১ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বললেন যে ছোট জিনিসকে বড় দেখাবার যন্ত্র হিসাবে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের বিপরীতে আমরা যদি চারপাশের আপাত দৃষ্টিতে বড় জিনিসগুলিকে ছোট দেখাবার কোনো একটা যন্ত্রের কথা ভাবি এবং খুঁজি, আমাদের বেশি দূরে যেতে হবে না। বিদ্যাসাগরের কথা ভাবলেই হবে। বিদ্যাসাগরের জীবন এবং চরিত্রের পাশে দেশের আর পাঁচটা (বিনা বাছাই) লোককে দাঁড় করিয়ে দিলেই সেই ঈপ্সিত কাজটি হয়ে যাবে।
২ রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন যে বিদ্যাসাগরের নামের আগে দেশবাসীর তরফে দান সাগর, দয়ার সাগর ইত্যাদি ভালো ভালো কিছু বিশেষণ বসিয়ে দিয়ে তাঁর ভেতরের আসল “মানুষ”-টাকে কার্যত অদৃশ্য করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যা বা দয়া নয়, তাঁর চরিত্রের আসল পরিচয় যে তাঁর “অক্ষয় মনুষ্যত্ব” এবং “অজেয় পৌরুষ”-এর মধ্যে পাওয়া যাবে, এই জিনিসটা তারা ধরতেই পারেনি।
ডবল ঢেউ এবং মামীকে ধন্যযোগ।
groundxero থেকে অশোক মুখোপাধ্যায়ের ছ'টি পর্বে " প্রসঙ্গ বিদ্যাসাগর " নামিয়ে ওয়ার্ড ফাইল বানিয়ে পড়তে শুরু করেছি। এই অশোকবাবুই কি একসময় গুরুতে রাজেন্দলাল মিত্র এবং অন্য কিছু নিয়ে দামী লেখা লিখেছিলেন? ওনাকে আরও লেখার আমন্ত্রণ জানানো হোক।
উনি ডান ও বাম ধারা থেকে বিদ্যাসাগরের সমালোচনার বিপক্ষে কলম ধরেছেন। যেমনঃ
"মেকলের সম্পর্কে এদেশের একদল র্যাডিক্যাল বুদ্ধিজীবীর খুব উচ্চ ধারণা। তিনি নাকি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে যা কিছু শিক্ষা পরিকল্পনা করেছিলেন ভারতীয় “ভদ্রলোক” “রেনেশাঁস-উপজ”গণ হুবহু তাকেই রূপদান করে গেছেন। বিদ্যাসাগরের শিক্ষার পরিকল্পনাও নাকি মেকলেরই ভাবসম্প্রসারণ। কোম্পানি শাসকরা যেমনটি চেয়েছিল, তিনি তাই করে গেছেন! কিংবা, বিপরীতক্রমে, বিদ্যাসাগর কোম্পানির ইচ্ছাই পূরণ করে গেছেন।"
সম্ভবতঃ এলেবেলে এইধারার প্রতিনিধি।
আমাদের রান্নাঘরের রেফ্রিজারেটর কাল থেকে গেছে। আজ সারাদিন মিটিঙের ফাঁকে একবার এলজিকে ফোন করে গান শুনছি, একবার হোম ওয়ারেন্টিকে ফোন করে গান শুনছি আর বিভিন্ন রিপেয়ার শপে ফোন করে আ্যক্সেন্ট শুনে কোন দেশের লোক আন্দাজ-আন্দাজ খেলছি। এবার আকাধর্মে দীক্ষা নিয়ে নিলেই হয়।
আকার এত হাহাকার কেন? কোভিডের বাজারে অন্ততঃ আঠা লাগানোর কাজ তো আছে। অনেকের তো তাও নেই।
আমার এক বন্ধু কাল বলল সে ফার্স্ট গ্রেডে উঠেছে। এরম চলতে থাকলে ও মেয়ের স্কুলে ভর্তি হয়ে যাবে:-(
ইন্দ্রমিত্র আর বিনয় ঘোষ দুটোই বাড়িতে থাকার কথা, দেখতে হবে।
অমিত, লোকে যা খুশি ভাবতেই পারে, তবে সজোরে ভাবলে সাক্ষ্যপ্রমাণের একটা দায় থাকে বৈকি!
