আচ্ছা, গুগল পদ্ধতিতে লিনক দিলেই শেষটা বাংলা হয়ে যাচ্ছে, আবার দিতে গেলে এত লম্বা লম্বা ইউয়ারেল আসছে কেন?
এই সেই প্রিন্টের আর্টিকল। এতো কাস্টিস্ট রেসিস্ট গ্রাউণ্ডেই লোকের কাছে ঝাড় খেয়েছে। প্রিন্টের পেজে বহুলোক আপত্তি করে গেছেন, যাঁঁরা কিন্তু প্রিন্টের নানা আন্টিচাড্ডি কাজকর্মের ভক্ত আর নিয়মিত পাঠক। তাঁরা সেকথাও লিখে দিয়ে গেছেন আর জিগেশ করেছেন দেখলাম, তাহলে সেই আর্টিকল গুলোতেও কি তথ্যবিকৃতি থাকে।
কি কঠিন আলোচনা হচ্ছে রে বাবা! আমার প্রশ্ন শুদু একটাইঃ হিন্দিতে এখনও টি২ বা মেট্রিক্সের লেভেলের মারপিটের সিনেমা হলো না কেন? বলিউডের অ্যাকশান সিকুয়েন্সগুলো এতো খাজা কেন? তাহলে তো হিন্দি সিনেমাও দেখতে পারতাম!
আরে ওটা আলিয়া ভাটের জন্য দিয়েছে। সেই করণ জোহর শো তে বলেছিল সুশান্ত কে বা আর কীসব। তারপর মহেশ ভাটের ওই পারভিন বাবি কমেন্ট।
এছাড়াও এই সিনেমায় নাকি সুশান্ত কাজ করতে চেয়েছিল, মহেশ ভাটের সংগে কাজ, বাদ দিয়ে নেওয়া হয় বলিউড ফামিলি কাউকে, পুরো স্টার কাস্ট ধরে দেখিয়েছিল সবারই ফ্যামিলি সাপোর্ট আছে মামে নেপোটিজম ইঃ.
এছাড়াও ও পারভিম বাবির মত ডিপ্রেসড আর গন কেস বলে বাদ দেওয়া হত, এটা ভাটদের কোট করেই তো বেরয়। সেখান থেকে এসব শুরু।
শিবসেনাও সামনায় লিখেছিল, জর্জ ফার্রনাডেজের বায়োপিকে ওকে বেছেও বাদ দেওয়া হয়, ডিপ্রেসড, মানসিক অসুস্থ এসব কথা 'শোনা' যায় বলে।
সুশান্তের কেসটা তো স্টাডিযোগ্য ! সেই বম্বেতেই ঘটা পুরোন নানাবতী কেসের মত যেন। তারপর তো বিচার ব্যবস্থা থেকে জুরি প্রথা উঠে গেল । অক্ষয় কুমারের একটা বাজে সিনেমা আছে সেই খুনের ঘটনা নিয়ে।
আর সড়ক২ এ ডিসলাইক দিয়ে সুশান্তের জন্য কি করা হল?
কিন্তু ভারতে এখন লিবারল মিডিয়া কে কে?
কিন্তু সড়ক ২ শুধুই রাইট উইং দিয়েছে এটা ভাবাটাই ভুল। লক্ষীবম্ব ও তারা শুধু দিচ্ছেনা!
অক্ষয় কুমারের দুবাই কানেকশন নিয়েও গাদা ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যার মধ্যে অনেক কিছু মরফড। সবচে বড় অভিযোগ উঠেছিল ফউজি গেমটা নাকি সুশান্ত সিং এর প্ল্যান চুরি করা, এনিয়ে রীতিমত পোস্টের ট্রোলের বন্যা বয়েছে যার জন্য অক্ষয় কুমার কোর্টে গিয়ে প্রমাণ করল!
