উঃ ,এ একেবারে "কে প্রথম কাছে এসেছি,------ ভালবেসেছি। কে আগে?"
--সরি! মাঝখানে ভাট বকার লোভ সামলাতে পারলাম না।
বোধি, আমি তোমায় অপছন্দ করি বললে? একবার আটকাল না? তুমি সিপিএম জেনেও তো তোমায় ভালোটি বেসেছি।
:)
আমি অ্যাকচুয়ালি পচ্চিলাম বীরভূমের ইতিহাস। খনুদা শোনো। রুজি রোজগার নেই, শিক্ষা দীক্ষাও নেই। কিন্তু আছে অঢেল দেশী মদ আর পচুই। ১৭৯৩ সালে সরকারি মদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দেশি মদের দোকান দুটো, আর পচুইয়ের তিনটে। কিন্তু এর বাইরে আরো বহু অনুমোদিত পচুইয়ের দোকান। বেশ সস্তা। কালেক্টর সায়েব স্মৃতিচারণ করেচেন...'ভাত পচিয়ে, তার সঙ্গে সুগন্ধ আনার জন্য কিছু শেকড়বাকড় আর ঝাল লঙ্কা মিশিয়ে তৈরি হয় যে পচুই তা এত সস্তা যে দরিদ্রতম নেটিভরাও কিন্তে পারে; আর তা এত মৃদু যে আমি...বেশ জোর করে বলতে পারি এই হায়দ্রাবাদ গ্রামে এমন একটি লোক দুর্লভ যে তিন কোয়ার্ট পরিমাণ দৈনিক টানে না...
ওরেঃ। ব্ল্যানকি এসব শুনলে খুশি হ'ত খুব।
জ্যোতিষশাস্ত্রে জ্যোতির্বিদ্যাও ছিল মানে অ্যাস্ট্রোনমি। সমাচার দর্পণের খবরটা ফালতু। মিশনারিদের কাগজে তো এইরকম প্রচার করাই হবে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে ঠিক কী পড়ানো হ'ত সেইটে নিয়ে শিওর হওয়া যায় না। ১৮১৯ এ যখন কেরি সাহেব শ্রীরামপুরে টোল খুলছেন, তখন সমাচার দর্পণে লেখা হচ্ছে যে এই বাঙ্গালা দেশে অন্য ২ শাস্ত্রের টোল চোউপাড়ী সর্বত্র বাহুল্যরূপে আছে এবং অনেক লোক ব্যবসা করিয়া বিদ্যবান হইতেছেন কিন্তু প্রকৃত জ্যোতিষশাস্ত্র লীলাবতী ও বীজ ও সূর্যসিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্ত শিরোমণি প্রভৃতি ভাস্করাচার্য্যাদির প্রণীত গ্রন্থের পাঠ ও ব্যবসায় এই বাঙ্গালা দেশে নাই...ইত্যাদি। এখন হেইডা ফেক নিউজ কিনা জানি না। ঃ)
কোথায় যেন পড়লাম, পরীক্ষার সময়, মিশনারি স্কুলে স্কোয়ার আর কিউব রুট জিজ্ঞেস করা হ'ত। মনে হয় না পাঠশালায় এর বেশী অঙ্ক দরকার ছিল বা পড়ানো হ'ত। শাস্ত্রী মশাই একেই জটিল বলেছেন কিনা কে জানে।
রঞ্জনবাবুকে আমার সোজা কথা, বোতাম লাগান। তাই বলে হাতার বোতামটাকে ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেবেন না। মনে রাখবেন যিনি জামাটা বানিয়েছেন তিনি জামার বোতামের ক্ষেত্রে হাতার বোতামটা কমা কোম্পানির তো লাগানইনি, উল্টে যথেষ্ট যত্ন করেই লাগিয়েছেন। কাজেই সেটাকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করা খুব কাজের কথা নয়।
আচ্ছা যা দেখলাম, আলোচনাগুলো মোটামুটি ভদ্রজনেরাই করছেন। তো অ্যাডাম, মুনরো এবং পাঞ্জাব নিয়ে আমার দু'পহা। খাটতে হচ্ছে না, কপি-পেস্ট করলেই হবে!
