ডিজাইন হিসেবে দেওয়ার জন্য নয় কিন্তু ছবিটা, সেটা আর্টিস্টের কাজ। জাস্ট বোঝাতে চাইছিলাম যে সেগ্রিগেশন টা ভেবে এই বিভাগগুলো চালু করা হচ্ছে, সেগুলো কর্তৃপক্ষের মাথায় থাকছে, কিন্তু নতুন ইউজারের কাছে সাইটম্যাপটা সহজে পৌঁছে দেওয়া যায় কীভাবে? সব সেকশনের বর্ণনা পড়ে পড়ে বোঝার আগেই ভিশুয়ালি একটা ধারণা যাতে তৈরি হয়ে যায়, কোনটা কী।
@2k20, সবকটা ঠিক বিভাগ নয়। 'পড়াবই' টা বিভাগ। আবার 'সিরিয়াস৯' আর 'শনিবারবেলা' টা ট্যাগ। এরকম আছে। ফোকাস করে ডিসপ্লে করা হচ্ছে একইভাবে। তাই সবকটাই বিভাগ মনে হচ্ছে।
ডেস্কটপ ভিউ ডেফিনিটলি বদলাতে হবে। কিন্তু মোবাইল ভিউটা নিয়ে আপনাদের সবার কী বক্তব্য? আমার কিন্তু ওটা এত জবড়জং লাগছে না। ওটা নিয়েও কোনো সাজেশন থাকলে দিন।
আচ্ছা, একটা জিনিস বুঝতে চাই, প্রথম পাতায় যে নতুন বিভাগগুলো হয়েছে ওগুলো বুলবুলভাজার নতুন বিভাগ, তাইতো? মানে আগে সব এডিটেড লেখাই বুলবুলভাজা শিরোনামে রিলিজ হত। এডিটেড মানে ফরম্যাটিং উইথ রেসপেক্ট টু টেকস্ট কনটেন্ট অ্যান্ড ডেকরেশন। এখন তার মধ্যে ভাগ হল।
১) সিরিয়াস৯ তে কিছু গম্ভীর ব্যপার নিয়ে লেখা - সমকালীন - ধরা যাক জার্নালিস্টিক অ্যাপ্রোচে
২) পড়াবই তে বুক রিভিউ, পাঠপ্রতিক্রিয়া, লেখকদের সম্পর্কে অ্যানালিসিস, স্মৃতিচারণ (যা শুধু প্রতি রবিবার রিলিজ হবে)
৩) শনিবারবেলা (ধারাবাহিক) - এ বড়ো লেখা, উপন্যাস, পার্টে পার্টে জার্নাল, স্মৃতিচারণ, বিশাল প্রবন্ধ ইত্যাদি (যা শুধু প্রতি শনিবার রিলিজ হবে)
৪) ট্রাভেলগ হলে সেটা
৫) রামপদ্য হলে সেটা (যা শুধু প্রতি শুক্রবার রিলিজ হবে)
৬) বুলবুলভাজা এখনো থাকছে, আলাদাভাবে টুকরো লেখা, যা এসব কোনো খোপে পড়ছে না তেমন এর জন্য
এই ক'টা ছাড়াও তো বুলবুলভাজার গুচ্ছ উপবিভাগ আছে, ১২-১৪ টা। তারমানে এইগুলো ফীচারড, হ্যাপেনিং। আলাদা সম্পাদক নিযুক্ত আছেন যখন।
ছবি যা বুঝেছি, ফেসবুক ইত্যাদিতে শেয়ার করার সময় একটা রংচঙে ইন্টারফেস দরকার বলে তাতে প্রয়োজন।
হরাইজন্টাল স্ক্রলবার ছাড়াও কার্ডগুলো মুভ করতেও পারে, আরো ডায়নামিক ও আরো ইরিটেটিং হবে তাহলে।
এখন কথা হচ্ছে,
