ওহ! ভার্চুয়াল বক্স।
আমাদের টিমে দুজন আছে তারা তাদের ল্যাপটপট গুলোকে ভার্চুয়াল বক্স-টক্স করে, তাতে গাদা গাদা ভি এম ... ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ...
আমরা ঠিক করেছি, এবার থেকে নতুন সার্ভার/টার্ভার সব ওদের ল্যাপটপেই হোস্ট করা হবে -- ওসব ভিএমওয়্যার/ভিস্ফিয়ার/হাইপারভাইসর -- সব হ্ঠাও --- ওদের ল্যাপটপই হবে আমাদের সার্ভার ফার্ম ---
কিছু ডেমো দিতে বললেই - কি সব কি কম্বিনেশন দাবায় - ফটাফট নানা ঢং-এর ওএস এর স্ক্রিন এপাশ ওপাশ করতে থাকে...
আর, কটা দিন ঠাকুর, এসবের হাত থেকে...
সম্বিৎ সদুপদেশ দিয়েছেন, :-)
তবে মনে হয় যাতে যে অভ্যস্ত। আমি যেমন সবকিছুই পারলে ইম্যাক্স আর ভিম দিয়ে করি, নাহলে জুপিটার নোটবুক। তার জন্য আমার অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে খুব একটা কিছু বলার নেই, একটা কিছু হলেই হল। গুরুচণ্ডালীটাই যেমন ব্রেভ ব্রাউজার দিয়ে দিব্য করা যায়।
দ-দি, দ্রুত উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। বড়জোর কেন লেখাটি লিখছি, সে বিষয়ে ১০০-১৫০ শব্দের কিছু একটা প্রথমে লিখলে ঠিক আছে। কিন্তু সব পর্বগুলোর জন্য অলস পাঠকের পাঠাভ্যাসের সঙ্গে আপসের প্রশ্নই নেই।
সারমর্মের ব্যাপারটা দ -ও লিখে দিয়েছে
আজ অজ্জিত এইখানে থাকলে এই টি আর আনন্দর কপালে দুস্কু ছিল।
সেই কোনকালে অজ্জিত এইসা লিনাক্ষ নিয়ে জ্ঞান দিত ভাটে যে আমরা ওকে ধরে পাঁজাকোলা করে টইতে দিয়ে এসোছিলাম। অজ্জিত ভাল ছেলে রাগমাগ করে নি।
এলেবেলে,
আপনার কোশ্চেনগুলো দেখলাম।
ওই যে লাইনেৱ/প্যারার মধ্যে গ্যাপের কথা লিখেছেন, ওটার একটা উপায় হল, Enter এর বদলে Shift + Enter, মানে Shift key চেপে ধরে Enter - তাহলে দেখবেন নতুন লাইনের গ্যাপ কম।
ছবিগুলো যেমন দিয়েছেন অমনিই তো আসা উচিত। 'দেখে নিন' এ দেখে নেবেন।
সারমর্ম ফিল্ডের টেকনিক্যালি খুব রেস্ট্রিকশন কিছু নেই, ওটা লেখার লিস্টে প্রত্যেক লেখার টাইটেলের নীচে যায়, যাতে লিস্টে চোখ বোলানোর সময় পাঠক টাইটেল বাদেও একটু দেখে নিতে পারেন কি ব্যাপার। যদি একটি লম্বা লেখার অনেক পর্ব বেরোয়, তখন প্রত্যেক পর্বের সারমর্ম আলাদা হলে ভাল, না হলেও ঠিক আছে। ইন ফ্যাক্ট, সৈকত ভাবছে কিছু ক্ষেত্রে সারমর্ম অটোমেটিক করে দেওয়া যায় কি না, মূল লেখার প্রথম ৫০ টি শব্দ বা এরকম কিছু, আগের সিস্টেমে বোধহয় এরকম কিছু ছিল।