অ্যাডাম- দেশজ প্রাথমিক শিক্ষার বিদ্যালয়গুলির সংজ্ঞা ঃ যে সব বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় এবং যেগুলি দেশীয় লোকের সাহায্যে দেশীয় লোকের দ্বারা স্থাপিত অর্থাৎ যেগুলি কোনও ধর্মীয় সংস্থা বা দাতব্য সংস্থার সাহায্যে গড়ে ওঠেনি, সে সব বিদ্যালয়কে দেশজ প্রাথমিক বিদ্যালয় বলা হচ্ছে।
আমার করা বাংলা, চাইলে ইংরেজি দেওয়া যাবে।
এল লাখ 'ইস্কুল' : A distinguished member of the General Committee of Public Instruction in a minute on the subject expressed the opinion, that if one rupee per mensem were expanded on each existing village school in the Lower Provinces, the amount would probably fall little short of 12 lakhs of rupees per annum. This supposes that there are 100,000 such schools in Bengal and Behar, and assuming the population of those two Provinces to be 40,000,000, there would be a village school for every 400 persons.
অ্যাডামের নিজস্ব বিশ্লেষণ : The estimate of 100,000 such schools in Bengal and Behar is confirmed by a consideration of the number of villages in those two provinces. Their number has been officially estimated at 150,748, of which, not all, but most have each a school. If it be admitted that there is so large a proportion as a third of the villages that have no schools, there will still be 100,000 that have them.
এটা যে খুব একটা ভুল ছিল না, তার প্রোজেকশনও আছে। মানে পাঠশালা+ গৃহশিক্ষা মিলিয়ে। ছবি আছে, চাইলে দেওয়া যাবে।
একে সমর্থন করেছেন মুনরো : তিনি বলেছিলেন ‘there is one school to every 1,000 of the population; but as only a very few females are taught in school, we may reckon one school to every 500 of the population’।
একই কথা বোম্বে এডুকেশন কমিটির ১৮১৯ সালের একটি রিপোর্টে: ‘There is probably as great a proportion of persons in India who can read, write, and keep simple accounts, as are to be found in European countries’। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘Schools are frequent among the natives, and abound everywhere’।
আর অ্যাডামের প্রায় ৪৫ বছর পরে, লাহোর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও পাঞ্জাব শিক্ষাসংসদের অস্থায়ী কার্যকারী সভাপতি লিটনার (Dr G. W. Leitner) পাঞ্জাবের দেশজ শিক্ষাব্যবস্থার ওপর সমীক্ষা করে জানান যে, ব্রিটিশের পাঞ্জাব দখলের সময়ে ‘3,30,000 pupils in the schools of the various denominations who were acquainted with reading, writing and some method of computation’ অথচ ১৮৮২ সালে এই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ‘little more than 1,90,000’।
টোলে কী পড়ানো হত : ব্যাকরণ, ন্যায়শাস্ত্র , স্মৃতিশাস্ত্র ও সাহিত্য। এছাড়াও তারা পড়ত পুরাণ , জ্যোতিষশাস্ত্র , শব্দবিজ্ঞান বা Lexicology, অলঙ্কার, চিকিৎসাশাস্ত্র, তন্ত্রশাস্ত্র, বেদান্ত, মীমাংসা ও সাংখ্য (ছাত্রসংখ্যা অনুযায়ী দিলাম)। শিক্ষার মেয়াদকাল, শিক্ষা শুরু ও সমাপ্তির সময় ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার বিষয় অনুযায়ী ও জেলা অনুযায়ী তারতম্য ছিল। পাঠ্যপুস্তক হিসবে শিক্ষার্থীদের পড়তে হত ব্যাকরণে সভাষ্য মুগ্ধবোধ, পতঞ্জলির মহাভাষ্য, সিদ্ধান্তকৌমুদী ইত্যাদি; ন্যায়শাস্ত্রে সিদ্ধান্ত মুক্তাবলী; স্মৃতিতে রঘুনন্দনের বিভিন্ন তত্ত্ব; সাহিত্যে ভট্টিকাব্য, হিতোপদেশ, রঘুবংশ, নৈষধচরিত, শকুন্তলা, কুমারসম্ভব, মাঘ ও ভারবি; শব্দবিজ্ঞানে অমর কোষ; অলঙ্কারে কাব্যপ্রকাশ, কাব্যচন্দ্রিকা, সাহিত্যদর্পণ প্রভৃতি।
পাঠশালার পাঠক্রম নিয়ে শিবনাথ শাস্ত্রী ঃ পাঠশালে পাঠনার রীতি এই ছিল যে, বালকেরা প্রথমে মাটিতে খড়ি দিয়া বর্ণ পরিচয় করিত; তৎপরে তালপাত্রে স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ, যুক্তবর্ণ, শটিকা, কড়াকিয়া, বুড়িকিয়া প্রভৃতি লিখিত; তৎপর তালপাত্র হইতে কদলীপত্রে উন্নীত হইত; তখন তেরিজ, জমাখরচ, শুভঙ্করী, কাঠাকালী, বিঘাকালী প্রভৃতি শিখিত; সর্বশেষে কাগজে উন্নীত হইয়া চিঠিপত্র লিখিতে শিখিত। সে সময়ে শিক্ষা-প্রণালীর উৎকর্ষের মধ্যে এইটুকু স্মরণে আছে যে, পাঠশালে শিক্ষিত বালকগণ মানসাঙ্ক বিষয়ে আশ্চর্য পারদর্শিতা দেখাইত; মুখে মুখে কঠিন কঠিন অঙ্ক কষিয়া দিতে পারিত।
এবারে চাইলে টোমাসনের স্কুলের পাঠ্যসুচী ও সেই বিষয়ে মোয়াটের রিপোর্ট কপি-পেস্ট করা যাবে!