রিয়ার অনেক আগে থেকে যাকে নিয়ে সবচে বেশি ট্রায়াল হচ্ছিল, সেই সন্দীপ সিং মোদীর বায়োপিকের প্রযোজক। গুজরাতে কোন সামিটেও বিশাল প্রোজেক্ট বাগিয়েছিল, অন্যায়ভাবে। এসবও এসেছিল দিব্বি। এসবই ছিল শুরুতেও। চাড্ডিরা চালাক আর অনেক সংঘবদ্ধ, তাই ইস্যু নিজেদের ফেভারে টানতে জানে।
লিবারেল মিডিয়া ব্যস্ত রইল, টক্সিক বিহারী ফ্যামিলির শ্রাবণ কুমার নিয়ে। বলল, অতি রক্ষণশীল পরিবার, ছেলের ঘরোয়া শাড়ি সালওয়ার পরা বউ চাই, তাই খোলামেলা পশিচমা পোশাক পরা গার্ল্ফ্রেন্ড মেনে নিতে পারেনি, তাই এত কিছু। প্রিন্ট এনিয়ে থিসিস নামাল। ফ্যানরা, যারা অনেকেই চাডডি নয়, তারা আরো খেপল লিবারেল মিডিয়ার উপর, বলল যেখানে ওর দিদিরা সবাই নিজের পড়াশুনা করে কেরিয়ার করেছে, কেউ ন্যাশানাল লেভেলে ক্রিকেটার, কেউ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, কেউ ফ্যাশন ডিজাইনার, আচিভার, সবার গুচ্ছ ছবি আছে আধুনিক পোশাক আশাকে, সেখানে এগুলো তো তথ্যবিকৃতি। বিহারী মানেই গোবলয়, মেয়েরা এক হার ঘোমটা টেনে হেঁশেল থেকে বেরয়না, লিবারেল মিডিয়ার এরকম প্রোজেকশন অনেকেই ভালভাবে নেয়নি। যারা নেননি, তাঁ্রা সবাই চাড্ডি ভাবলে আমাদের স্বস্তি, থিয়োরিতে ফিটের সুবিধে হতে পারে কিন্তু আদতে আমি দেখি কেন লিবারেল অংশ মাস বেস হারায় বা পোটেনশিয়াল অনুযায়ী রিচ করতে পারেনা, আর চাড্ডিরা কেন পারে।৷ অনেক ফ্যাক্টর। সবকিছু সাদাকালোতে না, অনেক লেয়ার। এসব অগ্রাহ্য করলে ওই কনভার্টেডদের কাছেই প্রিচ করে যেতে হবে।
এই কেসটা এক্ষেত্রে নানাদিক দিয়ে ভাল কেস স্টাডি হতে পারে।৷
অথচ এত্ত সুযোগ ছিল। এই হাইপের সুযোগে কাইপোচে র সিনগুলো, গুজরাত দাংার সিনগুলো বিশেষ করে, ভাইরাল করতে পারত৷ কেদারনাথে হিন্দু কমুনিটির চাড্ডিগিরির সিনগুলো। মুস্লিম, পাকিস্তানি বিদ্বেষ কাটানোর এত সুযোগ ছিল পিকে, কেদারনাথ দিয়ে।
পিকে, কেদারনাথ, নাম থেকে রাজপুত বাদ দেওয়া নিয়ে, সিয়াচেনে সেনাবাহিনি নিয়ে মন্তব্য না করা নিয়ে জীবদ্দশায় চাড্ডিদের উতপাত করার খবরগুলো ভাইরাল করা যেত।
সুযোগ ছিল সোনচিড়িয়ার মত ছবি কেন ফ্লপ হয় সেনিয়ে প্রশ্ন তোলা।
পপুলার বেসকে, মাইণ্ডসেট, সেন্টিমেন্টকে ব্যবহারই করতে জানেনা লিবারেল অংশ, এরা ডায়নোসর হবে না তো কারা হবে!