ইমেইলে যোগাযোগের জন্য গুরুর ইমেইল (প্রত্যেক পাতার নিচে আছে) ব্যবহার করতে পারেন, তবে কবে উত্তর পাবেন বলা মুশকিল। উত্তরের জন্য চাপ দেবেন না, ইমেইল আইডিটি ভঙ্গুর।
এলেবেলে, এই সারমর্ম কেসটা আমি জানি। কালকেই ঘাঁটছিলাম। এটা গোটা লেখার সারমর্ম যেটা ব্লগ না খুললে বাইরে থেকে দেখা যায়। ব্লগস্পটে বা সচলায়তনে একটা হার্ডব্রেক দিয়ে এটা করি আমরা। এখানে আলাদা বাক্স হওয়ায় আবার লিখতে হয়। কাজেই হয় আসল ব্লগের প্রথম প্যারা (আমার মত অলসদের জন্য) নয়ত গোটা লেখার সারমর্ম (উফ্ফ সেই কেলাস নাইন আব্বার)। এটা প্রযোজ্য হবে যদি একটাই ব্লগপোস্টের তলায় তলায় বাড়তে থাকে।
এবার একটাই লেখা যদি আলাদা আলাদা ব্লগপোস্টে আসে, সেক্ষেত্রে আলাদা সারমর্ম দিলে ভাল হয়।
ন্যাড়াদা, তাও করে দেখেছি। হ্যাঁ, ঐ চৌষট্টী গিগের কলা পূর্ণ না হলে সব ভার্চুয়াল বক্সই হুলিয়ে স্লো যাবে। আর চৌষট্টী গিগ গুচ্ছ দাম।
ওরে বাবা, গুগুলে লগিন না করে ইউটিউব খোলা মানে প্রথম পাতা থেকে পাঞ্জাবি হিপহপ আর ঢিংচ্যাক পুজা ইত্যাদি।
যদ্দুর মনে পরে ওরাকল ৫ এবং ৬ তো মূলত ইউনিক্স বেসড ই প্রোডাক্ট ছিল
আবার মনে পরে গেলো এককের দৌলতে :) সেই দেড় ঘন্টায় E-R ডায়াগ্রাম নামানো
ঈশান, পিনাকী, এলসিএম, হুতো এবং টেক টিমের বাকিদের পাঁচটি অনুরোধ ও জিজ্ঞাস্য -
১. আমি চাইছি এই অংশটা আরেকটু কম্প্রেসড হোক। বাই ডিফল্ট দুটো অনুচ্ছেদের মধ্যে যে ফাঁক আছে, এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে তার অর্ধেক রাখা যায় কি? আসলে গোটাটাই তো একই অনুচ্ছেদের অংশ, সেই কারণে ব্যাপারটা দেখতে বলা।
https://i.postimg.cc/d00HWhQy/Compress.jpg
২. আমি নিজে অংশটা এইরকম দেখতে পাচ্ছি। প্রকাশিত হয়ে গেলেও কি এইটা এভাবেই দেখা যাবে? খুব কম অংশে আছে। কিন্তু আছে।
https://i.postimg.cc/t4cWjJtP/Albino.jpg
৩. বাকি সমস্ত ইংরেজি Times New Roman থাকলেও এটা থাকেনি। নীচের দিকে আরেকটি ক্ষেত্রেও একই জিনিস হয়েছে। এটা কি পাল্টানো যায়?
https://i.postimg.cc/BnSM6jKV/Font.jpg
৪. 'সারমর্ম' মানে কি মূল লেখাটার সারমর্ম নাকি প্রতিটি অধ্যায়ের? তার জন্য কত শব্দ নির্ধারিত?
