা কি এতদিন ভাল ছিল না আর এখন ভাল হল? তা তো নয়। কিন্তু রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিহীন (অথবা ধান্দাবাজ স্মার্ট) ছিল বলেই তো এতদিন NDA-র সঙ্গে ছিল।
carl jung বলেননি ফ্যাসিস্টরা মানুষ খারাপ , বরং সব দয়ালু মন ভালো আচার ভালো মানুষ
ইয়ুং ফ্যাসিস্ট দের নিয়ে ki বলেছিলেন sei বইয়ের সামারি niye post আসুক ☺
পিটি,
অফ কোর্স ! নন্দীগ্রাম ইস্যুতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ছবিতে গোঁফ লাগিয়ে হিটলার দাগানো ক্লিশে, বোরিং।
চারদিকে হিটলার থিকথিক করছে - এই পেসিমিজম - এর কথাই বলছিলাম।
ধুর! তুমি কি সত্যি মনে প্রাণে বিশ্বাস করো নাকি যে, ৬৩ মিলিয়ন লোক যারা ২০১৬ তে রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দিয়েছে তারা প্রত্যেকে রেসিস্ট, মিসোজিনিস্ট এবং বদের ধারি -- ইচ এন্ড এভরি ওয়ান। বা, ধরো এই যে ২০১৯ এর ইলেক্শন হল ভারতে, যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তারা।
আমি অনেককে জানি যারা রিপাবলিকানদের ভোট দিয়েছে বা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তারা খারাপ লোক কিছু না।
আমারও মনে হয় না, তুমি সত্যি এরকম মনে করো।
তোমাকে পেসিমিস্ট বলেছি - অন্য কিছু বলি নি।
মোটামুটি যা সামারী পেলামঃ
১) এখানে আমার চিন্তাভাবনাকে অমূলক, ভুল বলা যাবে, কিন্তু যে বলছে তার চিন্তাভাবনাকে চ্যালেন্জ করা যাবেনা? এটা ঠিক কোন কোন ক্রাইটেরিয়া দিয়ে ঠিক হচ্ছে? একটু জানালে বুঝতে সুবিধা হয়।
২) একজন লোক একটি রাজনৈতীক দল এবং ক্যান্ডিডেটকে একাধিকবার ভোট দেবে। কিন্তু সেই লোকটি সেই ক্যান্ডিডেট বা দলের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে সেকথা বলা যাবেনা।
৩) মানুষ আর তার চিন্তাভাবনাকে আলাদা করে দেখতে হবে।
নাহ। অনেক হয়েছে।
"গোঁফ লাগিয়ে একটা পোস্টার বানানেই হল"
সেই যে বুদ্ধ বাবুর মাথায় শিং আর ঠোঁটে রক্ত লাগিয়ে বুদ্ধিমান ও স্মার্ট লোকেরা রাজপথে মিছিল করেছিল, সেটাতো পরিবর্তনের সলতে পাকানো ছিল। তখন কি সেটা ক্লিশে ছিল?
আপনিও তো লিখলেন যে আমার চিন্তাভাবনা অমূলক। যাচ্চলে।
এগজ্যাক্টলি, এই যে, এই যে যারা সামান্য ভিন্নমত পোষন করছে তাদের "চিন্তাভাবনার দৈন্যতা" নিয়ে প্রশ্ন - এটার কথাই বলছিলাম। অবশ্য আমাকে এখনই হিটলারের সমর্থক বলে নি বড়েস, তবে বলতেই পারে।
"মানুষ আর চিন্তাভাবনাকে গুলিতে ফেললে সমস্যার সমাধান দূরস্হান, সে আরো জটিল হয়ে যায় ।"
তাহলে একজন মানুষ তার নিজের চিন্তাভাবনাকে রিপ্রেজেন্ট করেনা? তাহলে কি রিপ্রেজেন্ট করে?
"এই রকম ন্যারেটিভ, এই চিন্তাভাবনা, এই ধারণা, এই অন্তহীন দোষারোপ, লড়াই - আমি তোমার থেকে স্মার্ট কারণ আমি অমুককে ভোট দিয়েছি (বা, দিই নি) - এটা অর্থহীন, অমূলক।"
লসাগুদা, এই স্মার্ট কথাটা আপনি নিয়ে এসেছেন। স্ট্রম্যান ফ্যালাসি।
দুজন ক্যান্ডিডেট। এক্জন বাম, আরেকজন ডান। যারা বাম ক্যান্ডিডেটকে ভোট দিচ্ছে তারা বামপন্থী। কিন্তু যারা ডান ক্যান্ডিডেটকে ভোট দিচ্ছে, তাদেরকে দক্ষিনপন্থী বলা যাবেনা?
এবারে দেখা যাক দক্ষিনপন্থীদের অ্যাজেন্ডা এবং বক্তব্যগুলো কি কি?