বোধিদা, স্ট্রীট সেকুলারিজম দেখানোতে সমস্যা কিছুটা আছে তো বটেই। কিন্তু আমাদের অডিয়েন্স কি তার থেকে ফান্ডামেন্টালি অন্যরকম কিছু হজম করতে পারবে? মাফিয়া ডন ছাড়া হিন্দি সিনেমায় মুসলিম ক্যারেক্টার কখনও মূল চরিত্রে এসেছে? সেদিক থেকে লাস্ট কয়েকবছরে খুব স্থুল বা সূক্ষ করে আসল ইস্যুগুলো দেখিয়েছে অন্তত তিনটে ওয়েবসিরিজে। সেক্রেড গেমস সিজন ২ ছাড়াও পাতাল লোক আর অবশ্যই ফ্যামিলি ম্যান। কাশ্মীর নিয়ে কতগুলো ক্যাজুয়াল ডায়লগ দিয়েছে সেগুলো মেইনস্ট্রিম হিন্দি সিনেমায় ভাবাও যায়্না। এইটা আমার কাছে খুবই আশাবাদী।
এবারে মুম্বাই বনাম হিন্দি হার্টল্যান্ডের ব্যাপারটা আমার মনে হয় অনেকটাই সিনেমা পরিচালকের নিজস্ব ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে। ইন্সিডেন্টাল। দিবাকর ব্যানার্জি যেমন দিল্লি নিয়ে সিনেমা তৈরী করতে এক্সপার্ট।
কংগনাকে লড়তে হবে সেটা ঠিক। বিজেপির নেতারাই অত সহজে ওকে জায়গা দেবে না ।
আমার ধারণা রাজপুত কেসটা নেপোটিজ্ম থেকে খুনের দিকে ঘুরে যাওয়ার পেছনে , চ্যানেলের মদতে, তার পেছনে বম্বেতে যাদের টাকা খাটে তাদের হাত ছিল। ফোকাসটা একজন সাধারণ পরিবারের দিকে ঘুরে যায়।
আন্ডারাস্ট্যান্ডিং তো হবেই , স্টেট আর বিজনেসের মধ্যে।
ভরুন গ্রোভারের নামেও মিটূ অভিযোগ উঠেছিল। ধোপে টেকেনি। কারণ লোকে বোঝে কোনটা সত্যি আর কোনটা না। তবে অনুরাগের ক্ষেত্রে এখনই ক্লিন চিট দিচ্ছিনা। আরো কয়েকদিন যাক। ব্যাপার হল কঙ্গনার রিটুইট খুবই দুব্বল। যে মেয়ে সব ব্যাপারে এত বেশি বকে, সে কিনা তিন শব্দের টুইট দিল এত বড় ইস্যুতে? হয়ত ভয় পাচ্ছে যে লাইমলাইট অন্য কেউ নিয়ে নিচ্ছে।
মিটূ নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু লিখবোনা। ম্যানস্প্লেইনিং মনে হবে।
ইন্ভাস্ট্রিয়াল পিস ফিরে এলে কঙ্গনাকে আর লাগবেনা বলেই মনে হয়। ঠিক বলেছ বড় এস। তবে বিহারের ইলেকশন, মহারাষ্ট্র সরকার দুটো বড় স্টেক। বম্বে কন্ট্রোল টা আরো লম্বা গল্প, কোন ফাসিস্ট সরকার ই প্রচারের এত বড় টুল ছেড়ে দেবে না।
এখন দেশের ইয়ঙ্গ জনগণ, যাদের এমনকি ভোটের বয়সও হয়নি, তারা মনকি বাতকে ডিসলাইক দিয়ে দিয়েছিল। এইযে রাইট উইঙ্গরা খুব এফেক্টিভলি সোশাল মিডিয়া চালায়, যারা সড়ক ২ এর ট্রেইলারে ডিসলাইক দিয়ে ভড়িয়েছে, তারা বোধয় ভাবেওনি নিজেদের অসুধ নিজেদেরই খেতে হবে।