৫. এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করার জন্য আমাকে যদি কোনও মেল আইডি দেওয়া হয় কিংবা কোনও ভারতে বসবাসকারীর ফোন নম্বর, তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।
সেন্টার স্টেজ ও টিজার-এ বিবমিষার উদ্রেক হচ্ছে, তাই। আজ রাত দশটার মধ্যে উত্তর দিলেই হবে।
বড় মেমোরির ল্যাপটপ কিনুন। 64 গিগ। এবার তাতে ইউবান্টূ হোস্টে ভার্চুয়াল বক্সে উইন্ডোজ চালান। আর কাজের সফটওয়্যার যদি উইন্ডোজে হয়, তাহলে উইন্ডোজ হোস্টে ভার্চুয়াল বক্সে ইউবান্টু চালান।
এটাকে তো অনেকে সুবিধে মনে করতে পারে? করেও অনেকে।
আবার অনেকে করেও না , অন্ত্যন্ত বিরক্তিকর লাগতে পারে , এই যেমন আমার :)
কিন্তু ওই যে বললাম ট্রেড অফ , সুতরাং মেনে নিয়েছি এবং পাত্তা দি না
এউচসিএল ইউনিক্স দিয়েই ত শুরু করেছিলুম সেই কবে। ওরাকল এর প্রজেক্ট ছিল। তারপর অনেক খেল দেখলুম। শেষ এ উবুন্টু ও উড়িয়েচি বিরক্ত হয়ে।
একটা বয়েসের পর, হ্যাঁ বয়েস ব্যাপারটা খ্যাল করবেন, লিনাক্স ইউজার হয়ে থাকাটা কেমং, মোষের শিং এ ঢেলে ওয়াইন পানের মত, এক্সটিক হল্যেও নট ওয়র্থ লাগল।
কিন্তু ব্যাপারটা একটু অন্যভাবেও দেখা উচিত।
মানে ধরো, আমি ইউটিউব ব্যবহার করি, আমি কি ধরনের কনটেন্ট দেখি সেই ডেটা/প্যাটার্ন নিয়ে গুগল অন্য কনটেন্ট এর লিংক দিল, বা অ্যাড দিল।
এটাকে তো অনেকে সুবিধে মনে করতে পারে? করেও অনেকে। ইন ফ্যাক্ট, সুবিধেই তো।
বা, ধরো আমার যেমন হয়েছিল, মাঝে আমি টিভিতে খুব ফুড চ্যানেল এবং হোম-এন্ড-গার্ডেন (HGTV) চ্যানেল দেখতাম, তো এক দুমাস পর থেকেই দেখতে থাকলাম, নানারকম ম্যাগাজিন পোস্টাল মেইলে আসতে থাকল - ফুড, গার্ডেনিং, ট্রাভেল সংক্রান্ত। আমার তো ভালও লাগল।
সুতরাং, আমার ডেটা নিয়ে আমারই সুবিধে করে দিচ্ছে - ব্যাপারটা তো এভাবেও দেখতে হবে।
@টি :)
তবে "HP" ল্যাপটপ এ উবুন্টু কিন্তু মোটামুটি স্টেবল , যদিও বছর পাঁচেক আগের এর কথা বলছি
আমারও প্রায় মায়া হয়ে যাচ্ছিল। আসুস। হাত মেলান।
আরে এই গ্রাফিক্স ড্রাইভার এর বাওয়ালে আমার আগের ASUS ল্যাপটপ প্রায় মায়া হয়ে যেতে বসেছিল
শেষে অনেক পাঁয়তারা করে উইন্ডোজ ১০ ফিরিয়ে আনি
হ্যাঁ লেবার প্রচুর। এবং অভ্যেস ইত্যাদি আছে, এতরকম কাজের মধ্যে কে আর বেকার নতুন নতুন ইসে করতে চায়। আমি এমনিতেও একেবারেই টেক স্যাভি নই। আমার মত অলসদের ডেটা চুরি হওয়া আরোই সোজ হবে।
সে দেকতে গেলে অনেক সফটওয়্যারই উবুন্তুতে ওয়াইন দিয়ে চালানোই যায়, কিন্তু কখন কোন কারণে ক্র্যাশ করবে কেউ জানে না।