"শুধু অমূলক নয়, সাংঘাতিক বিপজ্জনক চিন্তাভাবনা । মানুষ আর চিন্তাভাবনাকে গুলিতে ফেললে সমস্যার সমাধান দূরস্হান, সে আরো জটিল হয়ে যায় ।"
কেন?
"অর্থাৎ, আমি যাকে ভোট দিয়েছি তুমি তাকে ভোট দাও নি - তার মানে তুমি নির্ঘাত হিটলারের সমর্থক, তুমি নাৎজি। দু পক্ষই দু পক্ষকে লেবেলে লাগিয়ে দিচ্ছে। এ একেবারে অনর্থক।"
ট্রাম্পকে যারা ভোট দিচ্ছে, দুবার, তাদেরকে ট্রাম্পের সমর্থক তো বলা যাবে? নাকি সেটাতেও লসাগুদার আপত্তি?
ট্রাম্পের কয়েকটি মন্তব্যঃ
১) হিলারীকে গুলি করে মারা উচিত।
২) মহিলাদের গোপনাঙ্গ পার্মিশান ছাড়াই গ্র্যাব করে।
৩) ইয়ঙ্গ মেয়েদের নিয়ে মন্তব্যগুলো এখানে লেখা পর্যন্ত যায়্না।
৪) হিস্পানিকদের নিয়ে একের পর এক খারাপ মন্তব্য করেছে।
৫) শার্লটসভিলে যারা নাজি আর ক্যানের সাইন নিয়ে মিছিল করেছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল, তাদেরকে ফাইন পিপল বলেছে।
৬) দেশের সৈন্যরা সব লুজারস অ্যান্ড সাকারস।
এবারে এই লোককে যারা দুবার ভোট দিচ্ছে তাদেরকে রেসিস্ট, মিসজিনিস্ট, বাইগট বলা যাবেনা?
ট্রাম্প রেসিস্ট না রেসিস্ট নয়? লসাগুদা আগে এই প্রশ্নটার উত্তর দিক। তারপর লসাগুদার চিন্তাভাবনার দৈন্যতাটা দেখাবো।
অর্থাৎ, আমি যাকে ভোট দিয়েছি তুমি তাকে ভোট দাও নি - তার মানে তুমি নির্ঘাত হিটলারের সমর্থক, তুমি নাৎজি। দু পক্ষই দু পক্ষকে লেবেলে লাগিয়ে দিচ্ছে। এ একেবারে অনর্থক।
জার্মানির প্যারালাল সব জায়গায় টানা, র্যান্ডম টানাটানিতে ওটা শুধু ক্লিশে হয়ে যায় নি, ঠিকঠাক টানাও হয় না। বুদ্ধদেব, মমতা, মোদি থেকে ওবামা, ট্রাম্প, জনসন - গোঁফ লাগিয়ে একটা পোস্টার বানানেই হল।
<"Akalis quit NDA, say Centre ignored farmers’ sentiments">
"মানুষ আর চিন্তাভাবনাকে গুলিতে ফেললে সমস্যার সমাধান দূরস্হান, সে আরো জটিল হয়ে যায় ">
"এই রকম ন্যারেটিভ, এই চিন্তাভাবনা, এই ধারণা, এই অন্তহীন দোষারোপ, লড়াই - আমি তোমার থেকে স্মার্ট কারণ আমি অমুককে ভোট দিয়েছি (বা, দিই নি) - এটা অর্থহীন, অমূলক।"
শুধু অমূলক নয়, সাংঘাতিক বিপজ্জনক চিন্তাভাবনা । মানুষ আর চিন্তাভাবনাকে গুলিতে ফেললে সমস্যার সমাধান দূরস্হান, সে আরো জটিল হয়ে যায় ।
যারা নাৎসি দের সমর্থন করত তারা অবশ্যই প্রত্যেকে "সাম্প্রদায়িক, রক্তপিপাসু এবং বোধবুদ্ধিহীন গবেট" এবং যারা তাদের বিরোধীতা করত তারা সবাই অবশ্যই "সুবুদ্ধিসম্পন্ন, যুক্তিশীল মানুষ।" (স্মার্ট নাও হতে পারে!!)
এবার এটাকে গোল্ড স্ট্যন্ডার্ড ধরে বাকি অন্যান্য রাজনৈতিক সমর্থনকে মাপতে পারেন।
"... বক্তব্য হল ট্রাম্প এবং যারা ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছে তারা সবাই ভালো লোক। কিন্তু যারা ট্রাম্পের ভোটারদের ভোট পাচ্ছে না, সব দোষ তাদের।..."