বস্তির , বা চোওল এর এই সত্তর বা আশির দশকের শহরে সামাজিক ডায়নামিক কে ধাক্কা কিন্তু প্রথম দিচ্ছে শিবসেনা, নানা পাটেকার অঙ্কুশ ইত্যাদি তে, মারাঠি নিম্নবিত্ত মেয়ের সম্মানরক্ষা করা হচ্ছে পাড়াযর বিশূদ্ধ মারাঠি যুবকের প্রধান কাজ, এরমধ্যে যথারীতি নেতা নানা ই সবচেয়ে কপর্দকশূন্য।
অক্ষয় কুমারকে কিন্তু এর ফ্যানেরা রীতিমত টার্গেট করেছে। আপনি দেখেননি হয়ত। ওর নতুন সিনেমা লক্ষ্মীবম্ব না কি, তাকে বক্সুফিসে বম্ব করারো পুরো পরিকল্পনা নিয়েছে। অলরেডি ট্রেলারে ডিস্লাইক দেখুন।
এই ট্রেলারে ডিস্লাইকের বন্যা বওয়ানো, এটা কিন্তু এই ঘটনা থেকে একটা বড় টুল হিসেবে উঠে এল আর এতে সবচেয়ে ভুগছে এখন বিজেপি।
আত্মহত্যার ঘটনাটিকে খুনের মোচড় দেওয়া হয়েছে। সবাই সুযোগ খুজেছে , পরিবারটিও জড়িয়ে পড়েছে ।
আদতে যা ঘটল সেটা হতাশা আর দুঃখের। মৃত মানুষটির দিক দিয়ে দেখলে। মরে গিয়েও সে ব্যবহৃত হল। এরকমই মনে করি।
সুশান্ত সিং ও কিন্তু মিটু খেয়েছিল। যেটা তারপর ফলস বলে প্রমাণ হয়। একেবারে চ্যাটের স্ক্রিনশট সহ প্রমাণ বেরয়। এবং মজার হল, মেয়েটি বলে এমন অভিযোগই সে আনেনি! আরো মজার হল, তারপরেও বহু মিডিয়া আর ব্লাইণ্ড আর্টিকলে মিটু খেয়েছে লেখা হয়ে গেছে। সেটা খারিজের খবরটা আর আসেনি।৷ এই ফলস মিটু যে ডিপ্রেশনের একটা বড় ট্রিগার ছিল, সেটা মোটামুটি বহু লোকে বলেছে।
সমস্যা হল, মিটু এলে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা, মেয়েরা অভিযোগ করলে সেটা সত্যি বলেই এগোতে হবে, মানে কেউ সেনিয়ে সন্দেহ অব্দি প্রকাশ করতে পারবেনা, করলেই সেটাকে ভিক্টিম ব্লেমিং বলা হবে ( যদিও আদতে ভিক্টিম ব্লেমিং এর সংজ্ঞা অন্য), অপরাধ প্রমাণের আগে অব্দি নির্দোষ বদলে গিয়ে অপরাধের অভিযোগ এলেই প্রমাণ না হওয়া অব্দি দোষী, এই ফান্ডামেন্টাল সুইচ, এমনকি আরো ইন্টারেস্টিং হল, রিয়াকে অপরাধী বানিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের সময় অবশেষে এই প্রশ্ন উঠল, অপরাধ প্রমাণের আগে দোষী বলা হচ্ছে কেন, কিন্তু এই কেসে অন্য আরো নানা লোকজনকে নিয়েও কিন্তু লোকে তাই করেছে, তারা মেয়ে নয়, কিন্তু ট্রায়াল কম হয়নি। কিন্তু তখন এই আগেই বলা হচ্ছে কেন আসেনি। মেয়ে হওয়াতে একাংশে ট্রায়াল,উইচ হান্ট ও যেমন অনেক বেশি হয়েছে, আবার কেন হচ্ছে সেই ভয়েসও বেশি উঠেছে, অন্যদের নিয়ে ওঠেইনি। সোশাল মিডিয়া বা মিডিয়া ট্রায়ালের বৈশিষ্ট্যই কিন্তু এটা। আর মিটু বা মেয়েদের আনা অভিযোগের ব্যাপারে এই উল্টো ভাবে দেখা স্বীকৃতও। তার অবশ্যই নানা সামাজিক ঐতিহাসিক ভ্যালিড নানা কারণও আছে। বিশেষ করে ডাউরি কেসে।