"আপনি ফোকটে জিমেল/ফেসবুক/ ব্যবহার করলে গুগল/ফেসবুক আপনার তথ্য যাকে খুশি বেচবে, কিন্তু কেন? কে ওদের এই ক্ষমতা দিয়েছে? "
আমার কাছে এইটাই ট্রেড-অফ বা কম্প্রোমাইস বা অন্য যা খুশি নামে ডাকতে পারেন
এথিকাল? সম্ভবত নয় , আপনার কিছু করার আছে ? অবশ্যই নেই :)
একদমই। রাদ্দিনই ইউজ করছি (উবুন্তু), কিন্তু একটা পর্যায়ের পর আর পোষায় না। কাজের চাইতে অকাজে বেশী সময় যাচ্ছে বলে মনে হয়। বছর সাতেক আগে, গ্রাফিক্স ড্রাইভার সংক্রান্ত ঝামেলায় উবুন্তু অ্যাত ভুগিয়েছিল।
সলিডওয়ার্কস অ্যানসিস, সিফডি মানে ফ্লুইড ডায়নামিক্স সিম্যুলেশনের প্রায় সব। লিনাক্সে এই ফিল্ডে কেবল ওপেনফোম মাত্র। ক্যাড সফটওয়্যারের সিংভাগই। লিনাক্সে শুধুমাত্র ব্লেন্ডার, তাও তার উইন্ডোজ ভার্সনও রয়েছে। রোবোটিক্সে নেহাত সব কাজেই রোবোট অপারেটিং সিস্টেম লাগে বলে লোকে উবুন্তু ইউজ করে চলেছে। উইন্ডোজ ভার্সন নেমে গ্যাচে, আর কদিন বাদে লোকে কাটিয়ে দেবে।
সার্ভিস এগ্রিমেন্ট কোথাও নেগোশিয়েবল নয় , শুধু ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এ সীমাবদ্ধ নয় , অন্তত আমি দেখি নি
অবশই লিনাক্স উবুন্টু ইত্যাদি অপসন , চেষ্টা করিনি তাও নয় , কিন্তু একটা পর্যায়ের পর আর লেবারে পোষায় না :)
ভবিষ্যতে আবার প্ল্যান যদিও রয়েছে
এমন কি "কাজ"এর সফটওয়্যার যা শুধুই উইন্ডোজ এই আছে, ইউনিক্স/লিনাক্স এ নেই বা সম্ভব নয়? (কৌতূহল বশত জিজ্ঞাসা করছি ) ।
আর একটা ঘটনা বলি
দিল্লির কোন এক জনতা কোনো প্রাইভেট ফিনান্স কোম্পানি থেকে লোন নিয়েছে আর কন্টাক্ট ইমেইল হিসেবে আমার জিমেইল একাউন্ট দিয়েছে , ইচ্ছাকৃত ই মনে হয় কারণ তার নামের সাথে আমার নামের বিন্দুবিসর্গ কোনো মিল নেই
অবশ্যই কোথাও থেকে জোগাড় করেছে
সেই ফিনান্স কোম্পানি মাঝে মাঝে আমাকে ইমেইল পাঠায় পেমেন্ট বাকি আছে বলে , প্রথমবার আমি ওদের কাস্টমার কেয়ার এ ইমেইল করে জানিয়েছিলাম , কোন লাভ হলো না
এখন এই সব ইমেইল ধরে ডিলিট করে দি , অবশ্যই কিছু রিস্ক থেকে যায় কিন্তু কিছু করার নেই
উইন্ডোজের বদলে লিনাক্স ব্যবহার করাই যায়, কিন্তু কাজের সফটওয়্যার মাইরি কিছুই সেইরম নেই। আমি ওই ওয়ার্ড ইত্যাদির কথা বলছি না।
একজাক্টকলি @anandab , "আমি কি কিনব বা কি কিনব না সেই ডিসিশন দিনের শেষে নিজের কাছে রাখলে এগুলো কোনো সমস্যা নয়", সেইটাই কথা ।
আপনি ফোকটে জিমেল/ফেসবুক/ ব্যবহার করলে গুগল/ফেসবুক আপনার তথ্য যাকে খুশি বেচবে, কিন্তু কেন? কে ওদের এই ক্ষমতা দিয়েছে?