দিনকাল অবশ্য সেদিকেই এগোচ্ছে। আমার মনে হলো, কাজেই এ সত্য না হয়ে যায় না!কে আর সত্যিমিথ্যে যাচাই করতে যাচ্ছে। ইতর অবশ্য চিরকালই এমনই ছিলো,সামাজিক মাধ্যমে প্রকোপটা বেড়ে গেছে আর কী!
১১৫,১১৪ ধন্যযোগ। নরম কপি থাকলে আরো ভালো:-)
২৭ আগস্ট ২০২০ ০৪:২২ কি ওমনাথ?
করুণাসাগর বিদ্যাসাগর একটু বেশি ইউলোজিস্টিক হলেও, এখনও আকর জীবনী। বিনয় ঘোষের 'বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ' ভাল কাজ।
বিনয় ঘোষ অনেক ভাল কাজ করেছেন, কিন্তু সমাজতত্বের ফর্মাল ট্রেনিং না থাকায়, আমার ধারণা, ওনার অনেক সিদ্ধান্ত সেরকম মজবুত নয়। উনি নিজেও বোধহয় কোথাও এই নিয়ে লিখেছিলেন, ভুলে গেছি। ঠিক যেমন অনেকে ঐতিহাসিকের ভান করেন, কিন্তু র সোর্স থেকে ইন্টারপ্রিটেশনের জন্যে যে ট্রেনিং দরকার সেসব না থাকায় শেষ পর্যন্ত সবই হাস্যকর রকমের পর্বতের মূষিকপ্রসব হয়ে যায়। সোশাল সায়েন্সেরও একটা সায়েন্টিফিক প্রসেস আছে। বাঙালি ইন্টালেন্টসিয়ার এই মুশকিল। সবাই না-শিখে এক্সপার্ট। যতবার এগুলো পড়ি ততবার আমার সত্যজিতের অশোক রুদ্রর চারুলতার সমালোচনার উত্তরটি মনে পড়ে যায়, মানিকবাবুর গায়ের চামড়ার পাতলাত্ব মনে রেখেও।
আজ্জো:-))) এখানে ঐ বাঘা ঠান্ডায় সারা শীতকাল,আনজিপ করে,হুড নামানো ফিনফিনে জ্যাকেটে চলে গেল। এখন এই বিশ্রি গরমে ( ৯০ + ) গায়ে সকালে দেখি ব্ল্যাংকেট। আজকাল মনে হয় দেখলেই দাঁত কিড়মিড় করে- এ ভালোবাসা উভয়ত:
মামী,
পরমেশ আচার্য - বাঙালি প্রবুদ্ধ সমাজের সিমা ও বিদ্যাসাগর এবং অন্যান্য প্রবন্ধ- অনুষ্টুপ https://www.rokomari.com/book/132626/bangali-probuddho-somajer-sima-o-bidyasagor
এঁর বাকি বই - বাংলার দেশজ শিক্ষাধারা (অনুষ্টুপ), বাঙালির শিক্ষাচিন্তা (দে'জ)
স্বপন বসু - সমকালে বিদ্যাসাগর - পুস্তক বিপণি ১৯৯৩
এঁর বাকি বই - উনিশ শতকে বাংলায় নবচেতনা (পুস্তক বিপণি), গণঅসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ, বাংলায় নবচেতনার ইতিহাস ১৮২৬-১৮৫৬ (পুস্তক বিপণি),
No cover image available
অশোক.সেন - বাংলায় নবজাগরণের সঙ্গতি অসঙ্গতিতে বিদ্যাসাগর - কলিকাতা পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ২০০৩
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অ্যান্ড হিজ ইলোসিভ মাইলস্টোন
এলেবেলের বিদ্যাসাগর অ্যাসেসমেন্ট কোনদিকে যেতে পারে স্বপন বসু অশোক সেনের নাম উল্লেখে একটা ধারণা পাওয়া গেল। অশোক মুখোপাধ্যায় সেই ধারার অ্যাসেসমেন্টের ঐতিহ্য নিয়ে বড় লেখা লিখেছেন। এটা এই প্রসঙ্গে পড়ে দেখা যেতে পারে।