কিন্তু কথা হল, ব্লানকেট এই প্রয়োগ, এই নিয়ম নিয়েও ভাবা দরকার। নইলে এই অনুরাগ কাশ্যপের মত কেস, যেটা আমারো ধারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বহু ভেবেচিন্তে এক ঢিলে নানা পাখি টার্গেট, নানা ভোটবেস ক্যাটার করে নামানো, এই কেসগুলো নিয়েও এরকম কোন সন্দেহ প্রকাশ করাই যাবেনা। সেই স্পেসটাই কিন্তু স্বীকৃতভাবে নেই।
সন্জয় রাজৌরার অনেক দারুন কথার মধ্যে একটা কথা এক্ষেত্রে খুব প্রযোজ্য। ইফ ইউ ডোন্ট চুজ ইওর পলিটিক্স, পলিটিক্স উইল চুজ ইউ।
সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে এইটাই হল। রাগের চোটে একদিকে একটু ঝুঁকতেই বিজেপি অর্ণব আর কঙ্গনার সাহায্যে পুরো ইস্যুটা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। জাস্টিস ফর সুশান্ত কখন জাস্টিস ফর কঙ্গনা হয়ে গেল তারা বুঝতেও পারেনি। সুশান্তের ডিপ্রেশান, বলিউডে নপোটিজম ইত্যাদি নিয়ে কিচ্ছু হবেনা। কারণ চাড্ডীদের কাছে ওগুলো আদৌ কোনও ইস্যুই নয়। তাহলে তো অক্ষয় কুমারের পরিবার নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে।
আসল ইস্যু হল কে চালাবে বলিউড, মহারাষ্ট্র, আর বিহার। সেই কারণেই একই সঙ্গে ড্রাগস, ঠাকরে, আর মুম্বাই বনাম বিহার পুলিশের অ্যাঙ্গল নিয়ে আসা হয়েছে। তবে লোকে সবই বোঝে। সোশাল মিডিয়ায় যতটা হইহল্লা দেখেন সেটা অনেকটাই অ্যাম্প্লিফায়েড। কারণ প্রফেশনাল চাড্ডীরা সারাদিন সোশাল মিডিয়ায় আওয়াজ তুলেই যাচ্ছে, আর আমার আপনার মতন লোকেরা খুব বেশি হলে গুরুতে কপচাচ্ছি।
খুব বেশিদিন লাগবেনা। কয়েকদিন পর কঙ্গনাকেও সাইডলাইন করে দেওয়া যাবে। মেয়েটা নিজে হাতে নিজের এত ফ্লারিশিং ক্যরিয়ারটা নষ্ট করলো। এখন রাজনীতির স্বপ্ন দেখছে। সেটা বোধয় রাজ্যসভার এমপির একটা টার্মেই শেষ হয়ে যাবে। এত বড় লায়াবিলিটি বিজেপিও রাখবেনা।
