পিয়ার রিভিউয়ে প্রচুর জালি আছে। পপিচুর হদ্দ। তাও এর থেকে ভাল সিস্টেম আর নেই। ভাল পত্র-পত্রিকার প্রবন্ধও, স্রেফ বহুসংখ্যক পাঠকের কারণে, কিঞ্চিৎ রিভিউড ধরা যেতে পারে। যদিও রিভিউয়ারের জ্ঞানগম্যির চৌহদ্দির হদিশ নেই। তবে বহুপাঠের জন্যে ধরা যেতে পারে কজন সাবজেক্টের এক্সপার্ট আছেন।
এর বাইরে যেসব প্রবন্ধ, প্রান্তিক পত্রিকা, লিটিল ম্যগাজিন ইনক্লুডিং আমার-আপনার গভীর মননশীল গুরুতে প্রকাশিত প্রবন্ধ মূলতঃ not worth the paper it is printed on.
"কমিউনিকেশন অতি বিচিত্র বস্তু। বহুব্যবহৃত কথা - নো ইওর অডিয়েন্স --"
১০০% সত্যি!
আম জনতার কাছে গবেষণার মূল্য খুব কম। সিরিয়াস গবেষণা আম দরবারে সবচেয়ে thankless job। কপালে দুর্নাম ও লাথি জোটে । বইও ব্যান হয়।
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী বেরিয়েছে। আনন্দ থেকেই। মালা দত্ত রায়ের লেখা। প্রামাণ্য কিনা জানিনা।
কাদম্বিনী ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। কবে বই বেরুবে জানিনা!
*And that leads to further contestation
সেদিন ইতিহাসবিদ সুপ্রিয়া গান্ধীর একটি কথা এখানে উল্লেখ করেছিলাম। Critical biographies র বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, সমাজ বিবর্তনের সাথে সাথে, এক, একটা প্রজন্ম বিগত যুগের মানুষদের নূতন করে অ্যানালিসিস করবে সেটাই স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক। সেগুলোই রিফেশিং চিন্তা ভাবনা। And the it leads to further contestations. জীবনী বানিয়ে বানিয়ে তো আর লেখা হয়না। ৪০ র দশকে একজন জীবনীকারের কাছে যে সব রিসোর্সেস ছিল, পরে আরও বেড়েছে। অনেক তথ্য এসেছে।
নিবেদিতার প্রথম জীবনী বেরুল ১৯৩৫ এ। শঙ্করী প্রসাদ বসুর 'লোকমাতা নিবেদিতা' র কয়েক খণ্ড বেরিয়েছে তাও চল্লিশ বছরের বেশী হবে।
নিবেদিতার গবেষণামূলক নূতন জীবনী আরেকটি দরকার।
তবে বাংলায় নিবেদিতাকে নিয়ে লেখালেখিতে এখনো শঙ্করীপ্রসাদ বসুকে ধুয়েই চলছে। নূতন কাজ খুব কম।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নিবেদিতার পরিচয় হয়েছিল নিবেদিতা কলকাতায় আসার অল্প সময় পরেই।
'বেঙ্গল স্কুল'(আর্ট) পর্বে নিবেদিতার বিশাল ভূমিকা আছে।
সাগরে কাদা ছুঁড়ে কি সাগরকে মলিন করা যায়, পণ্ডিত মহোদয়?
আর বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু স্কুল এখনো আছে।দেড়শ বছর ধরে তারা সমাজে শিক্ষাবিস্তারে সহায়তা করে চলেছে। আর আমরা ফেসবুকে বাকতাল্লা মেরে সমাজ পরিবর্তনের খোয়াব দেখছি!
বিদ্যাসাগরের সময় দেশে প্রতি 100 জন মানুষের মধ্যে 10 জনও সাক্ষর ছিলেননা। মূলত উচ্চবর্ণের মধ্যেই বিদ্যাচর্চা সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুল গুলি প্রতিষ্ঠিত হবার পর উচ্চবর্ণের ছাত্ররাই সেখানে ভর্তি হতে আসে। শিক্ষকদের মধ্যেও অধিকাংশ উচ্চবর্ণের। এতে বিদ্যাসাগরের দোষ কোথায়? একজন মানুষ একা সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন? আর আমরা ফেসবুকে বা ব্লগে বুলি কপচাব?
আর এই লেখাগুলিকে বলা হবে নির্মোহ বিশ্লেষণ!
মানে পদত্যাগপত্র অফিসিয়ালি অ্যাসেপ্টেড হওয়ার পরেও যে ফের 'নিজের আত্মমর্যাদা' (পরের আত্মমর্যাদা যে হয় এটা জানতাম না) বিসর্জন দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার আবেদন করেছিলেন লিখিতভাবে - সেটা যে আমার রচনা বইতে আপডেট করেছি কিছুদিন আগে - সেটা কিনে ফেলুন এবং পড়ে নিন। পুরনো রচনাবই থেকে লাগাতার ঝেড়ে গেলে আমার বিক্কিরি কমে যাবে সে খ্যাল আছে?