ইতিহাস চর্চায় আমার একটা প্রশ্নঃ জামায় বোতাম লাগাব? নাকি হাতে একটা বোতাম রয়েছে তাতে জামা সেলাই করব?
@বোধি,
রজত হচ্ছে জন্ম বুড়ো, আমার উলটো। খালি অধ্যাপক-অধ্যাপিকা (যেমন অশীন দাশগুপ্ত , সৌরীন্দ্র মিত্র , পবিত্র সেনগুপ্ত আদি ) দের সঙ্গে আড্ডা! বাবা-কাকাদের চেনে, ছেলেদের চেনেনা। শিব,কুকুল, নির্মলাংশু, শোভন ব্যতিক্রম।
অর্জুন,
ভালো আছি। একটা পাতি গল্প বলি। আমার পিসতুতো দাদা ষাটের দশকে শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়ে তান চামেলিকে দেখে আর ফেরার নাম করেনা। এদিকে রেস্ত ফুরিয়ে আসছে। সাহস করে এক সকালে ওনাকে বলেই ফেলল-- আমার স্ক্র্যাপবুকে কিছু লিখে দেবেন?
তান চামেলি অবাক। ভুরু কুঁচকে বললেন--আমাকে কেন ?
--না মানে ক'দিন ধরে ভাবছি আপনাকেই বোলব।
চামেলি একটু ভেবে খাতায় খসখস করে লিখে দিলেন-- "কত অজানারে জানাইলে তুমি ------- পরকে করিলে ভাই"।
ভাই? সেদিনই ফিরতি ট্রেনে কোলকাতায়।
বুড়ো বয়সে চুঁচড়োর বাড়িতে আমায় দেখাল-- সেই লেখাটি যত্ন করে রাখা!
অর্জুন, ফেসবুকে শান্তিনিকেতন বলে একটা গ্রুপ আছে। আপনি সেখানে আপনার প্রশ্নটা রেখে দেখতে পারেন। আশাকরি সহজেই সাহায্য পাবেন।
সাবধানে থাকবেন।দ্রুত সেরে উঠুন এই শুভেচছা রইলো।
না গুরু, অপমানিত ক্যানো হব! আমি কী রাইজ্যপাল নাকি! ঃ))) স্প্যানিশ সাইত্য আমি কিছু অনুবাদ পড়ে বোর হয়ে গিশলাম। আর জীবনের মাহেন্দ্রক্ষণে কেউ স্প্যানিশ সিনেমা নিয়ে একটি যাদবপুর তুলনামূলক সাহিত্য বা সংস্কৃতি বা ঐরকম কিছুর খেতাবধারীর বই পত্তে দিয়েছিল। এই দুইয়ের গুঁতোয় ব্যাপারটা বেশিদূর এগোয় নি, লজ্জায় নীল হয়ে পাঁচ পার্সেন্ট হয়ে গেশি। তাই ভিয়া মাতাস ইত্যাদি বলে দিয়েছ মানে ব্যাপারটার গুরুত্ব অনুধাবন করে একযুগ বাদে ফের তোমাকে ধরতেই হচ্চে। এবাদে, লা লিগা থেকে মেশি সরে যাওয়া মানে রিবিল্ড বার্সেলোনা জাতীয় কাতালান অভিমানের চোটে ওঁদের অ্যাক্টিভিতি ফের মেন ট্র্যাকে ফিরবে, এই আশা রাখি। ঃ)