বড় এস হয়তো আমি পরিষ্কার না করে দেওয়া য় ধরতে পারে নি। বম্বে ফিল্ম মেকিং এ বরাবরের অন্যতম ডিবেট হল ভারতীয় আর্বানিটির বিভিন্ন ধারা আর পর্যায় আর তার ডিস্ট্রিবিউশন সার্কিট গুলির গল্প। বম্বে তে সিনেমার কোডিফিকেশন এর প্রথম যুগে, প্রথম ও প্রধান ফিল্মের রেগুলার দর্শক ছিল, সেখানকার সুতো মিলের শ্রমিক বা নতুন আরবান পাবলিক। তো সে কারণে একসঙ্গে পার্সি থিয়েটারের সোয়াশ বাকলার, আর মারাঠি পাবাদা র গান দুটো আর্ট ফর্ম ই যেটা বম্বেতে আডোপশন হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে কমিউনাল ডিভাইড, মারাঠা আরটিকুলেশন , মিথোলোজিকালস, গান্ধী র প্রভাবে হ ওয়া সন্ত ফিল্মস, হিস্টোরকালস, প্রোগ্রেসিভ রাইটিং (মান্টোরা স্ক্রিপ্ট লেখায় আসছেন), বাঙালি লিটেরারি, মুসলিম সোশাল এবং ৪২ থেকেই প্রায় নেশন বিলডিং এর আইডিওলোজিকাল দিক ইত্যাদি সমস্ত কালচারাল পজিশনের রিফ্লেকশন দেখতে পাবে। জনরা তেরি হচ্ছে। এগুলি নিয়ে আশিষ রাজাধ্যক্ষ, পল আলেন, রবি বাসুদেবন, মৈনাক বিশ্বাস, মধূজা মুখোপাধ্যায়, উর্বী মুখোপাধ্যায় দের কাজ বহুদিন ধরে আছে। এবার ৭০ এর দশকে এমারজেন্সি র আগে পরে, নকশাল আন্দোলনের প্রভাব কমানোর অতি সাধু উদ্দেশ্যে আংরি ইয়াং ম্যান বস্তুটির আবির্ভাব ঘটেছে, ইউনিয়ন এর বদলে গালিবল নেতা ইত্যাদি ও তৈরী হচ্ছে। ইমেজারির জগতে রাষ্ট্র এভাবেই কথা বলে থাকে। এই সময়ে মজাটা হল একটা আরবান অথেন্টসিটিও শাসকের লাগছে। সেখান থেকেই অমর আকবর আন্টোনি র একটা স্ট্রিট সেকুলারিজমের জন্ম হচ্ছে, আবার ইয়ারি হ্যায় ইমানদারি গোছের মেল বন্ডিং তৈরি হচ্ছে, বস্তির আফগানি মুসলমান গুন্ডার সঙ্গে নায়কের বন্ধুত্বর থেকে, পাড়ায় পাড়ায় সম্ভাব্য আল কায়দা খুঁজে পাওয়ার যুগটা একটু আলাদা এবং খনি শ্রমিকের বংশধর মাংস বিক্রেতা বা স্ক্র্যপ পাচারকারী মুসলমান গুন্ডার পরিবিরের সঙ্গে ক্ষত্রিয় গুন্ডার পারিবারিক ফিউড শুধু ই হিন্দি তে তৈরি মব মুভি না, অবিশুদ্ধ সেকূলার আর্বানিটির খোঁজ থেকে একধরনের স্মল টাউন এর মধ্যবিত্ত এক্সপিরিয়েন্স এবং আসপিরেশনের এই জারনিটা কাকতালীয় কিছু না। বিশাল রা নিজেরা প্রত্যেকেই হিন্দি ভাষার পক্ষে হলেও , সেকুলার এমনকি এন আর সি বিরোধী আন্দোলনে র সেলিব্রিটি সংগঠক, সুশান্ত নিজেও তাই। কিন্ত্ত সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতার বিতর্কে বিজেপি তার সুবিদিত পজিশন নিয়ে অবতীর্ণ না হলে সেটাই আশ্চর্য হত।
পাই , বিহারে ভোট না থাকলে এতসব হত না। যদিও সেখানে সব দলই সিবিআই চেয়েছে।
রাজপুতের পরিবার বিহারে এফ আই আর না করলে সিবিআই ঢোকে না।
না ঢুকলে মহারাষ্ট্র সরকারকে চাপে রাখা যায় না।