আজ অবধি কোনো সার্ভিস এ সাইন আপ করার সময় দেখেছেন কোথাও negotiate করতে দেয় ? আপনি নিজের মতন শর্ত রাখতে পারবেন? হয় "Agree ", নাহলে সার্ভিস পাবেন না ।
তাহলে অল্টারনেটিভ গুলো ব্যবহার করলে হয় না? ই গ্লোবাল, ম্যাস্টোডোন, windows/macOS এর জায়গায় লিনাক্স, সার্ভার স্পেস কিনে নিজে হোস্ট করা, যায় তো ? :-),
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সেলফোন, ইন্টারনেট প্রোভাইডার, সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার, ক্রেডিট কার্ড এইরকম অন্তত একটা জিনিস থাকলেও, আমি জতটুকু বুঝি, ডেটা প্রোটেক্ট করা কঠিন। ডেটা বলতে জন্মদিন, সোশ্যাল, এইসব বলছি। যেকোনদিন হ্যাক হতেই পারে। হ্যাঁ কিছু বেসিক সিকিউরিটি মেইনটেইন করা যায়, আমরা সম্ভবত অনেকেই করি। কিন্তু কোন গ্র্যান্টি নেই যে কেউ ডেটা বাগিয়ে নেবেনা।
আরে আমার খানদুই অদ্ভুত কেস হয়েছিল।
1) ২০১৩ নাগাদ। সদ্য কলকাতা থেকে পুণে বদলি হয়েছি। স্যালরি অ্যাকাউন্ট যে ব্যাঙ্কে তারা তখনও বাড়িতে মান্থলি স্টেটমেন্ট পাঠায়, যেটা ফ্রি। ইকপি চাইলে পয়সা চায়। তো যাক বাড়িতে কাগুজে স্টেটমেন্ট। অমা, হঠাৎ বছর শেষের ফর্ম ২৬এ পাঠিয়েছে তাতে দেখি আমারই প্যান নাম্বারের সাথে আমার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও হায়দ্রাবাদের এক মিস্টার মাথুরের অ্যাকাউন্ট জোড়া। সেসব হিসেব নিকেশও দেখিয়েছে। পুলিশে গেলাম এফ আই আর করতে, নিলো না। বলে ব্যাঙ্কে যাও ওরা ঘাপলা করেছে। ব্যাঙ্কে গেলাম বলে ও কিছু রিপোর্টিং এরর। গুরুত্ব দেবার মত নয়। আমিও জেদ করে বসে রইলাম ম্যানেজারের স্টেটমেন্ট দাও যে রিপোর্টিং এরর, এই প্যান অন্য কোনও কাজে ব্যবহার হয় নি। সে ম্যানেজার ব্যটা চটে কাঁই।
শেষে ইনকাম ট্যাক্সে ফোন করলাম। তারা আমার আইডেন্টিটি নিশ্চিত করে তারপর চেক করল। বলল না ঐ অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত করা হয়েছে বটে তবে আর কোনও ট্রানজাকশান হয় টয় নি। আমি চাইলে ঐ অ্যাকাউন্টকে সাসপিশাস বলে লিখিত স্টেটমেন্ট দিতে পারি। ওরা সেক্ষেত্রে ইনকাম ত্যাক্সের দিক থেকে অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক বলে ডিক্লেয়ার করবে। আমি লিখিত অভিযোগ দিয়ে দিলাম জমা।
তারপর মাসখানেক বাদে সেই হতভাগা ব্যাংক ম্যানেজার ফোন করে বলে ব্যাঙ্কে এসো, তুমি অভিযোগ করেছ ব্যাঙ্কের নাম জড়িয়েছ। আমি বললাম যাবো না। তোমাদের যা জানাবার লিখিত জানাও। এরপরে অফিসেও জানালাম। অফিসে আরো কিছু অভিযোগ পড়েছিল, নানারকম টাইপ। তারা ঐ ব্যাঙ্কে আর স্যালারি অ্যাকাউন্ট রাখবে না বলে আল্টিমেটাম দিল। ব্যাস ম্যানেজারমশাই আর ঝামেলা কিছু করেন নি।