অবশ্যই না, কখনই না, একেবারেই না - কিন্তু ---
ইউএসএ-তে - ৬৩ মিলিয়ন লোক (যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল) সবাই রেসিস্ট, মিসোজিনিস্ট, বদের ধারি এবং স্টুপিড - আর - ৬৬ মিলিয়ন (যারা হিলারিকে ভোট দিয়েছিল) তারা সবাই খুবই উদারপন্থী, ভালো মানুষ, সৎ এবং স্মার্ট।
এবং, এর ঠিক বিপরীত মেরুর ধারণা।
বা, ভারতে - যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তারা প্রত্যেকে সাম্প্রদায়িক, রক্তপিপাসু এবং বোধবুদ্ধিহীন গবেট, এবং, যারা বিপক্ষে দিয়েছে তারা সবাই খুবই স্মার্ট, সুবুদ্ধিসম্পন্ন, যুক্তিশীল মানুষ।
এবং, এর ঠিক বিপরীত ভাবনা।
এই রকম ন্যারেটিভ, এই চিন্তাভাবনা, এই ধারণা, এই অন্তহীন দোষারোপ, লড়াই - আমি তোমার থেকে স্মার্ট কারণ আমি অমুককে ভোট দিয়েছি (বা, দিই নি) - এটা অর্থহীন, অমূলক।
বোধিসত্ত্ব: "ভাটিয়েছি বটে গত পনেরো বছরে, কিন্তু সেরকম করে মানুষের কাজে লাগে এরকম কন্টেন্ট কিসু করা হয় নি।"
ওটা গুরুচণ্ডালীর কাজে লেগেছে, অতএব এখানে ইউজার ইউজড পারস্পরিক সম্পর্কটা সচরাচর আমরা যেভাবে ব্যবহারকারীর কনসেপ্টে বুঝি, তার উল্টো। আপনি না ভাটালে , বিনা পারিশ্রমিকে অকাতরে আপনার সময় ও শ্রমদান না করলে গুরুচণ্ডালী গড়ে উঠত না।
দুশো বছর ধরে ইনফরমেশনের এ এক অদ্ভুত বাজার গড়ে উঠেছে। এই বাজারটায়, আপনি একাধারে ক্রেতা ও পণ্য। এই যেমন দেখবেন বহু লোক ফেসবুকের বা গুগলের হয়ে বেগার খাটে, বিনা পারিশ্রমিকে কনটেন্ট ফেসবুকের বা গুগলের হাতে তুলে দেয়। ফেসবুক বা গুগল সেখান থেকে পয়সা রোজগার করে, অথচ দেখুন যাদের তথ্য কেন্দ্র করে এই ইকনমি চলছে, তাদের প্রতি এই কোম্পানিগুলোর কোন দায় নেই।
অবশ্য এই বেগার খাটার চক্কর থেকে মুক্তিরও উপায় আছে, কিন্তু সে সব অন্য আলোচনার বিষয়।
বক্তব্য হল ট্রাম্প এবং যারা ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছে তারা সবাই ভালো লোক। কিন্তু যারা ট্রাম্পের ভোটারদের ভোট পাচ্ছে না, সব দোষ তাদের।
কোনও ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গেলে সেখানে থাকতেই হবে এরকম মনে করিনা। বহু লোক কয়েক লক্ষ বছর ধরে আমেরিকাতে থেকেও আমেরিকা চিনতে পারেনা।
ন্যাশনালিস্ট দের কে সোশালিস্ট ও বলতে হবে, এই দাবী ইতিহাসে আগে হয়েছে অবশ্য :-)
আকা র কথা বুঝি নি অবশ্য আমি আমেরিকায় থাকি না। কোনো মানুষ কে ই ডিপ্লোরেবল বলা উচিত না এই গোল গোল কথা ছাড়া আমি বুঝি না, রেসিজম কে রেসিজম না বললে, রেসিস্ট দের হৃদয় এর ভীষণ পরিবর্তন হবে আর তারা ডেমোক্রাট দের দলে কালো রা , অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট রা থাকা সত্ত্বেও তাদের ভোট দেবে, এই ধারণার ভিত্তি কি?
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
রাহুল সিনহাকে তো সাইডলাইন করে দিলো মুকুল আর হাজরা মিলে।
অরিন, থ্যাংক ইউ। কিন্তু আমার নিজেকে গুরু সিস্টেম এর ইউজার এর বেশি কিসু বলে মনে হয় না:-)) প্রচুর ভাটিয়েছি বটে, গত পনেরো বছরে, কিন্তু সেরকম করে মানুষের কাজে লাগে এরকম কন্টেন্ট কিসু করা হয় নি।
রৌহিন, কবিতাটা খুব ই ভালো হলেও :-))), আমার গ্রাহক কি করে হবে বুঝলাম না, আমি কি কাগচ না সন্দেশ পত্রিকা ? :-))))