সিএস দা, সিবিয়াই, এইমস এর রিপোর্ট তো আজ বা কাল বেরবে। মানে তাতেও আত্মহত্যা, আর তার জন্য কোন আবেটমেন্ট নেই, এটা বেরতেই পারে, কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনো বের হয়নি। উল্টে বেরিয়েছে, মুম্বই পুলিশ ভিসেরা ঠিক করে সংরক্ষণ করেনি, ডিজেনেরেট করে গেছে বলে এইমস থেকে বলেছে। মুম্বই পুলিশ এত ফাঁক রেখে এত স্লপি কাজকর্ম কেন করল আর তা পাব্লিকে পুরো লিক ও হল, এটা খুবই অদ্ভুত। না হলে এত কিছুই এই কেস নিয়ে হত না। লোকজন খচে ছিল মুম্বই পুলিশের অদ্ভুত এইসব নানা ফাঁকফোকর ঢিলেঢালা নিয়ে, তারমধ্যে ওই করণ জোহর শো এর নানা বক্তব্য, নেপোটিজম নিয়ে কথাবার্তার ভিডিও গুলো উঠে এল ( আগেই ছিল, এই চক্করে লোকে সেসব আবার দেখতে গিয়ে ছড়িয়ে যায়), মহেশ ভাটের ওই কে সহকারী তাঁ্র কাগজে দেওয়া সাক্ষাতকারে ডিপ্রেশন, পারভিন বাবি এসব, তরপর তো মহেশ ভাটের ছবি, ভিডিও। এই অবদি স্পন্টেনিয়াসলিই ছড়িয়েছিল, এরপরে সিনে ঢোকে চাড্ডিরা। অর্ণব মাঠে নামে, কংগনা। পরিবারও এমনকি কংগনার থেকে অনেকবার দূরত্ব বজায় রাখার স্টেটমেন্ট দিয়েছিল। কী কী বক্তব্যের সংগে আগ্রি করেনা বুল্ল। ওমা, কংগনা সেটাকেও নিজের ফরে চালিয়ে দিল, স্টেটমেন্ট থেকে তিন চারটে শব্দ তুলে! আর তাতে সফল ও হল!
কংগনার অভিনয় ভাল লাগত। যদিও মণিকর্ণিকা সিনেমা হিসেবে দেখে বেশ বোর হয়েছি। কিন্তু এ আর এর বোন মুখ খুললে যা বের হয়! মজা হল, ওর এই ভোকাল হওয়া শুরু হৃত্বিকের কেসে সময়। তখন কিন্তু ও প্রচুর সমর্থন পেয়েছিল। বিশেষ করে নারীবাদী আংগেলে। লিবেরাল মিডিয়ার চোখের মণি ছিল। AIB র সেই শো মনে আছে? গুরুতে বোধহয় আস্ত টই ছিল। খুঁজলে পাওয়া যাবে।
সিএস, আপনি মনে হচ্ছে ব্যাপারটা বুঝেছেন। তাই আমি আর এই নিয়ে ঘাঁটাচ্ছি না।
পাই, বলিউডকে সর্বভারতীয় সিনেমা আমরা বানিয়েছি। বলিউড অবশ্যই সেই শিরোপা খুশি হয়েই গ্রহণ করেছে এবং বক্স অফিসে আরো ভালো কালেকশান করেছে। কেউ কাউকে হিন্দি সিনেমা দেখার মাথার দিব্যি দেয়নি। দক্ষিন ভারতের একটা বিশাল বড় জনগণ হিন্দি সিনেমা কোনওদিনও দেখেইনি। ভারতের ভাষাগত স্ট্রাকচারটাই এমন যে হিন্দি সিনেমার মার্কেট বিশাল বড়, ফলে সেই সিনেমার পক্ষে পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। তাই সারা দেশ থেকে সেখানে লেখক থেকে পরিচালক, সঙ্গীত শিল্পী, আর্টিস্ট থেকে টেকনিশিয়ান সবাই কাজ করতে যায়। এর থেকে বেশি সর্বভারতীয় হওয়ার কিছুই নেই হিন্দি সিনেমায়।