2) গত বছর কি কারণে যেন ক্রেডিট রিপোর্ট বের করলাম সিবিল থেকে। ওমা বের করে দেখি অন্য সব কিছুর সাথে আমার নামে RBL Bank এর ক্রেডিট কার্ড দেখাচ্ছে একটা। আমি জন্মেও কোনওরকম কার্ড এই ব্যাঙ্ক থেকে নিই নি। এদের সাথে কোনও সম্পর্কই নেই। এদের টেলি কলাররা মাঝে মাঝে ফোন করে উৎপাত করত। সময় থাকলে কথা বলে না করতাম, না থাকলে নগদে ব্লক করতাম। এদিকে সেই কার্ড দেখি দিব্বি আমার নামে তাতে কোনও ট্রানজাকশান নেই, সব শুন্য শুন্য এবং স্ট্যটাস গ্রিন। কিন্তু এর অস্তিত্বই তো আমি জানি না। ওদের কল সেন্টারে ফোন করে কিছুই লাভ হচ্ছে না, তারা বলে হ্যাঁ এটা এই নামে আছে, গ্রাহক রিসিভও করেছে কার্ড সেইরকমই সিস্টেমে আপডেট আছে ।শেষে ব্ল্যাঁকি বুদ্ধি দিল অনলাইনে আর বি এল ব্যাঙ্কের সাইটে কার্ড নাম্বার দিয়ে চেক করতে আর পরে কল করে চুরি গেছে বলে ব্লক করাতে। চেক করতে গিয়ে দেখি দিব্বি ডেট অব বার্থ, প্যান নাম্বার ইত্যাদি বেসিক ভেরিফিকেশান সব উৎরে গেল। তার মানে এইসব ইনফো ঠিকথাক ফিল করা আছে। ব্লক করাতে গেলে বলে নতুন কার্ড পাঠি য়ে দেবে। শেষে বললাম আর ব্যবহার করব না টার্মিনেট কর। আর আমি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করছি হারিয়ে গেছে বলে। তারপর হল বন্ধ।
গত পাঁচ ছ বছরে কম করে তিন বা চার বার নোটিশ পেয়েছি "আপনার গোপনীয় এবং অথবা ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের অগোচরে এবং অনিচ্ছাকৃত ভুলে চুরি হয়ে গেছে" প্যারাফ্রেজ করলাম
একবার তো সরাসরি Equifax থেকে , যারা নাকি ক্রেডিট মনিটর করে
ঠিক কি কি তথ্য হ্যাক হয়েছে কেউ বলবে বলে ভরসা করি না, যতটুকু যা প্রটেকশন নেওয়া সম্ভব নিয়েছি
শুধু নাম জম্মদিন আর ঠিকানা থেকে ক্রেডিট কর্মা গুষ্টি শুদ্ধ তথ্য চোখের সামনে হাজির করছে , ব্যাংক একাউন্ট ত তুচ্ছ ব্যাপার , হ্যাকার অবধি ও যেতে হবে না
সে তুলনায় গুগল , আমাজনের উপদ্রব তো তুচ্ছ , আফটার অল আপনি নিজে লিংক না ক্লিক করলে বা শপিং করলে তারা তো আপনার হয়ে জোর করে করে দিচ্ছে না
অন্তত এখনো পর্যন্ত টেকনোলজি অতটা উন্নত হয়েছে বলে আমার জানা নেই
আমি কি কিনব বা কি কিনব না সেই ডিসিশন দিনের শেষে নিজের কাছে রাখলে এগুলো কোনো সমস্যা নয় , ভবিষ্যতে কি হবে বলতে পারি না