ক) সাইটের প্রথম পাতায় ছবি ছাড়া শুধু ইনডেক্স রইল (ছিমছাম, মিনিমালিস্ট), যেমন ব্লগের লেখার পাতায় ছবি ছাড়াই রয়েছে অথচ শেয়ার করলে ফেবুতে/হোয়াতে ছবি সহ গেল এরকম করা যায় কিনা। বা ছবিটা থাম্বনেলের মতো ছোটো হল, বুলেটের বদলে ব্যবহার করা হল, মাউস হোভার করলে প্রয়োজনে সেটা বড় করে দেখাবে, সেরকম। এবার এক একটা উপবিভাগের শুধু টেকস্ট স্ক্রল করার জন্য এক একটা বাক্স রইল। সূচীপত্র ব্যপারটা বেটার হবে।
খ) বুলবুলভাজার বিভাগগুলো একসাথে ক্লাব করে, ব্লগ (হরিদাসপাল) আলাদা করে রাখা যায় কিনা
গ) বুলবুলভাজার সেকশনগুলোর ক্লাবিং টা প্রথমপাতায় এমনভাবে দেখানো যাতে সেগুলো যে বুলবুলভাজার সাব সেকশন সেটা বোঝানো যায় কিনা, অ্যাস্থেটিকালি। এটা কোডারের কাজ নয়, আর্টিস্টের কাজ। হুতো টু ইন্টারভেইন। সেইমতো কোড করা যাবে।
ঘ) ভ্রাম্যমান প্যাঁচার নিচে বিভিন্ন লেখা মূল কিছু টেকস্ট সহ যেমন আসছে ঠিকাছে, কিন্তু সেগুলোর জন্য প্রতি সাবজেক্টের আলাদা আলাদা বক্স থাকবে যার মধ্যে বুলবুলভাজের সেই বিভাগের লেখাগুলো আলাদা করে স্ক্রল করবে। স্ক্রল অনন্ত করতে হবে। মানে বিভিন্ন পাতা ভার্টিকালি থাকবে একপাতা শেষ হওয়ার পরেও স্ক্রল করতে থাকলে পরের পাতাটা খুলবে ভার্টিকালি স্ক্রল করতে থাকায় মনে হবে স্ক্রল করে করেই সমস্ত লেখা দেখতে পাবো অনন্ত স্ক্রলিং, টিল টপিকস অফ দ্যাট সাবসেকশন এন্ডস।
ঙ) ভ্রাম্যমান প্যাঁচার বদলে প্রতি বিভাগের আলাদা আলাদা লোগো করতে হবে। ভাটিয়ালি, কুটকচালি ইত্যাদি সব বিভাগের স্বতন্ত্র লোগো থাকবে।
গুরুর নতুন গেটাপকে।
আমার মনে হয় এখন যখন সম্পাদনার একটা ব্যাপার চলছে, তখন যে লেখাগুলোয় সম্পাদক লেখকের সঙ্গে কাজ করবেন, সেই লেখাগুলো অন্তত প্রথম ভার্সান জমা দেওয়াকালীন লেখককে দিয়ে এগ্রিমেন্ট করানো যে লেখা সম্পাদনা করা হবে। রাজি থাকলে তবেই লেখা জমা দেবেন। এডিটোরিয়াল কন্ট্রোল অনলাইন প্রকাশনায় হয়। যেমন আপনি যদি কনভারসেশন এ লেখা দেন, তাহলে এক বা একাধিক এডিটর আপনার লেখাপত্তর বিস্তর কাটাকুটি করতে থাকেন, আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি। এখন কনভারসেশন মারকডাউন এডিটর যা কিনা দুতিনজন একসঙ্গে মিলে এডিট করতে পারেন, ব্যবহার করেন, যার জন্য লেখক ও সম্পাদক মিলে মিশে লেখাটাকে সাজাতে পারেন। গুরুর সিকে এডিটরে সম্ভব নয় মনে হয়।
আরেকটা ব্যাপার। গুরুতে খেরোখাতা সম্পাদনা করা যাচ্ছে না - এটা যদি একটু দেখেন।