আর বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমা না দেখাটা আমাদের নেকামো এবং অপদার্থতা। কারণ সেখানে আমরা সত্যজিত রায়কে স্ট্যান্ডার্ড ধরে বলবো যে পাগলু বাজে সিনেমা। বাংলা গান শুনে বলবো যে রবিন্দ্রসঙ্গীতের মতন নয়। সেই স্ট্যান্ডার্ড ধরলে সারা বছরে বলিউডের ১০টা সিনেমাও দেখার কথা নয়। কিন্তু সেখানে আমরা সেই মাপকাঠি ব্যবহার করবো না। লোকে একসময় ডিডিএলজে কুছ্কুছের মতন সিনেমাও মহা আগ্রহ নিয়ে দেখে এসেছে।
পিএম ট্যাগ করা হয়েছে , সিকিউরিটি চাওয়া হয়েছে , প্রথম থেকেই এই মিটু পলিটিক্সের সাথে যুক্ত হবে , এরকমই মনে হয়। রাজপুত কেস যখন চাপা পড়েছে। আগের মিটুতে এসব ছিল না।
মেয়েটির আবার বাঙালী পদবী।
অনেকগুলো দিক কভার করা হবে মনে হচ্ছে।
যেতে চেয়েছিলাম কোলেরিজ লেক, শ খানেক কিলোমিটার গাড়ি চালানোর পর একটা টার্ন মিস করে খরবড়ে গ্র্যাভেল রাস্তা দিয়ে দিক হারিয়ে গিয়ে পড়লাম এক দিকশূন্য পুরে। কোথাও জনমানবহীন প্রান্তরে পাহাড় আর হ্রদ। তারপর আরো কিলোমিটার দুয়েক পাহাড়ে ট্রেক করার পর, এই দৃশ্য।
:-), এ লেকের নাম নাকি "সেলফে" লেক, কস্মিন কালে এর নাম শুনিনি, বনবিভাগ লিখে না রাখলে জানতে পারতাম না। গ্লেসিয়ার গলা বরফ শীতল জল, রোদ পড়ে গ্লেসিয়াল ডাস্ট মিশে তার এই রূপ ।
সারাদিন পরে ফিরে এসে অবসন্ন শরীরে ছবি দেখতে গিয়ে চোখ জুড়িয়ে গেল। আপনারাও দেখুন, :-),
সিএস বুঝ্লাম না। অনুরাগের মিটূতে পিএম ট্যাগের সঙ্গে এর কি সম্পর্ক।
তাহলে সেই সিনেমা সারা দেশ কেন দেখবে! বলিউডের বাজার তো সারা দেশ। এই নিয়েই প্রশ্ন ওঠা উচিত। গোবলয় নিয়ে সিনেমাও আঞ্চলিকই থাকুক না৷
একজন অভিনেতা আত্মহত্যা করার পরে তার পরিবার সেটাকে নিয়ে ভোট রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে যায় কিন্তু তারপর গাঁজা কেস ছাড়া কিছুই বেরোয়না যখন, সব চুপ হয়ে যায় , তারপর পিএমকে ট্যাগ না করলে চলবে না । আর পরিবারটি এখন, আমরা এই শোক মেনে নেব, এরকম মোডে চলে গেছে।
হিন্দি সিনেমা কেন হিন্দি বলয় থেকে বেড়োবে, তার তো কারণ দেখছি না। যেখন বেড়োয়, তখন গন্ডগোল করে। সত্যজিত রায় কেরালা নিয়ে সিনেমা করেছেন?
অনুরাগ কাশ্যপের মিটূ নিয়ে আমি বেশি কিছু বলবোনা। শুধু ইংরেজীটা একটু ভুল ছিল। আর মিটূর টুইটে একেবারে পিএমও আর পিএমকে কেন ট্যাগ করেছে, সেটা বুঝলাম না।